প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আদমপুর এয়ার ফোর্স স্টেশনে সাহসী বায়ুসেনা ও যোদ্ধাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন
আমাদের বায়ুসেনা ও যোদ্ধাগণ, যারা জাতিকে রক্ষা করছেন, তাঁদের সাহস এবং পেশাদারিত্ব প্রশংসনীয়: প্রধানমন্ত্রী
‘ভারত মাতা কি জয়’ শুধু একটি স্লোগান নয়, এটি হল প্রতিটি জওয়ানের শপথ, যারা দেশের সম্মান ও গৌরব রক্ষায় নিজের প্রাণ ত্যাগ করতেও প্রস্তুত: প্রধানমন্ত্রী
‘অপারেশন সিঁদুর’ হল ভারতের নীতি, সদিচ্ছা ও সিদ্ধান্তমূলক ক্ষমতার “ত্রিমুখী সমন্বয়”: প্রধানমন্ত্রী
আমাদের বোনেদের ও কন্যাদের সিঁদুর মুছে দেওয়া হয়েছিল, আমরা জঙ্গিদের তাদের ঘাঁটিতেই গুঁড়িয়ে দিয়েছি: প্রধানমন্ত্রী
সন্ত্রাসের পরিকল্পনাকারীরা এখন জানে, ভারতের দিকে চোখ তুলে তাকালে শুধু ধ্বংসই নিয়ে আসবে: প্রধানমন্ত্রী
পাকিস্তানের শুধু জঙ্গি ঘাঁটি ও এয়ারবেস ধ্বংস হয়নি, তাদের দুষ্ট উদ্দেশ্য ও ঔদ্ধত্যকেও পরাস্ত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের লক্ষ্মণরেখা এখন একেবারে স্পষ্ট— যদি আরেকটাও জঙ্গি হামলা হয়, তাহলে ভারত জবাব দেবে, আর সেই জবাব হবে চূড়ান্ত: প্রধানমন্ত্রী
‘অপারেশন সিঁদুর’-এর প্রতিটি মুহূর্তই ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর শক্তির সাক্ষ্য বহন করে: প্রধানমন্ত্রী
পাকিস্তান যদি আবার কোনও সন্ত্রা
Posted On:
13 MAY 2025 5:13PM by PIB Agartala
নয়াদিল্লি, ১৩ মে ২০২৫: প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ আদমপুরের এয়ার ফোর্স স্টেশনে সাহসী বায়ুসেনা ও যোদ্ধাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন। তাদের উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ‘ভারত মাতার জয়’ স্লোগানের শক্তির কথা তুলে ধরে বলেন, বিশ্ব এখন এই স্লোগানের শক্তিকে প্রত্যক্ষ করেছে। প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, এটি শুধুমাত্র একটি স্লোগান নয় বরং একটি পবিত্র শপথ, যা মাতৃভূমির গৌরব রক্ষায় নিজের জীবন উৎসর্গ করতে প্রত্যেক সৈনিক গ্রহণ করে। তিনি বলেন, এই স্লোগান হল প্রতিটি নাগরিকের কণ্ঠস্বর, যারা জাতির জন্য বাঁচতে চায় এবং গঠনমূলক অবদান রাখতে চায়।
প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, ‘ভারত মাতার জয়’ ধ্বনিত হয় যুদ্ধক্ষেত্রে এবং গুরুত্বপূর্ণ অভিযানে। তিনি জানান, যখন ভারতীয় সেনারা ‘ভারত মাতার জয়’ বলে, তখন তা শত্রুর হৃদয়ে আতংকের সঞ্চার করে। তিনি ভারতের সামরিক শক্তির ওপর আলোকপাত করে বলেন, যখন ভারতীয় ড্রোন শত্রুর দুর্গের প্রাকার ধ্বংস করে এবং ক্ষেপণাস্ত্র নির্ভুলভাবে আঘাত হানে, তখন শত্রুর কানে শুধুই একটিই ধ্বনি পৌঁছায়—‘ভারত মাতা কি জয়’। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, অন্ধকার রাতেও ভারত আকাশকে আলোকিত করার ক্ষমতা রাখে, শত্রুকে বাধ্য করে ভারতের দুর্দমনীয় আত্মাকে প্রত্যক্ষ করতে। তিনি ঘোষণা করেন, যখন ভারতের বাহিনী পারমাণবিক ব্ল্যাকমেলের হুমকি ধ্বংস করে দেয়, তখন আকাশ থেকে সাগরের গভীরতাতেও প্রতিধ্বনিত হয়—‘ভারত মাতার জয়’।
ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর সাহস ও সংকল্পের প্রশংসা করে শ্রী মোদী বলেন, তারা কোটি কোটি ভারতীয়ের হৃদয়কে গর্বে ভরিয়ে দিয়েছেন। তিনি মন্তব্য করেন, তাদের তুলনাহীন বীরত্ব ও ঐতিহাসিক কৃতিত্বের জন্য আজ প্রতিটি ভারতীয় আরও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, এই বীর যোদ্ধাদের সাক্ষাৎ পাওয়াটাই এক বিরাট সৌভাগ্য, এবং জোর দিয়ে বলেন, আজ থেকে কয়েক দশক পর যখন জাতির বীরত্বের গল্প বলা হবে, তখন এই অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া সেনারাই সবচেয়ে বেশি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়ভাবে বলেন, তারা শুধু বর্তমানের নয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও এক প্রেরণা হয়ে উঠেছেন। বীর যোদ্ধাদের এই ভূমি থেকে তিনি সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী এবং সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী (বিএসএফ)-এর সাহসী সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন। তিনি তাদের বীরত্বপূর্ণ প্রচেষ্টার প্রশংসা করে বলেন, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর প্রভাব গোটা দেশে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন, এই অভিযানের সময় প্রত্যেক ভারতীয় ছিলেন সৈনিকদের পাশে, তারা প্রার্থনা করেছেন এবং অটুট সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি সৈনিক ও তাঁদের পরিবারের প্রতি গোটা জাতির গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং তাঁদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, ‘অপারেশন সিঁদুর’ একটি সাধারণ সামরিক অভিযান নয়, এটি ভারতের নীতি, অভিপ্রায় ও সিদ্ধান্তমূলক ক্ষমতার “ত্রিমুখী সমন্বয়”। তিনি উল্লেখ করেন, ভারত হল সেই ভূমি যেখানে বুদ্ধ এবং গুরু গোবিন্দ সিংহজির মত মহাপুরুষ জন্মেছেন, যিনি ঘোষণা করেছিলেন—"আমি একজন যোদ্ধাকে সোয়া লাখের প্রতিপক্ষে লড়তে শেখাবো… আমি চড়ুই পাখিকে বাজের বিরুদ্ধে জয়ী করাবো… তবেই আমাকে গুরু গোবিন্দ সিং বলা হবে।” তিনি বলেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নেওয়া এবং ধর্ম প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করা ভারতের চিরন্তন ঐতিহ্য। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসীরা ভারতের কন্যাদের ওপর আক্রমণ করে তাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করেছে, ভারতীয় বাহিনী তখন তাদের গোপন আশ্রয়ে গিয়ে তাদেরকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। তিনি বলেন, আক্রমণকারীরা কাপুরুষের মতো লুকিয়ে এসেছিল, ভুলে গিয়েছিল তারা কাকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে,—ভারতের দুর্জয় সশস্ত্র বাহিনীকে। তিনি ভারতীয় সেনার বীরত্বের প্রশংসা করে বলেন, তারা সরাসরি আঘাত হানে, বড় বড় সন্ত্রাস ঘাঁটি ধ্বংস করে দেয়। নয়টি সন্ত্রাসবাদী আস্তানা ধ্বংস করা হয়েছে এবং একশোর বেশি জঙ্গিকে নির্মূল করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসের মূলচালকেরা এখন বুঝে গিয়েছে—ভারতকে উস্কে দিলে তার পরিণাম একটাই—সম্পূর্ণ ধ্বংস। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ভারতে নিরীহ মানুষের রক্ত ঝরানোর যে কোনো চেষ্টা শুধুই ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাবে। তিনি স্পষ্ট করে দেন, এই সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দেওয়া পাকিস্তানি সেনাকেও ভারতীয় সেনা, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনী চূড়ান্তভাবে পরাজিত করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারতের সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তানকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে—সন্ত্রাসবাদীদের জন্য আর কোনো নিরাপদ আশ্রয় নেই।” তিনি জানান, ভারত তাদের ভূখণ্ডে ঢুকে আঘাত হানবে, পালিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ দেবে না। তিনি বলেন, ভারতের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র এমন ভয় সৃষ্টি করেছে যে, পাকিস্তান কেবল ভাবলেই কয়েক রাত ঘুমোতে পারবে না। তিনি মহারাণা প্রতাপের প্রসিদ্ধ ঘোড়া ‘চেতক’ সম্পর্কে লেখা একটি পঙ্ক্তি উদ্ধৃত করে বলেন, এখন সেই কথাগুলো ভারতের আধুনিক উন্নত অস্ত্রশস্ত্রের সঙ্গেও সমানভাবে মিলে যায়।
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য দেশের সংকল্পকে আরও দৃঢ় করেছে, দেশকে ঐক্যবদ্ধ করেছে, ভারতের সীমান্তকে সুরক্ষিত করেছে এবং ভারতের গৌরবকে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। তিনি সশস্ত্র বাহিনীর অসাধারণ প্রচেষ্টার প্রশংসা করে তাদের কাজকে অভূতপূর্ব, অকল্পনীয় এবং বিস্ময়কর বলে বর্ণনা করেন। তিনি ভারতীয় বায়ুসেনার আঘাতের সূক্ষ্মতা ও নিখুঁত লক্ষ্যভেদের কথা উল্লেখ করে বলেন, তারা পাকিস্তানের গভীরে সন্ত্রাসবাদীদের আস্তানাগুলিকে সফলভাবে আঘাতের লক্ষ্যবস্তু করেছে। শ্রী মোদী বলেন, মাত্র ২০-২৫ মিনিটের মধ্যে ভারতীয় বাহিনী সীমান্ত পার হয়ে অত্যন্ত নির্ভুলভাবে আঘাত হেনেছে, একেবারে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে। তিনি জানান, এমন অভিযান কেবল একটি আধুনিক, প্রযুক্তি-সজ্জিত এবং উচ্চ প্রশিক্ষিত পেশাদার বাহিনীর পক্ষেই সম্ভব। তিনি ভারতের সেনাবাহিনীর গতি এবং নিখুঁত সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে বলেন, তাদের দ্রুত এবং কার্যকর পদক্ষেপ শত্রুপক্ষকে সম্পূর্ণভাবে হতবাক করে দিয়েছে। তিনি বলেন, শত্রুরা বুঝতেই পারেনি কখন তাদের শক্ত ঘাঁটিগুলি ধুলিসাৎ হয়ে গিয়েছে।
ভারতের উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তানের গভীরে সন্ত্রাসী সদর দপ্তরগুলোর ওপর আঘাত হেনে প্রধান সন্ত্রাসী অপারেটরদের নির্মূল করা| এই বিষয়টিকে তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান তার কার্যকলাপ আড়াল করতে বেসামরিক বিমান ব্যবহার করার চেষ্টা করলেও, ভারতীয় বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং নির্ভুলতার সাথে জবাব দিয়েছে। তিনি বাহিনীর প্রশংসা করে বলেন, তারা মিশনটি সফলভাবে সম্পন্ন করেছে এবং একই সঙ্গে সতর্কতা ও দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করেছে। তিনি সশস্ত্র বাহিনীর সচেতনতা ও দায়িত্ববোধ বজায় রেখে সফলভাবে মিশন সম্পন্ন করার জন্য বাহিনীগুলোর প্রশংসা করেন। তিনি গর্বের সঙ্গে বলেন, ভারতীয় সৈনিকেরা নিখুঁত নির্ভুলতা ও দৃঢ় সংকল্পের সঙ্গে তাদের লক্ষ্য পূরণ করেছে। তিনি উল্লেখ করেন, এই অভিযান কেবল পাকিস্তানের ভিতরে সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি ও বিমানঘাঁটিগুলোকেই ধ্বংস করেনি, বরং তাদের অশুভ উদ্দেশ্য এবং বেপরোয়া দুঃসাহসকেও নির্মমভাবে চূর্ণ করেছে।
