প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

প্রধানমন্ত্রীর "মন কি বাত" পর্ব -১১৫

PM’s address in the 115th Episode of ‘Mann Ki Baat’

Posted On: 27 OCT 2024 12:08PM by PIB Agartala

আমার প্রিয় দেশবাসী, নমস্কার। মন কি বাতে আপনাদের সবাইকে স্বাগত! যদি আপনারা আমাকে জিজ্ঞেস করেন যে, আমার জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত কোনটি, তো ক’টি বাক্য আর মনে আসে? কিন্তু এর মধ্যেও একটি মুহূর্ত এমন আছে যা নাকি খুবই বিশিষ্ট, আর সেটি হচ্ছে, আমি যখন বিগত বছরে ১৫ই নভেম্বরে ভগবান বিরসা মুন্ডার জন্ম জয়ন্তীতে তাঁর জন্মস্থান ঝাড়খন্ডের ওলিহাতু গ্রামে গিয়েছিলাম। সেই সফর আমাকে খুব ব্যাপক ভাবে প্রভাবিত করেছিলো। আমিই দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, যাঁর  এই পবিত্র স্থানের মাটি যার মাথায় ছোঁয়ানোর সৌভাগ্য হয়েছিলো। সেই সময়ে শুধু যে স্বাধীনতা সংগ্রামের শক্তিকেই আমি অনুভব করেছিলাম তা-ই নয়, একইসঙ্গে, এই মাটির নিজস্ব শক্তির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগও যেন পেয়েছিলাম। আমি এটা উপলব্ধি করেছিলাম যে, কিভাবে এক সংকল্প সফল করার সাহস দেশের কোটি কোটি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে।

বন্ধুরা, ভারতে প্রতিটি যুগে কিছু না কিছু সমস্যা সামনে এসেছে এবং তখন এমন অসাধারণ ভারতবাসীর জন্ম হয়েছে যিনি বা যাঁরা সেই সমস্যা মোকাবিলা করেছেন। আজকের মন কি বাতে আমি এমন সাহসী এবং দূরদর্শী দু’জন মহানায়কের বিষয়ে আলোচনা করবো| দেশ তাঁদের দু’জনেরই ১৫০ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৩১ শে অক্টোবর থেকে সর্দার প্যাটেলের সার্ধশত জন্ম জয়ন্তী বর্ষের সূচনা হবে। এর পরেই ১৫ই নভেম্বর থেকে ভগবান বিরসা মুন্ডার সার্ধশত জন্ম জয়ন্তী বর্ষ সূচিত হবে। এই দুই মহান ব্যক্তিত্ব ভিন্ন ভিন্ন সমস্যা সংকুলতার মধ্য দিয়ে গেছেন, কিন্তু তাঁদের লক্ষ্য কিন্তু ছিল এক! আর সেটা ‘দেশের একতা’!  

বন্ধুরা, বিগত বছরগুলিতে গোটা দেশ এরকম মহান ও মহিয়সী ব্যক্তিত্বদের জন্ম জয়ন্তী নতুন উদ্দীপনায় উদযাপন করে নবীন প্রজন্মকে নতুন প্রেরণা যুগিয়েছে। আপনাদের মনে আছে হয়তো, আমরা যখন মহাত্মা গান্ধীজীর ১৫০ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপন করেছিলাম তখন কত বিশেষ কিছু হয়েছিলো। নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কোয়ার থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার ছোট্ট গ্রামেও, দুনিয়ার মানুষ ভারতের সত্য এবং অহিংসার বার্তাকে উপলব্ধি করেছেন, একে নতুন করে জেনেছেন, সে আদর্শে জীবন যাপন করেছেন। নবীন যুবক থেক প্রবীণ ব্যক্তি, ভারতীয় থেকে অভারতীয়, প্রত্যেকে গান্ধীজীর আদর্শকে নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে বুঝতে চেয়েছেন, নতুন বিশ্ব পরিস্থিতিতে তাঁকে উপলব্ধি করেছেন। আমরা যখন স্বামীজী বিবেকানন্দের ১৫০ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপন করেছিলাম তখন দেশের নবীন প্রজন্ম ভারতের আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক শক্তিকে নবতম ব্যাখ্যায় উপলব্ধি করেছেন। এই কর্মসূচিগুলি থেকে আমরা এটা অনুভব করেছি যে, আমাদের মহান ব্যক্তিত্বরা অতীতে হারিয়ে যান না, বরং তাঁদের জীবনাদর্শ আমাদের বর্তমানকে ভবিষ্যৎ পথ চলার দিশা দেখায়।

