উত্তর-পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রক
চেন্নাইয়ে উত্তর-পূর্ব বিনিয়োগ শীর্ষক শো’য়ের উদ্বোধন করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া
Posted On:
06 FEB 2025 9:29AM by PIB Agartala
উত্তর-পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রকের উদ্যোগে বুধবার চেন্নাইয়ে নর্থ ইস্ট ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট রোড শো আয়োজিত হয়। উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে শিল্প স্থাপনের জন্য বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা খুঁজতে এই রোড শো- ঘিরে আগ্রহী বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আগ্রহ তৈরী হয়েছে। এদিনের এই অনুষ্ঠানের সূচনা করেন উত্তর-পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রক (ডোনার) এবং যোগাযোগ মন্ত্রকের মাননীয় মন্ত্রী শ্রী জ্যোতিরাদিত্য এম সিন্ধিয়া৷ এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মিজোরাম সরকারের ক্রীড়া ও যুব পরিষেবা মন্ত্রী লালনিনঘিংলোভা মার এবং ডোনার মন্ত্রক, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদ ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির সরকারের পদস্থ আধিকারিকরা।

অনুষ্ঠানে ডোনার মন্ত্রী শ্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উত্তর-পূর্বকে ভারতের অষ্টলক্ষ্মী হিসাবে আখ্যায়িত করে এই অঞ্চলের উন্নয়নের ওপর জোর দিয়ে বলেছেন এই অঞ্চল দ্রুত শিল্পায়নের জন্য প্রস্তুত এক প্রধান অর্থনৈতিক সম্পদ। বিগত ১০ বছরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পরিকাঠামো ক্ষেত্রে যে সমস্ত উন্নয়নমূলক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে সেগুলির কথা উল্লেখ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বিশেষ করে, বিমান, সড়ক, রেল যোগাযোগ ও জলপথ প্রক্ষেত্রে বিপুল উন্নয়নের কথা তিনি উল্লেখ করেন।

মাননীয় ডোনার মন্ত্রী বলেন, উত্তর-পূর্বের আটটি রাজ্যের প্রত্যেকটিই অনন্য শক্তির মূর্ত প্রতীক৷ সম্পদ ও সুযোগ-সুবিধা এই অঞ্চলটিকে ভারতের অগ্রগতির গল্পের এক অমূল্য সম্পদ করে তুলেছে। সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য থেকে শুরু করে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং এর কৌশলগত অবস্থানেই দৌলতে দেশের অন্যতম প্রধান অর্থনৈতিক পাওয়ার হাউস হিসাবে আত্মপ্রকাশ করার অপার সম্ভাবনা ধারণ করে উত্তর-পূর্বাঞ্চল। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে এর নৈকট্য উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির প্রবেশদ্বার হিসাবে তুলে ধরেছে, যা ভারতের পূবে তাকাও নীতির সঙ্গে পুরোপুরি সঙ্গতিপূর্ণ। পর্যটন ও আতিথেয়তা, কৃষি ও সহযোগী শিল্প, স্বাস্থ্য পরিচর্যা, বিনোদন ও ক্রীড়া, পরিকাঠামো ও পণ্য পরিবহন সুবিধা, তথ্য প্রযুক্তি ও তথ্যপ্রযুক্তি, বস্ত্রবয়ন, তাঁত ও হস্তশিল্প, শক্তি প্রভৃতি ক্ষেত্রে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির সম্ভাবনার কথাও তিনি তুলে ধরেন।

বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করে শ্রী সিন্ধিয়া বলেন, এই অঞ্চলের যুবসমাজ, এই অঞ্চলের রাজ্যগুলোর উচ্চ সাক্ষরতার হার এবং প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্য্যের ফলে, বিনিয়োগের জন্য উত্তর পূর্বাঞ্চল এক আদর্শ গন্তব্য হিসাবে গড়ে উঠেছে। চেন্নাইয়ের প্রশংসা করে মাননীয় মন্ত্রী একে "সমৃদ্ধ আইটি পাওয়ার হাউস এবং ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সূতিকাগার" বলে অভিহিত করেন। তিনি এই শহরের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং বলিষ্ঠ শিল্প বাস্তুতন্ত্রের প্রশংসা করেন, যা চেন্নাইয়ের সম্ভাবনা এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের উদীয়মান অর্থনৈতিক দৃশ্যপটের মধ্যে সাদৃশ্য অঙ্কন করে। কৃষি, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, পর্যটন ও উৎপাদন ক্ষেত্রে উত্তর-পূর্ব ভারতের শক্তির কথা উল্লেখ করে তিনি চেন্নাইয়ের শিল্পোদ্যোগীদের এই ক্ষেত্রগুলিতে বিনিয়োগের জন্য আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, ভারতের বাঁশের সম্পদের ৩৮ শতাংশই উত্তর-পূর্বাঞ্চলে