নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রক
কেন্দ্রীয় বাজেট (২০২৫-২৬) মহিলা কল্যাণ কেন্দ্রিক কাজকে মজবুত করতে উত্তম ব্যয় বরাদ্দ: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রীমতি অন্নপূর্ণা দেবী মহিলা ও শিশু উন্নয়নে সরকারের অন্যতম পদক্ষেপগুলো নিয়ে আলোকপাত করেন
জীবনযাত্রার রূপান্তর, ভারতকে শক্তিশালী করাঃ ২০২৫-২৬ বাজেটে মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রকের বৈপ্লবিক পদক্ষেপ
পুষ্টি থেকে শুরু করে শিল্পোদ্যোগ সৃষ্টি: মহিলা ও শিশুদের জন্য ব্যাপক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েছে মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রক
Posted On:
11 FEB 2025 3:12PM by PIB Agartala
নয়াদিল্লি, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫: কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী আজ নয়াদিল্লিতে সাংবাদিকদের সামনে ২০২৫-২৬ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটের মূল বিধানগুলির রূপরেখা তুলে ধরেন। তিনি মহিলা উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করার পাশাপাশি শিশু ও মাতৃপুষ্টি বৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন উদ্যোগের সূচনা করেন।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের উপস্থাপিত কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৫-২৬-এ জেন্ডার বাজেট বরাদ্দের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির প্রতিফলন ঘটিয়েছেন। মহিলা কল্যাণ কেন্দ্রিক কর্মকান্ডের জন্য ব্যয় বরাদ্দ বা জেন্ডার বাজেট মোট বাজেটের ৮.৮৬%-এ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ছিল ৬.৮%। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী দৃঢ়তার সাথে বলেন, এই বাজেটের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ মন্ত্রকের বিভিন্ন লক্ষ্যযুক্ত পদক্ষেপের মাধ্যমে মহিলা ও মেয়েদের ক্ষমতায়নের জন্য অন্যতম ভূমিকা রাখবে। যা লিঙ্গ সমতা এবং নারী-নেতৃত্বাধীন উন্নয়নের ঘিরে সরকারের অঙ্গীকারকে তুলে ধরে।

এবারের বাজেটে মহিলাদের কল্যাণে ৪.৪৯ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৩৭.২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রক নারী কেন্দ্রিক উন্নয়ন কর্মসূচির জন্য মন্ত্রক নিজস্ব বাজেটের ৮১.৭৯% বরাদ্দ করেছে।
মহিলাদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষমতায়নের জন্য সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির কথা তুলে ধরে মন্ত্রী শ্রীমতি অন্নপূর্ণা দেবী বলেন, " ভারতের অর্থনৈতিক অগ্রগতির পিছনে মহিলা উদ্যোক্তারা অন্যতম চালিকা শক্তি। লক্ষ্যযুক্ত আর্থিক সহায়তা এবং দক্ষতা বিকাশ কর্মসূচি প্রদানের মাধ্যমে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং ন্যায়সঙ্গত বাস্তুতন্ত্র গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ২০২৫ সালের ১৮ মার্চ থেকে ২রা এপ্রিল পর্যন্ত সপ্তম পোষণ পাখওয়াড়ারও ঘোষণা করেন, যার মধ্যে চারটি মূল বিষয়কে কেন্দ্র করে সুফল ভিত্তিক কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে, যেমন জীবনের প্রথম ১০০০ দিনের উপর সর্বাধিক নজর; সুবিধাপ্রাপ্তদের মডিউলকে জনপ্রিয় করে তোলা; সিএমএএম (কমিউনিটি ম্যানেজমেন্ট অফ একিউট ম্যালনিউট্রিশান) মডিউল বাস্তবায়নের মাধ্যমে অপুষ্টি দূর করতে ব্যবস্থাপনা; শিশুদের মধ্যে স্থুলতার সমস্যা কমাতে স্বাস্থ্যকর জীবনধারা
VFDD.jpeg)
উপরন্তু, পোষণ পাখওয়াড়া ২০২৫ থেকে শুরু করে ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ পর্যন্ত ১০০০ সুপোশিত গ্রাম পঞ্চায়েত গড়ে না ওঠা পর্যন্ত, সামাজিক গোষ্ঠী পর্যায়ে সংবেদনশীলতা গড়ে তোলার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
অপুষ্টি মোকাবিলার প্রতিশ্রুতির অংশ হিসাবে, মন্ত্রক ২০২৪ সালের ২৬ শে ডিসেম্বর ভারত মণ্ডপমে বীর বাল দিবসের জাতীয় অনুষ্ঠানের সময় সুপোশিত পঞ্চায়েত প্রকল্প চালু করে। এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো তৃণমূল পর্যায়ে পুষ্টি ও স্বাস্থ্য সূচকের উন্নতিতর উদ্দ্যেশ্যে ব্যতিক্রমী প্রচেষ্টার জন্য সারা দেশের শীর্ষ ১০০০ গ্রাম পঞ্চায়েতকে 'সুপোশিত গ্রাম পঞ্চায়েত' হিসাবে চিহ্নিত ও পুরস্কৃত করা।
বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও-এর দশ বছর উদযাপন উপলক্ষে ১০০ দিনের এই প্রচারাভিযানের আওতায় দেশব্যাপী ১,৩৪২ টিরও বেশি কর্মসূচি পরিচালিত হয়েছে, যেখানে ১,৪১০ জন প্রতিনিধি সহ ১৩ লক্ষেরও বেশি অংশগ্রহণকারী অংশ নেন। এই কার্যক্রমেরে অনর্ভুক্ত ছিল বিভিন্ন ধরনের ক্রিয়াকর্ম, যেমন - মাসিক স্বাস্থ্য এবং পিসি/পিএনডিটি আইন সম্পর্কে সংবেদনশীলতা কর্মসূচি; পরিবেশগত সুস্থিতির প্রসারে বৃক্ষরোপণ অভিযান; শিক্ষাগত উৎকর্ষকে উৎসাহিত করতে মেধাবী ছাত্রীদের স্বীকৃতি দান:
এই প্রচারাভিযানেই মাধ্যমে লিঙ্গ সমতা বৃদ্ধি, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সারা দেশে অল্পবয়সী মেয়েদের কল্যাণ ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার অঙ্গীকারকে শক্তিশালী করতে সহায়ক ভূমিকা নেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রকের আরো বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ থেকে মন্ত্রকের পুরষ্কারপ্রাপ্ত ট্যাবলোর কথা উল্লেখ করেন, যা মন্ত্রকের গৃহীত প্রকল্পগুলির মাধ্যমে জীবনচক্রের ধারাবাহিকতার দৃষ্টিভঙ্গিকে সুন্দরভাবে চিত্রিত করেছে এবং নারী-নেতৃত্বাধীন উন্নয়নের থিমকে দৃঢ়তার সাথে তুলে ধরে। এবং তা, নারী ও শিশুদের ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রতিফলিত করেছে।
মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী রাজস্থানের উদয়পুরে ২০২৫ এর ১০ থেকে ১২ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত চিন্তন শিবিরের মতো মূল পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে নারী ও শিশু বিকাশের প্রতি সরকারের দায়বদ্ধতার কথা তুলে ধরেন। ওই অনুষ্ঠানে ৩২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন রাজ্য স্তর থেকে মহিলা ও শিশু উন্নয়ন দপ্তরের ১৬ জন মন্ত্রী। এই প্রতিনিধিদল নারী ও শিশুদের কল্যাণ ও উন্নয়ন সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
***
SKC/KG/PS /KMD
(Release ID: 2102115)