প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

উত্তর প্রদেশের বারাণসীতে প্রায় ২,২০০ কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী

পিএম-কিষাণ প্রকল্পের ২০তম কিস্তির টাকা প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী, যার মাধ্যমে ভারতজুড়ে ৯.৭ কোটিরও বেশি কৃষকের কাছে ২০,৫০০ কোটি টাকারও বেশি টাকা স্থানান্তর করা হয়েছে

ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হতে চলেছে, তাদের অর্থনৈতিক স্বার্থ সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

Posted On: 02 AUG 2025 1:58PM by PIB Agartala

নতুন দিল্লি, ০২ আগষ্ট, ২০২৫: আজ উত্তর প্রদেশের বারাণসীতে প্রায় ২,২০০ কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এই উপলক্ষে আয়োজিত একটি জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শ্রাবণ মাসে বারাণসীতে বসবাসরত পরিবারগুলির সাথে দেখা করার জন্য আন্তরিক অনুভূতির কথা প্রকাশ করেছেন। বারাণসীর জনগণের সাথে তাঁর গভীর আবেগগত সংযোগের কথা তুলে ধরে শ্রী মোদী শহরের প্রতিটি পরিবারের সদস্যকে তাঁর শ্রদ্ধাঞ্জলি ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। শ্রাবণ মাসে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারা দেশের কৃষকদের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পেরে তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অপারেশন সিন্দুরের পর এটিই তাঁর প্রথম বারাণসী সফর। ২২শে এপ্রিলের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, এদিন ২৬ জন নিরীহ মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। নিহতদের পরিবারের অপরিসীম বেদনার কথা, বিশেষ করে এই দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিশু-কন্যাদের দুঃখের কথা তুলে ধরেন শ্রী মোদী। তিনি উল্লেখ বলেন, তাঁর হৃদয় সেদিন গভীর শোকে ভারাক্রান্ত ছিল এবং সেই সময়কালে তিনি বাবা বিশ্বনাথের কাছে প্রার্থনা করেছিলেন যাতে তিনি সমস্ত শোকাহত পরিবারগুলিকে তাদের কষ্ট সহ্য করার শক্তি দেন। প্রধানমন্ত্রী নিশ্চিত করেন যে, কন্যাদের সিন্দুরের প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি তিনি পূর্ণ করেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এটি কেবল ভগবান মহাদেবের আশীর্বাদেই সম্ভব হয়েছে এবং ভগবান মহাদেবের চরণে অপারেশন সিন্দুরের সাফল্য উৎসর্গ করেন তিনি৷

সাম্প্রতিক দিনগুলিতে, তিনি বারাণসীতে গঙ্গাজল বহনকারী শিবভক্তদের দিব্য মূর্তি পর্যবেক্ষণ করেছেন বলে জানান৷ বিশেষ করে শ্রাবণের প্রথম সোমবারে, যখন তীর্থযাত্রীরা বাবা বিশ্বনাথের পবিত্র জলাভিষেক করতে বেরিয়েছিলেন। তিনি গৌরী কেদারনাথ থেকে কাঁধে গঙ্গাজল বহনকারী যাদব ভাইদের দৃশ্যের কথা উল্লেখ করে এটিকে সত্যিই মনোমুগ্ধকর দৃশ্য বলে বর্ণনা করেন। ডমরুর শব্দ, গলিতে প্রাণবন্ত শক্তির পরিবেশকে অসাধারণ বলে অভিহিত করেন তিনি। পবিত্র শ্রাবণ মাসে বাবা বিশ্বনাথ এবং মার্কণ্ডেয় মহাদেবের দর্শন করার ব্যক্তিগত ইচ্ছার কথাও প্রকাশ করেন  শ্রী মোদী। যদিও তাঁর উপস্থিতি মহাদেবের ভক্তদের অসুবিধার কারণ হতে পারে বা তাদের দর্শন ব্যাহত হতে পারে, তাই কেবল এখান থেকেই ভগবান ভোলেনাথ এবং মা গঙ্গাকে প্রণাম জানাতে চান বলে উল্লেখ করেন৷

