নয়াদিল্লী, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫: প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভার কমিটি বিহারের বখতিয়ারপুর-রাজগীর-তিলাইয়া সিঙ্গেল রেললাইন (১০৪ কিলোমিটার) কে ডবল লাইন করার অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা, যার জন্য মোট ব্যয় হবে আনুমানিক ২,১৯২ কোটি টাকা।

বিহারের চারটি কে অন্তর্ভুক্তি করে ১০৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেল পথটিকে ডবল লাইনের করে তুলতে খরচ হবে প্রায় ২,১৯২ কোটি টাকা।

এই রেলপথ রাজগীর (শান্তি স্তূপ), নালন্দা, পাওয়াপুরির মতো প্রধান ধর্মীয় ও পর্যটন স্থানগুলিকে সংযুক্ত করে, যা সারা দেশ থেকে তীর্থযাত্রী এবং পর্যটকদের আকর্ষণ করে। মাল্টি-ট্র্যাকিং প্রকল্পগুলি প্রায় ১,৪৩৪টি গ্রাম এবং প্রায় ১৩.৪৬ লক্ষ জনসংখ্যা এবং দুটি উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলা (গয়া এবং নওয়াদা) এর সাথে সংযোগ বৃদ্ধি করবে।

কয়লা, সিমেন্ট, ক্লিংকার, ফ্লাই অ্যাশ ইত্যাদি পণ্য পরিবহনের জন্য এটি একটি অপরিহার্য পথ। সার্মথ্য বৃদ্ধির কাজের ফলে ২৬ মিলিয়ন টন (প্রতি বছর মিলিয়ন টন) অতিরিক্ত পণ্য পরিবহন হবে। পরিবেশ বান্ধব এবং জ্বালানি সাশ্রয়ী পরিবহন ব্যবস্থা হওয়ায়, রেলওয়ে জলবায়ু লক্ষ্য অর্জনে এবং দেশের সরবরাহ ব্যয় হ্রাস করতে, তেল আমদানি (৫ কোটি লিটার) হ্রাস করতে এবং কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন (২৪ কোটি কেজি) হ্রাস করতে সহায়তা করবে যা এক কোটি গাছ লাগানোর সমতুল্য।

বর্ধিত রেললাইন ক্ষমতাই ভারতীয় রেলের গতিশীলতা উন্নত করবে, দক্ষতা এবং পরিষেবা নির্ভরযোগ্যতা বৃদ্ধি করবে। মাল্টি-ট্র্যাকিং প্রস্তাবটি রেলের কাজ সহজ করবে এবং যানজট কমাবে, ভারতীয় রেলের ব্যস্ততম অংশগুলিতে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোগত উন্নয়ন নিশ্চিত করবে। প্রকল্পগুলি প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নতুন ভারতের দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, যা এই অঞ্চলের জনগণকে "আত্মনির্ভর" করে তুলবে, যা এই অঞ্চলে ব্যাপক উন্নয়নের মাধ্যমে তাদের কর্মসংস্থান/স্ব-কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করবে।

প্রকল্পগুলি প্রধানমন্ত্রী-গতি শক্তি জাতীয় মাস্টার প্ল্যানের উপর ভিত্তি করে পরিকল্পনা করা হয়েছে, যেখানে সমন্বিত পরিকল্পনা এবং অংশীদারদের পরামর্শের মাধ্যমে বহু-মডেল সংযোগ এবং সরবরাহ দক্ষতা বৃদ্ধির উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পগুলি মানুষ, পণ্য এবং পরিষেবার চলাচলের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ প্রদান করবে।

*****

PS/SG/AGT

(Release ID: 2171055) Visitor Counter : 6