প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী দিল্লিতে ১২,২০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন
প্রধানমন্ত্রী সাহিবাবাদ এবং নিউ অশোক নগরের মধ্যে নমো ভারত করিডোরের উদ্বোধন করার সাথে দিল্লি প্রথম নমো ভারত সংযোগ পেল
ভারতের মেট্রো নেটওয়ার্ক এখন ১,০০০ কিলোমিটার অবধি পৌঁছেছে; একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্যঃ প্রধানমন্ত্রী
মেক ইন ইন্ডিয়া-র পাশাপাশি বিশ্ব “হিল ইন ইন্ডিয়া”-কে মন্ত্র হিসাবে গ্রহণ করবেঃ প্রধানমন্ত্রী
Posted On:
05 JAN 2025 2:23PM by PIB Agartala
নয়াদিল্লি, ০৫ জানুয়ারি ২০২৫।। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ দিল্লিতে ১২,২০০ কোটি টাকারও অধিক মূল্যের একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। আঞ্চলিক সংযোগ বৃদ্ধি করা এবং ভ্রমণের সহজতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার এই প্রকল্পগুলি হাতে নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এদিন সাহিবাবাদ আরআরটিএস স্টেশন থেকে নিউ অশোক নগর আরআরটিএস স্টেশন পর্যন্ত নমো ভারত ট্রেনেরও যাত্রা করেন।
এই উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ দিল্লি-এনসিআর ভারত সরকারের কাছ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপহার পেয়েছে এবং ভারতের শহরাঞ্চলে যাতায়াতের সুবিধার আরও ব্যাপ্তি ঘটেছে। উন্নত ভারতীয় শহরগুলিতে ভবিষ্যতের গণপরিবহনের সুযোগ-সুবিধায় সমৃদ্ধ "নমো ভারত" ট্রেনে করে তিনি এদিন অনুষ্ঠানের আগে সাহিবাবাদ থেকে নিউ অশোক নগর পর্যন্ত সফর করেন। এই অভিজ্ঞতার কথা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, এই যাত্রা পথে বহু তরুণীর সাথে তাঁর আলাপচারিতার সময় তিনি তাঁদের মধ্যে আশা ও প্রাণ চাঞ্চল্য লক্ষ্য করেন। প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, 'নমো ভারত "প্রকল্পের কাজ শেষ হলে দিল্লি-মীরাট রুটে যান চলাচলে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসবে। তিনি দিল্লি-এনসিআর-এর জনগণকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
শ্রী মোদী বলেন, আধুনিক পরিকাঠামো গড়ার যাত্রায় আজ ভারতের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অর্জিত হলো। তিনি উল্লেখ করেন যে, ভারতের মেট্রো নেটওয়ার্ক এখন ১,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছেছে এবং এটি একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য বলে তিনি প্রশংসা করেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, ২০১৪ সালে দেশ যখন তাঁদের একাটা সুযোগ দিয়েছিল, তখন ভারত মেট্রো সংযোগের ক্ষেত্রে বিশ্বের শীর্ষ দশেও ছিল না এবং গত দশ বছরে ভারত মেট্রো নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম দেশে পরিণত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন যে, তাঁদের সরকারের বর্তমান মেয়াদে ভারতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মেট্রো নেটওয়ার্ক হয়ে উঠবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালের আগে ভারতের মেট্রো নেটওয়ার্ক ছিল মাত্র ২৪৮ কিলোমিটার এবং মাত্র পাঁচটি শহরে সীমাবদ্ধ ছিল। তিনি উল্লেখ করেন যে, বিগত দশ বছরে ভারতে ৭৫২ কিলোমিটারেরও বেশি নতুন মেট্রো লাইনের উদ্বোধন হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দেশের ২১ টি শহরে মেট্রো পরিষেবা চালু রয়েছে, যেখানে ১,০০০ কিলোমিটারেরও বেশি মেট্রো রুট দ্রুত উন্নয়নের অধীনে রয়েছে। আজ যে দুটি নতুন রুটের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়েছে সেগুলোর মাধ্যমে দিল্লি মেট্রোর সম্প্রসারণের কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী জোর দিয়ে বলেন যে, গুরগাঁওয়ের পর হরিয়ানার আরও একটি অংশকে এখন মেট্রো নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, রিঠালা-নারেলা-কুণ্ডলি করিডোর দিল্লি মেট্রো নেটওয়ার্কের বৃহত্তম অংশগুলির মধ্যে একটি হবে, যা দিল্লি ও হরিয়ানার প্রধান শিল্প কেন্দ্রগুলির মধ্যে সংযোগকে শক্তিশালী করবে এবং মানুষের যাতায়াতকে সহজ করে তুলবে। ভারত সরকারের নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলে দিল্লিতে মেট্রো রুট ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং তিনি বলেন যে, ২০১৪ সালে দিল্লি-এনসিআর-এ মোট মেট্রো নেটওয়ার্ক ২০০ কিলোমিটারেরও কম ছিল এবং আজ তা দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে।