কয়েকদিন আগে তামিলনাড়ুর ঐতিহাসিক গঙ্গাইকোন্ডা চোলাপুরম মন্দিরে তাঁর সফরের কথা স্মরণ করে শ্রী মোদী বলেন, হাজার বছরের পুরনো স্মৃতিস্তম্ভ এবং ভারতের শৈব ঐতিহ্যের একটি প্রাচীন কেন্দ্র৷ বিখ্যাত রাজা রাজেন্দ্র চোল এই মন্দিরটি নির্মাণ করেছিলেন, যিনি প্রতীকী হিসেবে উত্তর ভারত থেকে গঙ্গাজল এনেছিলেন উত্তর ও দক্ষিণকে একত্রিত করার জন্য। তিনি উল্লেখ করেন যে, এক হাজার বছর আগে, ভগবান শিবের প্রতি তাঁর ভক্তি এবং শৈব ঐতিহ্যের প্রতি অঙ্গীকারের মাধ্যমে, রাজেন্দ্র চোল "এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত" এর দৃষ্টিভঙ্গির কথা ঘোষণা করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন যে, আজ, কাশী-তামিল সঙ্গমের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে, সেই ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তিনি জানান, গঙ্গাইকোন্ডা চোলাপুরম সফরের সময় তিনি গঙ্গাজলকে তাঁর সাথে বহন করেছিলেন এবং মা গঙ্গার আশীর্বাদে, একটি গভীর পবিত্র পরিবেশে পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তিনি বলেন, এই ধরনের ঘটনাবহুল অনুষ্ঠান দেশে ঐক্যের চেতনাকে জাগিয়ে তোলে, যার ফলে অপারেশন সিন্দুরের মতো অভিযান সফল হয়। তিনি আরও বলেন, ১৪০ কোটি ভারতীয়ের ঐক্য অপারেশন সিন্দুরের শক্তি হয়ে ওঠে।

বারাণসীতে অনুষ্ঠিত কৃষক উৎসবের জাঁকজমকপূর্ণ উদযাপনের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন যে, প্রধানমন্ত্রী-কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পের আওতায় দেশজুড়ে ১০ কোটি কৃষক ভাই-বোনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২১,০০০ কোটি টাকা স্থানান্তর করা হয়েছে। তিনি আরও জানান যে, অনুষ্ঠানের সময় ২০০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন এবং ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। শ্রী মোদী বলেন, বাবার আশীর্বাদে, বারাণসীতে উন্নয়নের নিরবচ্ছিন্ন ধারা অব্যাহত রয়েছে। তিনি উপস্থিত সকলকে এবং দেশের কৃষকদের অভিনন্দন জানান। প্রধানমন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন যে, মাত্র কয়েকদিন আগে, বারাণসীতে সংসদ সদস্য পর্যটন গাইড প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আগামী দিনে, কাশী সংসদ সদস্য ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা এবং সংসদ সদস্য কর্মসংস্থান মেলার মতো অনুষ্ঠানও হওয়ার কথা রয়েছে৷ এই উদ্যোগগুলির সাফল্যের জন্য তাঁর শুভেচ্ছার কথা উল্লেখ করেছেন এবং তিনি এই ধরণের উদ্যোগের জন্য প্রশাসনেরও ব্যাপক প্রশংসা করেছেন।

কৃষকদের সমৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ধারাবাহিকভাবে কাজ করে চলেছে বলে নিশ্চিত করে শ্রী মোদী পূর্ববর্তী সরকারের সাথে এর তুলনা করে বলেন, কৃষকদের নামে করা একটি ঘোষণাও খুব কমই পূরণ হয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, তাদের সরকার প্রতিশ্রুতি পূরণ করে৷ প্রধানমন্ত্রী-কিষাণ সম্মান নিধিকে সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকারের একটি প্রমাণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি৷

শ্রী মোদী বলেন, ২০১৯ সালে যখন প্রধানমন্ত্রী-কিষাণ সম্মান নিধি চালু করা হয়েছিল, তখন প্রধান বিরোধী দল বিভিন্ন গুজব ছড়াচ্ছিল৷ আবার কেউ কেউ দাবি করেছিল যে, নির্বাচনের পরে অর্থ প্রদান বন্ধ হয়ে যাবে এবং অন্যরা বলেছিল যে প্রদেয় অর্থ ফেরত নেওয়া হবে। তিনি জানান, এটি বিরোধীদের আসল চরিত্রকে প্রতিফলিত করে, যা কেবল কৃষক এবং দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করে। পরিবর্তে একটি কিস্তির টাকাও কখনও বন্ধ করা হয়েছে কিনা তা জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন যে, পিএম-কিষাণ সম্মান নিধি কোনও বাধা ছাড়াই অব্যাহত গতিতে চলছে। তিনি উল্লেখ করেন যে, আজ পর্যন্ত ৩.৭৫ লক্ষ কোটি টাকা সরাসরি কৃষকদের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশেই, প্রায় ২.৫ কোটি কৃষক এই প্রকল্পের আওতায় ৯০,০০০ কোটি টাকারও বেশি অর্থ পেয়ে উপকৃত হয়েছেন। শ্রী মোদী আরও উল্লেখ করে বলেন, বারাণসীর কৃষকরা প্রায় ৯০০ কোটি টাকা পেয়েছেন। তিনি জানান, এই প্রকল্পের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হল কোনো কমিশন ছাড়াই কৃষকদের কাছে সরাসরি এই অর্থ পৌঁছে যাচ্ছে। তিনি বলেন, এটি তার সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত একটি স্থায়ী ব্যবস্থা - এতে কোনও দুর্নীতি হবে না এবং দরিদ্রদের অধিকার অস্বীকার করা হবে না।

