অর্থ মন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

বাজেট-২০২৫ এর সংক্ষিপ্তসার

Budget Summary 2025-26

Posted On: 01 FEB 2025 1:31PM by PIB Agartala

নয়াদিল্লি, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫: কেন্দ্রীয় অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমণ আজ সংসদে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের কেন্দ্রীয় বাজেট উপস্থাপন করেছেন। এখানে তাঁর বাজেট ভাষণের সারাংশ:

‘ক’-অংশ:

“একটি দেশ শুধুমাত্র তার মাটি নয়; একটি দেশ তার মানুষকে নিয়ে"—তেলেগু কবি ও নাট্যকার শ্রী গুরজাদা আপ্পা রাওয়ের এই বিখ্যাত উক্তিকে উদ্ধৃত করে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী শ্রীমতি নির্মলা সীতারমণ শনিবার ‘সবকা বিকাশ’-এর মূল ভাবনাকে সংশ্লিষ্ট করে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের জন্য ‘সবার জন্য ও সকল ক্ষেত্রের জন্য’ একটি ভারসাম্যপূর্ণ ও সুষম উন্নয়নের বাজেট উপস্থাপন করেছেন।

এই মূল ভাবনাকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী উন্নত ভারতের যে মূল নীতিমালা বর্ণনা করেছেন, তার মধ্যে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে:

ক) দারিদ্র্যশূন্যতা;

খ) শতভাগ ভালো মানের স্কুল-শিক্ষা;

গ) উচ্চমানের, সাশ্রয়ী এবং সার্বিক স্বাস্থ্য পরিষেবার সুযোগ;

ঘ) শতভাগ দক্ষ শ্রমিক এবং অর্থপূর্ণ কর্মসংস্থান;

ঙ) অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীদের মধ্য থেকে ৭০ শতাংশের অংশগ্রহণ; এবং

চ) কৃষকরা আমাদের দেশকে বিশ্বের ‘খাদ্য ভাণ্ডার’ হিসেবে তৈরি করছেন।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের কেন্দ্রীয় বাজেট সরকারি উদ্যোগগুলোকে ত্বরান্বিত করার, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন অর্জন, বেসরকারি খাতের বিনিয়োগে গতি সঞ্চার, পরিবারের মনোবলের উন্নতি এবং ভারতের ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্তের ব্যয়-ক্ষমতা বৃদ্ধি করার প্রতিশ্রুতি দেয়। এই বাজেট গরিব, যুবক, কৃষক (অন্নদাতা) এবং  নারী বিষয়ক ক্ষেত্রে বেশি গুরুত্ব দিয়ে উন্নয়নমূলক পদক্ষেপের প্রস্তাব করেছে।

এই বাজেটের লক্ষ্য করব্যবস্থা, বিদ্যুৎ, নগর উন্নয়ন, খনি, অর্থনীতি এবং নিয়ন্ত্রণমূলক সংস্কারের মাধ্যমে ভারতের অগ্রগতির সক্ষমতা এবং বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা বাড়ানোর জন্য রূপান্তরমূলক সংস্কারের সূচনা করা।

কেন্দ্রীয় বাজেটের মূল বিষয়গুলির মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে যে, কৃষি, এমএসএমই, বিনিয়োগ এবং রফতানি হল ‘বিকশিত ভারত’ অভিযাত্রার মূল ইঞ্জিন, যেখানে সংস্কারগুলোকে জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করা হবে এবং তা অন্তর্ভুক্তির চেতনার দ্বারা পরিচালিত হবে।

১ম ইঞ্জিন: কৃষি:

বাজেটে ঘোষণা করা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী ধন-ধান্য কৃষি যোজনা’র কথা, যা রাজ্যগুলোর সাথে যৌথভাবে ১০০টি জেলার মধ্যে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, ফসলের বৈচিত্র্য গ্রহণ, পরবর্তী ফসল সংগ্রহের জন্য মজুতের স্থান বাড়ানো, সেচ সুবিধার উন্নয়ন এবং দীর্ঘমেয়াদী ও স্বল্পমেয়াদী ঋণের সুবিধা প্রদান করতে কাজ করবে।

