সহযোগিতা মন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

ডেয়ারি ক্ষেত্রে সুস্থায়ী উন্নয়ন ও এর সম্প্রসার সম্পর্কিত কর্মশালা'র উদ্বোধন করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র তথা সমবায় মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ

Posted On: 03 MAR 2025 5:57PM by PIB Agartala

নয়াদিল্লি, ৩ মার্চ ২০২৫: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ আজ নতুন দিল্লিতে 'ডেয়ারি ক্ষেত্রে সুস্থায়ী উন্নয়ন ও এর সম্প্রসার" বিষয়ক এক কর্মশালার উদ্বোধন করেন। এই দুগ্ধযত পণ্যের ক্ষেত্র অর্থাৎ ডেয়ারি ক্ষেত্রের সুস্থায়ি উন্নয়ন, দক্ষতা এবং সম্পদের সম্প্রসারণ হলে তা প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর 'সহকার সে সমৃদ্ধি'র স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে সাহায্য করবে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা সমবায়মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ বলেন, আজ যখন আমরা শ্বেত বিপ্লব ২.০-এর অভিমুখে এগিয়ে চলেছি, তখন সুস্থায়ী উন্নয়ন ও এই ক্ষেত্রের সম্প্রসারের গুরুত্বটি সবার আগে উঠে আসে। তিনি বলেন, প্রথম শ্বেত বিপ্লবের সহায়তায় আমরা এখন পর্যন্ত যে সাফল্য অর্জন করেছি তাতে দুগ্ধ ক্ষেত্রে সুস্থায়ী উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ এখনও সম্পূর্ণরূপে অর্জিত হয়নি। শ্রী শাহ বলেন, শ্বেত বিপ্লব ২.০ এর মূল লক্ষ্য হল সুস্থায়ী উন্নয়ন এবং সম্প্রসারণ৷ শ্বেত বিপ্লব ২.০ পর্যায়ের এর সূচনালগ্ন থেকেই আমাদের এর প্রতি গুরুত্ব দেওয়া দরকার।

শ্রী অমিত শাহ বলেন, দুগ্ধ পণ্য ক্ষেত্র  দেশের তথা গ্রামীণ উন্নয়নে এবং ভূমিহীন ও ক্ষুদ্র কৃষকদের সমৃদ্ধ করে তোলার ক্ষেত্রে বিশাল ভূমিকা পালন করছে। তিনি বলেন, এটি আমাদের দেশের পুষ্টির যত্ন নিয়েছে, দেশকে বিশ্বের এক নম্বর দুধ উৎপাদক হিসাবে গড়ে তুলতে ভূমিকা রেখেছে এবং কৃষি আয় ছাড়াও কৃষকদের অতিরিক্ত আয়ের সুযোগ করে দিয়েছে।

কেন্দ্রীয় সমবায় মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আমাদের জন্য তিনটি লক্ষ্য স্থির করেছেন৷ এগুলি হল, ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি হয়ে ওঠা, বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে ওঠা এবং ২০৪৭ সালের মধ্যে একটি পূর্ণ উন্নত দেশ হয়ে ওঠা। তিনি বলেন, এই তিনটি লক্ষ্য অর্জন করা জন্য আমাদের প্রতিটি ক্ষেত্রে সমস্ত সম্ভাবনাকে খুঁজে দেখতে হবে এবং সম্পূর্ণরূপে এর সুযোগ সদ্ব্যবহার করার জন্য ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে হবে। তিনি বলেন, এই ডেয়ারি ক্ষেত্র আজ ২৫০টি দুধ উৎপাদক সমিতির কাছে সম্প্রসারণ সম্পর্কিত উন্নত সুবিধাগুলি পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটি দূরদর্শী উদ্যোগ নিয়েছে।

শ্রী অমিত শাহ বলেন, ভারতের কৃষি ব্যবস্থা ক্ষুদ্র কৃষকদের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে এবং গ্রাম থেকে শহরে তাঁদের অভিবাসন তাঁদের সমৃদ্ধির সঙ্গে যুক্ত। তিনি বলেন, গ্রামীণ  এলাকা থেকে কাজের খোঁজে শহরমুখী হবার সমস্যা কাটিয়ে ওঠার পাশাপাশি ক্ষুদ্র কৃষকদের সমৃদ্ধ করতে ডেয়ারি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিকল্প। শ্রী শাহ বলেন, দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত পণ্য ক্ষেত্রের সমস্ত সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণ অন্বেষণ করে দেখার জন্য একটি সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করার জন্য এই কর্মশালা অত্যন্ত কার্যকর বলেই প্রমাণিত হবে।