বন্ধুরা, যদিও সরকার এই মহান ব্যক্তিত্বদের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী জাতীয় পর্যায়ে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তবে শুধুমাত্র আপনাদের অংশগ্রহণই এই অভিযানকে প্রাণ দেবে এবং জীবন্ত করে তুলবে। আমি আপনাদের সকলকে এই অভিযানের অংশীদার  হওয়ার জন্য অনুরোধ করব। (#Sardar150)হ্যাশট্যাগ সর্দার ১৫০-এ জুড়ে লৌহ পুরুষ সর্দার প্যাটেল সম্পর্কিত আপনার চিন্তাভাবনা এবং পদক্ষেপ শেয়ার করুন এবং (#BirsaMunda150) হ্যাশট্যাগ বিরসামুন্ডা ১৫০এর মাধ্যমে ধরিত্রী-আবা বিরসা মুন্ডা-র অনুপ্রেরণার দিকগুলি তুলে ধরুন। আসুন আমরা একত্রিত হই এবং এই উৎসবটিকে বৈচিত্র্যের মধ্যে ভারতের একতার বার্তা উদযাপনের উপলক্ষে পরিণত করি, একে ঐতিহ্যের মাধ্যমে উন্নয়নের উদযাপনে পরিণত করি।

আমার প্রিয় দেশবাসী, আপনাদের সেই দিনগুলোর কথা মনে আছে যখন টিভিতে "ছোটা ভীম" দেখানো শুরু হয়েছিল। 'ছোটা ভীম' নিয়ে কত উত্তেজনা ছিল, তা শিশুরা কখনো ভুলতে পারবে না। আপনারা অবাক হবেন যে, আজ 'ঢোলকপুরের ঢোল' শুধুমাত্র ভারতে নয়, অন্যান্য দেশেরও অনেক শিশুকে আকর্ষণ করে। একইভাবে, আমাদের অন্য অ্যানিমেটেড সিরিয়াল, ‘কৃষ্ণ’, ‘হনুমান’, ‘মোটু-পাতলু’-রও সারা বিশ্বে ভক্ত রয়েছে। ভারতীয় অ্যানিমেশন চরিত্র: এখানকার অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রগুলিকে তাদের বিষয়বস্তু এবং সৃজনশীলতার কারণে সারা বিশ্বে পছন্দ করা হচ্ছে। আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন যে, স্মার্টফোন থেকে সিনেমার পর্দা, গেমিং কনসোল থেকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, অ্যানিমেশন সর্বত্র হাজির। অ্যানিমেশনের জগতে নতুন বিপ্লব ঘটানোর পথে ভারত। এদেশের গেমিং স্পেসও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। ভারতীয় গেমগুলিও আজকাল সারা বিশ্বে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কয়েক মাস আগেই, আমি ভারতের শীর্ষস্থানীয় গেমারদের সঙ্গে কথা বলেছি, তারপরে আমি ভারতীয় গেমগুলির বিস্ময়কর সৃজনশীলতা এবং গুণমান জানার এবং বোঝার সুযোগ পেয়েছি। আসলে দেশে সৃজনশীল শক্তির ঢেউ বইছে। অ্যানিমেশনের জগতে, 'মেড ইন ইন্ডিয়া' এবং 'মেড বাই ইন্ডিয়ান' শব্দবন্ধ প্রচলিত। আপনি জেনে খুশি হবেন যে আজ ভারতীয় প্রতিভাও বিদেশী প্রযোজনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠছে। বর্তমান স্পাইডার ম্যান হোক বা ট্রান্সফরমারস, এই দুটি সিনেমাতেই হরিনারায়ণ রাজীবের অবদান দারুণভাবে প্রশংসিত হয়েছে। ভারতের অ্যানিমেশন স্টুডিওগুলি ডিজনি এবং ওয়ার্নার ব্রাদার্সের মতো বিশ্বের বিখ্যাত প্রযোজনা সংস্থাগুলির সঙ্গে কাজ করছে৷