রাজ্যগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে একটি বিস্তৃত বহুমুখী ‘গ্রামীণ সমৃদ্ধি ও স্থিতিস্থাপকতা’ কর্মসূচি চালু করা হবে, যার উদ্দেশ্য কৃষিতে অপ্রতুল কর্মসংস্থান সমস্যার সমাধান করা, দক্ষতা উন্নয়ন, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি এবং গ্রামীণ অর্থনীতিকে সজীব করা। এর লক্ষ্য হলো, গ্রামীণ অঞ্চলে প্রচুর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা, বিশেষ করে গ্রামীণ নারী, যুব-কৃষক, গ্রামীণ যুবক, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক এবং ভূমিহীন পরিবারদের উপর মনোযোগ দেওয়া।

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, সরকার ৬ বছরের জন্য “ডালের  উৎপাদনে আত্মনির্ভরতার অভিযান” চালু করবে, যার মূল লক্ষ্য থাকবে তুর, উড়দ ও মুসুর ডালের উৎপাদন বৃদ্ধির দিকে। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি (নাফেড এবং এনসিসিএফ) আগামী ৪ বছরের মধ্যে কৃষকদের কাছ থেকে এই ৩টি ডাল যত পরিমাণে বিক্রির জন্য দেওয়া হবে, তা কিনে নিতে প্রস্তুত থাকবে।

বাজেটে শাকসবজি ও ফলের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি, উচ্চ ফলনশীল বীজ সম্পর্কিত জাতীয় মিশন এবং তুলা উৎপাদনশীলতার জন্য পাঁচ বছরের মিশন সহ কৃষি ও সংশ্লিষ্ট কাজকর্মের প্রচারের জন্য অন্যান্য পদক্ষেপের রূপরেখাও দেওয়া হয়েছে।

শ্রীমতী সীতারমণ সংশোধিত সুদের ছাড় প্রকল্পের আওতায় কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ঋণের ক্ষেত্রে ঋণের সীমা ৩ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করার কথা ঘোষণা দিয়েছেন।

২য় ইঞ্জিন: এমএসএমই (লঘু, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ):

অর্থমন্ত্রী এমএসএমই-গুলিকে উন্নয়নের দ্বিতীয় শক্তি-ইঞ্জিন হিসাবে বর্ণনা করেছেন, কারণ তারা আমাদের রফতানির ৪৫% জুড়ে আছে। এমএসএমই-গুলোর দক্ষতা বাড়ানো, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এবং পুঁজি পাওয়ার সুযোগ বাড়াতে, এই খাতের জন্য বিনিয়োগ এবং টার্নওভারের সীমা যথাক্রমে ২.৫ গুণ এবং ২ গুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়াও, ঋণের সহজলভ্যতা বাড়াতে এবং গ্যারান্টি কভার দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ ঘোষণা করা হয়েছে।

  অর্থমন্ত্রী ৫ লক্ষ মহিলা এবং তপশিলি জাতি ও তপশিলি জনজাতির প্রথম বারের উদ্যোক্তাদের জন্য একটি নতুন প্রকল্প চালু করার কথাও ঘোষণা করেন। এর ফলে আগামী পাঁচ বছরে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত মেয়াদী ঋণ পাওয়া যাবে।

শ্রীমতী সীতারমণ ঘোষণা করেছেন যে, সরকার একটি নতুন স্কিম বাস্তবায়ন করবে, যার লক্ষ্য ভারতের খেলনা শিল্পকে বৈশ্বিক বাজারে 'মেড ইন ইন্ডিয়া' ব্র্যান্ডের প্রতিনিধিত্বকারী একটি কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা। তিনি “মেক ইন ইন্ডিয়া” উদ্যোগের জন্য ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বড় শিল্প নিয়ে একটি জাতীয় উৎপাদন মিশন চালু করার কথাও ঘোষণা করেছেন।


৩য় ইঞ্জিন: বিনিয়োগ:

বিনিয়োগকে তৃতীয় শক্তি-ইঞ্জিন হিসেবে চিহ্নিত করে, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জনগণ, অর্থনীতি এবং উদ্ভাবনে বিনিয়োগের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেছেন।

মানুষের মধ্যে বিনিয়োগের বিষয় নিয়ে তিনি ঘোষণা করেছেন যে, আগামী ৫ বছরের মধ্যে সরকারি স্কুলগুলোতে ৫০,০০০টি অটল টিংকারিং ল্যাব তৈরি করা হবে।

শ্রীমতী সীতারমণ ঘোষণা করেছেন যে, ‘ভারতনেট প্রকল্পে’র আওতায় গ্রামীণ এলাকার সমস্ত সরকারি মাধ্যমিক স্কুল এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ব্রডব্যান্ড সংযোগ প্রদান করা হবে।

তিনি আরও বলেছেন, ভারতীয় ভাষা পুস্তক স্কিম বাস্তবায়ন করা হবে, যার মাধ্যমে স্কুল এবং উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভারতীয় ভাষার ডিজিটাল মাধ্যমের বই প্রদান করা হবে।

দক্ষতা উন্নয়নের জন্য পাঁচটি “ন্যাশনাল সেন্টার অফ এক্সেলেন্স ফর স্কিলিং” গড়ে তোলার কথা তিনি বলেছেন, যেখানে বৈশ্বিক দক্ষতা এবং অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমাদের যুব অংশকে “মেক ফর ইন্ডিয়া, মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ড” উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা প্রদান করা হবে।

তাছাড়া, শিক্ষার জন্য একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) কেন্দ্র স্থাপন করা হবে, যার জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকবে।

বাজেটে ঘোষণা করা হয়েছে যে, সরকার গিগ কর্মীদের জন্য পরিচয় পত্র, ই-শ্রম পোর্টালে তাদের নিবন্ধন এবং প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার আওতায় স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করবে।

অর্থনীতিতে বিনিয়োগের আওতায় শ্রীমতী সীতারমণ বলেছেন যে, পরিকাঠামো সম্পর্কিত মন্ত্রকগুলো পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) মডেলে তিন বছরের প্রকল্পের একটি পরিকল্পনা প্রস্তুত করবে।

তিনি আরও যোগ করেছেন যে, রাজ্যগুলোর মূলধন ব্যয়ের জন্য ৫০ বছরের সুদমুক্ত ঋণের জন্য ১.৫ লাখ কোটি টাকার বরাদ্দ এবং সংস্কারের জন্য উৎসাহ প্রদান করা হবে।

তিনি দ্বিতীয় অ্যাসেট মনিটাইজেশন পরিকল্পনা ২০২৫-৩০ ঘোষণা করেছেন, যার মাধ্যমে নতুন প্রকল্পগুলোর জন্য ১০ লাখ কোটি টাকার মূলধন পুনর্বিনিয়োগ করা হবে।

‘জল জীবন মিশন’ ২০২৮ সাল পর্যন্ত সম্প্রসারিত হবে, যার মূল লক্ষ্য গ্রামীণ এলাকায় নলবাহিত জল সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নত করা এবং এর কাজকর্ম ও রক্ষণাবেক্ষণ “জন-অংশীদারিত্বের” মাধ্যমে উন্নত করা।

সরকার ‘উন্নয়নকেন্দ্রিক নগরী’, ‘সৃজনশীল নগর পুনর্গঠন’ এবং ‘জল ও স্যানিটেশন’ সম্পর্কিত প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ১ লাখ কোটি টাকার ‘নগর চ্যালেঞ্জ তহবিল’ গঠন করবে।

উদ্ভাবনে বিনিয়োগের আওতায়, সরকার বেসরকারি ক্ষেত্রের পরিচালিত গবেষণা, উন্নয়ন এবং উদ্ভাবন উদ্যোগের জন্য ২০,০০০ কোটি টাকার বরাদ্দ ঘোষণা করেছে।