শ্রী মোদী বলেন, "গত এক দশকে সরকারের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল পরিকাঠামো উন্নয়নের দিকে। তিনি উল্লেখ করেন যে, দশ বছর আগে পরিকাঠামোর জন্য বাজেট ছিল প্রায় দুই লক্ষ কোটি টাকা, যা এখন বেড়ে ১১ লক্ষ কোটি টাকার বরাদ্দ হয়েছে। তিনি আরও বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিক করে তোলার উপর জোর দেওয়া হয়েছে, বিশেষ করে শহরগুলির মধ্যে এবং এক শহরের সঙ্গে অন্য শহরের সংযোগ স্থাপনের উপর। প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে, দিল্লি থেকে বিভিন্ন শহরের মধ্যে এক্সপ্রেসওয়ে গড়ে উঠছে এবং দিল্লিকে শিল্প করিডোরের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এনসিআর-এ একটি বড় মাল্টি-মডেল লজিস্টিক হাব গড়ে তোলা হচ্ছে এবং দিল্লি-এনসিআর-এ দুটি মালবাহী করিডর একত্রিত হচ্ছে। শ্রী মোদী উল্লেখ করেন যে, এই প্রকল্পগুলি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখছে এবং যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আধুনিক পরিকাঠামো দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত সহ প্রত্যেকের জন্য মর্যাদাপূর্ণ ও গুণমানসম্মত জীবন নিশ্চিত করতে সহায়ক হয়ে উঠছে।
স্বাস্থ্য সেবা ক্ষেত্রে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম মানুষের কাছে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার ওপর সরকার গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার আয়ুষ ও আয়ুর্বেদের মতো পরম্পরাগত ভারতীয় চিকিৎসা ব্যবস্থাকেও উৎসাহিত করছে। তিনি আরও বলেন, গত এক দশকে আয়ুষ ব্যবস্থা ১০০ টিরও বেশি দেশে প্রসারিত হয়েছে। শ্রী মোদী উল্লেখ করেন যে, ঐতিহ্যবাহী ওষুধের সঙ্গে যুক্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)-র প্রথম প্রতিষ্ঠান ভারতে স্থাপন করা হবে। তিনি আরও বলেন, কয়েক সপ্তাহ আগে তিনি অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ আয়ুর্বেদ-এর দ্বিতীয় পর্যায়ের উদ্বোধন করেন।
শ্রী মোদী বলেন, আজ কেন্দ্রীয় আয়ুর্বেদ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে এবং এই সাফল্যের জন্য তিনি দিল্লির জনগণকে বিশেষ অভিনন্দন জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, "স্বাস্থ্য ও সুস্থতার জন্য বিশ্বের রাজধানী হওয়ার অপার সম্ভাবনা রয়েছে ভারতের। তিনি বলেন, সেই দিন আর দূরে নয় যখন ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র পাশাপাশি বিশ্ব ‘হিল ইন ইন্ডিয়া’-কে একটি মন্ত্র হিসেবে গ্রহণ করবে। তিনি আরও বলেন, ভারতে এসে আয়ুষ চিকিৎসার সুবিধা গ্রহণের জন্য বিদেশী নাগরিকদের সুবিধার্থে একটি বিশেষ আয়ুষ ভিসা সুবিধা চালু করা হয়েছে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই শত শত বিদেশী নাগরিক এই সুবিধা থেকে উপকৃত হয়েছেন। ভারত সরকারের এই প্রচেষ্টা দিল্লিকে উন্নয়নের নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে আস্থা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণ শেষ করেন।
এই অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রী শ্রী মনোহর লাল, দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর শ্রী বিনয় কুমার সাক্সেনা, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী অতিশি সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
***
SKC/ML/PS/KMD
(Release ID: 2090411)
Visitor Counter : 17