"যত বেশি পিছিয়ে পড়া অঞ্চল, তত বেশি অগ্রাধিকার পাবে" এই উন্নয়ন মন্ত্রটির কথা পুনর্ব্যক্ত করে শ্রী মোদী ঘোষণা করেন যে, এই মাসের শুরুতে, কেন্দ্রীয় সরকার একটি নতুন বড় উদ্যোগ - প্রধানমন্ত্রী ধন-ধন্য কৃষি যোজনা’র অনুমোদন করেছে। তিনি জানান, এই প্রকল্পের জন্য ২৪,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন যে, এই উদ্যোগের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে পূর্ববর্তী সরকারের ত্রুটিপূর্ণ নীতির কারণে পিছিয়ে পড়া জেলাগুলি – যে এলাকাগুলি কম কৃষি উৎপাদনকারী অঞ্চল হিসেবে পরিচিত এবং যেখানে কৃষকদের আয় সীমিত। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ধন-ধন্য কৃষি যোজনা উত্তর প্রদেশের লক্ষ লক্ষ কৃষককেও সরাসরি উপকৃত করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার কৃষকদের জীবনযাত্রার রূপান্তর, তাদের আয় বৃদ্ধি এবং চাষের খরচ কমাতে পূর্ণ শক্তি নিয়ে কাজ করছে৷ বীজ থেকে বাজার পর্যন্ত আমরা কৃষকদের পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আছি৷ জমিতে জল পৌঁছানো নিশ্চিত করার জন্য, সারা দেশে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকার সেচ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি৷

শ্রী মোদী স্বীকার করেছেন যে, আবহাওয়া সর্বদা কৃষকদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে৷ তা সে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত, শিলাবৃষ্টি বা তুষারপাত হোক। কৃষকদের এই ধরনের অনিশ্চয়তা থেকে রক্ষা করার জন্য, সরকার প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা চালু করেছে। তিনি জানান যে, এই প্রকল্পের আওতায় কৃষকরা এখন পর্যন্ত ১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি দাবি নিষ্পত্তি পেয়েছেন।

কৃষকদের তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধান ও গমের মতো প্রধান খাদ্যশস্য সহ ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) রেকর্ড বৃদ্ধি করা হয়েছে। কৃষকদের ফসল রক্ষা করার জন্য, সরকার সারা দেশে হাজার হাজার নতুন গুদাম নির্মাণ করছে৷

কৃষি অর্থনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির উপর সরকারের মনোযোগের উপর জোর দিয়ে শ্রী মোদী "লাখপতি দিদি" অভিযানের কথা তুলে ধরেন, যার লক্ষ্য ভারতজুড়ে তিন কোটি লাখপতি দিদি তৈরি করা। তিনি উল্লেখ করেন যে, দেড় কোটিরও বেশি মহিলা ইতিমধ্যেই এই মাইলফলক অর্জন করেছেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, সরকারের "ড্রোন দিদি" উদ্যোগ লক্ষ লক্ষ মহিলার আয় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার আধুনিক কৃষি গবেষণা সরাসরি মাঠে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। তিনি জানান, "ল্যাব টু ল্যান্ড" নীতির অধীনে ২০২৫ সালের মে এবং জুন মাসে একটি বিশেষভাবে পরিকল্পিত বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান চালানো হয়েছিল, যার মাধ্যমে ১.২৫ কোটিরও বেশি কৃষকের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ততা তৈরি করা হয়েছিল। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলির সুবিধা সকল নাগরিকের কাছে নির্বিঘ্নে পৌঁছাতে হবে।