কেন্দ্রীয় সমবায় মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে গত ১০ বছরে দেশে কৃষিক্ষেত্রে সমৃদ্ধি আনতে একটি শুভ সূচনা হয়েছে। তিনি বলেন, কৃষকরা এখন গ্রাম থেকে আন্তর্জাতিক স্তর পর্যন্ত যাওয়ার জন্য আস্থা ও উপায় খুঁজে পেয়েছেন৷ সমবায়ের মাধ্যমে দলবদ্ধভাবে সমষ্টিগত সাফল্যের উপরও তাঁদের আস্থা বাড়ছে। শ্রী শাহ বলেন, বর্তমানে গ্রামেই খামার থেকে কারখানা পর্যন্ত একটি সামগ্রিক শৃঙ্খল  স্থাপনের ওপর জোর দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, প্রান্তিক কৃষকদের উন্নয়নের জন্য, গ্রাম থেকে বিশ্ব পর্যায়ে যাত্রার মানচিত্র তৈরি করা, সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস বাড়ানো এবং বিস্তৃত পর্যায়ে খামার থেকে কারখানার মূল্য শৃঙ্খল প্রতিষ্ঠা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, মোদী সরকার সহকার সে শক্তি, সহকার সে সহযোগ এবং সহকার সে সমৃদ্ধি এই তিনটি নীতিকে সামনে রেখে জনগণের লাভের মন্ত্রকে বাস্তবে পরিণত করছে।

শ্রী অমিত শাহ বলেন, সমবায়এর  উদ্দেশ্য হ'ল মুনাফা অর্জনের পাশাপাশি "জনগণকে প্রথম" রাখা। তিনি বলেন যে আমরা সমবায়ের মাধ্যমেই "জনগণের জন্য লাভ" নীতিটি উপলব্ধি করতে পারি। তিনি বলেন, আজ দুগ্ধ খাতে সম্প্রসারণ সম্পর্কিত "মার্গদর্শিকা" প্রকাশ, ছোট, বড় এবং সংকুচিত বায়োগ্যাস প্রকল্পগুলিতে আর্থিক সহায়তার জন্য এনডিডিবির প্রকল্পএবং সুস্থায়ী যুক্ত প্রকল্পেরও সূচনা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় সমবায় মন্ত্রী বলেন, জৈব সারকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে জেলা স্তরের দুগ্ধ ইউনিয়ন এবং গ্রামীণ ডেয়ারিগুলিকে সেই কৃষকদেরও পারস্পরিক সহযোগিতার মঞ্চে আনতে হবে যারা এখনও সমবায়ের সঙ্গে যুক্ত হননি। তিনি বলেন, অনেক কৃষক বেসরকারি ডেয়ারিকে দুধ দেয়, কিন্তু সমবায় ক্ষেত্রের উচিত তাদের উৎপাদিত গোবর এর বিষয়টি দেখা, যা আমাদের ন্যূনতম কার্যকারি সমস্যার সমাধান করবে এবং এতে বেসরকারি ক্ষেত্রে  দিকে এগিয়ে যাওয়া কৃষকদের সমবায় ক্ষেত্রে ফিরিয়ে আনতে সফল হব আমরা। শ্রী শাহ বলেন, ২ বছরের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ২৫০টি জেলা দুগ্ধ উৎপাদনকারী ইউনিয়নে মডেল হিসাবে গ্যাস উৎপাদনের জন্য করা পরীক্ষাগুলি সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য একটি কর্মসূচি তৈরি করা উচিত।

