প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ রোজগার মেলায় ভাষণ দিলেন

দেশের যুবসমাজ যাতে সর্বাধিক কর্মসংস্থান পায়, এটাই আমাদের অঙ্গীকারঃ প্রধানমন্ত্রী


ভারত আজ বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার দিকে এগিয়ে চলেছেঃ প্রধানমন্ত্রী

আমরা প্রতিটি নতুন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে 'মেক ইন ইন্ডিয়া’র প্রচার করেছি, আত্মনির্ভর ভারতের জন্য কাজ করেছিঃ প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রীর ইন্টার্নশিপ প্রকল্পের আওতায় ভারতের শীর্ষ ৫০০টি কোম্পানিতে পেইড ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা করা হয়েছেঃ প্রধানমন্ত্রী

Posted On: 29 OCT 2024 11:53PM by PIB Agartala

নয়াদিল্লি, ২৯ অক্টোবর, ২০২৪: প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রোজগার মেলায় ভাষণ দেন এবং সরকারি বিভিন্ন দফতর ও সংস্থাগুলিতে নবনিযুক্ত ৫১,০০০ এর বেশি যুবক-যুবতীকে নিয়োগপত্র বিতরণ করেন। দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিকেই তুলে ধরে রোজগার মেলা। এটি যুবসমাজকে দেশ গঠনে অবদান রাখার ক্ষেত্রে অর্থপূর্ণ ও কার্যকর সুযোগ প্রদান করে তাদেরকে ক্ষমতায়িত করবে।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ধনতেরাসের শুভ দিনের কথা উল্লেখ করেন এবং সবাইকে ধনতেরাসের শুভেচ্ছা জানান। এবারের দীপাবলি উৎসবকে বিশেষ ও ব্যতিক্রমী হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৫০০ বছর পর অযোধ্যায় ভগবান শ্রী রামচন্দ্র তাঁর অপূর্ব মন্দিরে উপবিষ্ট হওয়ার পর এটিই প্রথম দীপাবলি। তিনি বলেন, এই দীপাবলির জন্য বহু প্রজন্ম অপেক্ষা করেছেH এর মধ্যে অনেকে এর জন্য তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছেন বা নানা প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েছেন। বর্তমান প্রজন্ম এই ধরনের উদযাপনের সাক্ষী হতে পেরে অত্যন্ত ভাগ্যবান। উৎসবের এই পরিবেশে ৫১,০০০ যুবক-যুবতীকে সরকারি চাকরির জন্য নিয়োগপত্র দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান।

প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে, লক্ষ লক্ষ যুবক-যুবতীকে স্থায়ী সরকারি চাকরির সুযোগ দেওয়া একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া যা ক্রমাগত হয়ে চলেছে। বিজেপি এবং এনডিএ-র শরিক রাজ্যগুলিতেও লক্ষ লক্ষ যুবক-যুবতীকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। শ্রী মোদী বলেন, হরিয়ানায় নবগঠিত সরকারের পক্ষ থেকে ২৬,০০০ যুবক-যুবতীকে চাকরি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উৎসবের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। কোনও রকম খরচ বা সুপারিশ ছাড়াই চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে হরিয়ানা সরকারের বিশেষ পরিচয় রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হরিয়ানার সেই ২৬,০০০ যুবক-যুবতীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন, যারা এই রোজগার মেলায় চাকরি দেওয়া ৫১,০০০ চাকরির বাইরে চাকরিতে নিযুক্ত হচ্ছেন।

দেশের যুব সম্প্রদায় যাতে সর্বাধিক কর্মসংস্থান পায়, সে বিষয়ে সরকারের অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সরকারের নীতি ও সিদ্ধান্তের সরাসরি প্রভাব রয়েছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এক্সপ্রেসওয়ে, মহাসড়ক, সড়ক, রেল, বন্দর ও বিমানবন্দরের উন্নয়ন এবং ফাইবার ক্যাবল বসানো, মোবাইল টাওয়ার স্থাপন এবং দেশের সর্বত্র নতুন শিল্পের সম্প্রসারণের কথা উল্লেখ করেন। জল ও গ্যাসের পাইপলাইন স্থাপন, নতুন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন এবং পরিকাঠামোতে খরচ করে লজিস্টিক খরচ কমিয়ে আনার কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, এর ফলে নাগরিকরা শুধুমাত্র উপকৃতই হচ্ছেন না, নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হচ্ছে।

