উত্তর-পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রক
                
                
                
                
                
                    
                    
                        কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (এন.ই.এস.টি) ক্লাস্টারের উদ্বোধন এবং অসমে ৬৩৫ কোটি টাকার উন্নয়নমূলক প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন 
                    
                    
                        অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি গ্রহণের ফলে বাংলাদেশের উপর দিয়ে রেল ও সড়কপথে মাত্র ১০ ঘন্টায় আগরতলা ও কলকাতার মধ্যে যাতায়াত সম্ভবপর 
                    
                
                
                    Posted On:
                03 NOV 2025 11:38AM by PIB Agartala
                
                
                
                
                
                
                নয়াদিল্লি, ৩ নভেম্বর, ২০২৫: কেন্দ্রীয় যোগাযোগ ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া আজ আই.আই.টি গুয়াহাটিতে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (এন.ই.এস.টি) ক্লাস্টারের উদ্বোধন করেছেন এবং আসামে ৬৩৫ কোটি টাকার রূপান্তরমূলক উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছেন।
এই অনুষ্ঠানে অসম সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন বিজ্ঞান ও উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।


অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী সিন্ধিয়া অসমকে "উদীয়মান উত্তর-পূর্বের হৃদস্পন্দন হিসাবে বর্ণনা করেছেন, যেখানে শক্তিশালী ব্রহ্মপুত্র ধারাবাহিকতা, সাহস এবং সৃজনশীলতার প্রতীক হিসাবে প্রবাহিত হয়।" তিনি বলেন, ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় নবজাগরণের দীর্ঘ প্রবেশদ্বার অসম এখন বিকশিত পূর্বোত্তরের উদ্ভাবন ও যোগাযোগের হাব হিসাবে উন্নীত হচ্ছে।

আসামে ৬৩৫ কোটি টাকার উন্নয়নমূলক প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী সিন্ধিয়া আসামে মোট ৬৩৫ কোটি টাকার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন,যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রবেশদ্বার হিসাবে এর আসামের ভূমিকাকে শক্তিশালী করবে।
মূল প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছেঃ
- ৬৫ টি নতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবনের পরিকাঠামো উন্নয়ন- ৪৫৫ কোটি টাকা।
- ছায়াগাঁও-উকিয়াম রোডের মানোন্নয়ন-১০২.৬৯ কোটি টাকা।
- সিলোনিজান-ধনসিরি পাড় ঘাটে আরসিসি সেতু- ২০.৫৯ কোটি টাকা।
- রামফালবিল (কোকরাঝাড়)-এ শিল্প এস্টেটের উন্নয়ন-১৪.৪০ কোটি টাকা।
- লাখিবাজারে (বাক্সা) শিল্প এস্টেটের উন্নয়ন-১৮.৪০ কোটি টাকা।

আইআইটি গুয়াহাটিতে এন.ই.এস.টি ক্লাস্টারঃ উত্তর-পূর্বের উদ্ভাবনী কেন্দ্র
২২.৯৮ কোটি টাকা বিনিয়োগে প্রতিষ্ঠিত নর্থ ইস্টার্ন সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এন.ই.এস.টি) ক্লাস্টার উত্তর-পূর্বের উদ্ভাবনী বাস্তুতন্ত্রের স্নায়ু কেন্দ্র হিসাবে কাজ করবে-স্থানীয় জ্ঞানকে বৈশ্বিক সমাধানে রূপান্তরিত করবে। এটি চারটি ক্ষেত্রের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করবেঃ তৃণমূলস্তরে উদ্ভাবন, সেমিকন্ডাক্টর এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বাঁশ-ভিত্তিক প্রযুক্তি, বায়োডিগ্রেডেবল প্লাস্টিক।


এন.ই.এস.টি ক্লাস্টার এন.ই-স্পার্কস এবং অষ্টলক্ষ্মী দর্শনের মতো ডোনারের যুব-কেন্দ্রিক কর্মসূচির পরিপূরক হবে, যার মাধ্যমে সারা ভারত থেকে ৩,২০০ জন শিক্ষার্থী উত্তর-পূর্ব সফর করবেন এবং উত্তর-পূর্বের ৮০০ জন শিক্ষার্থী ইসরোর বৈজ্ঞানিক কার্যক্রম পরিদর্শনে যাবেন।