অর্থমন্ত্রী জাতীয় জিওস্পেশিয়াল মিশনের প্রস্তাব করেছেন, যা মূলভিত্তিক জিওস্পেশিয়াল পরিকাঠামো এবং ডেটা তৈরি করবে, যা শহর পরিকল্পনায় সহায়ক হবে।

বাজেটে ‘জ্ঞাণ ভারতম মিশন’র প্রস্তাব করা হয়েছে, যেখানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মিউজিয়াম, লাইব্রেরি এবং ব্যক্তিগত সংগ্রাহকদের সঙ্গে মিলে ১ কোটিরও বেশি পাণ্ডুলিপি সমীক্ষা, দলিলবদ্ধকরণ এবং সংরক্ষণের কাজ করা হবে। একটি জাতীয় ডিজিটাল রেপোজিটরি তৈরি করা হবে, যা ভারতীয় জ্ঞানব্যবস্থার তথ্য আদান-প্রদানের জন্য ব্যবহৃত হবে।

৪র্থ ইঞ্জিন: রফতানি:

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ রফতানিকে প্রবৃদ্ধির চতুর্থ শক্তি-ইঞ্জিন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি জানান, বাণিজ্য মন্ত্রক, এমএসএমই মন্ত্রক এবং অর্থমন্ত্রকের যৌথ উদ্যোগে ‘রফতানি প্রচার মিশন’ চালু করা হবে, যা ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের সুযোগ করে দেবে।

অর্থমন্ত্রী আরও জানান, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য একটি ডিজিটাল পাবলিক পরিকাঠামো ‘ভারত ট্রেড নেট’ (বিটিএন) চালু করার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা বাণিজ্য সংক্রান্ত নথিপত্র ও অর্থায়নের জন্য একটি সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।

দেশীয় উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলের সঙ্গে ভারতের অর্থনীতির সংযুক্তি নিশ্চিত করতে সরকার সহায়তা দেবে। পাশাপাশি, ইন্ডাস্ট্রি-৪.০’র সুযোগ কাজে লাগাতে দেশীয় ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম শিল্পের বিকাশে সরকার সহায়তা করবে। উদীয়মান দ্বিতীয় সারির শহরগুলিতে ‘গ্লোবাল ক্যাপাবিলিটি সেন্টার’ প্রতিষ্ঠার জন্য একটি জাতীয় কাঠামোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

এছাড়া, সরকার বিমানবন্দরগুলিতে পণ্য পরিবহন পরিকাঠামো ও গুদামজাতকরণের উন্নয়ন করবে, যেখানে উচ্চ মূল্যের ও দ্রুত নষ্ট হয়ে যাওয়া উদ্যানজাত পণ্যের ক্ষেত্রেও বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে।

সংস্কার হলো জ্বালানি:

সংস্কারকে প্রবৃদ্ধির ইঞ্জিনের জ্বালানি হিসেবে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ বলেন, গত ১০ বছরে সরকার করদাতাদের সুবিধার জন্য একাধিক সংস্কার কার্যকর করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ফেসলেস বা অদৃশ্যভাবে কর মূল্যায়ন, করদাতা সনদ, দ্রুত রিটার্ন প্রসেসিং, প্রায় ৯৯ শতাংশ স্ব-মূল্যায়িত রিটার্ন এবং ‘বিবাদ সে বিশ্বাস’ প্রকল্প। এই প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতায় তিনি কর দফতরের প্রতিশ্রুতি—"আগে বিশ্বাস, পরে যাচাই"—এর পুনর্ব্যক্ত করেন।

আর্থিক খাতের সংস্কার ও উন্নয়ন:

‘সহজে ব্যবসা করার সুযোগ’ (ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস) নিশ্চিত করতে সরকার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করেছে। অর্থমন্ত্রী ভারতের আর্থিক ক্ষেত্রের নানা পরিসরে সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছেন, যাতে নিয়মকানুন মেনে চলা সহজ হয়, সেবার পরিধি বাড়ে, শক্তিশালী নিয়ন্ত্রণ কাঠামো গড়ে ওঠে, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত হয় এবং পুরনো অপ্রয়োজনীয় আইনগুলোর অপরাধমূলক দিক বাতিল করা যায়।