বন্ধুরা, আজ আমাদের তরুণ-তরুনীরা মূল ভারতীয় সামগ্রী তৈরি করছেন, যা আমাদের সংস্কৃতির প্রতিফলন। এগুলো সারা বিশ্বে দেখা যাচ্ছে। অ্যানিমেশন সেক্টর আজ একটি শিল্পের রূপ নিয়েছে যা অন্য শিল্পকে শক্তি যোগাচ্ছে, যেমন, ভিআর ট্যুরিজম আজকাল খুব বিখ্যাত হয়ে উঠছে। আপনি ভার্চুয়াল ট্যুরের মাধ্যমে অজন্তা গুহা দেখতে পারেন, কোনার্ক মন্দিরের করিডোর দিয়ে হাঁটতে পারেন বা বারাণসীর ঘাটগুলি উপভোগ করতে পারেন। এই সমস্ত ভিআর অ্যানিমেশন ভারতের নির্মাতারা প্রস্তুত করেছেন। ভিআর-এর মাধ্যমে এই স্থানগুলি দেখার পর, অনেকেই বাস্তবে এই পর্যটন স্থানগুলি দেখতে চান, অর্থাৎ পর্যটন কেন্দ্রের ভার্চুয়াল ভ্রমণ মানুষের মনে কৌতূহল তৈরির মাধ্যম হয়ে উঠেছে। আজ, এই ক্ষেত্রে, অ্যানিমেটরদের পাশাপাশি গল্প বলার মানুষ, লেখক, কন্ঠ দানের বিশেষজ্ঞ, সঙ্গীতশিল্পী, গেম ডেভেলপার, ভিআর এবং এআর বিশেষজ্ঞদের চাহিদাও ক্রমাগত বাড়ছে। অতএব, আমি ভারতের তরুণ প্রজন্মকে বলব - আপনাদের সৃজনশীলতা সম্প্রসারিত করুন। কে জানে, বিশ্বের পরবর্তী সুপার হিট অ্যানিমেশন আপনার কম্পিউটার থেকে বেরিয়ে আসতে পারে! পরবর্তী ভাইরাল গেম আপনার সৃষ্টি হতে পারে! আপনার উদ্ভাবিত শিক্ষাগত অ্যানিমেশন বিরাট সাফল্য অর্জন করতে পারে। আগামীকাল ২৮ অক্টোবর ‘বিশ্ব অ্যানিমেশন দিবস’ও পালিত হবে। আসুন, আমরা ভারতকে একটি বিশ্বব্যাপী অ্যানিমেশন পাওয়ার হাউস করার সংকল্প গ্রহণ করি।

আমার প্রিয় দেশবাসী, স্বামী বিবেকানন্দ একবার সাফল্যের মন্ত্র দিয়েছিলেন, তাঁর মন্ত্র ছিল- 'একটি বিষয় ভাবুন, সেটিকে আপনার জীবনে প্রয়োগ করুন, এ সম্পর্কে চিন্তা করুন, এর স্বপ্ন দেখুন, আজ এটাই স্বনির্ভর ভারত।' সাফল্যের একই মন্ত্রে প্রচারও চলছে। এই অভিযান আমাদের সম্মিলিত চেতনার অংশ হয়ে উঠেছে। প্রতি পদে পদে প্রতিনিয়ত আমাদের অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে। আত্মনির্ভরতা কেবল আমাদের নীতি নয়, তা আমাদের আবেগে পরিণত হয়েছে। বেশি দূরের কথা নয়, মাত্র ১০ বছর আগে, যখন কেউ বলত যে, ভারতে কিছু জটিল প্রযুক্তি তৈরি করতে হবে, তখন অনেকেই তা বিশ্বাস করত না, অনেকে উপহাস করত - কিন্তু আজ সাফল্য দেখার পর সেই তারাই, রীতিমত স্তম্ভিত। ভারত স্বনির্ভর হয়ে উঠছে, প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিস্ময়কর কাজ করছে। একবার ভাবুন, ভারত, যা একসময় মোবাইল ফোনের আমদানিকারক ছিল, আজ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রস্তুতকারক হয়ে উঠেছে। ভারত, যে একসময় বিশ্বের প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের বৃহত্তম ক্রেতা ছিল, আজ সেদেশ ৮৫টি বিদেশি ঠিকানায় সেই সরঞ্জাম রপ্তানি করছে। মহাকাশ প্রযুক্তিতে, ভারত আজ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছানো প্রথম দেশ হয়ে উঠেছে, এবং একটি জিনিস আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে তা হল, এই স্বনির্ভরতার প্রচার এখন আর শুধু সরকারি অভিযান নয়, এখন স্বনির্ভর ভারতের প্রচার হয়ে উঠছে গণ-অভিযান- আর সেটা সব ক্ষেত্রেই অর্জিত হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, এই মাসে আমরা লাদাখের হ্যানলেতে এশিয়ার বৃহত্তম 'ইমেজিং টেলিস্কোপ ম্যাক (MACE)' উদ্বোধন করেছি। এর অবস্থান  ৪৩০০ মিটার উচ্চতায়। এর বিশেষত্ব কি জানেন ?  এ হলো  ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ …ভারতে তৈরী। ভাবুন তো, যেখানে মাইনাস ৩০ ডিগ্রি ঠাণ্ডা, যেখানে অক্সিজেনের ঘাটতিও আছে, সেখানে আমাদের বিজ্ঞানীরা এবং স্থানীয় শিল্প-কারখানা এমনটা তৈরী করেছে যা এশিয়ার অন্য কোনো দেশ করেনি।হ্যানলের টেলিস্কোপ বা দূরবীক্ষণ যন্ত্র হয়ত দূরের পৃথিবীর দিকে তাকাচ্ছে, কিন্তু এটা আমাদের আরও একটা জিনিস দেখাচ্ছে আর সেটা হল স্বনির্ভর ভারতের শক্তি।

