প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ওড়িশার ঝারসুগুড়ায় ৫০,০০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন

আমরা দরিদ্র, দলিত, অনগ্রসর শ্রেণী এবং আদিবাসীদের মৌলিক সুযোগ-সুবিধা প্রদানের উপর অত্যন্ত জোর দিই: প্রধানমন্ত্রী

Posted On: 27 SEP 2025 1:54PM by PIB Agartala

নয়াদিল্লি, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫: প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ওড়িশার ঝারসুগুড়ায় ৫০,০০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। এই উপলক্ষে একটি সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে তাঁর শ্রদ্ধাঞ্জলি ও শুভেচ্ছা জানান। বর্তমানে নবরাত্রির উৎসব পালিত হচ্ছে, একথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, এই শুভ দিনগুলিতে, তিনি মা সমালেই এবং মা রামচণ্ডীর পবিত্র ভূমিতে ভ্রমণ করার এবং সেখানে সমবেত মানুষের সাথে দেখা করার সৌভাগ্য পেয়েছেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিপুল সংখ্যক মা ও বোনেদের উপস্থিতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের আশীর্বাদই শক্তির প্রকৃত উৎস৷

দেড় বছর আগে বিধানসভা নির্বাচনের সময়ের কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, আজ, কেন্দ্র ও রাজ্যে তাদের সরকারের সময়ে ওড়িশা দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। তিনি ওড়িশা এবং দেশের উন্নয়নের জন্য হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প শুরু করার কথা ঘোষণা করেন। শ্রী মোদী এদিন বিএসএনএলের নতুন অবতার এর উন্মোচন করেছেন, এবং এর নিজস্ব ৪জি পরিষেবার সূচনা করেছেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন রাজ্যে আইআইটি সম্প্রসারণও আজ শুরু হচ্ছে। ওড়িশায় শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন এবং সংযোগ সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং উদ্বোধনের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী৷ তিনি বহরমপুর থেকে সুরাট পর্যন্ত আধুনিক অমৃত ভারত ট্রেনের সূচনা করেছেন, যা জনগণের জন্য বিরাট উপকারি হতে চলেছে৷ শ্রী মোদী এই অনুষ্ঠানের সাথে কেন্দ্রীয় রেল, তথ্য ও সম্প্রচার, ইলেকট্রনিক্স এবং আইটি মন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের উপস্থিতির কথাও উল্লেখ করেন, যিনি গুজরাটের সুরাট থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়েছিলেন। তিনি এই সমস্ত উন্নয়নমূলক উদ্যোগের জন্য ওড়িশার জনগণকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন৷

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, আমাদের সরকার দরিদ্রদের সেবা এবং ক্ষমতায়নের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এবং আমাদের লক্ষ্য হল দলিত, অনগ্রসর শ্রেণী এবং জনজাতি সম্প্রদায় সহ সুবিধাবঞ্চিতদের মৌলিক সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা। তিনি বলেন, আজকের এই কর্মসূচি এই প্রতিশ্রুতিরই প্রমাণ। শ্রী মোদী জানান, অন্ত্যোদয় গৃহ যোজনার আওতায় সুবিধাভোগীদের কাছে অনুমোদনপত্র হস্তান্তর করার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, যখন একটি দরিদ্র পরিবার পাকা ঘর পায়, তখন এটি কেবল তাদের বর্তমানকেই নয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও রূপান্তরিত করে। সরকার ইতিমধ্যেই সারা দেশে দরিদ্র পরিবারগুলিকে চার কোটিরও বেশি পাকা ঘর প্রদান করেছে, দ্রুত গতিতে হাজার হাজার বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে এবং এরজন্য তিনি ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী শ্রী মোহন মাঝি এবং তার দলের প্রচেষ্টারও প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন যে, আজ প্রায় পঞ্চাশ হাজার পরিবার নতুন বাড়ির জন্য অনুমোদন পেয়েছে। পিএম জনমন যোজনার আওতায় ওড়িশার আদিবাসী পরিবারের জন্য চল্লিশ হাজারেরও বেশি বাড়ি অনুমোদন করা হয়েছে, যা তাদের মধ্যে সবচেয়ে প্রান্তিক মানুষের একটি প্রধান আকাঙ্ক্ষা পূরণ করে। তিনি সমস্ত সুবিধাভোগী পরিবারকে এরজন্য শুভকামনা জানান।