আইআইটি গুয়াহাটিতে কাটিং-এজ রিসার্চ এবং প্রযুক্তি প্রদর্শন
আই.আই.টি গুয়াহাটি'তে প্রদর্শনী দেখার সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী সিন্ধিয়া ৬জি যোগাযোগ, বায়োডিগ্রেডেবল পলিমার, বাঁশের টিস্যু কালচার এবং সুলভ স্বাস্থ্যসেবার জন্য লো-ফিল্ড এম.আর.আই ব্যবস্থার উদ্ভাবন প্রদর্শনকারী শিক্ষার্থী ও গবেষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
বায়োডিগ্রেডেবল পলিমার প্রকল্পের পর্যালোচনা করে সিন্ধিয়া বলেন, "আপনি যদি এটি চালিয়ে যান তবে এটি'র ভবিষ্যত আছে । কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিক্ষার্থীদের বৈজ্ঞানিক কৌতূহল এবং সুস্থায়ী উদ্ভাবনের মনোভাবের প্রশংসা করেন।
অন্তর্ভুক্তিমূলক উদ্ভাবনের উপর এন. ই .এস .টি মিশনের অধীনে কামরূপ জেলার ৩০ জন গ্রামীণ মহিলা ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ প্রযুক্তি ব্যবহার করে বায়োডিগ্রেডেবল খেলনা তৈরিতে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করার জন্য তাদের সম্মানিত করা হয়। তারা এখন তাদের নিজস্ব ক্ষুদ্র উদ্যোগ প্রতিষ্ঠার জন্য ধারাবাহিক ভাবে সহায়তা পাবেন।
তিনি এন.ই.এস.টি ক্লাস্টারের লোগোও উন্মোচন করেন, যা টেকসই খেলনা তৈরিতে প্রশিক্ষিত গ্রামীণ মহিলাদের দ্বারা সুন্দরভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যা অন্তর্ভুক্তির মূল এবং নারী শক্তি দ্বারা ক্ষমতায়িত উদ্ভাবনের মনোভাবকে প্রতিফলিত করে।

মোদী যুগে অসমের রূপান্তর
শ্রী সিন্ধিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দূরদর্শী নেতৃত্বে উত্তর-পূর্বাঞ্চল যোগাযোগের অপ্রতুলতা থেকে উন্নতর যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য দিকে ধাবিত হচ্ছে।
মোট বাজেটের দশ শতাংশ আর্থিক সহায়তার নীতি অনুসারে প্রবৃদ্ধি, উদ্যোগ এবং ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে এই অঞ্চলে ৬.২ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ করা হয়েছে। তিনি বোগীবিল সেতু, ভূপেন হাজারিকা সেতু, সেলা টানেল এবং জোগিঘোপা মাল্টি-মডেল লজিস্টিক পার্কের মতো যুগান্তকারী প্রকল্পগুলির কথা তুলে ধরেন, যা অসমের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করেছে।
তিনি আরও বলেন, 'অ্যাক্ট ইস্ট নীতি' নতুন বাণিজ্যের দ্বার খুলে দিয়েছে। এই নীতি গ্রহণের ফলে বাংলাদেশের উপর দিয়ে রেল ও সড়ক পথে কলকাতা ও আগরতলার মধ্যে ভ্রমণের সময়কে ৩১ ঘন্টা থেকে কমিয়ে মাত্র ১০ ঘন্টায় সম্ভবপর ।
স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শক্তি এবং শিল্পের সামগ্রিক বিকাশের জন্য কেন্দ্রের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে মন্ত্রী দারাংয়ে ৬,৫০০ কোটি টাকা এবং অসম জুড়ে ১৮,৫৩০ কোটি টাকার প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদীর সাম্প্রতিক প্রকল্পগুলির কথাও উল্লেখ করেছেন।
বিকশিত পূর্বোত্তরের জন্য নতুন সূর্যোদয়
সিন্ধিয়া বলেন, উত্তর-পূর্বকে একসময় প্রান্তিক অঞ্চল হিসেবে দেখা হতো, এখন তা সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভারতের পূর্ব প্রবেশদ্বার হয়ে উঠেছে। তিনি অসমের "সবে সকলরে লই থকা সমাজ" - অর্থাৎ এমন একটি সমাজ যা সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে চলে - এই ধারণার প্রশংসা করেন, এবং তিনি বলেন যে আজকে সূচনা হওয়া প্রতিটি প্রকল্প সেই একতাকে আরও শক্তিশালী করে।
শ্রী সিন্ধিয়া আশা প্রকাশ করেন যে, মা কামাখ্যা'র আশীর্বাদে আসাম শিক্ষা, উদ্ভাবন এবং উদ্যোগের সমন্বিত শক্তির মাধ্যমে ২০৪৭ সালের মধ্যে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিকশিত ভারত অভিযানের নেতৃত্ব অব্যাহত রাখবে।
টুইট লিঙ্কঃ
 
 
উত্তর-পূর্ব উন্নয়ন মন্ত্রক-এর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল
● টুইটার/এক্স: https://twitter.com/MDoNER_India
● ফেসবুক: https://www.facebook.com/MdonerIndia/
● ইনস্টাগ্রাম: https://www.instagram.com/donerindia/
*****
PS/PKS/KMD
                
                
                
                
                
                (Release ID: 2186137)
                Visitor Counter : 8