কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

উত্তর-পূর্বে কর্পোরেট গভর্নেন্স এবং উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রথম আঞ্চলিক ক্যাম্পাস স্থাপন করবে আইআইসিএ

Posted On: 03 JUN 2025 11:25AM by PIB Agartala

নয়াদিল্লি, ০৩ জুন, ২০২৫, পিআইবি: উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতীয় প্রবৃদ্ধি এবং আঞ্চলিক সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে, কেন্দ্রীয় সরকারের কর্পোরেট মন্ত্রকের অধীনে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স (আইআইসিএ) মেঘালয়ের নিউ শিলং টাউনশিপে একটি আঞ্চলিক ক্যাম্পাস স্থাপন করার জন্য পাঁচ একর জমি অধিগ্রহণ করেছে। এই উদ্যোগটি হবে উত্তর-পূর্বে আইআইসিএ-এর প্রথম ক্যাম্পাস, যার উপস্থিতি এই অঞ্চলের একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপকে চিহ্নিত করছে৷ উত্তর পূর্বে আইআইসিএ”র উপস্থিতি কর্পোরেট গভর্নেন্সের উৎকর্ষতা এবং সুস্থায়ী উন্নয়নের প্রতি তার প্রতিশ্রুতিকে আরও জোরদার করবে।

মেঘালয় সরকারের মুখ্য সচিব শ্রী ডোনাল্ড ফিলিপস ওয়াহলাং এবং কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের সচিব শ্রীমতী দীপ্তি গৌর মুখার্জির সভাপতিত্বে জমি হস্তান্তর প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়। এই উপলক্ষে আইআইসিএ-এর মহানির্দেশক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রী জ্ঞানেশ্বর কুমার সিং, কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব শ্রী ইন্দ্রদীপ সিং ধরিওয়াল, পরিকল্পনা বিভাগের কমিশনার ও সচিব শ্রী সি.ভি.ডি. দিয়েংডোহ, পরিকল্পনা বিভাগের শ্রী (কর্নেল) অমনদীপ সিং পুরি, আইআইসিএ-সহ মেঘালয় সরকারের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। জমি হস্তান্তর ও অধিগ্রহণ মেঘালয় সরকারের পরিকল্পনা বিভাগের যুগ্ম সচিব শ্রী কে. হিন্নিউতা এবং ভারত সরকারের উপ-সচিব শ্রী শেখর শ্রীবাস্তব কর্তৃক সম্পন্ন হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের মুখ্য সচিব এই দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করে জ্ঞান-কেন্দ্রিক উন্নয়নের প্রতি মেঘালয় সরকারের প্রতিশ্রুতির কথা ব্যক্ত করেন এবং নলেজ সিটি ক্লাস্টারের মধ্যে আইআইসিএ ক্যাম্পাসের কৌশলগত অবস্থানের কথা তুলে ধরেন। এই অঞ্চলে সমৃদ্ধ শিক্ষাগত এবং পেশাদার সমন্বয়ের প্রতিশ্রুতি হিসেবে ইতিমধ্যেই আইআইএম শিলং, ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটি মেঘালয় এবং এনআইএফটি-র মতো সম্মানিত প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তিনি আরও জানান, শিলংয়ে শীঘ্রই একটি নতুন বিমানবন্দর তৈরি করা হবে, যা আঞ্চলিক সংযোগকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে এবং ভারতজুড়ে পেশাদার, অনুষদ এবং শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যাম্পাসটি সহজেই ব্যবহারযোগ্য করে তুলবে। এই পরিকাঠামোগত উন্নয়ন উত্তর-পূর্বে একটি প্রধান শিক্ষাগত এবং নীতি কেন্দ্র হিসাবে শিলংয়ের উদীয়মান অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি৷