ওড়িশার জনগণের ক্ষমতা এবং প্রতিভার প্রতি তাঁর অবিচল আস্থার কথা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রকৃতি ওড়িশাকে প্রচুর আশীর্বাদ করেছে। ওড়িশা কয়েক দশক ধরে দারিদ্র্যের মধ্য দিয়ে গেছে, কিন্তু আগামী দশকটি এই রাজ্যের জনগণের জন্য সমৃদ্ধির সূচনা করবে। এই লক্ষ্যে, সরকার রাজ্যে বড় প্রকল্পগুলি নিয়ে আসছে। তিনি ঘোষণা করেন যে, কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি ওড়িশার জন্য দুটি সেমিকন্ডাক্টর ইউনিট অনুমোদন করেছে এবং একটি সেমিকন্ডাক্টর পার্কও প্রতিষ্ঠা করা হবে, যা ওড়িশার যুবসমাজের শক্তি এবং সম্ভাবনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ। শ্রী মোদী আশা প্রকাশ করেন যে, ভবিষৎতে ফোন, টেলিভিশন, রেফ্রিজারেটর, কম্পিউটার, গাড়ি এবং অন্যান্য অনেক ডিভাইসে ব্যবহৃত ছোট চিপও ওড়িশায় তৈরি হবে।

চিপস থেকে জাহাজ পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতা অর্জনের জন্য সরকারের দৃঢ় সংকল্পের কথা পুনরায় ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, পারাদ্বীপ থেকে ঝাড়সুগুড়া পর্যন্ত একটি বিশাল শিল্প করিডোর তৈরি করা হচ্ছে। জাহাজ নির্মাণের কৌশলগত গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে তিনি উল্লেখ করেন যে, অর্থনৈতিক শক্তি অর্জনের জন্য আগ্রহী যেকোনো দেশের পক্ষে এই খাতে বিনিয়োগ করা উচিত, কারণ এটি বাণিজ্য, প্রযুক্তি এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য উপকারী। শ্রী মোদী ব্যাখ্যা করেন যে, দেশীয় জাহাজ বিশ্বব্যাপী সংকটের সময়ও নিরবচ্ছিন্ন আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম নিশ্চিত করে। প্রধানমন্ত্রী সরকারের একটি বড় উদ্যোগের কথা ঘোষণা করে বলেন - ভারতে জাহাজ নির্মাণের জন্য ৭০,০০০ কোটি টাকার প্যাকেজ তৈরি করা হয়েছে। এটি ৪.৫ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ আকর্ষণ করবে, যা ইস্পাত, যন্ত্রপাতি, ইলেকট্রনিক্স এবং উৎপাদনের মতো ক্ষেত্রগুলিতে পৌঁছাবে, বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পকে উপকৃত করবে। তিনি উল্লেখ করেন যে, এটি লক্ষ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং ওড়িশার শিল্প ও যুবসমাজের জন্য উল্লেখযোগ্য সুবিধা বয়ে আনবে।

 “ভারত স্বনির্ভরতার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছে”, একথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন ২জি, ৩জি এবং ৪জি এর মতো টেলিকম পরিষেবা বিশ্বব্যাপী চালু হয়েছিল, তখন ভারত পিছিয়ে ছিল এবং এই পরিষেবাগুলির জন্য বিদেশী প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল ছিল। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই ধরনের পরিস্থিতি দেশের জন্য উপযুক্ত ছিল না, যার ফলে দেশীয়ভাবে প্রয়োজনীয় টেলিকম প্রযুক্তি বিকাশের জাতীয় সংকল্প তৈরি হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী গর্ব প্রকাশ করেন যে, বিএসএনএল ভারতে সম্পূর্ণরূপে দেশীয় ৪জি প্রযুক্তি সফলভাবে বিকাশ করেছে। তিনি এই মাইলফলক তৈরিতে বিএসএনএল-এর নিষ্ঠা, অধ্যবসায় এবং দক্ষতার প্রশংসা করেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, ভারতীয় কোম্পানিগুলি এখন ৪জি পরিষেবা চালু করার জন্য সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তির অধিকারী বিশ্বের নির্বাচিত পাঁচটি দেশের মধ্যে ভারতকে স্থান করে দিয়েছে।

আজ বিএসএনএল তার ২৫তম বার্ষিকী উদযাপনের কাকতালীয় ঘটনার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি উল্লেখ করেন যে, বিএসএনএল এবং তার অংশীদারদের নিবেদিতপ্রাণ প্রচেষ্টার মাধ্যমে ভারত বিশ্বব্যাপী টেলিকম উৎপাদন কেন্দ্র হয়ে ওঠার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওড়িশার জন্য গর্বের বিষয় যে, বিএসএনএলের নিজস্ব ৪জি নেটওয়ার্ক ঝারসুগুড়া থেকে চালু হচ্ছে, যার মধ্যে প্রায় এক লক্ষ ৪জি টাওয়ার রয়েছে। এই টাওয়ারগুলি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সংযোগের এক নতুন যুগের সূচনা করবে। শ্রী মোদী জোর দিয়ে বলেন যে, ৪জি প্রযুক্তির সম্প্রসারণ দেশব্যাপী দুই কোটিরও বেশি মানুষকে সরাসরি উপকৃত করবে। তিনি আরও বলেন, প্রায় ত্রিশ হাজার গ্রাম, যেখানে আগে উচ্চ গতির ইন্টারনেট সংযোগ ছিল না, এখন এই উদ্যোগের মাধ্যমে সংযুক্ত করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ঐতিহাসিক দিনটি দেখার জন্য হাজার হাজার গ্রাম উচ্চ গতির ইন্টারনেটের মাধ্যমে শুনতে এবং দেখতে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত রয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, আসাম থেকে কেন্দ্রীয় যোগাযোগমন্ত্রী শ্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াও অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন।

