নিতি আয়োগ
azadi ka amrit mahotsav

অসমের গুয়াহাটিতে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে "রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির বিকাশ ত্বরান্বিত করার জন্য গবেষণা ও উন্নয়ন সহজতর" শীর্ষক সপ্তম আঞ্চলিক পরামর্শমূলক বৈঠক অনুষ্ঠিত

प्रविष्टि तिथि: 17 OCT 2025 3:54PM by PIB Agartala

নয়াদিল্লি, ১৭ অক্টোবর,২০২৫: গত ১৫ -১৬ অক্টোবর গুয়াহাটির ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে নীতি আয়োগের উদ্যোগে "রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির বিকাশ ত্বরান্বিত করার জন্য গবেষণা ও উন্নয়ন সহজতর" শীর্ষক দু'দিনের আঞ্চলিক পরামর্শমূলক বৈঠকের আয়োজন করা হয়।  কর্মশালায় ভারতের গবেষণা ও উন্নয়ন বাস্তুতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ভাইস চ্যান্সেলর, প্রাতিষ্ঠানিক প্রধান এবং বৈজ্ঞানিক মন্ত্রক ও বিভাগগুলির প্রতিনিধিরা সমবেত হয়েছিলেন।

স্বাগত ভাষণে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি - গুয়াহাটির অধিকর্তা অধ্যাপক দেবেন্দ্র জালিহাল দেশের গবেষণা ও উন্নয়নের অগ্রাধিকারগুলিকে ত্বরান্বিত করতে শিক্ষাবিদ, শিল্পোদ্যোগী ও সরকারের মধ্যে বৃহত্তর সহযোগিতার আহ্বান জানান। নীতি আয়োগের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর অধ্যাপক বিবেক কুমার সিং কর্মশালার মূল বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, গবেষণার প্রক্রিয়াকে সহজতর করা হচ্ছে শুধুমাত্র প্রথম ধাপ, এর চূড়ান্ত লক্ষ্য হওয়া উচিত বৈজ্ঞানিক ফলাফলগুলোকে বাস্তব জীবনের প্রয়োগে রূপান্তরিত করার গতিকে বৃদ্ধি করা।

ডঃ সঙ্ঘমিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায়, কার্যনির্বাহী অধিকর্তা, ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট (আই. এস. আই) কলকাতা এবং ডঃ বিনিতা সহায়, অধিকর্তা, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট (আই. আই. এম) বুদ্বগয়া, তাদের মূল ভাষণে ভারতের গবেষণার পরিমণ্ডলকে নতুনভাবে ভাবার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যে পৃথক পৃথক একটা সীমানা রয়েছে, আলাদা আলাদা থাকার একটা প্রবণতা রয়েছে, সেটা দূর করা এবং শিল্পক্ষেত্রের সঙ্গে গবেষণার সংযোগ আরও শক্তিশালী করা বিশেষ জরুরি। পাশাপাশি, বিদ্যালয় পর্যায় থেকেই গবেষণামুখী পরিবেশ গড়ে তোলার গুরুত্বও তিনি উল্লেখ ধরেন।

নীতি আয়োগের সদস্য ডঃ ভি কে সারস্বত ভারতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন।  তিনি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে তাদের অভ্যন্তরীণ শক্তি চিহ্নিত করতে এবং তাদের গবেষণা ও উন্নয়ন বাস্তুতন্ত্রকে প্রসারিত করতে একটি ক্লাস্টার-ভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।  ডঃ সারস্বত গুয়াহাটিকে কেন্দ্রীয় হাব করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্য মোহালি মডেল গ্রহণের প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরেছেন, যাতে সমন্বিত গবেষণা ও উদ্ভাবনী ক্লাস্টারগুলিকে উৎসাহিত করা যায়।  তিনি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সুস্থায়ী প্রবৃদ্ধিকে উৎসাহিত করতে উত্তর-পূর্বের অঞ্চল-ভিত্তিক চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলা করতে মিশন-মোড গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্পগুলি শুরু করার প্রস্তাব দেন।

টেকনিক্যাল সেশন জুড়ে অংশগ্রহণকারীরা গবেষণা ও উন্নয়ন দক্ষতা এবং উৎপাদনশীলতা সর্বাধিকতর করার জন্য প্রক্রিয়াগুলিকে সুবিন্যস্ত করার বিষয়ে আলোকপাত করেন। গবেষণা ও উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার জন্য মানসম্মত মানবসম্পদের মাধ্যমে 'ল্যাব থেকে ল্যান্ড' সহযোগিতা এবং গতিশীলতাকে সমর্থন করা, গবেষণা ও উন্নয়নের সহজতা পরিমাপ করার বিষয়ে অর্থবহ আলোচনা করেন  বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগণ, জাতীয় গবেষণাগার ও প্রতিষ্ঠানগুলির শীর্ষস্থানীয়  পরিচালকগণ।

বৈঠকটি একটি অর্থবহ গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়ে শেষ হয় । তা হল, ভারতের বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি কেবল গবেষণা কতটা সহজে পরিচালিত হতে পারে তার উপর নির্ভর করে না, বরং কতটা কার্যকরভাবে এটিকে বাস্তব-বিশ্বের প্রভাবে পরিণত করা যায় তার উপর নির্ভর করে।  গবেষণাকে নীতি প্রণয়ন, অর্থায়নের কৌশল এবং প্রাতিষ্ঠানিক পরিকল্পনার একটি কেন্দ্রীয় স্তম্ভ হিসাবে গড়ে তুলে ভারতের বৈজ্ঞানিকদের গবেষণালব্ধ  ধারণাগুলি  কাজে লাগিয়ে উদ্ভাবনের দিকে রূপান্তরিত করতে সহায়তা করবে যা শিল্পকে সমৃদ্ধ করবে, স্বনির্ভরতা বাড়বে  এবং বিকশিত ভারত ২০৪৭ 'এর দৃষ্টিভঙ্গিকে কার্যকরীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবে।


* * * 

PS/PKS / KMD 


(रिलीज़ आईडी: 2180596) आगंतुक पटल : 11
इस विज्ञप्ति को इन भाषाओं में पढ़ें: English