আইআইসিএ-এর মহানির্দেশক এবং সিইও শ্রী জ্ঞানেশ্বর কুমার সিং এই মুহূর্তটিকে ঐতিহাসিক বলে অভিহিত করেন। তিনি শিলং ক্যাম্পাসকে "দিল্লির বাইরে আমাদের প্রথম সন্তান - বিকেন্দ্রীকরণ এবং ক্ষমতায়নের প্রতীক" হিসাবে বর্ণনা করেছেন। ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস, আত্মনির্ভর ভারত এবং বিকশিত ভারত@২০৪৭-এর মতো জাতীয় অগ্রাধিকারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে তিনি উদ্যোক্তা, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সুশাসনকে সমর্থন করার ক্ষেত্রে নতুন ক্যাম্পাসের ভূমিকার উপর জোর দিয়েছেন। রাইজিং নর্থ ইস্ট উদ্যোগের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দৃষ্টিভঙ্গির কথা উল্লেখ করে মহানির্দেশক উল্লেখ করেন যে, প্রধানমন্ত্রী ধারাবাহিকভাবে বৈচিত্র্য, প্রতিভা এবং সম্ভাবনায় সমৃদ্ধ একটি অঞ্চল উত্তর-পূর্বকে "ভারতের অষ্টলক্ষ্মী" হিসাবে তুলে ধরেছেন। এই দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সামঞ্জস্য রেখে আইআইসিএ এই অঞ্চলকে একটি প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে নতুন ভারতের গতিশীল প্রবৃদ্ধির ইঞ্জিনে রূপান্তরের অংশ হতে পেরে গর্বিত বলে উল্লেখ করেন তিনি৷

তিনি আরও জোর দিয়ে বলেন, "এই উদ্যোগটি আমাদের প্রধানমন্ত্রীর 'সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস, সবকা প্রয়াস' মন্ত্রের সাথে গভীরভাবে অনুরণিত হয়। তিনি বলেন, শিলংয়ে আমাদের এই ক্যাম্পাস স্থাপন শুধুমাত্র একটি সম্প্রসারণ নয় - এটি 'পরিবহনের মাধ্যমে রূপান্তরের' প্রতিশ্রুতি, যেমনটি প্রধানমন্ত্রী সঠিকভাবে কল্পনা করেছিলেন, যেখানে পরিকাঠামো এবং জ্ঞান প্রতিষ্ঠানগুলি একসাথে শান্তি, সমৃদ্ধি এবং উদ্দেশ্যের পথকে প্রশস্ত করে।

প্রধানমন্ত্রীর উত্তর-পূর্ব উন্নয়ন উদ্যোগ (পিএম-ডিভাইন) এর অধীনে ১০০.৯৫ কোটি বিনিয়োগের সহায়তায়, শিলং ক্যাম্পাসটি কর্পোরেট গভর্নেন্স, ইএমজি, সিএসআর, অস্বচ্ছলতা এবং দেউলিয়া, প্রতিযোগিতা আইন এবং বোর্ড নেতৃত্বের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে বিশেষ প্রশিক্ষণ, গবেষণা এবং নীতি পরামর্শের জন্য একটি আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসাবে কাজ করবে।

কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের সচিব শ্রীমতী দীপ্তি গৌর মুখার্জি তার ভাষণে মেঘালয় সরকারের সক্রিয় ও উদার সহায়তার জন্য অভিনন্দন ও প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, এই অংশীদারিত্ব সহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় চেতনা এবং নতুন ভারতের উন্নয়নের ইঞ্জিন হিসেবে উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে ক্ষমতায়নের কেন্দ্রে নিয়ে যাবে৷
এই প্রতিষ্ঠানটিতে চলতি অর্থবছরের মধ্যেই একাডেমিক এবং পরামর্শমূলক কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে, যার নির্মাণ কাজ অবিলম্বে শুরু হবে। আইআইসিএ ইতিমধ্যেই তার পূর্ববর্তী প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে উত্তর পূর্বাঞ্চল-কে সেবা প্রদান করেছে যা ৩০০ জনেরও বেশি পেশাদারকে উপকৃত করেছে এবং স্বাধীন পরিচালক ডেটাব্যাঙ্ক পরিচালনা করে চলেছে, যার মধ্যে সমস্ত উত্তর-পূর্বের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে।

ভবিষ্যতে, আইআইসিএ নলেজ সিটির রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রতিষ্ঠানগুলির সাথে সহযোগিতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করবে যাতে এই অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য উপযুক্ত প্রশিক্ষণ, নীতি সহায়তা এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করা যায়।

এই সম্প্রসারণ উত্তর-পূর্বের কেন্দ্রস্থল থেকে নীতিবান উদ্যোক্তা, দক্ষ পেশাদার এবং দায়িত্বশীল নেতা গঠনে দীর্ঘমেয়াদী অংশীদার হিসেবে কাজ করার আইআইসিএর সংকল্পকে তুলে ধরেছে৷

*****

KMD/DM


(Release ID: 2133581)
Read this release in: English