রয়েছে, যা চেন্নাইয়ের আসবাবপত্র শিল্পের জন্য বড় সুযোগ এনে দিতে পারে। এছাড়াও, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের হাইড্রোকার্বন ভাণ্ডার এবং জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের যে সম্ভাবনা রয়েছে, তা পুরোপুরিভাবে এখনো কাজে লাগানো যায়নি, কাজেই এই সম্পদকে কাজে লাগালাগানোর জন্য তাঁরা এগিয়ে আসতে পারেন। চেন্নাইয়ের বিনিয়োগকারীদের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে যাওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আমন্ত্রণ জানান। এই অঞ্চলের ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতেও শ্রী সিন্ধিয়া আহ্বান রাখেন৷
মিজোরামের ক্রীড়া ও যুব পরিষেবা মন্ত্রী তাঁর ভাষণে ১১ লক্ষ জনসংখ্যার একটি ছোট রাজ্য হওয়া সত্ত্বেও মিজোরামের বিপুল বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মিজোরামের ৫৫% জমি উদ্যানপালনের আওতায় রয়েছে, ম্যান্ডারিন কমলা, পেঁপে এবং ড্রাগন ফলের সাথে জিআই-ট্যাগযুক্ত আদা এবং মরিচ উৎপাদিত হয়, যেগুলোর মধ্য দিয়ে কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা দেখা যায়। মিজোরাম বাঁশ চাষেও সমৃদ্ধ, যা এখনও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অব্যবহৃত রয়েছে। তিনি উল্লেখ করে বলেন যে, মিজোরাম নিজেকে দেশের ক্রীড়া ক্ষেত্রে এক অন্যতম পাওয়ার হাউস হিসাবেও গড়ে তুলছে এবং ভারতের ২০৩৬ সালের অলিম্পিক পরিকল্পনার সাথে একাত্ম হয়েছে। তিনি বলেন, মিজোরাম জাতীয় স্তরের জন্য অনেক ক্রীড়াবিদ তৈরি করেছে, তাই ক্রীড়া ক্ষেত্রেও বিনিয়োগের দুর্দান্ত সম্ভাবনা রয়েছে। বিনিয়োগকারীদের মিজোরামের পর্যটন, পরিকাঠামো, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ প্রভৃতি ক্ষেত্রগুলি অনুসন্ধান করার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে ডোনার মন্ত্রকের সচিব শ্রী চঞ্চল কুমার তাঁর ভাষণে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিপুল বিনিয়োগের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে এই অঞ্চলকে উদ্ভাবন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং অর্থনৈতিক সুযোগের কেন্দ্র বলে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, এই অঞ্চলের মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং সমৃদ্ধ পর্যটন স্থল থাকার ফলে এই অঞ্চলের এই ক্ষেত্রটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ক্রমবর্ধমান আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, গত ১০ বছরে সড়ক, রেল, বিমান, জল এবং ডিজিটাল ক্ষেত্রে এই অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক রূপান্তর ঘটেছে। এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি জাতীয় গড়কে ছাড়িয়ে গেছে, এবং ব্যবসার জন্য একটি আদর্শ গন্তব্য হিসাবে পরিণত হয়েছে। বিনিয়োগে উৎসাহ দিতে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে জোট বেঁধে অনেক আকর্ষণীয় নীতি গ্রহণ করেছে।

তিনি জানান, সরকার পিপিপি মডেলের মাধ্যমে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রতিটি রাজ্যে আদর্শ পর্যটন গন্তব্যস্থল গড়ে তোলার জন্য আটটি পর্যটন স্থানকে চিহ্নিত করেছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলে তথ্য প্রযুক্তি ও তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রসমূহ যেভাবে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। উপরন্তু, তিনি জানান, উত্তর পূর্ব কৃষি ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলিতে অপরিসীম অর্থনৈতিক সম্ভাবনা সহ অনন্য পণ্য সরবরাহ করে চলেছে। তিনি বলেন, ভারত সরকার কর্তৃক চালু করা 'উন্নতি' কর্মসূচিতে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয় উৎসাহ প্রদান সুযোগ রাখা হয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, ত্রিপক্ষীয় মহাসড়ক এবং কালাদান মাল্টি মোডাল যোগাযোগ প্রকল্পের মাধ্যমে উত্তর-পূর্বাঞ্চল চিকিৎসা পর্যটনের দিক থেকে একটি মূল কেন্দ্র হয়ে উঠতে চলেছে, যা প্রতিবেশী দেশগুলির ৬০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষকে সেবা প্রদান করবে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে 'সিঙ্গল উইন্ডো' ব্যবস্হা চালু হলে ব্যবসা-বাণিজ্যের অনুকূল পরিবেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে। উত্তর-পূর্ব ভারতের রূপান্তর প্রচেষ্টায় অংশীদার হয়ে ওঠার জন্য তিনি বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানান।
