প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর
মণিপুরের ইম্ফলে ১,২০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী
নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের জন্য ১৪০ কোটি ভারতবাসীর পক্ষ থেকে আজ শ্রীমতী সুশীলা জিকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি, আমি আত্মবিশ্বাসী যে তিনি নেপালে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধির পথ প্রশস্ত করবেন: প্রধানমন্ত্রী
Posted On:
13 SEP 2025 5:04PM by PIB Agartala
নয়াদিল্লি, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, পিআইবি।। আজ মণিপুরের ইম্ফলে ১,২০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এই উপলক্ষে একটি জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মণিপুরের উন্নয়নের জন্য আজ হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন এবং সূচনা করা হয়েছে। তিনি বলেন, এই প্রকল্পগুলি জনগণের জীবনযাত্রার সহজতাকে বৃদ্ধি করবে এবং এই অঞ্চলের পরিকাঠামোকে শক্তিশালী করবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরফলে মণিপুরের যুবকদের এবং রাজ্যের ছেলেমেয়েদের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ উদ্বোধন করা প্রকল্পগুলির মধ্যে দুটি বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ৷ এর মধ্যে রয়েছে ৩,৬০০ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগের ‘মণিপুর নগর সড়ক প্রকল্প’ এবং ৫০০ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগের ‘মণিপুর ইনফোটেক উন্নয়ন প্রকল্প’। শ্রী মোদী বলেন, এই প্রকল্পগুলি ইম্ফলে সড়ক পরিকাঠামোকে শক্তিশালী করবে এবং মণিপুরের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য নতুন শক্তি সঞ্চার করবে। তিনি নতুন চালু হওয়া সমস্ত প্রকল্পের জন্য মণিপুরের জনগণকে অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
স্বাধীনতার পর দেশের পশ্চিম ও দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান শহরগুলিতে উন্নয়ন হয়েছে এবং সেই শহরগুলি আকাঙ্ক্ষার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে৷ এই সমস্ত অঞ্চলের তরুণরা নতুন সুযোগ পেয়েছে৷ তিনি বলেন, "একবিংশ শতাব্দী পূর্ব ও উত্তর-পূর্বের"। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত সরকার ধারাবাহিকভাবে মণিপুরের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়েছে, যার ফলে মণিপুরের প্রবৃদ্ধির হার ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি বলেন, ২০১৪ সালের আগে মণিপুরের প্রবৃদ্ধির হার এক শতাংশেরও কম ছিল। আজ মণিপুর আগের তুলনায় বহুগুণ দ্রুত অগ্রগতি করছে। শ্রী মোদী বলেন, মণিপুরে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের একটি নতুন পর্যায় শুরু হয়েছে। রাজ্যে সড়ক নির্মাণ এবং জাতীয় মহাসড়ক উন্নয়নের গতি বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে৷ এরজন্য তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। শ্রী মোদী আরও বলেন, প্রতিটি গ্রামে সড়ক যোগাযোগ সম্প্রসারণের জন্য দ্রুত কাজ চলছে।
ইম্ফলকে সম্ভাবনার শহর হিসেবে তুলে ধরে শ্রী মোদী বলেন, তিনি ইম্ফলকে ভারতের উন্নত শহরগুলির মধ্যে একটি হিসেবে কল্পনা করেন, যা যুবসমাজের স্বপ্ন পূরণ করবে এবং দেশের অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করবে। তিনি জানান, এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে স্মার্ট সিটি মিশনের অধীনে ইম্ফলে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। শত শত কোটি টাকার আরও অনেক প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে।
প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন, ইম্ফল হোক বা মণিপুরের অন্যান্য অঞ্চল, স্টার্টআপ এবং প্রযুক্তি-ভিত্তিক শিল্পের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আইটি স্পেশাল ইকোনমিক জোন এই সম্ভাবনাগুলিকে আরও জোরদার করবে এবং এই অঞ্চলের প্রথম ভবন ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। শ্রী মোদী উল্লেখ করেন যে, মণিপুরে একটি নতুন সিভিল সচিবালয় ভবনের চাহিদা দীর্ঘদিনের ছিল। এই ভবনটি এখন প্রস্তুত এবং নতুন সুবিধাটি প্রশাসনে 'নাগরিক দেবোভব'-এর চেতনাকে শক্তিশালী করবে।
