স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক
অসম রাইফেলস আয়োজিত 'একতা উৎসব-এক কণ্ঠ, এক দেশ " শীর্ষক উৎসবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র এবং সমবায় মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ
২০২৭ সালের মধ্যে উত্তর-পূর্বের আটটি রাজ্যই রেল ও বিমান যোগাযোগের মাধ্যমে দিল্লির সঙ্গে যুক্ত হবে
प्रविष्टि तिथि:
20 FEB 2025 7:30PM by PIB Agartala
নয়াদিল্লি, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র এবং সমবায় মন্ত্রী অমিত শাহ আজ নতুন দিল্লিতে অসম রাইফেলস আয়োজিত 'একতা উৎসব-এক কণ্ঠ, এক দেশ "অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আসন অলংকৃত করেন। অসম রাইফেলসের মহানির্দেশক সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্য ঐক্য শব্দটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বাধীনতার পর বহু বছর ধরে উত্তর-পূর্বের একটি বিশাল এলাকা শারীরিক ও মানসিকভাবে দিল্লি থেকে দূরে ছিল। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতিসাধনের মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব ও দিল্লির মধ্যে শারীরিক ও মানসিক দূরত্ব দূর করেছেন। শ্রী শাহ বলেন, মোদী সরকার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্য বাজেট বরাদ্দ বাড়িয়েছে এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে তিন থেকে চার গুণ বেশি বাজেট দিয়েছে। তিনি বলেন, ২০২৭ সালের মধ্যে উত্তর-পূর্বের আটটি রাজ্যই রেল ও বিমান যোগাযোগের মাধ্যমে দিল্লির সঙ্গে যুক্ত হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে অষ্টলক্ষ্মী হিসাবে আখ্যায়িত করে এই অঞ্চলকে জনপ্রিয় করে তুলেছেন এবং এই অঞ্চলের ৮টি রাজ্যই দেশকে প্রতিটি ক্ষেত্রে সমৃদ্ধ করতে সক্ষম। তিনি বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের যুবসমাজের জন্য অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, নিরাপত্তা, ক্রীড়া এবং গবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রচুর সুযোগ রয়েছে। তিনি আরও বলেন, মোদী সরকার পর্যটন থেকে শুরু করে প্রযুক্তি, ক্রীড়া থেকে মহাকাশ, কৃষি থেকে শুরু করে উদ্যোক্তা এবং ব্যাঙ্কিং থেকে শুরু করে ব্যবসা-বাণিজ্য পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে উত্তর-পূর্বের জন্য অসংখ্য পথ খুলে দিয়েছে।
শ্রী শাহ বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ২২০টিরও বেশি তপসিলি জাতি গোষ্ঠী এবং ১৬০টিরও বেশি জনজাতি অংশের লোকজন বাস করে। ২০০টিরও বেশি ভাষায় লোকেরা কথা বলে। এই অঞ্চলে ৫০টিরও বেশি অনন্য উৎসব উদযাপিত হয় এবং ৩০টিরও বেশি ঐতিহ্যবাহী নৃত্য ও ১০০টিরও বেশি বিশেষ রন্ধনশৈলী রয়েছে। তিনি বলেন, এই সমস্ত কিছুই সমগ্র ভারতের জন্য একটি সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের সম্পদ, যা তার ঐতিহ্যের জন্য গর্বিত। শ্রী শাহ বলেন, উত্তর পূর্বকে ছাড়া ভারত এবং ভারত ছাড়া উত্তর পূর্ব অসম্পূর্ণ।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র এবং সমবায় মন্ত্রী বলেছেন, উত্তর-পূর্ব একতা উৎসবের ভাবনা হল 'এক কণ্ঠ, এক দেশ "। তিনি বলেন, আমাদের দেশ বহু ভাষা, সংস্কৃতি, রন্ধনশৈলী এবং পোশাকের এক অপূর্ব সংমিশ্রণ এবং বৈচিত্র্যের মধ্যে এই ঐক্যই আমাদের দেশের বিশেষত্ব এবং সবচেয়ে বড় শক্তি। পাঁচ দিনের এই একতা উৎসবের মাধ্যমে দিল্লিতে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ঐক্য প্রদর্শিত হয়েছে। শ্রী শাহ বলেন, অসম রাইফেলস হল ভারতের প্রাচীনতম আধাসামরিক বাহিনী এবং এই বাহিনীকে 'উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বন্ধু "হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, অসম রাইফেলস উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে অসংখ্য সংকট থেকে উদ্ধার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তিনি বলেন, এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আজ অসম রাইফেলস সমগ্র দেশ ও বিশ্বের কাছে উত্তর-পূর্বের একতা ও সাংস্কৃতিক শক্তি প্রদর্শন করতে সফল হয়েছে।
শ্রী শাহ বলেন, এই অনুষ্ঠানে ২১২টি দল এবং ১৫০০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। তাছাড়া ১৫০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছে। তিনি বলেন, আজ বেশিরভাগ পুরষ্কার জিতেছে মণিপুর। যা মণিপুরে খেলাধুলার গুরুত্বকে তুলে ধরে। শ্রী শাহ বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ক্রীড়ার জনপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মণিপুরে দেশের প্রথম ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি বলেন, সকলের জন্য খেলাধুলা, উৎকর্ষের জন্য খেলাধুলা ভারতে খেলাধুলার উন্নয়নের সূত্র হয়ে উঠেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আস্থা প্রকাশ করেন যে, ২০৩৬ সালে ভারত অলিম্পিকের আয়োজন করবে এবং দেশটি শীর্ষ দশে থাকবে, যেখানে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি এই অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিগত ১০ বছরে বিশেষ করে বিগত ৫ বছরে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়েছে। তিনি বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সহিংস ঘটনা ও নিরাপত্তা কর্মীদের মৃত্যু ৭০ শতাংশ এবং বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যু ৮৫ শতাংশ কমেছে। শ্রী শাহ বলেন, হিংসার এই হ্রাস প্রমাণ করে যে, এখন উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ধীরে ধীরে শান্তি বিরাজ করছে এবং উন্নয়ন ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নের এক নতুন যুগের সূচনা হচ্ছে।
শ্রী শাহ বলেন, ২০১৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ১০ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি জঙ্গি অস্ত্র সমর্পণ করেছে। তাছাড়া ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে এই অঞ্চলে ১২টি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। তিনি বলেন, কয়েক দশক ধরে এখানে অনেক বিতর্ক চলছিল, কিন্তু মোদী সরকার দুই ধাপ এগিয়ে গিয়ে যুবকদের বিশ্বাস করিয়েছিল যে তাদের জন্য অনেক সুযোগ রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সহিংসতায় লিপ্ত যুবকদের অস্ত্র সমর্পণ করে জীবনের মূলস্রোতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র এবং সমবায় মন্ত্রী বলেন, আজ ভারতের এমন কোনও অংশ নেই যা উত্তর-পূর্বকে নিজের বলে মনে করে না এবং যেখানে এই অঞ্চলের মানুষের প্রতি কোনও ভালবাসা নেই। তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি রাজ্যের মানুষের হৃদয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মানুষের জন্য একটি বিশেষ স্থান রয়েছে। পাশাপাশি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রতিটি রাজ্যকেও এগিয়ে এসে সমগ্র দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে হবে। শ্রী শাহ বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এখন শান্তি ও উন্নয়ন চায়। এই অঞ্চল ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে কাজ করতে চায়।
SKC/KG/PS/KMD
(रिलीज़ आईडी: 2105174)
आगंतुक पटल : 64
इस विज्ञप्ति को इन भाषाओं में पढ़ें:
English