জনসাধারণের সাথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আপডেট শেয়ার করে শ্রী মোদী বলেন, “জন ধন যোজনার আওতায়, সারা দেশে দরিদ্রদের জন্য ৫৫ কোটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে”। তিনি জানান যে, এই প্রকল্পটি সম্প্রতি দশ বছর পূর্ণ করেছে এবং নিয়ম অনুসারে, দশ বছর পর ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলিতে নতুন করে কেওয়াইসি যাচাইকরণ প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন যে, এই প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য, ১ জুলাই ২০২৫ থেকে দেশব্যাপী একটি প্রচারণা শুরু করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকগুলি প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে পৌঁছেছে এবং ইতিমধ্যে প্রায় এক লক্ষ গ্রাম পঞ্চায়েতে শিবির স্থাপন করা হয়েছে, এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ সফলভাবে তাদের কেওয়াইসি পুনর্নবীকরণ সম্পন্ন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী জন ধন অ্যাকাউন্টধারী প্রত্যেক ব্যক্তিকে তাদের কেওয়াইসি প্রক্রিয়াটি বিলম্ব না করে সম্পন্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন।

গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে আয়োজিত বিশেষ ব্যাংক শিবিরের অতিরিক্ত সুবিধার কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, এই শিবিরগুলি প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনা, প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বীমা যোজনা এবং অটল পেনশন যোজনা সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের জন্য নিবন্ধন সহজতর করছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, এই প্রকল্পগুলি নাগরিকদের জন্য উল্লেখযোগ্য সহায়তা প্রদান করে এবং সকলকে এই শিবিরগুলিতে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। যারা এখনও এই প্রকল্পগুলিতে নাম নথিভুক্ত করেননি তাদের জন ধন অ্যাকাউন্টের জন্য নিবন্ধন এবং কেওয়াইসি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য তিনি উৎসাহিত করেন। প্রধানমন্ত্রী তাদের দলের সকল জনপ্রতিনিধিদের এই অভিযান সম্পর্কে সক্রিয়ভাবে সচেতনতা বৃদ্ধি, ব্যাংকগুলিকে তাদের প্রচার প্রচেষ্টায় সহায়তা এবং জনগণের সর্বাধিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন যে, আজ মহাদেব নগরীতে উন্নয়ন ও জনকল্যাণের জন্য অসংখ্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি শিবের অর্থ তুলে ধরে বলেন, শিব "কল্যাণ" বোঝায়, কিন্তু সন্ত্রাস ও অন্যায়ের মুখোমুখি হলে তিনি উগ্র রুদ্র রূপেরও প্রতীক। শ্রী মোদী জোর দিয়ে বলেন যে, অপারেশন সিন্দুরের সময়, বিশ্ব ভারতের এই রুদ্র রূপ প্রত্যক্ষ করেছে, সেই সাথে এও ঘোষণা করেছে, "যে কেউ ভারত আক্রমণ করবে তাকে রেহাই দেওয়া হবে না, এমনকি পাতালের গভীরে হলেও"। প্রধানমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন যে, অপারেশন সিন্দুরের সাফল্য সত্ত্বেও, দেশের কিছু মানুষ এতে বিরক্ত। তিনি বিশেষভাবে বিরোধী দল এবং তাদের মিত্রদের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন যে, ভারত পাকিস্তানে সন্ত্রাসী ঘাঁটি ধ্বংস করেছে এই সত্যটি তারা হজম করতে পারছে না। ভারতীয় ড্রোন কীভাবে সন্ত্রাসীদের সদর দপ্তরকে সঠিকভাবে লক্ষ্য করে ধ্বংস করে দিয়েছে এবং ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে শ্রী মোদী সেই দৃশ্যের কথা উল্লেখ করেন৷ তিনি আরও বলেন যে, বেশ কয়েকটি পাকিস্তানি বিমান ঘাঁটি এখনও সংকটজনক অবস্থায় রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলের নেতাদের সমালোচনা করে বলেন, একদিকে সন্ত্রাসের মূল হোতারা শোক প্রকাশ করলেও, অন্যদিকে এই দলগুলি সন্ত্রাসীদের অবস্থা নিয়েও শোক প্রকাশ করে।

ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর বীরত্বকে বারবার অপমান করার জন্য বিরোধীদের তীব্র সমালোচনা করে শ্রী মোদী বলেন, বিরোধীরা অপারেশন সিঁদুরকে "তামাশা" বলে উল্লেখ করেছে এবং প্রশ্ন তুলেছে যে সিঁদুর - মর্যাদা ও ত্যাগের প্রতীক - কি কখনও একটি প্রদর্শনী হিসাবে বিবেচিত হতে পারে। তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর সাহসিকতা এবং বোনদের সিঁদুরের প্রতিশোধ নেওয়ার শপথ পূরণকে কি এভাবে তুচ্ছ করা যেতে পারে?

