কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা
azadi ka amrit mahotsav

স্কিল ইন্ডিয়া কর্মসূচিকে অব্যাহত ও পুনর্গঠনের জন্য ৮,৮০০ কোটি টাকার বরাদ্দ সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন

কর্মশক্তির বিকাশ ও দক্ষতাকে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মেরুদণ্ড হিসেবে গড়ে তুলতে এই কর্মসূচি

Posted On: 07 FEB 2025 8:39PM by PIB Agartala

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে কেন্দ্রীয় প্রকল্প 'স্কিল ইন্ডিয়া কর্মসূচি "(এসআইপি) ২০২৬ সাল পর্যন্ত অব্যাহত রাখতে ও পুনর্গঠনের জন্য, ২০২২-২৩ থেকে ২০২৫-২৬ সময়কালের জন্য ৮,৮০০ কোটি টাকার বরাদ্দ সহ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। 

এই মঞ্জুরী সারাদেশে সংহত চাহিদাভিত্তিক প্রযুক্তি সক্ষম, এবং শিল্পোদ্যোগ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ, ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত কর্মশক্তি হিসেবে গড়ে তোলায় সরকারের দায়বদ্ধতারই প্রমাণ।

চতুর্থ পর্যায়ের প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনা (পিএম কেভিওয়াই ৪.০ ), প্রধানমন্ত্রী ন্যাশনাল আপ্রেন্টিস প্রমোশন স্কিম (পিএম-এনএপিএস), দ্য জন শিক্ষণ সংস্থান (জে এস এস) প্রকল্প- এই তিন গুরুত্বপূর্ণ উপাদানই বর্তমানে যৌথ কেন্দ্রীয় ক্ষেত্রের একত্রিত প্রকল্প ‘দক্ষ ভারত কর্মসূচি’ (এস আই পি )। এই পদক্ষেপের মূল লক্ষ্য- প্রান্তিক সম্প্রদায়সহ শহর এবং গ্রামীন উভয় ক্ষেত্রে কাঠামোগত দক্ষতা বিকাশ, অন-দ্য-জব ট্রেনিং বা কাজ ভিত্তিক প্রশিক্ষণ, সম্প্রদায় ভিত্তিক শিক্ষণসহ উচ্চ গুনমানের বৃত্তিমূলক শিক্ষা নিশ্চিত করা। কেন্দ্রীয় দক্ষতা বিকাশ ও স্বউদ্যোগ মন্ত্রকের এই তিন দিশারী প্রকল্পের আওতায় আজকের দিনে ২.২৭ কোটিরও বেশি সুবিধাপ্রাপক রয়েছেন।

চতুর্থ পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনার আওতায় ১৫ থেকে ৫৯ বছর বয়সী সুবিধাপ্রাপকদের উপযুক্ত শিক্ষণ স্বীকৃতি(আর পি এল )-র মাধ্যমে বিশেষ প্রকল্প(এস পি), পুনর্দক্ষতায়ন, দক্ষতার মানোন্নতিসহ স্বল্পমেয়াদী প্রশিক্ষণ(এস টি টি) এন এস কিউ এফ নিয়ন্ত্রিত দক্ষতা বিকাশের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করে থাকে। দক্ষতা বিকাশের প্রশিক্ষনকে জাতীয় অগ্রাধিকার এবং ক্রমবর্ধমান সহজলভ্যতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিল্পোদ্যোগ কেন্দ্রিক করে তুলতে চতুর্থ পর্যায়ের প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনা (পিএম কেভিওয়াই ৪.০ ) রূপান্তরণমূলক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছে। চতুর্থ পর্যায়ের প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনা (পিএম কেভিওয়াই ৪.০ )-র আওতায় গুরুত্বপূর্ণ একটি পরিবর্তন অন-দ্য-জব ট্রেনিং বা কাজ ভিত্তিক প্রশিক্ষণকে স্বল্পমেয়াদী দক্ষতায়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্তকরণের মাধ্যমে প্রশিক্ষার্থীদের বাস্তবসম্মত শিল্পোদ্যোগগত অভিজ্ঞতা এবং পরিচিতি নিশ্চিত করা। এক্ষেত্রে শিল্পোদ্যোগ ক্ষেত্রের চাহিদা, নতুন যুগের প্রযুক্তি সংক্রান্ত অগ্রগতি, চারশোরও বেশী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা(এআই) সংক্রান্ত পাঠ্যক্রম, ফাইভ জি বা পঞ্চম প্রজন্মের প্রযুক্তি, সাইবার নিরাপত্তা, সবুজ হাইড্রোজেন, ড্রোন প্রযুক্তির মত বিষয়কে উদীয়মান প্রযুক্তি এবং ভবিষ্যৎ দক্ষতার কথা মাথায় রেখে গতিশীলতা বজায় রাখতে সংযোজন করা হয়েছে।