তিনি আরও প্রস্তাব করেন, ভারতের বিমা খাতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) সীমা ৭৪% থেকে বাড়িয়ে ১০০% করা হবে| তবে শর্ত হলো— সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে তাদের সমস্ত প্রিমিয়াম ভারতেই বিনিয়োগ করতে হবে।

উৎপাদনশীলতা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য আস্থা-ভিত্তিক নীতি কাঠামো:

অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ একটি ‘লাইট-টাচ রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক’ অর্থাৎ সহজ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নীতি-কাঠামোর প্রস্তাব দিয়েছেন, যা বিশ্বাস ও নীতির উপর ভিত্তি করে গড়ে তোলা হবে, যাতে উৎপাদনশীলতা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পায়। একবিংশ শতকের জন্য আধুনিক, নমনীয়, জন-বান্ধব ও আস্থা-ভিত্তিক এই কাঠামো গড়ে তুলতে চারটি নির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়ার কথা তিনি উল্লেখ করেছেন—

১. নিয়ন্ত্রণ সংস্কারের জন্য উচ্চস্তরীয় কমিটি:

আর্থিক খাতের বাইরের বিভিন্ন বিধি-বিধান, সার্টিফিকেশন, লাইসেন্স ও অনুমোদন পর্যালোচনা করা।

আস্থা-ভিত্তিক অর্থনৈতিক শাসনব্যবস্থা জোরদার করা এবং বিশেষত পরিদর্শন ও নিয়ম-নীতি মেনে চলার ক্ষেত্রে ‘সহজে ব্যবসা করার সুযোগ’ আরও উন্নত করা। এক বছরের মধ্যে সুপারিশ প্রদান করা। রাজ্য সরকারগুলোকে এতে অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহিত করা।

২. রাজ্যগুলোর বিনিয়োগ-সহায়ক সূচক:

প্রতিযোগিতামূলক ও সহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে উৎসাহিত করতে ২০২৫ সালে রাজ্যগুলোর বিনিয়োগ-সহায়ক সূচক চালু করা হবে।

৩. আর্থিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন পরিষদের (এফএসডিসি) আওতায় নতুন ব্যবস্থা:

বিদ্যমান আর্থিক বিধি-বিধান ও সহায়ক নির্দেশনাগুলোর প্রভাব মূল্যায়নের ব্যবস্থা গড়ে তোলা। আর্থিক খাতের বিকাশের জন্য এগুলোকে আরও কার্যকর ও গতিশীল করার কাঠামো প্রণয়ন করা।

৪. জন বিশ্বাস বিল ২.০:  

বিভিন্ন আইনের ১০০টিরও বেশি ধারাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য না করার প্রস্তাব করা হয়েছে, যাতে ব্যবসার পরিবেশ আরও অনুকূল হয়।

রাজস্ব ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের অঙ্গীকার:

আর্থিক স্থিতিশীলতা অর্জনের জন্য নির্ধারিত পথ গ্রহণ বা রাজস্ব ঘাটতি সংযমের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ জানিয়েছেন যে, সরকার প্রতি বছর ঘাটতিকে এমন মাত্রায় রাখার চেষ্টা করছে, যাতে কেন্দ্রীয় সরকারের ঋণের পরিমাণ মোট জিডিপির তুলনায় ক্রমশ হ্রাস পায়। আগামী ছয় বছরের জন্য এই নীতির বিশদ রূপরেখা এফআরবিএম বিবৃতিতে প্রকাশ করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আরও জানান, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সংশোধিত অনুমান অনুযায়ী রাজস্ব ঘাটতি জিডিপির ৪.৮% এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট অনুমান অনুযায়ী এটি ৪.৪% নির্ধারণ করা হয়েছে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের সংশোধিত অনুমান:

অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সংশোধিত অনুমান অনুযায়ী ঋণ ছাড়া মোট রাজস্ব আদায় হবে ৩১.৪৭ লাখ কোটি টাকা, যার মধ্যে নেট কর আদায়ের পরিমাণ ২৫.৫৭ লাখ কোটি টাকা। তিনি আরও বলেন, মোট সরকারি ব্যয়ের পরিমাণ ধরা হয়েছে ৪৭.১৬ লাখ কোটি টাকা, যার মধ্যে মূলধনী ব্যয় প্রায় ১০.১৮ লাখ কোটি টাকা।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট অনুমান:

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানান যে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ঋণ ছাড়া মোট রাজস্ব আদায় ৩৪.৯৬ লাখ কোটি টাকা এবং মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ₹৫০.৬৫ লাখ কোটি টাকা। এছাড়া, নেট কর আদায়ের পরিমাণ ₹২৮.৩৭ লাখ কোটি টাকা নির্ধারিত হয়েছে।

‘খ-অংশ’:

দেশ গঠনে মধ্যবিত্তের উপর আস্থা স্থাপন করে, ২০২৫-২৬ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে ব্যক্তিগত ও বেতনভোগী আয়করদাতাদের জন্য কর প্রস্তাবে বলা হয়েছে- বার্ষিক ১২ লক্ষ টাকা আয় পর্যন্ত আয়কর দিতে হবে না। সাথে বেতনভোগী আয়করদাতাদের জন্য স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন এর রেহাই থাকছে ৭৫,০০০ টাকা পর্যন্ত। 

এছাড়া, এর অতিরিক্ত কর যোগ্য আয়ের  ক্ষেত্রে যে কর প্রদানের কাঠামো প্রস্তাব করা হয়েছে তা এইরকম:

বার্ষিক  ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের জন্য কোনো কর লাগবে না। ৪থেকে ৮লক্ষ টাকা আয়ের ব্যক্তিদের জন্য ৫শতাংশ কর দিতে হবে। ৮থেকে ১২ লক্ষ টাকার স্ল্যাবের জন্য ১০ শতাংশ কর দিতে হবে। ১২ থেকে ১৬ লক্ষ টাকা আয় পর্যন্ত ১৫ শতাংশ, ১৬ থেকে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। ২০ থেকে ২৪ লক্ষ টাকা উপার্জনকারীদের জন্য ২৫শতাংশ এবং ২৪ লক্ষ টাকার উপরে আয়ের ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ করের প্রস্তাব করা হয়েছে। তিনি জোর দিয় বলেন যে নতুন কাঠামোটি মধ্যবিত্তের কর উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করবে এবং তাদের হাতে আরও অর্থ আসবে, পরিবারের সঞ্চয় এবং বিনিয়োগকে বাড়িয়ে তুলবে। এই প্রস্তাবগুলির ফলে, সরকারের প্রত্যক্ষ করের প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা এবং পরোক্ষ করের ২৬০০ কোটি টাকা রাজস্ব কম হবে।

বাজেট পেশ করে, অর্থমন্ত্রী সীতারমণ বলেছেন যে, এবারের বাজেটে বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করা, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন, বেসরকারি ক্ষেত্রের বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা এবং মধ্যবিত্তের ব্যয় ক্ষমতা বাড়ানোর ওপর জোর দেয়া হয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশনায়, সরকার জনগণের প্রয়োজনীয়তা বোঝার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সরাসরি কর প্রস্তাবগুলির মধ্যে ব্যক্তিগত আয়কর সংস্কারের সাথে মধ্যবিত্তের উপর বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে, টিডিএস/টিসিএস রেশনালাইজেশন, স্বেচ্ছায় সম্মতি দেওয়ার ক্ষেত্রে উৎসাহ, সম্মতির বাধ্যবাধকতা কমানো, ব্যবসা করার সুবিধা এবং কর্মসংস্থান এবং বিনিয়োগের প্রণোদনা দেয়া হয়েছে।

