তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক"
উত্তরপূর্বাঞ্চল থেকে লাদাখ: আইএফএফআই-২০২৪-এর আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে নন-ফিচার ফিল্ম;
নন-ফিচার ফিল্মের বিচারকমণ্ডলী তথ্যচিত্র বা ডকুমেন্টারির জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি, পরামর্শ প্রদান এবং আর্থিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন;
বিচারকমণ্ডলী উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নন-ফিচার ফিল্মের অর্থায়নে সহায়তা করার জন্য এনএফডিসি’র সাম্প্রতিক উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন;
“তথ্যচিত্র এবং নন-ফিচার ফিল্ম নিয়ে গণমাধ্যম ও ফিল্ম ক্লাবগুলোতে আরও বেশি আলোচনা হওয়া উচিত”:- বন্দনা কোহলি।
Posted On:
21 NOV 2024 10:00PM by PIB Agartala
“আমরা সারা দেশ থেকে ২৫০টিরও বেশি এন্ট্রি পেয়েছি, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় এসেছে উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে”— গোয়ায় ৫৫তম ভারতের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে (আইএফএফআই) এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানালেন ভারতীয় প্যানোরামার নন-ফিচার ফিল্মস জুরির চেয়ারপার্সন শ্রী সুব্বাইয়া নাল্লামুথু। তিনি বলেন, “কলেজের ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে তরুণ নির্মাতা সহ সমাজের বিভিন্ন অংশ থেকে এন্ট্রি জমা পড়েছে। কনটেন্ট এবং গল্প বলার দক্ষতাই ছিল মূলত নির্বাচনের মানদণ্ড”।
বিচারকমণ্ডলীর সদস্য শালিনী শাহ লাদাখি চলচ্চিত্রকে উদ্বোধনী চলচ্চিত্র হিসেবে নির্বাচিত করায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। তিনি একে “একটি বিরল এবং গর্বের মুহূর্ত” বলে অভিহিত করেন। এছাড়া, হরিয়ানভি সিনেমার উন্নতির কথাও তিনি তুলে ধরেন, যা দক্ষ পরামর্শমূলক উদ্যোগের ফল হিসেবে উঠে এসেছে।
জুরিরা নন-ফিচার ফিল্মের প্রতি আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়ার জরুরি প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন। মিস বন্দনা কোহলি বলেছেন, “এই ধরনের চলচ্চিত্র নিয়ে মিডিয়ায় আরও বেশি আলোচনা হওয়া উচিত এবং দর্শক ও নির্মাতাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে ফিল্ম ক্লাব গড়ে তোলা উচিত।” তিনি মেন্টরিং-এর গুরুত্ব তুলে ধরে উল্লেখ করেন যে, অনেক সময় কনটেন্ট বা মূল বিষয় প্রায়ই অসাধারণ হয়ে থাকে, তাই সম্পাদনা ও গল্প বলার শৈলীকে পেশাদারি পরামর্শের মাধ্যমে আরও উন্নত করা যেতে পারে।
নতুন প্রবণতা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে, বিচারকমণ্ডলী উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে জমা পড়া এন্ট্রির উল্লেখযোগ্য সংখ্যা-বৃদ্ধির কথা জানান। তাঁরা শহুরে চলচ্চিত্র নির্মাতাদেরও প্রশংসা করেন, যারা দূরবর্তী অঞ্চলে গিয়ে প্রভাবশালী তথ্যচিত্র নির্মাণ করছেন। এই বছর নির্বাচিত চলচ্চিত্রের বিভিন্ন থিমে এই প্রয়াসের প্রতিফলন দেখা যায়।
বিচারকমণ্ডলী সম্মিলিতভাবে তথ্যচিত্র নির্মাণে আরও বেশি সহায়তার আহ্বান জানান। তাঁরা উল্লেখ করেন যে, উপযুক্ত প্ল্যাটফর্মের অভাব এই ধরনের চলচ্চিত্রের বিস্তার নানা ধরনের বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোকে এগিয়ে এসে নন-ফিচার ফিল্মের প্রযোজনা ও প্রচারের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান তাঁরা। তাঁদের মতে, “সচেতনতা বৃদ্ধি, আর্থিক সহায়তা এবং প্রচারের জন্য একটি সুগঠিত ব্যবস্থা এই বিষয়টিকে সহযোগিতা করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।”