বিএসএনএলের দেশীয় ৪জি পরিষেবাগুলি জনজাতি অঞ্চল, প্রত্যন্ত গ্রাম এবং পাহাড়ি অঞ্চলগুলিকে সবচেয়ে বেশি উপকৃত করবে, একথা তুলে ধরে শ্রী মোদী নিশ্চিত করেন যে, এই অঞ্চলের মানুষ এখন উন্নতমানের ডিজিটাল পরিষেবা পাবে। গ্রামীণ এলাকার শিশুরা অনলাইনে ক্লাসে যোগ দিতে পারবে, দূরবর্তী এলাকার কৃষকরা ফসলের দাম জানতে পারবে এবং রোগীরা টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে ডাক্তারদের সাথে পরামর্শ করতে পারবে৷ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন যে, এই উদ্যোগটি আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর কর্মীদেরও ব্যাপকভাবে উপকৃত করবে, যা উন্নত সংযোগের মাধ্যমে তারা নিরাপদে যোগাযোগ করতে সক্ষম হবেন।

ভারত ইতিমধ্যেই দ্রুততম ৫জি পরিষেবা চালু করেছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ উদ্বোধন করা বিএসএনএল টাওয়ারগুলি ৫জি পরিষেবাকেও সমর্থন করার জন্য প্রস্তুত। তিনি এই ঐতিহাসিক সাফল্য উপলক্ষে বিএসএনএল এবং দেশের সকল নাগরিকদেরকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।

আত্মনির্ভর ভারত গঠনের জন্য দক্ষ যুবসমাজ এবং একটি শক্তিশালী গবেষণা বাস্তুতন্ত্র অপরিহার্য বলে জোর দিয়ে শ্রী মোদী বলেন, এটি তাদের সরকারের একটি প্রধান অগ্রাধিকার। তিনি ওড়িশা সহ সারা দেশে শিক্ষা এবং দক্ষতা উন্নয়নে অভূতপূর্ব বিনিয়োগের কথা তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন যে, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এবং পলিটেকনিকগুলিকে আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে এবং এই প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য মেরিট নামে একটি নতুন প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায়, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে। এর ফলে তরুণদের মানসম্পন্ন কারিগরি শিক্ষার জন্য বড় শহরে অভিবাসনের বাধ্যবাধকতা দূর হবে। পরিবর্তে, তারা তাদের নিজস্ব শহরে আধুনিক ল্যাব, বিশ্বব্যাপী দক্ষতা প্রশিক্ষণ এবং স্টার্টআপের সুযোগ পাবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি ক্ষেত্র, প্রতিটি সম্প্রদায় এবং প্রতিটি নাগরিকের কাছে সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার জন্য অভূতপূর্ব প্রচেষ্টা চলছে। তিনি উল্লেখ করেন যে, এটি অর্জনের জন্য রেকর্ড পরিমাণে বিনিয়োগ করা হচ্ছে। অতীতের কথা স্মরণ করে তিনি মন্তব্য করেন, জনগণ পূর্ববর্তী পরিস্থিতি সম্পর্কে ভালভাবে অবগত রয়েছেন৷ তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, বিরোধী দল কখনও জনসাধারণকে শোষণ করার সুযোগ হাতছাড়া করে না।

শ্রী মোদী বলেন, ২০১৪ সালে, যখন জনগণ সরকারকে সেবা করার সুযোগ দিয়েছিল, তখন তাদের প্রশাসন দেশকে বিরোধীদের শোষণমূলক ব্যবস্থা থেকে সফলভাবে মুক্ত করেছিল। তিনি বলেন, তাদের সরকারের অধীনে দ্বিগুণ সঞ্চয় এবং দ্বিগুণ আয়ের এক নতুন যুগ শুরু হয়েছে। তিনি অতীতের তুলনা করে বলেন, পূর্ববর্তী সরকারী শাসনামলে কর্মচারী এবং ব্যবসায়ীদের ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপরও কর দিতে হত। বিপরীতে, আজ, বার্ষিক ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়কারী ব্যক্তিদের এক টাকাও আয়কর দিতে হয় না।
২০২৫ সালের ২২শে সেপ্টেম্বর থেকে ওড়িশা সহ সারা দেশে নতুন জিএসটি সংস্কার বাস্তবায়িত হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এই সংস্কারগুলিকে সকলের জন্য সঞ্চয়ের উপহার হিসেবে বর্ণনা করেছেন৷ তিনি বলেন, বেশিরভাগ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। 