ভোটব্যাংক এবং তোষণের রাজনীতিতে লিপ্ত থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদের আরও নিন্দা করেছেন। তিনি সংসদে বিরোধী নেতাদের দেওয়া বক্তব্য উদ্ধৃত করেছেন, যেখানে প্রশ্ন করা হয়েছে কেন পহেলগামে সন্ত্রাসীদের তাৎক্ষণিকভাবে নির্মূল করা হয়েছে। শ্রী মোদী জিজ্ঞাসা করেন, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আগে ভারতের কি অপেক্ষা করা উচিত? তিনি জনগণকে মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, এরাই সেই ব্যক্তি যারা উত্তর প্রদেশে তাদের শাসনামলে সন্ত্রাসীদের ক্লিনচিট দিয়েছিলেন এবং বোমা বিস্ফোরণে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করেছিলেন। তিনি মন্তব্য করেন যে, এখন এই দলগুলি সন্ত্রাসীদের নির্মূল করায় এবং অপারেশন সিন্দুরের নামে উদ্বিগ্ন। বারাণসীর পবিত্র মাটি থেকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন যে, এটি নতুন ভারত - যা ভগবান ভোলেনাথের উপাসনা করে এবং দেশের শত্রুদের মুখোমুখি হয়ে কীভাবে কাল ভৈরব হতে হয় তাও জানে।

প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “অপারেশন সিন্দুরের সময়, বিশ্ব ভারতের দেশীয় অস্ত্রের শক্তি এবং ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, দেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনের কার্যকারিতা প্রত্যক্ষ করেছে, যা আত্মনির্ভর ভারতের শক্তি প্রদর্শন করেছে৷ তিনি বিশেষভাবে ভারতের ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের প্রভাবের উপর জোর দিয়েছেন, যার উপস্থিতি দেশের প্রতিটি শত্রুর মধ্যে ভয় জাগিয়ে তুলেছে।

উত্তরপ্রদেশের সংসদ সদস্য হিসেবে, শ্রী মোদী গর্ব প্রকাশ করে বলেন যে, ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র শীঘ্রই এ রাজ্যে তৈরি করা হবে। তিনি ঘোষণা করেন যে, লখনউতে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের উৎপাদন শুরু হচ্ছে এবং বেশ কয়েকটি বড় প্রতিরক্ষা সংস্থা উত্তরপ্রদেশ প্রতিরক্ষা করিডোর প্ল্যান্ট স্থাপন করছে। তিনি নিশ্চিত করেছেন যে, আগামী বছরগুলিতে, উত্তরপ্রদেশে তৈরি অস্ত্র ভারতের সামরিক শক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠবে। প্রধানমন্ত্রী জনসাধারণকে জিজ্ঞাসা করেন যে তারা এই অর্জনে গর্বিত কিনা। তিনি ঘোষণা করে বলেন যে, পাকিস্তান যদি আর কোনও অপকর্ম করে, তাহলে উত্তরপ্রদেশে তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র সন্ত্রাসীদের ধ্বংস করবে।