বন্ধুরা, আমি চাই আপনারাও একটা কাজ করুন। ভারতের স্বনির্ভর হওয়ার এবং এই ধরনের প্রচেষ্টার যতটা সম্ভব উদাহরণ ছড়িয়ে দিন। আপনি আপনার আশেপাশে কোন নতুন উদ্ভাবন দেখেছেন, কোন স্থানীয় স্টার্ট-আপ আপনাকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছে, এই তথ্যগুলি #AatmanirbharInnovation- হ্যাশট্যাগআত্মনির্ভরইনোভেশনের সঙ্গে জুড়ে  সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক মাধ্যমে  লিখুন এবং আত্মনির্ভর ভারতের উৎসব উদযাপন করুন। এই উৎসবের মরসুমে, আসুন আমরা সবাই আত্মনির্ভর ভারতের এই অভিযানকে আরও জোরদার করি। আমরা আমাদের কেনাকাটা করি ভোকাল ফর লোকালের মন্ত্র দিয়ে।এটি সেই নতুন ভারত যেখানে অসম্ভব কেবল একটি চ্যালেঞ্জ, যেখানে মেক ইন ইন্ডিয়া এখন বিশ্বের জন্য মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ড  হয়ে উঠেছে, যেখানে প্রতিটি নাগরিক একজন উদ্ভাবক, যেখানে প্রতিটি চ্যালেঞ্জ একটি সুযোগ। আমাদের শুধুমাত্র ভারতকে স্বনির্ভর করলেই হবে না, আমাদের দেশকে উদ্ভাবনের বিশ্ব শক্তি ঘর হিসেবে মজবুত করতে হবে।

আমার প্রিয় দেশবাসী, আমি আপনাদের জন্য একটি অডিও রেকর্ডিং শোনাচ্ছি ########## (audio)

 Transcription of Audio Byte

 জালিয়াত ফোন কলার ১: হ্যালো

 প্রতারিত : স্যার, হ্যালো স্যার।

জালিয়াত ফোন  কলার ১ : হ্যালো

 প্রতারিত : স্যার, বলুন স্যার

 জালিয়াত ফোন কলার ১ : এই এফ আই আর নম্বরটি দেখুন, যা  আপনি আমাকে পাঠিয়েছেন, আমাদের কাছে এই নম্বরটির বিরুদ্ধে ১৭ টি অভিযোগ রয়েছে, আপনি কি এই নম্বরটি ব্যবহার করছেন?

প্রতারিত : আমি এটা ব্যবহার করি না স্যার।

 জালিয়াত ফোন কলার ১: আপনি এখন কোথা থেকে কথা বলছেন?

 প্রতারিত : স্যার কর্ণাটক স্যার, আমি এখন বাড়িতে  আছি স্যার।

 জালিয়াত ফোন কলার ১: ঠিক আছে, আসুন আমাদের বক্তব্য রেকর্ড করি যাতে এই নম্বরটি ব্লক করা যায়। আপনি ভবিষ্যতে কোন সমস্যার সম্মুখীন না হন , ঠিক আছে!

 প্রতারিত : হ্যাঁ স্যার

 জালিয়াত ফোন  কলার ১: এখন আপনার অভিযোগের তদন্তকারী  আধিকারিকের সঙ্গে আপনি  সংযুক্ত হয়েছেন। অনুগ্রহ করে আপনার বক্তব্য রেকর্ড করুন যাতে এই নম্বরটি ব্লক করা হয়, ঠিক আছে!

প্রতারিত : ঠিক আছে স্যার !

জালিয়াত ফোন কলার ১ : হ্যাঁ, বলুন, আমি কার সাথে কথা বলছি? আমাকে আপনার আধার কার্ড দেখান,  যাচাই করতে হবে।

 প্রতারিত : স্যার, আমার কাছে এখন আধার কার্ড নেই, দয়া করুন স্যার। 

 জালিয়াত ফোন কলার ১: নম্বরটা কি আপনার ফোনে আছে?