স্বেচ্ছায় এবং ইচ্ছাকৃতভাবে করদাতাদের তাদের আয়কর রিটার্ন আপডেট বা সংশোধন করার জন্য উৎসাহিত করায় উৎসাহ দেওয়ার জন্য, বাজেট পরবর্তী আপডেটেড রিটার্ন জমা দেওয়ার সময়সীমা বৃদ্ধি করে বর্তমানের দুই বছরের পরিবর্তে চার বছর করা হয়েছে। ৯০ লক্ষের বেশি করদাতা তাদের আয়ের তথ্য আপডেট করার জন্য অতিরিক্ত কর পরিশোধ করেছেন। ছোট দাতব্য ট্রাস্ট/প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের নিবন্ধনের সময়সীমা ৫ বছর থেকে ১০ বছর বৃদ্ধি করে সুবিধা দেওয়া হয়েছে, যাতে সম্মতি দেওয়ার বোঝা কমানো যায়। এছাড়াও, করদাতারা এখন কোনো শর্ত ছাড়াই দুইটি ‘নিজস্ব ব্যবহারের’ সম্পত্তির বার্ষিক মূল্যকে শূন্য হিসেবে দাবি করতে পারবেন। গত বাজেটের ‘বিবাদ সে বিশ্বাস’ স্কিমটি ভালো সাড়া পেয়েছে, প্রায় ৩৩,০০০ করদাতা এই স্কিমের মাধ্যমে তাদের বিরোধ নিস্পত্তি করেছেন। বয়স্ক এবং অতিবয়স্ক নাগরিকদের জন্য সুবিধা প্রদান করে ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট অথবা তার পরবর্তী সময়ে ন্যাশনাল সেভিংস স্কিম অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার ক্ষেত্রে তা করমুক্ত রাখা হয়েছে। এনপিএস বাৎসল্য অ্যাকাউন্টের জন্যও একই ধরনের সুবিধা দেওয়া হবে। 

বাণিজ্য সহজতার জন্য, বাজেট আন্তর্জাতিক লেনদেনের জন্য তিন বছরের ব্লক পিরিয়ডের আর্মস লেংথ প্রাইস নির্ধারণের একটি স্কিম প্রবর্তন করেছে। এটি বৈশ্বিক সেরা অনুশীলনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এছাড়াও, আন্তর্জাতিক করের ক্ষেত্রে সুনিশ্চয়তা প্রদানের জন্য সেলফ হারবার বিধিগুলি সম্প্রসারিত করা হচ্ছে।

বিদেশি নাগরিকদের ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগের প্রচারের জন্য একটি অনুমানযোগ্য কর ব্যবস্থা প্রস্তাবিত হয়েছে, যারা এমন কোনো কোম্পানিকে সেবা প্রদান করেন যা ইলেকট্রনিক্স উৎপাদন সুবিধা স্থাপন বা পরিচালনা করছে। এছাড়াও, বিদ্যমান “টনেজ ট্যাক্স স্কিমে”র সুবিধা অভ্যন্তরীণ ভেসেলগুলোর জন্য সম্প্রসারিত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। স্টার্ট-আপ পরিবেশ উন্নীত করতে, প্রতিষ্ঠানের মেয়াদ ৫ বছর বাড়ানো হয়েছে। পরিকাঠামো খাতে বিনিয়োগ প্রচারের জন্য, সোভেরেন ওয়েলথ ফান্ডস বা রাষ্ট্রের মালিকানাধীন ও নিয়ন্ত্রিত তহবিল এবং পেনশন ফান্ডে বিনিয়োগের তারিখ পাঁচ বছর বাড়িয়ে ৩১ মার্চ ২০৩০ পর্যন্ত করা হয়েছে।

শিল্পজাত পণ্যের কাস্টমস শুল্ককে সঙ্গতিপূর্ণ করার অংশ হিসেবে, বাজেট প্রস্তাব করেছে— (i) সাতটি শুল্কের হার বা নিয়ম বাতিল  করা, (ii) কার্যকর শুল্কের পরিমাণ বজায় রাখতে উপযুক্ত সেস প্রযোজ্য করা, এবং (iii) একটির বেশি সেস বা সারচার্জ আরোপ না করা।