উত্তরপ্রদেশ দ্রুত শিল্পোন্নয়নের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যা রাজ্যে প্রধান জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলিকে বিনিয়োগের জন্য আকৃষ্ট করছে৷ এই পরিবর্তনের জন্য শ্রী মোদী তাদের সরকারের উন্নয়নমুখী নীতিগুলিকে কৃতিত্ব দিয়েছেন। তিনি পূর্ববর্তী সরকারের সাথে বর্তমান পরিস্থিতির তুলনা করেন, যেখানে অপরাধীরা নির্ভয়ে কাজ করত এবং বিনিয়োগকারীরা রাজ্যে প্রবেশ করতে দ্বিধাগ্রস্ত ছিল। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে অপরাধীরা এখন ভীত, এবং বিনিয়োগকারীরা উত্তরপ্রদেশের ভবিষ্যতের প্রতি আস্থা প্রকাশ করছেন। প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের এই গতির জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকারকে অভিনন্দন জানান, সেই সাথে সন্তোষ প্রকাশ করেন যে বারাণসীতে উন্নয়নের বিশাল অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আজ উদ্বোধন করা বেশ কয়েকটি প্রকল্পের রূপরেখা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী, যার মধ্যে রয়েছে একটি নতুন রেল ওভারব্রিজ, জল জীবন মিশনের আওতায় উদ্যোগ, বারাণসীতে স্কুল পুনর্নির্মাণ, একটি হোমিওপ্যাথিক কলেজ নির্মাণ এবং মুন্সি প্রেমচাঁদের ঐতিহ্য সংরক্ষণের প্রচেষ্টা। শ্রী মোদী বলেন, এই প্রকল্পগুলি একটি বিশাল, ঐশ্বরিক এবং সমৃদ্ধ বারাণসীর নির্মাণকে ত্বরান্বিত করবে। তিনি উল্লেখ করেন যে, সেবাপুরী পরিদর্শন করা সৌভাগ্যের বিষয়৷ এটিকে মা কালকা দেবীর দ্বারপ্রান্ত হিসাবে বর্ণনা করেন তিনি। তাঁর চরণে প্রণাম জানান প্রধানমন্ত্রী এবং খুশি প্রকাশ করে বলেন যে সরকার মা কালকা ধামকে সুন্দর করে তুলেছে, এটিকে আরও মহৎ করে তুলেছে এবং মন্দিরে প্রবেশপথকে আরও উন্নত করেছে। প্রধানমন্ত্রী সেবাপুরীর বিপ্লবী ইতিহাসের কথা স্মরণ করেন এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে এর গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা উল্লেখ করেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, এটিই সেই সেবাপুরী যেখানে মহাত্মা গান্ধীর দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়িত হয়েছিল, প্রতিটি ঘরে পুরুষ ও মহিলাদের হাতে চরকা ছিল। শ্রী মোদী একে একটি অর্থপূর্ণ কাকতালীয় ঘটনাও উল্লেখ করেন, যা চাঁদপুর-ভাদোহি সড়কের মতো প্রকল্পের মাধ্যমে, বারাণসীর তাঁতিরা এখন ভাদোহির তাঁতিদের সাথে সংযুক্ত হচ্ছে। তিনি বলেন, এর ফলে বেনারসি সিল্কের কারিগর এবং ভাদোহির কারিগর উভয়েরই লাভ হবে।

শ্রী মোদী বলেন, বারাণসী বুদ্ধিজীবীদের শহর৷ এখানকার অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি বলেন যে, বিশ্ব অর্থনীতি বর্তমানে একাধিক অনিশ্চয়তা এবং অস্থিতিশীলতার পরিবেশের মুখোমুখি হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে, বিশ্বজুড়ে দেশগুলি তাদের নিজস্ব স্বার্থের দিকে মনোনিবেশ করছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হওয়ার পথে। তাই, ভারতকে তার অর্থনৈতিক স্বার্থ সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, কৃষক এবং ক্ষুদ্র শিল্পের কল্যাণ সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং সরকার এই দিকে সম্ভাব্য সকল প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

নাগরিকদেরও কিছু দায়িত্ব রয়েছে, এই বিষয়টি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী সকলকে স্বদেশীর জন্য অঙ্গীকার গ্রহণের আহ্বান জানান। তিনি স্বদেশীকে একজন ভারতীয়ের ঘাম ও প্রচেষ্টায় তৈরি যেকোনো জিনিস হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেন এবং দেশকে "ভোকাল ফর লোকাল" মন্ত্র গ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী নাগরিকদের "মেক ইন ইন্ডিয়া" পণ্য প্রচারের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমাদের ঘরে প্রবেশকারী প্রতিটি নতুন জিনিস অবশ্যই স্বদেশী হতে হবে এবং এই দায়িত্ব প্রতিটি ভারতীয়কে গ্রহণ করতে হবে। শ্রী মোদী প্রতিটি ব্যবসায়ী এবং দোকানদারকে শুধুমাত্র স্বদেশী পণ্য বিক্রি করার শপথ গ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানান৷ তিনি বলেন, এই প্রতিশ্রুতি নিশ্চিত করে যে এটিই হবে দেশের জন্য প্রকৃত সেবা। তিনি আসন্ন উৎসবের মরশুমে স্বদেশী পণ্য ব্যবহার করার জন্য জনগণকে আহ্বান জানিয়েছেন এবং এটিই হবে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধাঞ্জলি।