শ্রী অমিত শাহ বলেন, সমবায় ব্যাঙ্কগুলিতে সমস্ত অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য আমরা 'সমবায়গুলির মধ্যে সহযোগিতা' শুরু করেছি এবং আজ গুজরাটের ৯৩ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের সমবায় ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তিনি বলেন, এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সমবায়গুলির জন্য অর্থ উপলব্ধ করেছে এবং ব্যাংকগুলিও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, গুজরাটের মাইক্রো এটিএম মডেল রাজ্যের পশুসম্পদ কৃষকদের অভূতপূর্ব সুবিধা দিচ্ছে, নাবার্ডের উচিত এই মডেলটি দেশের প্রতিটি জেলায় নিয়ে যাওয়া। শ্রী শাহ বলেন, আমাদের প্রচেষ্টা হওয়া উচিত যে ফ্যাট পরিমাপ করা থেকে শুরু করে সমস্ত দুগ্ধজাত পণ্য পর্যন্ত সমস্ত যন্ত্রপাতি ভারতেই তৈরি করা উচিত। তিনি বলেন, কার্বন ক্রেডিটকে আমাদের ব্যবস্থার একটি অংশ করে তুলতে হবে এবং কৃষকদের কাছে তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য সমবায় মডেলে বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।

কেন্দ্রীয় সমবায় মন্ত্রী বলেন, আজ দেশে ২৩ টি রাজ্য স্তরের ইউনিয়ন রয়েছে তবে আমাদের শ্বেত বিপ্লব ২.০ এর অধীনে প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে একটি রাজ্য স্তরের ইউনিয়ন গঠনের পরিকল্পনা করা উচিত। তিনি বলেন, শ্বেত বিপ্লব ২.০-তে আমরা দেশের ৮০ শতাংশ জেলায় দুগ্ধ ইউনিয়ন গঠনের লক্ষ্যমাত্রা নিতে পারি এবং বাজারজাত ডেয়ারির সংখ্যা বর্তমানের ২৮ থেকে ৩ গুণ বাড়াতে প্রয়াস নিতে পারি। শ্রী শাহ বলেন, সমবায় দুগ্ধ ক্ষেত্রে উপভোক্তাদের কাছ থেকে আসা অর্থের ৭৫ শতাংশেরও বেশি সরাসরি কৃষকদের কাছে যায়। তিনি বলেন, কর্পোরেট সেক্টরে কৃষকরা মাত্র ৩২ শতাংশ টাকা পান। তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি কৃষকের জন্য কৃষক এবং কোম্পানিগুলির মধ্যে এই লাভের ব্যবধান কমানো আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত। এর পাশাপাশি, সমবায়ের সুবিধার্থে ১৬ কোটি টন গরুর গোবর আনার চেষ্টা করতে হবে।

শ্রী অমিত শাহ বলেন, মিথেন ও কার্বন ডাই অক্সাইডের নির্গমন ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে এবং এর ১০০ শতাংশ কার্বন ক্রেডিট কৃষকদের তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দেওয়া উচিত এবং এটিই সম্প্রসারণের মূল অর্থ।

তিনি বলেন, মহিলাদের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও দুগ্ধ সমবায় ক্ষেত্র অনেক কাজ করে এবং আজ ৭২ শতাংশ মহিলা সমবায় দুগ্ধ খাতে কাজ করছেন। শ্রী শাহ বলেন, এর থেকে প্রমাণিত হয় যে সমবায় দুগ্ধ ক্ষেত্রে মহিলাদের কর্মসংস্থান ও ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে কাজ চলছে।

জাতীয় দুগ্ধ উন্নয়ন বোর্ডের (এনডিডিবি) সহযোগিতায় ভারত সরকারের পশুপালন ও দুগ্ধ বিভাগ (ডিএএইচডি) এই কর্মশালাটির আয়োজন করেছে। এই উপলক্ষে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মৎস্য, পশুপালন ও ডেয়ারি মন্ত্রী শ্রী রাজীব রঞ্জন সিং ওরফে লাল্লন সিং, মৎস্য, পশুপালন ও ডেয়ারি মন্ত্রকের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক এসপি সিং বাঘেল এবং শ্রী জর্জ কুরিয়েন, মৎস্য, পশুপালন ও ডেয়ারি মন্ত্রকের সচিব শ্রীমতী অলকা উপাধ্যায় এবং অন্যান্য অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি৷

***

SKC/DM/KMD


(Release ID: 2107973) Visitor Counter : 26


Read this release in: English