ওষুধ আমদানিতে সঙ্কট প্রশমনে, ক্যান্সার, বিরল রোগ এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ৩৬টি জীবনরক্ষাকারী ওষুধকে পূর্ণরূপে বেসিক কাস্টমস ডিউটি (বিসিডি) থেকে মুক্ত করা হয়েছে। আরও ৩৭টি ওষুধ এবং ১৩টি নতুন ওষুধ, যা রোগীদের সহায়তা কর্মসূচির আওতায় সরবরাহ করা হয়, সেগুলো রোগীদেরকে বিনামূল্যে দেওয়া হলে, সেগুলোকেও বেসিক কাস্টমস ডিউটি থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।

ঘরোয়া উৎপাদন এবং মূল্য সংযোজনকে সহায়তা করতে, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ২৫টি গুরুত্বপূর্ণ খনিজের ওপর বেসিক কাস্টমস ডিউটি (বিসিডি)  মুকুব করা হয়েছিল, যেগুলো দেশীয়ভাবে পাওয়া যেত না। বাজেট ২০২৫-২৬ এর অধীনে, কোবাল্ট পাউডার, লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির বর্জ্য, স্ক্র্যাপ, সীসা, জিংক এবং আরও ১২টি গুরুত্বপূর্ণ খনিজকে পূর্ণরূপে বিসিডি থেকে মুক্ত করা হয়েছে। দেশীয় টেক্সটাইল উৎপাদনকে উৎসাহিত করতে, দুটি নতুন ধরনের শাটল-লেস লুমসকে পূর্ণরূপে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। 

ইনভার্টেড ডিউটি স্ট্রাকচার সংশোধন এবং "মেক ইন ইন্ডিয়া" উদ্যোগকে সহায়তা করতে, ইন্টারঅ্যাকটিভ ফ্ল্যাট প্যানেল ডিসপ্লে (আইপিএফডি) এর ওপর বেসিক কাস্টমস ডিউটি ২০% বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং ওপেন সেলসের ওপর এটি ৫% কমানো হয়েছে। আরও, ওপেন সেলস উৎপাদনকে উৎসাহিত করার জন্য ওপেন সেলসের যন্ত্রাংশগুলোর ওপর বিসিডি মুকুব করা হয়েছে।

দেশে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি উৎপাদন বাড়ানোর জন্য, ইভি ব্যাটারি উৎপাদনের জন্য ৩৫টি অতিরিক্ত পুঁজির যন্ত্রপাতি এবং মোবাইল ফোন ব্যাটারি উৎপাদনের জন্য ২৮টি অতিরিক্ত পুঁজির যন্ত্রপাতি কাস্টমস থেকে মুক্তির তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৫-২৬-এ জাহাজ বা অন্য সমুদ্র-যান নির্মাণের কাঁচামাল, উপকরণ, ব্যবহারযোগ্য বস্তু বা যন্ত্রাংশের ওপর বিসিডি মুকুবের সুবিধা ১০ বছর বাড়ানো হয়েছে।  

রফতানি বৃদ্ধির জন্য, বাজেট ২০২৫-২৬ –এ হস্তশিল্পের রফতানির সুবিধার্থে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, ওয়েট-ব্লু চামড়ার ওপর বেসিক কাস্টমস ডিউটি বিসিডি সম্পূর্ণভাবে মুকুব করা হয়েছে, যাতে মূল্য সংযোজন এবং কর্মসংস্থান বাড়ানো যায়।

কেন্দ্রীয় অর্থ এবং কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমণ বলেছেন যে, গণতন্ত্র, জনসংখ্যা এবং চাহিদা হলো ‘বিকশিত ভারত’ অভিযানের মূল স্তম্ভ। তিনি বলেন, মধ্যবিত্ত শ্রেণি ভারতের উন্নতির মূল শক্তি, এবং তাদের অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সরকার বিভিন্ন সময়ে 'নির্বাচিত কর মুক্ত' স্ল্যাব বৃদ্ধি করেছে। মন্ত্রী বলেন, নতুন কর কাঠামোটি মধ্যবিত্তের হাতে আরও বেশি অর্থ পৌঁছে দিয়ে খরচ, সঞ্চয় এবং বিনিয়োগকে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করবে।

***

SKC/ADK/PS/KMD


(Release ID: 2098841) Visitor Counter : 1058


Read this release in: English