মিশ্রিত এবং নমনীয় শিক্ষণ মডেলটি এখন ডিজিটাল ডেলিভারিকে অন্তর্ভূক্ত করে, যা প্রশিক্ষণকে আরও নমনীয় এবং মাপযোগ্য করে তোলে। লক্ষ্যভিত্তিক, শিল্প-প্রাসঙ্গিক দক্ষতা প্রদান করতে, শিক্ষার্থীদের উচ্চ-চাহিদাপূর্ণ কাজের ভূমিকায় দক্ষতার মানোন্নতি , পুনঃদক্ষতা এবং নিয়োগযোগ্যতা বাড়াতে সক্ষম করে তোলে এবং কর্মসূচিটি ৭.৫ থেকে ৩০ ঘন্টা মেয়াদী সুক্ষ-প্রামান্যতা ও জাতীয় পেশাগত মান (এন ও এস )-ভিত্তিক পাঠ্যক্রম চালু করে থাকে।

বিদ্যমান পরিকাঠামোর পারস্পরিক উপযোগিতা বাড়ানোর জন্য এবং মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণে সহজলভ্যতা সম্প্রসারিত করার জন্য, আইআইটি, এনআইটি, এবং জওহর নবোদয় বিদ্যালয় (জেএনভি), কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়, সৈনিক স্কুল, একলব্য মডেল আবাসিক স্কুল (ইএমআরএস) পি এম শ্রী স্কুল, টুলরুম, এনআইএলইটি, সিআইপিইটি ইত্যাদিসহ সারা দেশে গড়ে ওঠা প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে স্কিল বা দক্ষতার হাব স্থাপন করা হয়েছে। পিএম কেভিওয়াই ৪.০ একাধিক আঞ্চলিক ভাষায় প্রাপ্ত পাঠ্যক্রম সহ শিল্প-সংযুক্ত প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করে, যা দক্ষতাকে আরও অন্তর্ভুক্ত এবং সহজলভ্য করে তোলে। শেখার সুফল সম্প্রসারিত করতে প্রশিক্ষার্থী এবং প্রশিক্ষকদের জন্য ৬০০টিরও বেশি হ্যান্ডবুক আটটি আঞ্চলিক ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে।

মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ এবং মূল্যায়নকে শক্তিশালী করার জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলিতে মান ও দক্ষতা নিশ্চিত করতে এক লক্ষ মূল্যায়নকারী ও প্রশিক্ষকের একটি জাতীয় সেতুবন্ধন তৈরির পাশাপাশি শিল্প অংশীদারিত্বমূলক রিক্রুট ট্রেন ডিপ্লয় (আরটিডি) প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগও নিশ্চিত করা হচ্ছে।

উপরন্তু, এই স্কিমটি আন্তর্জাতিক গতিশীলতার উপর জোর দেয়, যাতে ভারতীয় শ্রমিকরা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত দক্ষতামানের উপযুক্ত হয়ে ওঠে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের মবিলিটি পার্টনারশিপ চুক্তি (এমএমপিএ) এবং সমঝোতা স্মারক রয়েছে। রয়েছে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রীয় দক্ষতা ফাঁক সংক্রান্ত গবেষণা পরিচালনার ব্যবস্থা। এই প্রকল্পের অধীনে, আমাদের কর্মশক্তির জন্য আন্তর্জাতিক গতিশীলতার সুযোগ বাড়াতে এক্তিয়ারভুক্ত দক্ষতা, যৌথ শংসাপত্র, ভাষার দক্ষতা এবং সফট স্কিলগুলিতে প্রশিক্ষণ সক্ষম করা শুরু করা হয়েছে।

