প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর
জি-৭ আউটরিচ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ
Posted On:
18 JUN 2025 11:13AM by PIB Agartala
নয়াদিল্লি, ১৮ জুন, ২০২৫: আজ কানানাস্কিসে জি৭ শীর্ষ সম্মেলনের আউটরিচ অধিবেশনে অংশগ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি ‘পরিবর্তনশীল বিশ্বে প্রবেশাধিকার এবং সাশ্রয়ী মূল্য নিশ্চিত করতে জ্বালানি নিরাপত্তা: বৈচিত্র্য, প্রযুক্তি এবং পরিকাঠামো’ শীর্ষক একটি অধিবেশনে ভাষণ দিয়েছেন। এই সভায় আমন্ত্রণের জন্য কানাডার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মিঃ মার্ক কার্নিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী এবং যাত্রার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে জি৭-কে অভিনন্দন জানিয়েছেন৷
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে উল্লেখ করেন যে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সামনে যে প্রধান চ্যালেঞ্জগুলি রয়েছে তার মধ্যে জ্বালানি নিরাপত্তা হল অন্যতম। অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির প্রতি ভারতের অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জ্বালানি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গির ভিত্তি ছিল প্রাপ্যতা, সহজলভ্যতা, সাশ্রয়ী মূল্য এবং গ্রহণযোগ্যতা। তিনি আরও বলেন, ভারত বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতি হলেও, এই দেশ সময়ের আগেই প্যারিসের প্রতিশ্রুতি সফলভাবে পূরণ করেছে। একটি সুস্থায়ী এবং সবুজ ভবিষ্যতের প্রতি ভারতের অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ভারত আন্তর্জাতিক সৌর জোট, দুর্যোগ প্রতিরোধী পরিকাঠামো জোট, বিশ্ব বায়োফুয়েলস জোট, মিশন লাইফ এবং ওয়ান সান- ওয়ান ওয়ার্ল্ড- ওয়ান গ্রিডের মতো বেশ কয়েকটি বিশ্বব্যাপী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সেগুলিকে আরও শক্তিশালী করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে অনিশ্চয়তা এবং সংঘাত গ্লোবাল সাউথের দেশগুলির উপর দুর্বল প্রভাব ফেলেছে এবং ভারত বিশ্ব মঞ্চে গ্লোবাল সাউথের বক্তব্য তুলে ধরার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যদি সুস্থায়ী ভবিষ্যতের বিষয়ে গুরুত্ব দেয়, তাহলে গ্লোবাল সাউথের অগ্রাধিকার এবং উদ্বেগগুলি সম্পর্কে জানা বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের উপর জোর দিয়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াই জোরদার করার জন্য তিনি এই দেশগুলিকে আহ্বান জানিয়েছেন। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতের প্রতি তাদের দৃঢ় সমর্থনের জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়কে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলা কেবল ভারতের উপর নয়, সমগ্র মানবতার উপর আক্রমণ। তিনি সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন এবং প্রসারকারী দেশগুলির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় কোনও দ্বিমুখী মান থাকা উচিত নয় এবং যারা সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে তাদের কখনই পুরস্কৃত করা উচিত নয়। সন্ত্রাসবাদকে মানবতার জন্য একটি গুরুতর হুমকি বলে অভিহিত করে প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই বিষয়ে চিন্তা করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি প্রশ্ন তুলে ধরেন ঃ
-দেশগুলো কি কেবল তখনই সন্ত্রাসবাদের দ্বারা সৃষ্ট গুরুতর হুমকির বিষয়ে বুঝতে পারবে যখন তারা একটি লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে?
-সন্ত্রাসবাদের অপরাধী এবং এর শিকারদের কীভাবে সমতুল্য করা যেতে পারে?
-বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠানগুলি কি সন্ত্রাসবাদের নীরব দর্শক হয়ে থাকবে?
প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং শক্তির মধ্যে সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। দক্ষতা এবং উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হয়ে উঠেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি৷ প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তিকে শক্তি-নিবিড় করে, এবং স্বচ্ছ ও সবুজ উদ্যোগের মাধ্যমে কীভাবে প্রকৃতিকে সুস্থায়ী করা যায় তার কৌশল নির্ধারণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রযুক্তির প্রচারে ভারতের মানব-কেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গির বিশদ বর্ণনা করে তিনি উল্লেখ বলেন যে, কার্যকর হতে হলে যে কোনও প্রযুক্তিকে সাধারণ মানুষের জীবনে মূল্যবোধ নিয়ে আসতে হবে। তিনি পরামর্শ দেন যে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ এবং এক্ষেত্রে উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করাই হবে এআই সম্পর্কিত বৈশ্বিক সমস্যাগুলি মোকাবেলা করার প্রধান চাবিকাঠি। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থকে সুরক্ষিত রাখা এবং স্থিতিস্থাপক সরবরাহ শৃঙ্খল বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ভারতে প্রচুর পরিমাণে গুণমান এবং বৈচিত্র্যময় তথ্য রয়েছে, যা দায়িত্বশীল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন যে, প্রযুক্তি-নেতৃত্বাধীন বিশ্ব একটি সুস্থায়ী ভবিষ্যত অর্জনের জন্য দেশগুলির মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা গড়ে তুলতে পারে এবং এটি অর্জনের জন্য, মানুষ এবং গ্রহকে অগ্রগতির কেন্দ্রবিন্দুতে রাখতে হবে।
*****
KMD/DM
(Release ID: 2137283)