বিচারকমণ্ডলী পরামর্শ দিয়েছেন যে, সিএসআর তহবিলগুলি থেকে বিভিন্ন নন-ফিচার ফিল্ম প্রজেক্টে আর্থিক সহায়তার জন্য বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়টি সরকার বিবেচনা করতে পারে। তাঁরা জাতীয় চলচ্চিত্র উন্নয়ন নিগম (এনএফডিসি)-এর সাম্প্রতিক উদ্যোগগুলির প্রশংসা করেন। যে উদ্যোগের মাধ্যমে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নন-ফিচার ফিল্মগুলির জন্য অর্থায়ন করা হচ্ছে এবং এর পাশাপাশি ডকুমেন্টারি রিসোর্স ইনিশিয়েটিভের সূচনা হয়েছে।
সাত সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত নন-ফিচার ফিল্ম বিচারকমণ্ডলীতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন শ্রী সুব্বাইয়া নাল্লামুথু। তিনি একজন খ্যাতনামা তথ্যচিত্র নির্মাতা এবং বহু পুরস্কারে ভূষিত। এর মধ্যে রয়েছে বিখ্যাত ভি. শান্তারাম লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড এবং পাঁচটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এছাড়াও তিনি বহু আন্তর্জাতিক ও জাতীয় চলচ্চিত্র উৎসবের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। নন-ফিচার বিচারকমণ্ডলীর অন্য সদস্যদের মধ্যে যারা আছেন, তাঁদের প্রত্যেকেরই অনেক প্রশংসিত সিনেমা রয়েছে এবং তারা ব্যক্তিগত ভাবে বিভিন্ন চলচ্চিত্র সংস্থা ও পেশার প্রতিনিধিত্ব করেন। একইসঙ্গে তাঁরা সমষ্টিগতভাবে ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পের সমৃদ্ধ এবং বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির প্রতিবিম্ব।
নন-ফিচার ফিল্ম বিচারকমণ্ডলীর অন্য সদস্যরা হলেন:
- শ্রী সুব্বাইয়া নাল্লামুথু (চেয়ারপার্সন)
- শ্রী রজনীকান্ত আচার্য, প্রযোজক এবং চলচ্চিত্র পরিচালক
- শ্রী রোনেল হাওবাম, চলচ্চিত্র পরিচালক
- মিস উষা দেশপাণ্ডে, চলচ্চিত্র পরিচালক এবং প্রযোজক
- মিস বন্দনা কোহলি, চলচ্চিত্র পরিচালক এবং লেখিকা
- শ্রী মিথুনচন্দ্র চৌধুরি, চলচ্চিত্র পরিচালক
- মিস শালিনী শাহ, চলচ্চিত্র পরিচালক
সাংবাদিক সম্মেলনটি শেষ করতে গিয়ে মিস বন্দনা কোহলি মন্তব্য করেন যে, “তথ্যচিত্র সম্পর্কে আমাদেরকে বুঝতে হবে, তাদের গুরুত্ব উপলব্ধি করতে হবে এবং তাদের উদযাপন করতে হবে।” সাংবাদিক সম্মেলন সঞ্চালনা করেন শ্রী সাইয়িদ রবিহাশমি।
ভারতের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৪-এর ভারতীয় প্যানোরামা বিভাগে ২৬২টি ফিল্ম থেকে নির্বাচিত ২০টি নন-ফিচার ফিল্ম প্রদর্শিত হবে। নন-ফিচার ফিল্মগুলো উদীয়মান এবং প্রতিষ্ঠিত চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সক্ষমতা প্রদর্শন করে, যারা তথ্যচিত্র তৈরি করা, অনুসন্ধান, বিনোদন এবং আধুনিক ভারতীয় মূল্যবোধ প্রতিফলিত করার মাধ্যমে তাদের কাজের পরিচয় দেন। নন-ফিচার ফিল্ম বিভাগের উদ্বোধনী চলচ্চিত্র হিসেবে বিচারকমণ্ডলীর নির্বাচিত ফিল্ম হল ‘ঘর জ্যায়সা কুছ’ (লাদাখি), যা পরিচালনা করেছেন শ্রী হর্ষ সাংগানি।
৫৫তম আইএফএফআই চলচ্চিত্র নির্মাতাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে চলেছে, যা বিশ্বের চলচ্চিত্র মহলের মধ্যে সংলাপ, উদ্ভাবন এবং সহযোগিতাকে উৎসাহিত করছে।
বিস্তারিত পড়ুন:https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=2067711
*****
SKC/ADK/KMD
(Release ID: 2076069)
Visitor Counter : 7