পিএম কেভিওয়াই ৪.০-এর অধীনে, আন্তঃমন্ত্রণালয় অভিন্নতা পরিচালনার জন্য একটি সম্পূর্ণ-সরকারি পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে, যাতে ক্ষেত্র কেন্দ্রিক দক্ষতার উদ্যোগের নির্বিঘ্ন বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হয়। এই প্রকল্পটি বিভিন্ন দক্ষতা উন্নয়ন এবং শিল্পোদ্যোগ প্রকল্পে দক্ষতার উপাদানগুলি পূরণের মাধ্যমে সর্বাধিক প্রভাব এবং সম্পদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে৷ এতে মূল সহযোগিতার মধ্যে রয়েছে ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ মন্ত্রকের অধীনে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা, প্রধানমন্ত্রী সূর্য ঘর: মুফত বিজলি যোজনা, এবং নতুন ও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি মন্ত্রকের জাতীয় সবুজ হাইড্রোজেন মিশন, নল জল মিত্র ইত্যাদি।

দক্ষতা বাড়ানোর জন্য, ক্ষেত্রীয় দক্ষতার ফাঁক এবং শিল্পের প্রয়োজনগুলিকে আরও ভালভাবে চিহ্নিত করার জন্য চাহিদা মূল্যায়ন কৌশলের পুনর্বিন্যাস সহ পদ্ধতিগত পরিবর্তনগুলি চালু করা হয়েছে। পিএম কেভিওয়াই ৪.০-এর একটি মূল সংস্কার হল "সহজে ব্যবসা করার " পদ্ধতি, যা জটিলতার বোঝা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে প্রকল্পে অংশগ্রহণকে আরও সুগম এবং দক্ষ করে তুলেছে।

প্রধানমন্ত্রী জাতীয় শিল্পোদ্যোগ প্রোৎসাহন প্রকল্প (পি এম -এন এ পিএস):

২০১৫ সালের জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন ও শিল্পোদ্যোগ নীতিমালায় ভারতে দক্ষ জনশক্তি তৈরির অন্যতম প্রধান উপাদান হিসেবে শিক্ষানবিশীকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। শিক্ষানবিশ প্রশিক্ষণ কর্মক্ষেত্রে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে, যেখানে যুবকরা প্রকৃত কর্মক্ষেত্রে কাজ করে দক্ষতা অর্জন করতে পারে এবং একইসঙ্গে আর্থিক সহায়তা করার জন্য বৃত্তিবাবদ অর্থ উপার্জন করতে পারে। বিশ্বব্যাপী শিক্ষানবিশীকে দক্ষতা অর্জন এবং শেখার সময় উপার্জনের জন্য সেরা মডেল হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী জাতীয় শিক্ষানবিশতা প্রচার প্রকল্প (পি এম -এন এ পিএস) শিক্ষা থেকে কর্মক্ষেত্রে নির্বিঘ্নে রূপান্তরকে সমর্থন করে, যাতে শিক্ষানবিশরা বাস্তব জগতের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে শিল্প-নির্দিষ্ট দক্ষতা অর্জন করতে পারে। ভারতে শিক্ষানবিশ এবং প্রতিষ্ঠান উভয়কেই সহায়তা করার জন্য, কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক প্রদত্ত প্রশিক্ষণের সময়কালে প্রতি শিক্ষানবিশের জন্য প্রতি মাসে ১,৫০০ টাকা পর্যন্ত উপবৃত্তির ২৫%, সরাসরি সুবিধা স্থানান্তর (ডিবিটি) এর মাধ্যমে প্রদান করা হবে। এই প্রকল্পটি ১৪ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ব্যক্তিদের জন্য তৈরি করা হয়েছে, যা ভিন্ন জনসংখ্যার ক্ষেত্রে দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগগুলিতে অন্তর্ভূক্তিমূলক প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করে।

