বৈদ্যুতিন ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক
ভারতের সরকারের ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের ন্যাশনাল ই-গভর্নেন্স ডিভিশন (এনইজিডি) -এর সহযোগিতায় ত্রিপুরা সরকারের তথ্য প্রযুক্তি অধিকর্তা (ডিআইটি), এর উদ্যোগে "শ্রেষ্ঠ শাসনের জন্য এআই : স্বচ্ছতা, কার্যকারিতা ও প্রভাব বৃদ্ধি" শীর্ষক একটি রাজ্যভিত্তিক কর্মশালা
Posted On:
17 MAY 2025 2:12PM by PIB Agartala
প্রশাসনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গ্রহণকে দ্রুততর করতে সমন্বিত প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে, ত্রিপুরা সরকারের তথ্য প্রযুক্তি অধিদপ্তর (ডিআইটি ) এর উদ্যোগে ও ভারত সরকারের ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের অধীনস্থ ন্যাশনাল ই-গভর্ন্যান্স ডিপার্টমেন্ট (এনইজিডি) এর সহযোগিতায়, ১৬ মে ২০২৫ তারিখে "গুড গভর্নেন্সের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা: স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও প্রভাব" শীর্ষক একটি সচেতনতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি কর্মশালা আয়োজিত হয়েছে আগরতলার প্রজ্ঞা ভবনে।
এনইজিডি'র সক্ষমতা উন্নয়ন উদ্যোগের একটি মূল উপাদান হিসেবে পরিচালিত কর্মশালাটির উদ্দেশ্য ছিল ত্রিপুরা সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মধ্যে সরকারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সম্পর্কে বোঝাপড়া ও গ্রহণযোগ্যতাকে বৃদ্ধি করা। এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগের ১৫০ জনেরও বেশি কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেছেন, যা রাজ্যের ডিজিটাল রূপান্তর ও জন প্রশাসনে এআই ভিত্তিক উদ্ভাবনের প্রতি সম্মিলিত প্রতিশ্রুতির একটি প্রতিফলন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাজ্য সরকারের তথ্য প্রযুক্তি দপ্তরের সচিব শ্রী কিরণ গিত্যে (আইএএস)। তিনি সেখানে ত্রিপুরা সরকারের পক্ষ থেকে শাসন কাঠামোর বৈপ্লবিক পরিবর্তনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার বিষয় তুলে ধরেন। শ্রী গিত্যে বলেন, তথ্যভিত্তিক নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্রমবর্ধমান প্রাসঙ্গিকতা সেবা সরবরাহ প্রক্রিয়ার বৃদ্ধি ও প্রশাসনিক কার্যকারিতাকে উন্নত করার জন্য অত্যন্ত অপরিহার্য। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের ধারাবাহিক মনোযোগ একটি উদ্ভাবন-কেন্দ্রিক শাসন কাঠামো গড়ে তোলার পক্ষে, যা প্রশাসনকে নাগরিক-কেন্দ্রিক এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করছে।
বিশেষ বক্তৃতায় ত্রিপুরা সরকারের মুখ্য সচিব শ্রী জিতেন্দ্র কুমার সিনহা (আইএএস) রাজ্যের উল্লেখযোগ্য ডিজিটাল উদ্যোগগুলো সম্পর্কে যেমন ই-অফিস, ই-কেবিনেট এবং সুবিধাভোগী ব্যবস্থাপনা সিস্টেমের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি শাসন কাঠামোতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো উদীয়মান প্রযুক্তিকে মূলধারায় আনার কৌশলগত প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে আলোচনা করেছেন। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং উন্নত পরিষেবার গুণগত মান বাড়াতে এর গুরুত্ব তুলে ধরেছেন তিনি এবং সরকারি খাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নৈতিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং দায়িত্বশীল ব্যবহারের পক্ষে দক্ষতা বৃদ্ধি প্রতিষ্ঠাকরণের গুরুত্বও উল্লেখ করেছেন।
কর্মশালায় চারটি উচ্চ-প্রভাব সৃষ্টিকারী প্রযুক্তিগত সেশন ছিল যা এনইজিডি এবং ইন্ডিয়াএআই এর ক্ষেত্র বিশেষজ্ঞ কর্তৃক উপস্থাপন করা হয়েছিল। এর অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলি হলো:
ক. এআই/এমএল-এর ভিত্তি এবং ঝুঁকি প্রশমন7
খ. উন্নত শাসনের জন্য এআই গ্রহণ
গ. স্মার্ট পাবলিক প্রশাসনের জন্য এআই টুল
ঘ. শক্তিশালী এআই পরিকাঠামো নির্মাণ
আনুষ্ঠানিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ত্রিপুরা সরকারের তথ্য বিভাগের অধিকর্তা, শ্রী জেয়া রাগুল গেশান বি. (আইএফএস), যিনি রাজ্যের ডিজিটাল ভবিষ্যৎ গঠনে এই কর্মশালার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন।
এই উদ্যোগটি ত্রিপুরার ডিজিটাল শাসন যাত্রার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলককে চিহ্নিত করে এবং সরকারের এই সংকল্পকে নিশ্চিত করে যে, জনসেবার রূপান্তরের জন্য এআই -চালিত পদ্ধতিগুলোকে একীভূত করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কর্মশালাটি তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের বৃহত্তর ভারতীয় এআই মিশনের একটি অংশ। এনইজিডি-এর ক্ষমতা বৃদ্ধি (সিবি) পরিকল্পনা রাজ্য সরকারগুলোকে বিশেষ বিষয়ের জ্ঞান, বাস্তব অভিজ্ঞতা এবং এআই শাসনের সেরা অনুশীলনগুলোর মাধ্যমে ক্ষমতায়িত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। জাতীয় এই দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সঙ্গতি রেখে, প্রোগ্রামটি ত্রিপুরার শাসনের আকাঙ্ক্ষার সাথে উপযুক্ত একটি স্থিতিস্থাপক, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং নৈতিকভাবে সঠিক এআই পরিবেশ সৃষ্টি করতে ক্যাটালিস্ট হিসেবে কাজ করার জন্য প্রস্তুত।
---
Navin Sreejith/DM/KMD
(Release ID: 2129322)