সোমবার গুজরাটের ভদোদরায় তাঁর সফরের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের  বিমান উৎপাদন কেন্দ্রের উদ্বোধন করার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, হাজার হাজার নাগরিক প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান পাবেন এবং লঘু, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলি খুচরা যন্ত্রাংশ ও অন্যান্য সরঞ্জাম তৈরির মাধ্যমে ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে, যা সরবরাহ শৃঙ্খলের একটি বিশাল নেটওয়ার্ক গড়ে তুলবে। একটি বিমানে ১৫ হাজার থেকে ২৫ হাজার যন্ত্রাংশ রয়েছে বলে উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন যে, হাজার হাজার ছোট কারখানা এই মেগা-কারখানার চাহিদা পূরণে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে| যার ফলে ভারতের লঘু, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগগুলি উপকৃত হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন কোনও প্রকল্প চালু করা হয়, তখন শুধুমাত্র নাগরিকরা কী ধরনের সুবিধা পাবেন, তার দিকেই মনোনিবেশ করা হয় না, বরং বৃহত্তর পরিসরে চিন্তাভাবনার মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টির একটি সম্পূর্ণ বাস্তুতন্ত্র গড়ে তোলার দিকেও মনোনিবেশ করা হয়। তিনি “সূর্যঘর মুফত বিজলি যোজনা”র উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, গত ৬ মাসে এই প্রকল্পের জন্য প্রায় ২ কোটি গ্রাহক নিবন্ধিত হয়েছেন, ৯ হাজারেরও বেশি বিক্রেতা এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন, ইতোমধ্যেই ৫ লক্ষেরও বেশি বাড়িতে সৌর প্যানেল বসানো হয়েছে এবং অদূর ভবিষ্যতে এই প্রকল্পের আওতায় মডেল হিসেবে ৮০০টি সৌরগ্রাম গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, ৩০ হাজার মানুষ বাড়ির ছাদের উপরে সোলার পদ্ধতি স্থাপনের জন্য প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তাই “পিএম সূর্যঘর মুফত বিজলি যোজনা” সারা দেশে উৎপাদনকারী, বিক্রেতা, সংযোজক বা অ্যাসেম্বলার এবং মেরামতকারীদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে।

গত ১০ বছরে সরকারের নীতিগুলি ভারতের খাদি শিল্পকে রূপান্তরিত করেছে এবং গ্রামের মানুষকে প্রভাবিত করেছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, খাদি গ্রামোদ্যোগের ব্যবসা আজ ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। ১০ বছর আগের সময়ের তুলনা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খাদির বিক্রি এখন ৪০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে শিল্পী, তাঁতশিল্পী ও ব্যবসায়ীরা উপকৃত হচ্ছেন এবং কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ তৈরি হচ্ছে। শ্রী মোদী ‘লাখপতি দিদি’ প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে বলেন, এই প্রকল্পে গ্রামীণ মহিলাদের নতুন কর্মসংস্থান এবং স্বরোজগারের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। গত এক দশকে ১০ কোটিরও বেশি মহিলা স্বসহায়ক দলগুলোতে যোগ দিয়েছেন| যার অর্থ হচ্ছে, আরও ১০ কোটি মহিলা এখন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সংযুক্ত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া সহায়তার কৃতিত্ব দিয়ে ৩ কোটি লাখপতি দিদি তৈরির প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখনও পর্যন্ত ১.২৫ কোটিরও বেশি মহিলা লাখপতি দিদি হয়েছেন এবং তাঁদের বার্ষিক আয় ১ লক্ষ টাকার বেশি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার দিকে এগিয়ে চলেছে। দেশের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে তিনি ভারতের যুবসমাজের জানার আগ্রহের কথা উল্লেখ করেন, যারা প্রায়শই জিজ্ঞাসা করে যে, আগে কেন দেশ এই ধরনের গতি অর্জন করতে পারেনি। পূর্ববর্তী সরকারগুলির স্পষ্ট নীতি ও অভিপ্রায়ের অভাবই এর কারণ বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত বিভিন্ন ক্ষেত্রে, বিশেষ করে প্রযুক্তিতে পিছিয়ে ছিল। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে, ভারত সারা বিশ্ব থেকে নতুন প্রযুক্তি আসার জন্য অপেক্ষা করত এবং পাশ্চাত্যে যা পুরানো বলে মনে করা হত, সেগুলোই শেষ পর্যন্ত এই দেশে এসে পৌঁছাত। ভারতে আধুনিক প্রযুক্তির বিকাশ ঘটানো যাবে না বলে যে দীর্ঘদিনের বিশ্বাস রয়েছে, তার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ধরনের বিশ্বাস ভারতকে শুধুমাত্র উন্নয়নের দিক থেকে পিছিয়ে রাখবে না, বরং গুরুত্বপূর্ণ কর্মসংস্থানের সুযোগ থেকেও বঞ্চিত করবে।