সম্মিলিত প্রচেষ্টার উপর জোর দিয়ে এর মাধ্যমেই উন্নত ভারতের স্বপ্ন পূরণ হবে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান। আজ উদ্বোধন করা উন্নয়নমূলক কাজের জন্য তিনি আবারও সকলকে অভিনন্দন জানান।

অনুষ্ঠানে অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী যোগী আদিত্যনাথ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী শিবরাজ সিং চৌহান৷ এছাড়া, বিভিন্ন রাজ্যের রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের মন্ত্রীরা এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন৷

উল্লেখ্য, এই প্রকল্পগুলি বারাণসীতে সামগ্রিক নগর রূপান্তর, সাংস্কৃতিক পুনরুজ্জীবন, উন্নত যোগাযোগ এবং জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে পরিকাঠামো, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, পর্যটন, নগর উন্নয়ন এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সহ একাধিক ক্ষেত্রে কাজ করবে৷

বারাণসীতে সড়ক যোগাযোগব্যবস্থাকে উন্নত করার প্রতিশ্রুতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে, প্রধানমন্ত্রী বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। তিনি বারাণসী-ভাদোহি সড়ক এবং ছিতাউনি-শূল টঙ্কেশ্বর সড়কের প্রশস্তকরণ এবং শক্তিশালীকরণ এবং মোহন সরাই-আদলপুরা সড়কের যানজট কমাতে হরদত্তপুরে রেলওয়ে ওভারব্রিজের উদ্বোধন করেছেন। তিনি ডালমান্ডি, লাহারতারা-কোটোয়া, গঙ্গাপুর, বাবতপুর সহ একাধিক গ্রামীণ ও নগর করিডোর জুড়ে বিস্তৃত রাস্তা প্রশস্তকরণ এবং শক্তিশালীকরণ এবং লেভেল ক্রসিং ২২সি এবং খালিসপুর ইয়ার্ডে রেলওয়ে ওভারব্রিজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন।

এই অঞ্চলে বিদ্যুৎ পরিকাঠামো শক্তিশালীকরণের জন্য, প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট ডিস্টি্রবিউশন প্রকল্পের অধীনে বিভিন্ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন এবং ৮৮০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের বৈদ্যুতিক পরিকাঠামোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন।

পর্যটনে উৎসাহের জন্য, প্রধানমন্ত্রী ৮টি নদীর তীরবর্তী কুচ্চা ঘাটের পুনর্নির্মাণ, কালিকা ধামে উন্নয়ন কাজ, শিবপুরের রঙ্গিলদাস কুটিয়ার পুকুর ও ঘাটের সৌন্দর্যায়ন এবং দুর্গাকুণ্ডের পুনরুদ্ধার ও জল পরিশোধন উদ্বোধন করেছেন। তিনি কর্দমেশ্বর মহাদেব মন্দিরের সংস্কার কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন; বেশ কয়েকজন স্বাধীনতা সংগ্রামীর জন্মস্থান করখিয়ঁর উন্নয়ন; সারনাথ, ঋষি মাণ্ডবী এবং রামনগর জোনে নগর সুবিধা কেন্দ্র; লামাহিতে মুন্সি প্রেমচাঁদের পৈতৃক বাড়ির পুনর্নির্মাণ এবং জাদুঘরের উন্নয়ন সহ অন্যান্য প্রকল্পেরও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। তিনি কাঞ্চনপুরে একটি নগর মিয়াওয়াকি বন উন্নয়ন এবং শহীদ উদ্যান এবং আরও ২১টি পার্কের পুনর্নির্মাণ ও সৌন্দর্যায়নের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন।

এছাড়াও, সাংস্কৃতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ জলাশয় সংরক্ষণের জন্য, প্রধানমন্ত্রী রামকুণ্ড, মন্দাকিনী, শঙ্খধারা এবং অন্যান্য কুণ্ডে জল পরিশোধন এবং রক্ষণাবেক্ষণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন, পাশাপাশি চারটি ভাসমান পূজা মঞ্চ স্থাপন করেছেন। গ্রামীণ এলাকায় পানীয় জলের সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য, প্রধানমন্ত্রী জল জীবন মিশনের অধীনে ৪৭টি গ্রামীণ পানীয় জল প্রকল্পের উদ্বোধনও করেছেন।