'অ্যাডভান্টেজ নর্থ ইস্ট এবং অপরচুনিটিজ ফর ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ট্রেড' শীর্ষক বক্তৃতায় ডোনার এর যুগ্ম সচিব শ্রী শান্তনু বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অনেক সমৃদ্ধ অব্যবহৃত সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি জানান, গত ১০ বছরে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটেছে, তা সে বিমান, রেল, সড়ক বা জলপথই যাই হোক না কেন। তিনি জানান, গত এক দশক ধরে, সরকার সফলভাবে দীর্ঘিকাল ধরে অসংখ্য পড়ে থাকা প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন সম্পন্ন করেছে, বিভিন্ন প্রকল্প / উদ্যোগের মাধ্যমে স্থানীয় সম্প্রদায় এবং লক্ষ লক্ষ মানুষকে উপকৃত করেছে। তিনি বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সক্ষম পরিকাঠামো, কৌশলগত সংযোগ, উচ্চতর কর্মক্ষম জনসংখ্যা এবং ইংরেজিভাষী জনবল থাকার সুবাদে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাজারগুলিকে লক্ষ্য করে ব্যবসা করার জন্য এই অঞ্চলকে আদর্শ করে তুলেছে। তিনি তথ্য প্রযুক্তি ও তথ্য প্রযুক্তিসমূহ, স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি ও সহযোগী, শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন, ক্রীড়া ও বিনোদন, পর্যটন ও আতিথেয়তা, বস্ত্র, হস্তচালিত তাঁত এবং হস্তশিল্প, শক্তি, পরিকাঠামো ও লজিস্টিকের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই অঞ্চলের সুযোগ-সুবিধার কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, একাধিক ক্ষেত্র জুড়ে পর্যাপ্ত সুযোগের সাথে, উত্তর-পূর্ব ভারত বিনিয়োগকারীদের তার বিশাল সম্ভাবনা অন্বেষণ করতে এবং তার বিকাশের যাত্রার অংশ হতে স্বাগত জানাচ্ছে৷
বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের অধীনস্থ শিল্প ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য বিভাগের (ডিপিআইআইটি) প্রতিনিধি উন্নতি প্রকল্পের উপর একটি বিস্তারিত উপস্থাপনা তুলে ধরে অংশগ্রহণকারীদের সামনে এর সুবিধাগুলি এবং এ সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রণোদনা সম্পর্কে বিস্তৃত ধারণা তুলে ধরেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে 'উন্নতি' প্রকল্পের লক্ষ্য উত্তর-পূর্ব ভারতে শিল্পায়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে উৎসাহিত করা। এই প্রকল্পটি বিনিয়োগকারী এবং উৎপাদনকারী সংস্থাগুলিকে আকৃষ্ট করার জন্য উৎসাহ প্রদান করবে, 'অ্যাক্ট ইস্ট নীতি'র সাথে তালমিল যুক্ত এবং আমদানি নির্ভরতা হ্রাস করতে এবং রফতানি বাড়ানোর জন্য দেশীয় উৎপাদন ও পরিষেবাকে প্রসার ঘটাতে প্রয়াস নেবে।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির প্রতিনিধিত্বকারী পদস্থ আধিকারিকরা বিভিন্ন ক্ষেত্র জুড়ে উদীয়মান সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে কার্যকরী দৃষ্টিভঙ্গির কথা সেখানে তুলে ধরেন। চেন্নাই রোড শো শিল্প নেতাদের দৃঢ় অংশগ্রহণকে আকর্ষণ করে, উত্তর-পূর্ব ভারতের বিনিয়োগের আবেদনকে আরও জোরদার করেছে। এই ইভেন্টে বেশ কয়েকটি বি-টু-জি বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে তাদের বিনিয়োগ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করেছে।
চেন্নাই রোড শো -তে অংশগ্রহণকারীরা উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সহযোগিতামূলক উদ্যোগ অন্বেষণে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এই ইভেন্টটি কেবল অর্থবহ আলোচনাকেই উৎসাহিত করেনি বরং ভবিষ্যতের অংশীদারিত্বের ভিত্তিও স্থাপন করেছে, যা এই অঞ্চলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সুস্থায়ী উন্নয়নকে চালিত করবে। এই অনুষ্ঠানটি ভারত জুড়ে একাধিক সফল রোড শোয়ের ক্ষেত্রে আরও একটি মাইলফলক হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের অব্যবহৃত সম্ভাবনাকে তুলে ধরেছে।
*****
SKC/DM/KMD/Agt
(Release ID: 2100550)