এই পুরনো মানসিকতা থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য গৃহীত পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'মেক ইন ইন্ডিয়া’র প্রসারের মাধ্যমে মহাকাশ, সেমিকন্ডাক্টর, ইলেকট্রনিক্স এবং বৈদ্যুতিক যানবাহনের মতো ক্ষেত্রগুলোতে এই ধরনের পুরনো মানসিকতা থেকে মুক্ত হওয়ার প্রচেষ্টা শুরু করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ও বিনিয়োগের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে বলেন, ভারতে নতুন প্রযুক্তি ও প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ আনার জন্য পিএলআই প্রকল্প চালু করা হয়েছে, যা মেক ইন ইন্ডিয়া উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ত্বরান্বিত করেছে। প্রতিটি ক্ষেত্র এখন তরুণ-তরুণীদের জন্য নানা সুযোগ প্রদান করছে। তিনি বলেন, “ভারত আজ বিশাল পরিমাণে বিনিয়োগ প্রত্যক্ষ করছে এবং রেকর্ড পরিমাণে সুযোগ তৈরি করছে"। তিনি আরও বলেন, গত আট বছরে ১.৫ লক্ষেরও বেশি স্টার্টআপ চালু করা হয়েছে, যা ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে পরিণত করেছে। এই ক্ষেত্রগুলি যুব অংশের বিকাশ এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার আজ ভারতের তরুণ-তরুণীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য দক্ষতা বিকাশের দিকে মনোনিবেশ করেছে। সরকার তাই স্কিল ইন্ডিয়ার মতো মিশন শুরু করেছে এবং অনেক দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্রে যুবক-যুবতীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ভারতের তরুণ-তরুণীদের যাতে অভিজ্ঞতা ও সুযোগের জন্য ঘুরে বেড়াতে না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ‘প্রধানমন্ত্রী ইন্টার্নশিপ যোজনা’র কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, ভারতের শীর্ষ ৫০০টি কোম্পানিতে বেতনসহ ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যেখানে প্রত্যেক ইন্টার্নকে এক বছরের জন্য প্রতি মাসে ৫,০০০ টাকা দেওয়া হবে। সরকারের লক্ষ্য হল, আগামী পাঁচ বছরে এক কোটি যুবক-যুবতীকে ইন্টার্নশিপের সুযোগ দেওয়া। এটি যুবসমাজকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাস্তব জীবনের ব্যবসায়িক পরিবেশের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ দেবে এবং তাদের কর্মজীবনে একটি উপকারী অভিজ্ঞতা এনে দেবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতীয় যুবকদের বিদেশে চাকরি পাওয়া সহজ করার জন্য ভারত সরকার নতুন সুযোগ তৈরি করেছে। ভারতের জন্য সম্প্রতি প্রকাশিত জার্মানির ‘দক্ষ শ্রম কৌশলে’র কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী জানান যে, জার্মানি প্রতি বছর দক্ষ ভারতীয় যুবকদের ভিসা দেওয়ার সংখ্যা ২০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৯০ হাজার করেছে। এর ফলে ভারতের যুব সম্প্রদায় ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে। শ্রী মোদী আরও উল্লেখ করেন যে, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভারত উপসাগরীয় দেশগুলি ছাড়াও জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, মরিশাস, ইজরায়েল, যুক্তরাজ্য এবং ইতালি সহ ২১টি দেশের সঙ্গে অভিবাসন ও কর্মসংস্থান সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। তিনি বলেন, প্রতি বছর ব্রিটেনে কাজ করা ও পড়াশোনার জন্য ৩ হাজার ভারতীয় ২ বছরের ভিসা পেতে পারেন এবং ৩ হাজার ভারতীয় শিক্ষার্থী অস্ট্রেলিয়ায় অধ্যয়নের সুযোগ পাবেন। ভারতের প্রতিভা শুধুমাত্র ভারতের অগ্রগতির দিকই নয়, বিশ্বের অগ্রগতির দিকও নির্দেশ করবে। ভারত সেই দিকে এগিয়ে চলেছে।