ওড়িশাকে কৃষকদের রাজ্য বলে উল্লেখ করে জিএসটি সঞ্চয় উৎসব তাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী৷ শ্রী মোদী জোর দিয়ে বলেন, তাদের সরকার অসংখ্য কৃষি সরঞ্জাম এবং সরঞ্জামের উপর কর উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করেছে।

ওড়িশায় বৃহৎ আদিবাসী জনগোষ্ঠী বাস করে, যারা জীবিকার জন্য বনজ সম্পদের উপর নির্ভরশীল৷ এ কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ইতিমধ্যেই কেন্দু পাতা সংগ্রহকারীদের জন্য কাজ করছে এবং এখন এই পণ্যের উপর উল্লেখযোগ্যভাবে জিএসটি হ্রাস করেছে, যা সংগ্রহকারীদের জন্য ভালো দাম নিশ্চিত করেছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, তাদের সরকার ধারাবাহিকভাবে কর ছাড় প্রদান করছে এবং নাগরিকদের জন্য সঞ্চয় বৃদ্ধি করছে৷ 

শ্রী মোদী বলেন, জিএসটি সঞ্চয় উৎসব মা ও বোনদের জন্য সর্বাধিক আনন্দ এনেছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, নারী ও কন্যাদের সেবা করা সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার৷ তাদের স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী এই প্রসঙ্গে আয়ুষ্মান ভারত যোজনা চালু করার বিষয়টি তুলে ধরেন, যা ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদানের মাধ্যমে মহিলাদের উল্লেখযোগ্যভাবে উপকৃত করেছে।

একজন সুস্থ মা একটি শক্তিশালী পরিবারের নেতৃত্ব দেন, একথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে দেশব্যাপী "স্বাস্থ্য নারী, সশক্ত পরিবার" অভিযানের সূচনা করার কথা উল্লেখ করেন। তিনি জানান, এই উদ্যোগের আওতায় দেশজুড়ে আট লক্ষেরও বেশি স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে তিন কোটিরও বেশি মহিলার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। এই শিবিরগুলি ডায়াবেটিস, স্তন ক্যান্সার, যক্ষ্মা এবং সিকেল সেল অ্যানিমিয়ার মতো রোগ নির্ণয়ের সুবিধা প্রদান করছে। তিনি ওড়িশার সমস্ত মা, বোন এবং কন্যাদের তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর জন্য অনুরোধ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের সরকার কর ছাড় বা আধুনিক যোগাযোগের মাধ্যমে - সুবিধা এবং সমৃদ্ধির পথ প্রশস্ত করে দেশ এবং এর নাগরিকদের শক্তি বৃদ্ধির জন্য নিরন্তর কাজ করে চলেছে। তিনি উল্লেখ করেন যে, ওড়িশা এই প্রচেষ্টা থেকে উল্লেখযোগ্য সুবিধা পাচ্ছে৷ রাজ্যে বর্তমানে ছয়টি বন্দে ভারত ট্রেন চালু রয়েছে এবং প্রায় ষাটটি রেলওয়ে স্টেশনে আধুনিকীকরণের কাজ চলছে। ঝাড়সুগুড়ার বীর সুরেন্দ্র সাই বিমানবন্দর এখন ভারতের বেশ কয়েকটি প্রধান শহরের সাথে সংযুক্ত। খনিজ সম্পদ থেকেও ওড়িশা উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি রাজস্ব পাচ্ছে। শ্রী মোদী উল্লেখ করেন যে, সুভদ্রা যোজনা ধারাবাহিকভাবে ওড়িশার মহিলাদের সহায়তা করছে। তিনি নিশ্চিত করেন যে, ওড়িশা অগ্রগতির পথে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে চলেছে এবং আশ্বস্ত করেন, এই উন্নয়নের গতি আরও ত্বরান্বিত হবে। তিনি সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওড়িশার রাজ্যপাল ডঃ হরি বাবু কাম্ভাপতি, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী শ্রী মোহন চরণ মাঝি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী জুয়াল ওরাম এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ৷ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে আজকের অনুষ্ঠানের সাথে যুক্ত ছিলেন।

*****

PS/DM/KMD


(Release ID: 2172357) Visitor Counter : 7
Read this release in: English