নতুন দিল্লি, ২৪ জুন ২০২৫৷৷ ত্রিপুরায় একটি গুরুত্বপূর্ণ সফরে রয়েছেন কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী শ্রীমতী রক্ষা খাড়সে। 'পূর্বোত্তর সম্পর্ক সেতু' শীর্ষক একটি আলোচনার অংশ হিসেবে, তিনি আজ আগরতলায় স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এসএআই) পরিচালিত স্পোর্টস ট্রেনিং সেন্টারটি (এসটিসি) পরিদর্শন করেছেন। তার সফরকালে, মন্ত্রী প্রশিক্ষণ সুবিধাগুলির পুঙ্খানুপুঙ্খ ব্যবস্থা পর্যালোচনা করে দেখেছেন, নিবেদিতপ্রাণ কোচদের  কাজকর্ম পর্যবেক্ষণ করেছেন৷ সেই সাথে তিনি ক্রীড়াবিদদের অগ্রগতিও মূল্যায়ন করেছেন৷ তিনি আধুনিক সুযোগ-সুবিধা এবং এসটিসি সেন্টারের সামগ্রিক প্রস্তুতিও খতিয়ে দেখেছেন, যা এই অঞ্চলের ক্রীড়া ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে৷

আগরতলায় অবস্থিত এসএআই-এসটিসি সেন্টারটি জিমন্যাস্টিকসের উপর মনোযোগ দেওয়ার জন্য বিশেষভাবে বিখ্যাত, যেখানে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে বাছাই করা তরুণ ক্রীড়াবিদরা বর্তমানে নিবিড় প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। স্থানীয় সরকারের সাথে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত, এই কেন্দ্রটি উত্তর-পূর্ব ভারত জুড়ে ক্রীড়া উন্নয়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসাবে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত। শ্রীমতী খাড়সে খাড়সের বিস্তারিত মূল্যায়নের মধ্যে ছিল প্রশিক্ষণ সরঞ্জাম, ক্রীড়াবিদদের জন্য প্রদত্ত হোস্টেল সুবিধা, তাদের খাদ্যতালিকাগত ব্যবস্থা এবং উপলব্ধ চিকিৎসা ও মানসিক সহায়তা পরিষেবাগুলির মত অনেক বিষয়, যা একটি সামগ্রিক উন্নয়ন পরিবেশকে নিশ্চিত করছে৷

কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আগরতলা সফরের একটি উল্লেখযোগ্য দিক ছিল ক্রীড়াবিদদের সাথে সরাসরি আলাপচারিতা। মন্ত্রী তরুণ প্রশিক্ষণার্থীদের সাথে ব্যক্তিগতভাবে আলোচনা করেছেন, তাদের প্রেরণা, তাদের মুখোমুখি হওয়া বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ এবং ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষা জানার চেষ্টা করেছেন। এই উদীয়মান প্রতিভাদের অনেকেই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের তাদের স্বপ্নের কথা জানিয়েছেন৷ এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী খাড়সে বলেছেন, "ভারতের ভবিষ্যৎ এই তরুণদের সাথেই নিহিত। কেন্দ্রীয় সরকার তাদের সাফল্যের জন্য দৃঢ়ভাবে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং তার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।"

শ্রীমতি খাড়সের বর্তমান সফর ভারত সরকারের নেতৃত্বে পরিচালিত একটি উচ্চাকাঙ্ক্ষী কর্মসূচি 'পূর্বোত্তর সম্পর্ক সেতু'-এর একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই উদ্যোগের আওতায়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা উন্নয়নের অবস্থা পর্যালোচনা এবং স্থানীয় সমস্যাগুলি কার্যকরভাবে সমাধানের জন্য উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিতে সরাসরি জনসাধারণের সাথে সম্পৃক্ততা সফর করেন। ত্রিপুরায় থাকাকালীন সময়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ক্রীড়া, যুব নীতি, শিক্ষা এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রকল্প সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র নিয়ে ব্যাপক আলোচনায় অংশ নিয়েছে।

উল্লেখ্য, 'ভারত@২০৪৭'-এ ভারতের দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সামঞ্জস্য রেখে, ক্রীড়া ক্ষেত্রকে ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এদিন যে বিষয়টির উপর জোর দিয়েছেন তা হল সাই কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে তৃণমূল স্তরের ক্রীড়াবিদদের লালন-পালন এবং বিকাশ করা, তাদেরকে বড় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত করা। মন্ত্রী খাড়সে তরুণ ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন এবং প্রধান ইভেন্টগুলিতে, বিশেষ করে ২০২৮ এবং ২০৩২ সালের অলিম্পিককে লক্ষ্য করে, শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে সহায়তা করার দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করেন।

শ্রীমতি রক্ষা খাড়সে ত্রিপুরার যুবসমাজের ক্রীড়া এবং বিজ্ঞান উভয় ক্ষেত্রেই তাদের অসীম উৎসাহের জন্য আন্তরিক প্রশংসা করেছেন৷ তিনি বলেন, "উত্তর-পূর্ব ভারত কেবল ভৌগোলিকভাবে নয়, বরং মানবিক দক্ষতা, প্রতিভা এবং শক্তির দিক থেকেও ভারতের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের মেরুদণ্ড।" তিনি উপস্থিত সকলকে কেন্দ্রীয় সরকারের অটল প্রতিশ্রুতি এবং তাদের প্রচেষ্টার প্রতি পূর্ণ সমর্থন করার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন।

***

KMD/DM

(Release ID: 2139419)