শ্রী মোদী বলেন, অপারেশন সিঁদুরের পর শত্রুপক্ষ হতাশ হয়ে একাধিকবার ভারতের বিভিন্ন বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলার চেষ্টা চালিয়েছে। তবে পাকিস্তানের প্রতিটি হামলার চেষ্টা চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, পাকিস্তানের ড্রোন, ইউএভি, বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্র—সবই ভারতীয় শক্তিশালী ‘আকাশ’ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সামনে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, ভারতের প্রস্তুতি এবং প্রযুক্তিগত সক্ষমতা শত্রুর সমস্ত হুমকি সম্পূর্ণভাবে নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি দেশের বিমানঘাঁটিগুলির কার্যকর তদারকিতে থাকা নেতৃত্বের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ভারতীয় বায়ুসেনার প্রতিটি আকাশযোদ্ধার প্রতি অন্তর থেকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি দেশের প্রতিরক্ষায় তাদের অসাধারণ পারফরম্যান্স ও অটুট নিষ্ঠার প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, ভারত এখন সন্ত্রাসবাদ নিয়ে তার অবস্থান স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছে। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন, যদি ভারতের উপর আরেকটি সন্ত্রাসী হামলা হয়, তবে ভারত তা নিশ্চিতভাবে এবং শক্তিশালীভাবে প্রতিরোধ করবে। তিনি ভারতের আগের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এবং এয়ার স্ট্রাইকের দৃঢ় পদক্ষেপগুলোর কথা স্মরণ করে উল্লেখ করেন যে, অপারেশন সিঁদুর এখন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশের নতুন স্বাভাবিক পরিস্থিতি হয়ে উঠেছে। তিনি গত রাতের ভাষণে উল্লিখিত তিনটি মূলনীতি পুনরায় ব্যক্ত করেন। প্রথমত, যদি ভারতকে সন্ত্রাসী হামলার লক্ষ্য করা হয়, তাহলে প্রতিক্রিয়া হবে দেশের নিজের নিয়ম এবং শর্তাবলী অনুযায়ী। দ্বিতীয়ত, ভারত কোনো ধরনের পরমাণু ব্ল্যাকমেইল সহ্য করবে না। তৃতীয়ত, ভারত আর সন্ত্রাসী মাস্টারমাইন্ড এবং তাদের আশ্রয়দানকারী সরকারের মধ্যে কোনো পার্থক্য করবে না। প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, "বিশ্ব এখন এই নতুন এবং দৃঢ় ভারতকে স্বীকৃতি দিচ্ছে, যা তার জাতীয় নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় মনোভাব অনুযায়ী অভিযোজিত হয়েছে"।
শ্রী মোদী বলেন, “অপারেশন সিঁদুরের প্রতিটি মুহূর্ত ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর শক্তি এবং সক্ষমতার প্রমাণ”।তিনি সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর মধ্যে অসাধারণ সমন্বয়ের প্রশংসা করে বলেন, তাদের সহযোগিতা অসাধারণ ছিল। তিনি সমুদ্রে নৌবাহিনীর আধিপত্য, সেনাবাহিনীর সীমান্ত রক্ষার দৃঢ়তা এবং ভারতীয় বিমান বাহিনীর আক্রমণ ও প্রতিরক্ষার ভূমিকা তুলে ধরেন। তিনি সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী (বিএসএফ) এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর অসাধারণ কর্মক্ষমতার প্রশংসা করেন। তিনি ভারতের সমন্বিত আকাশ এবং স্থল যুদ্ধ ব্যবস্থার কার্যকারিতার উপর গুরুত্বারোপ করে ঘোষণা করেন যে, এই ধরনের সমন্বয় এখন ভারতের সামরিক শক্তির একটি স্বাতন্ত্র্যসূচক বৈশিষ্ট্যে পরিণত হয়েছে।