শ্রী মোদী দৃঢ়তার সাথে বলেন, সরকারের এখন কাজ হচ্ছে, এমন একটি আধুনিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা, যেখানে প্রত্যেক তরুণ-তরুণী সুযোগ পাবে এবং তাঁদের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারবে। তাই তিনি বিভিন্ন পদে নবনিযুক্তদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন যে, তাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত ভারতের যুব অংশ এবং নাগরিকদের সর্বাধিক সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা।

প্রধানমন্ত্রী করদাতা এবং নাগরিকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, সরকারি চাকরি সুরক্ষিত করতে তাদের ভূমিকা অপরিহার্য। সরকার নাগরিকদের জন্যই বিদ্যমান এবং তাদের সেবা করার জন্যই নিয়োজিত। তিনি পুনরায় উল্লেখ করেন যে, দেশের সেবা করাই প্রধান দায়িত্ব, তা একজন ডাকপিয়নের পদে হোক বা একজন অধ্যাপকের। নতুন নিয়োগপ্রাপ্তরা এমন সময়ে সরকারের সাথে যুক্ত হয়েছেন, যখন দেশ উন্নত হওয়ার সংকল্প নিয়েছে। তাই, এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমাদের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে উৎকর্ষতা অর্জন করতে হবে এবং পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে অবদান রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদেরকে শুধু ভালো কাজ করতে নয়, বরং উৎকর্ষতার লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, "আমাদের দেশের সরকারি কর্মচারীরা এমন একটি উদাহরণ স্থাপন করবেন যা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত হবে।" প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, দেশ তাদের থেকে অনেক প্রত্যাশা করে এবং প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য এই প্রত্যাশাগুলি অবশ্যই পূরণ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী নিয়োগপ্রাপ্তদের নতুন যাত্রার কথা উল্লেখ করে বলেন যে, তারা তাদের পদ নিয়ে যে যাত্রা শুরু করছেন, তাতে সবসময় বিনয়ী থাকা এবং শেখার অভ্যাস বজায় রাখা জরুরি। তিনি iGOT Karmayogi প্ল্যাটফর্মে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিভিন্ন কোর্সের সুযোগের কথা তুলে ধরে তাদের সুবিধামতো এই ডিজিটাল প্রশিক্ষণ মডিউলটি ব্যবহারের পরামর্শ দেন। প্রধানমন্ত্রী সবশেষে আবার বলেন, "আবারও, আজ যারা নিয়োগপত্র গ্রহণ করছেন, তাদের সবাইকে অভিনন্দন জানাই।"

 

পটভূমিকাঃ

রোজগার মেলা দেশের ৪০টি স্থানে আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে রাজস্ব বিভাগ, উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকসহ বিভিন্ন মন্ত্রক ও বিভাগে কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন নিয়োগপ্রাপ্তরা যোগদান করছেন।

নতুন নিয়োগপ্রাপ্তরা কর্মযোগী প্রারম্ভ (Karmayogi Prarambh)-এর মাধ্যমে প্রাথমিক প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবেন, যা iGOT Karmayogi পোর্টালের একটি অনলাইন মডিউল। এখানে ১৪০০টিরও বেশি ই-লার্নিং কোর্স রয়েছে, যা নিয়োগপ্রাপ্তদের তাদের পদে কার্যকরভাবে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা প্রদান করবে এবং একটি বিকশিত ভারত গঠনের লক্ষ্যে কাজ করার জন্য তাদেরকে প্রস্তুত করবে।

***

SKC/ADK/KMD




(Release ID: 2069420) Visitor Counter : 8


Read this release in: English