মণিপুর থেকে অনেক মানুষ ঘন ঘন কলকাতা এবং দিল্লিতে যাতায়াত করেন, একথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী জানান, এই শহরগুলিতে সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন নিশ্চিত করার জন্য, উভয় স্থানেই মণিপুর ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। তিনি জানান, এই সুযোগ-সুবিধাগুলি মণিপুরের কন্যাদের ব্যাপকভাবে সহায়তা করবে। তিনি আরও বলেন, যখন সন্তানরা সেখানে নিরাপদে থাকবে, তখন এটি বাড়ির বাবা-মায়ের উদ্বেগ কমিয়ে দেবে।
মানুষের দুর্দশা কমাতে সরকার পূর্ণ সংবেদনশীলতার সাথে কাজ করছে বলে জোর দিয়ে শ্রী মোদী স্বীকার করেন যে, মণিপুরের অনেক অংশ বন্যাজনিত গুরুতর চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। এই সমস্যা লাগব করতে সরকার একাধিক প্রকল্পে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে বলে জানান তিনি৷
মণিপুর এমন একটি রাজ্য যেখানে মা ও বোনেরা অর্থনীতির অগ্রভাগে রয়েছেন, এই বিষয়টির একটি শক্তিশালী প্রমাণ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী ইমা কিথেলের ঐতিহ্যকে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, তিনি নারীর ক্ষমতায়নকে ভারতের উন্নয়ন এবং আত্মনির্ভর ভারতের দৃষ্টিভঙ্গির একটি কেন্দ্রীয় স্তম্ভ বলে মনে করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মণিপুরে এই অনুপ্রেরণা স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। শ্রী মোদী বলেন, বর্তমান সরকার গঠনের পর, মহিলাদের জন্য বিশেষ হাট বাজার - যা ইমা মার্কেট নামে পরিচিত -তা চালু করা হয়েছে। তিনি আনন্দ প্রকাশ করেন যে, আজ চারটি নতুন ইমা মার্কেট এর উদ্বোধন করা হয়েছে এবং এই বাজারগুলি মণিপুরের মহিলাদের ব্যাপকভাবে সহায়তা করবে।
প্রতিটি নাগরিকের জীবনযাত্রাকে সহজ করে তোলা সরকারের লক্ষ্য বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মণিপুর এমন কঠিন দিন প্রত্যক্ষ করেছে যখন এই অঞ্চলে পণ্য পরিবহন করা ছিল একটি বড় চ্যালেঞ্জ এর। তিনি উল্লেখ করেন যে, একসময় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সাধারণ পরিবারের নাগালের বাইরে ছিল। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, আমাদের সরকার মণিপুরকে সেই পুরনো কষ্ট কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছে। তিনি একটি নতুন উন্নয়নের কথা ঘোষণা করে বলেন, আমাদের সরকার সঞ্চয় বৃদ্ধি করতে এবং জনগণের জীবনকে আরও সুবিধাজনক করতে চায়। সরকার জিএসটি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করেছে একথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর ফলে মণিপুরের মানুষের দ্বিগুণ সুবিধা হবে। তিনি ব্যাখ্যা করেন যে, সাবান, শ্যাম্পু, চুলের তেল, কাপড় এবং জুতা-র মতো অনেক নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এখন আরও সাশ্রয়ী হবে। সিমেন্ট এবং অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রীর দামও কমে আসবে। শ্রী মোদী জানান, হোটেল এবং খাদ্য পরিষেবার উপরও জিএসটি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করা হয়েছে৷ এর ফলে অতিথিশালা মালিক, ট্যাক্সি অপারেটর এবং ফুটপাতের পাশে থাকা খাবারের দোকানগুলি উপকৃত হবে, এবং এই পদক্ষেপ এই অঞ্চলে পর্যটন বৃদ্ধিতেও সহায়তা করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি৷
প্রধানমন্ত্রী বলেন, "মণিপুর হাজার হাজার বছরের সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের অধিকারী। এই অঞ্চলের সাংস্কৃতিক শিকড় গভীর এবং শক্তিশালী। মণিপুর হল ভারত মাতার শিকড়ের উপর অলংকৃত মুকুট রত্ন৷" মণিপুরের উন্নয়নমূলক ভাবমূর্তি ক্রমাগত শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন তিনি। শ্রী মোদী বলেন, মণিপুরে যেকোনো ধরণের সহিংসতা দুর্ভাগ্যজনক এবং এই ধরনের সহিংসতা আমাদের পূর্বপুরুষ এবং ভবিষ্যত প্রজন্ম উভয়ের জন্যই গুরুতর অবিচার। তিনি মণিপুরকে শান্তি ও উন্নয়নের পথে ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে নেওয়ার