অপারেশন সিঁদুর চলাকালে জনশক্তি ও উন্নত সামরিক প্রযুক্তির অসাধারণ সমন্বয়কে তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী জানান, বহু যুদ্ধের সাক্ষী ভারতের ঐতিহ্যবাহী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও বলীয়ান হয়েছে দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত ‘আকাশ’-এর মতো প্ল্যাটফর্ম এবং শক্তিশালী আধুনিক ব্যবস্থাপনা—‘এস-৪০০’-এর মাধ্যমে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ভারতের শক্তিশালী নিরাপত্তা বর্ম এখন একটি নির্ধারণকারী শক্তি হয়ে উঠেছে। পাকিস্তানের বারবার প্রচেষ্টার পরেও, ভারতীয় বিমানঘাঁটি এবং প্রধান প্রতিরক্ষা পরিকাঠামো পুরোপুরি নিরাপদ ছিল। প্রধানমন্ত্রী এই সাফল্যের কৃতিত্ব দেন সীমান্তে মোতায়েন প্রতিটি জওয়ান এবং অপারেশনে যুক্ত প্রতিটি সাহসী সেনার নিষ্ঠা ও বীরত্বকে। তিনি তাদের প্রতিশ্রুতি ভারতের অটল জাতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ভিত্তি হিসেবে স্বীকার করেন।
প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, ভারত এখন এমন আধুনিক প্রযুক্তির অধিকারী যা পাকিস্তান মোকাবেলা করতে সক্ষম নয়| শ্রী মোদী বলেন, গত দশকে ভারতীয় বিমান বাহিনী এবং অন্যান্য সামরিক শাখাগুলি বিশ্বের কিছু অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিতে প্রবেশাধিকার লাভ করেছে। তিনি স্বীকার করেন, নতুন প্রযুক্তি আসার সঙ্গে সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জও আসে এবং জটিল এবং উন্নত সিস্টেমগুলো বজায় রাখা এবং দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করা বিশাল দক্ষতা এবং নিখুঁততার প্রয়োজন। প্রযুক্তিকে কৌশলগত দক্ষতার সঙ্গে নিপুণভাবে একত্রিত করে আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করার জন্য ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এখন ভারতীয় বায়ুসেনা শুধু অস্ত্র দিয়েই নয়, বরং তথ্য ও ড্রোনের মাধ্যমেও শত্রুকে মোকাবিলা করার শৈলীতে পারদর্শী হয়েছে।
ভারতের সামরিক পদক্ষেপ সাময়িকভাবে পাকিস্তানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্থগিত রাখা হয়েছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদি পাকিস্তান আরও কোনো সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বা সামরিক উসকানি চালায়, তাহলে ভারত সম্পূর্ণ শক্তির সঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানাবে। তিনি নিশ্চিত করেন যে, ভারতের প্রতিক্রিয়া শুধুমাত্র দেশের নিজস্ব শর্ত এবং নিয়মাবলীর উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হবে। এই সিদ্ধান্তমূলক অবস্থানটির কৃতিত্ব তিনি দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সাহস, বীরত্ব এবং সতর্কতার প্রতি দেন। সৈনিকদের অটুট সংকল্প, নিরলস উদ্দীপনা এবং সর্বদা প্রস্তুত থাকার প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন—ভারতকে সবসময় সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। তিনি ঘোষণা করেন, “এটা নতুন ভারত—যে ভারত শান্তি চায়, কিন্তু মানবতার উপর আঘাত এলে শত্রুদের ধ্বংস করতে কখনো পিছপা হবে না।”
***
KMD/AD
(Release ID: 2128536)