সকলের জন্য মানসম্মত শিক্ষার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী পৌর এলাকার সীমানার মধ্যে ৫৩টি স্কুল ভবনের উন্নয়নের উদ্বোধন করেন। তিনি বেশ কয়েকটি শিক্ষামূলক প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে একটি নতুন জেলা গ্রন্থাগার নির্মাণ এবং লালপুরের জখিনিতে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পুনরুজ্জীবন।

স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে বিরাট অগ্রগতি সাধনের লক্ষ্যে, প্রধানমন্ত্রী মহামান্য পণ্ডিত মদন মোহন মালব্য ক্যান্সার কেন্দ্র এবং হোমি ভাবা ক্যান্সার হাসপাতালে রোবোটিক সার্জারি এবং সিটি স্ক্যান সুবিধা সহ উন্নত চিকিৎসা সরঞ্জাম স্থাপনের উদ্বোধন করেছেন। তিনি একটি হোমিওপ্যাথিক কলেজ ও হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। এছাড়াও, তিনি একটি পশু জন্ম নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র এবং সংশ্লিষ্ট কুকুর পরিচর্যা কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছেন৷

বারাণসীতে বিশ্বমানের ক্রীড়া পরিকাঠামোর জন্য তাঁর দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও এগিয়ে নিয়ে, প্রধানমন্ত্রী ডঃ ভীমরাও আম্বেদকর স্পোর্টস স্টেডিয়ামে একটি সিন্থেটিক হকি টার্ফ এর উদ্বোধন করেছেন। আইন প্রয়োগকারী কর্মীদের জন্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে, প্রধানমন্ত্রী রামনগরের প্রাদেশিক আর্মড কনস্টেবলারি (পিএসি) -এ ৩০০ আসনের একটি মাল্টিপারপাস হল এর উদ্বোধন করেছেন এবং কুইক রেসপন্স টিম ব্যারাকের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন।

কৃষক কল্যাণের লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে, প্রধানমন্ত্রী পিএম-কিষাণ প্রকল্পের ২০তম কিস্তির অর্থ এদিন প্রদান করেছেন। দেশজুড়ে ৯.৭ কোটিরও বেশি কৃষকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি ২০,৫০০ কোটি টাকারও বেশি অর্থ স্থানান্তরিত হয়েছে। এই ঘোষণার মাধ্যমে, শুরু থেকে এই প্রকল্পের আওতায় মোট বিতরণ ৩.৯০ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।

প্রধানমন্ত্রী কাশী সংসদ প্রতিযোগিতার অধীনে বিভিন্ন অনুষ্ঠান এবং প্রতিযোগিতার জন্য নিবন্ধন পোর্টালেরও উদ্বোধন করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে স্কেচিং প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা, খেল-কুড় প্রতিযোগিতা, জ্ঞান প্রতিযোগিতা এবং রোজগার মেলা। প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন দিব্যাঙ্গজন এবং বয়স্ক সুবিধাভোগীদের ৭,৪০০ টিরও বেশি সহায়ক সহায়তা বিতরণ করেছেন।

आज अपने संसदीय क्षेत्र वाराणसी से पीएम-किसान सम्मान निधि की राशि जारी कर और काशीवासियों के लिए विभिन्न विकास कार्यों का उद्घाटन व शिलान्यास कर अत्यंत प्रसन्नता हो रही है। https://t.co/ezUNEParvT

— Narendra Modi (@narendramodi) August 2, 2025

हम बीज से बाजार तक किसानों के साथ खड़े हैं: PM @narendramodi pic.twitter.com/O6WQGvRnLL

— PMO India (@PMOIndia) August 2, 2025

भारत पर जो वार करेगा...वो पाताल में भी नहीं बचेगा: PM @narendramodi pic.twitter.com/n99HNR9lmy

— PMO India (@PMOIndia) August 2, 2025

ऑपरेशन सिंदूर के दौरान भारत के स्वदेशी हथियारों की ताकत पूरी दुनिया ने देखी है: PM @narendramodi pic.twitter.com/NMeblkz1Ew

— PMO India (@PMOIndia) August 2, 2025

हमारे किसान...हमारे लघु उद्योग...इनका हित हमारे लिए सर्वोपरि है: PM @narendramodi pic.twitter.com/z6FoGy3FWR

— PMO India (@PMOIndia) August 2, 2025

*****

KMD/DM


(Release ID: 2151906)
Read this release in: English