গুরুত্বের উপর জোর দেন। প্রধানমন্ত্রী ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং জাতীয় প্রতিরক্ষায় মণিপুরের অনুপ্রেরণামূলক অবদানের কথা তুলে ধরেন। তিনি স্মরণ করেন যে, মণিপুরের মাটিতেই ভারতীয় জাতীয় সেনাবাহিনী প্রথম ভারতের নিজস্ব পতাকা উত্তোলন করেছিল। তিনি নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর উদ্ধৃতি উল্লেখ করেন, যিনি মণিপুরকে ভারতের স্বাধীনতার প্রবেশদ্বার হিসাবে উল্লেখ করেছিলেন এবং এই ভূমির অনেক সাহসী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী। শ্রী মোদী বলেন, সরকার মণিপুরের প্রতিটি মহান ব্যক্তিত্ব থেকে অনুপ্রেরণা গ্রহণ করে। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের মাউন্ট হ্যারিয়েটের নাম পরিবর্তন করে মাউন্ট মণিপুর রাখার সরকারের একটি বড় পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী নিশ্চিত করেন যে এটি হবে মণিপুরের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতি জাতীয় শ্রদ্ধাঞ্জলি।
আজও মণিপুরের অনেক পুত্র-কন্যা ভারত মাতার প্রতিরক্ষায় দেশের বিভিন্ন স্থানে সেবা করছেন বলে স্বীকার করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অপারেশন সিন্দুরের সময় বিশ্ব ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর শক্তিকে প্রত্যক্ষ করেছে। তিনি বলেন, ভারতীয় সৈন্যরা এমন নির্ণায়ক আঘাত হানে যে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী হতবাক হয়ে যায়। শ্রী মোদী উল্লেখ করেন যে, অপারেশন মণিপুরের সাহসী পুত্র-কন্যারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি এমনই একজন বীর সৈনিক, শহীদ দীপক চিংখামকে স্মরণ করেন এবং তার সাহসিকতার প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনি নিশ্চিত করেন যে অপারেশন সিন্দুরের সময় দীপক চিংখামের আত্মত্যাগ দেশ সর্বদা স্মরণ করবে।
২০১৪ সালের মণিপুর সফর এবং সেই সময়ের তার একটি বিবৃতির কথা স্মরণ করে শ্রী মোদী বলেন, মণিপুরী সংস্কৃতি ছাড়া ভারতীয় সংস্কৃতি অসম্পূর্ণ এবং মণিপুরের ক্রীড়াবিদদের ছাড়া ভারতীয় খেলাধুলা অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তিনি বলেন, মণিপুরের যুবসমাজ জাতীয় পতাকার গর্ব সমুন্নত রাখার জন্য নিজেদের সর্বান্তকরণে উৎসর্গ করে। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে এই পরিচয়কে সহিংসতার অন্ধকারের ছায়ায় ঢেকে ফেলা উচিত নয়।
ভারত যখন বিশ্বব্যাপী ক্রীড়া শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে, তখন মণিপুরের যুবসমাজের দায়িত্ব আরও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই কারণেই ভারত সরকার দেশের প্রথম জাতীয় ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য মণিপুরকে বেছে নিয়েছে৷ তিনি আরও বলেন, খেলো ইন্ডিয়া স্কিম এবং অলিম্পিক পোডিয়াম স্কিমগুলির অধীনে, মণিপুরের অনেক ক্রীড়াবিদকে উৎসাহিত করা হচ্ছে এবং মণিপুরে যুবসমাজের জন্য আধুনিক ক্রীড়া পরিকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে। শ্রী মোদী উল্লেখ করেন যে, পোলোকে উৎসাহিত করার জন্য, মারজিং পোলো কমপ্লেক্স স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু পোলো মূর্তি রয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই অঞ্চলের অলিম্পিয়ানদের সম্মান জানাতে একটি অলিম্পিয়ান পার্কও তৈরি করা হয়েছে। সরকার সম্প্রতি জাতীয় ক্রীড়া নীতি - খেলো ইন্ডিয়া নীতি ঘোষণা করেছে৷ একথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী বছরগুলিতে এটি মণিপুরের যুবসমাজকে ব্যাপকভাবে উপকৃত করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার মণিপুরে শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে নিশ্চিত করার জন্য নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে৷ তিনি জোর দিয়ে বলেন, জনগণের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে এবং যারা ক্যাম্পে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন তারা যেন স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী জানান, বাস্তুচ্যুত পরিবারের জন্য ৭,০০০ নতুন ঘর অনুমোদন করা