জন শিক্ষণ সংস্থান (জেএসএস) প্রকল্প অনুসারে গোষ্ঠী বা সম্প্রদায় কেন্দ্রিক দক্ষতায়নের উদ্যোগে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণকে বিশেষ করে ১৫-৪৫ বছর বয়সের মধ্যেকার মহিলা, গ্রামীন যুব অংশ, আর্থিকভাবে অনগ্রসরদের জন্য সহজলভ্য , নমনীয়, এবং অন্তর্ভূক্তিমূলক করে তলার প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। এর আওতায় পি এম জনমান, সমাজের সবার জন্য জীবনব্যাপী শিখন উপলব্ধি ( ইউ এল এল এ এস) ইত্যাদি রয়েছে।

জাতীয় কর্মকাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, স্কিল ইন্ডিয়া প্রোগ্রামের দক্ষ ভারত কর্মসূচির অধীনে সমস্ত শংসায়ন প্রক্রিয়া জাতীয় দক্ষতা যোগ্যতা কাঠামো (এন এস কিউ এফ ) এর সঙ্গে চিত্রিত করা হয় এবং ডিজিলকার ও জাতীয় ক্রেডিট ফ্রেমওয়ার্ক (এন সি আর এফ ) এর সঙ্গে নির্বিঘ্নে একীভূত করা হয়, যা দক্ষতার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি নিশ্চিত করে এবং কর্মসংস্থান ও উচ্চ শিক্ষায় মসৃণ রূপান্তরকে সম্ভব করে তোলে।

দক্ষ ভারত ধারাবাহিকতার মাধ্যমে, সরকার আজকের দ্রুত পরিবর্তনশীল কর্মসংস্থানের পরিস্থিতিতে ক্রমাগত দক্ষতা বৃদ্ধি এবং পুনঃদক্ষতার গুরুত্ব স্বীকার করে আজীবন শিক্ষার প্রতি তার প্রতিশ্রুতি জোরদার করতে চায়। এই উদ্যোগটি পর্যায়ক্রমিক শ্রমশক্তি জরিপ (পি এল এফ এস ) তথ্যে সরাসরি অবদান রাখবে, যাতে কর্মশক্তি উন্নয়ন নীতিগুলি অর্থনৈতিক ও শিল্প প্রবণতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকে তা নিশ্চিত করা যায়।

দ্রুত বিকাশমান বিশ্ব অর্থনীতিতে সাফল্যের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা দিয়ে ভারতের কর্মীবাহিনীকে প্রস্তুত করতে দক্ষ ভারত কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। শিল্প-প্রাসঙ্গিক প্রশিক্ষণ, উদীয়মান প্রযুক্তি এবং আন্তর্জাতিক গতিশীলতা অভিমুখী উদ্যোগগুলিকে একাত্ম করে এই কর্মসূচির লক্ষ্য অনুসারে একটি অত্যন্ত দক্ষ এবং প্রতিযোগিতামূলক কর্মীবাহিনী তৈরি করার প্রক্রিয়া এগিয়ে চলেছে। অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের একটি মূল চালিকাশক্তি হিসেবে, স্কিল ইন্ডিয়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিল্পোদ্যোগী তৈরী করার পাশাপাশি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতেও অবদান রাখছে। বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে শক্তিশালী করতে, দেশে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত কর্মীবাহিনীর স্বার্থে এবং দক্ষতা-ভিত্তিক কর্মসংস্থানে বিশ্বব্যাপী নেতা হিসেবে স্থান অর্জনের জন্য শিক্ষানবিশীর সুযোগ সম্প্রসারণ ও আজীবন শিক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কেন্দ্রীয় দক্ষতা উন্নয়ন ও শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রক (এমএসডিই)।

*****

SKC/SB/PS


(Release ID: 2101098) Visitor Counter : 20


Read this release in: English