হয়েছে। শ্রী মোদী ঘোষণা করেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি মণিপুরের জন্য প্রায় ৩,০০০ কোটি টাকার একটি বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। তিনি আরও বলেন, বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের সহায়তার জন্য ৫০০ কোটি টাকারও বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্তদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সহায়তা করা সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। মণিপুর পুলিশের জন্য নবনির্মিত সদর দপ্তরও এই প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি৷
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মণিপুরের মাটি থেকে তিনি নেপালের বন্ধুদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে চান। তিনি উল্লেখ করেন যে, হিমালয়ের কোলে অবস্থিত নেপাল ভারতের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং বিশ্বস্ত অংশীদার। উভয় দেশই অভিন্ন ইতিহাস, বিশ্বাস এবং সম্মিলিতভাবে এগিয়ে যাওয়ার যাত্রায় আবদ্ধ৷ এই বিষয়টির উপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ১৪০ কোটি ভারতীয়ের পক্ষ থেকে শ্রীমতী সুশীলা জিকে নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণের জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানান। তিনি আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেন যে, শ্রীমতি সুশীলা জি নেপালে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধির পথ প্রশস্ত করবেন। শ্রী মোদী উল্লেখ করে বলেন, নেপালের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শ্রীমতী সুশীলা জি'র নিযুক্তি নারী ক্ষমতায়নের একটি অসাধারণ উদাহরণ। তিনি নেপালের প্রতিটি ব্যক্তির প্রশংসা করেন যারা অস্থিরতার মধ্যেও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সমুন্নত রেখেছেন।
নেপালের সাম্প্রতিক উন্নয়নের একটি উল্লেখযোগ্য দিক তুলে ধরে শ্রী মোদী বলেন, গত দুই থেকে তিন দিনে, নেপালের যুবক-যুবতীদের নিষ্ঠা ও পবিত্রতার মনোভাব নিয়ে রাস্তা পরিষ্কার এবং রঙ করতে দেখা গেছে। এই বিষয়টা খুব বেশি মনোযোগ পায়নি বলে উল্লেখ করে তিনি মন্তব্য করেন যে, তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের ছবিও প্রচারিত হতে দেখেছেন। প্রধানমন্ত্রী তাদের ইতিবাচক মানসিকতা এবং গঠনমূলক পদক্ষেপগুলিকে কেবল অনুপ্রেরণামূলকই নয় বরং নেপালের পুনরুত্থানের স্পষ্ট ইঙ্গিত হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি নেপালের উজ্জ্বল ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য তাঁর শুভকামনা জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, “একবিংশ শতাব্দীতে, ভারত একটি একক লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছে, আর তা হল একটি উন্নত ভারতের লক্ষ্য৷ এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য মণিপুরের উন্নয়ন প্রয়োজন বলে উল্লেখ করে বলেন, মণিপুর অসীম সম্ভাবনায় পরিপূর্ণ। তিনি বলেন, উন্নয়নের পথে দৃঢ়ভাবে থাকা সকলের সম্মিলিত কর্তব্য। প্রধানমন্ত্রী নিশ্চিত করেছেন যে, মণিপুরের কোনও সামর্থ্যের অভাব নেই৷ তিনি আলোচনার পথকে ক্রমাগত শক্তিশালী করার এবং পাহাড় ও উপত্যকার মধ্যে সম্প্রীতির একটি শক্তিশালী সেতু নির্মাণের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যের শেষে আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করে বলেন যে, মণিপুর ভারতের উন্নয়নের একটি শক্তিশালী কেন্দ্র হয়ে উঠবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মণিপুরের রাজ্যপাল শ্রী অজয় কুমার ভাল্লা৷ প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী এদিন ইম্ফলে ১,২০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের যে উন্নয়ন প্রকল্পগুলির উদ্বোধন করেন এর মধ্যে রয়েছে মন্ত্রীপুখ্রিতে সিভিল সেক্রেটারিয়েট; মন্ত্রীপুখ্রিতে আইটি এসইজেড ভবন এবং নতুন পুলিশ সদর দপ্তর; দিল্লি ও কলকাতায় মণিপুর ভবন; এবং ৪টি জেলায় ইমা মার্কেট, যা মহিলাদের জন্য অনন্য।
***
PS/DM/KMD
(Release ID: 2166362)
Visitor Counter : 2