প্রতারিত : না স্যার!

জালিয়াত ফোন কলার ১ : আপনার ফোনে কি আধার কার্ডের ছবি নেই?    প্রতারিত : না স্যার!

 জালিয়াত ফোন কলার ১ : আপনার নম্বরটি মনে আছে?

প্রতারিত: মনে নেই স্যার, নম্বরও মনে নেই !

জালিয়াত ফোন কলার ১ : আমাদের শুধু যাচাই করতে হবে, ঠিক আছে, শুধু যাচাই করবো।

 প্রতারিত: না স্যার

 জালিয়াত ফোন কলার ১ : ভয় পাবেন  না, ভয় পাবেন না, যদি কিছু না করে থাকেন,  তাহলে ভয় পাবেন না!

 প্রতারিত : হ্যাঁ স্যার, হ্যাঁ স্যার!

জালিয়াত ফোন কলার ১ : আপনার যদি আধার কার্ড থাকে তবে যাচাই করার জন্য তা আমাকে দেখান।

প্রতারিত : না স্যার, না স্যার, আমি গ্রামে এসেছি স্যার, স্যার বাড়িতে আছে।

জালিয়াত ফোন কলার ১ : ঠিক আছে!

দ্বিতীয় কন্ঠ : আমি কি ভেতরে আসতে পারি স্যার ?

জালিয়াত ফোন কলার ১ : ভিতরে আসুন!

জালিয়াত ফোন কলার২: জয় হিন্দ!

জালিয়াত ফোন কলার ১ : জয় হিন্দ!

জালিয়াত ফোন কলার ১: প্রোটোকল অনুযায়ী এই লোকটির একপ্রান্তের ভিডিও কল রেকর্ড করুন, ঠিক আছে।

এই অডিও শুধুমাত্র তথ্যের জন্য নয়, এটি কোনও বিনোদনমূলক অডিও নয়, গভীর এক উদ্বেগ নিয়ে এসেছে এই অডিও। আপনি এইমাত্র যে কথোপকথনটি শুনেছেন তা ডিজিটাল এরেস্ট-এর জালিয়াতির বিষয়ে। এই কথোপকথনটি একজন প্রতারিত ব্যক্তি এবং প্রতারকের মধ্যে হয়েছিল। ডিজিটাল এরেস্ট-এর জালিয়াতির ক্ষেত্রে ফোন করা প্রতারকরা কখনও পুলিশ, কখনও সিবিআই, কখনও নার্কোটিক্স, কখনও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক—এই ধরনের নানা লেভেল লাগিয়ে কর্মকর্তা সেজে কথা বলে, আর তা অনেক আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে করে। ‘মন কি বাত’-এর অনেক শ্রোতা আমাকে বলেছেন, এই বিষয়টি নিয়ে অবশ্যই আলোচনা করা উচিত।

আসুন আমি আপনাদের বলি, এই জালিয়াতির দল কীভাবে কাজটি করে। এই বিপজ্জনক খেলাটি কীরকম? এনিয়ে আপনাকেও জানতে হবে, পাশাপাশি অন্যদেরও বোঝা খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম কৌশল হচ্ছে—আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, তারা এ গুলো সব সংগ্রহ করে। যেমন “আপনি গত মাসে গোয়া গিয়েছিলেন, তাই না? আপনার মেয়ে দিল্লিতে পড়ে, তাই না?” তারা আপনার সম্পর্কে এত তথ্য সংগ্রহ করে যে, আপনি হতবাক হয়ে যাবেন। দ্বিতীয় কৌশল হচ্ছে—ভয়ের পরিবেশ তৈরি করা, ইউনিফর্ম, সরকারি অফিসের সেট-আপ, আইনি ধারা, এগুলো বলে তারা আপনাকে এতটা ভয় দেখাবে যে, আপনি চিন্তাও করতে পারবেন না। তারপরই তাদের তৃতীয় কৌশল শুরু হয়। তৃতীয় কৌশল হচ্ছে—সময়ের চাপ, বলবে “আপনাকে এখনই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, নতুবা আপনাকে গ্রেপ্তার করা হবে”—এই ধরনের লোকেরা শিকারের উপর এতটাই মানসিক চাপ সৃষ্টি করে যে, প্রতারিত ব্যক্তি দুর্বল হয়ে পরেন। ডিজিটাল এরেস্ট হওয়া শিকারদের মধ্যে প্রতিটি শ্রেণীর, প্রতিটি বয়সের মানুষ রয়েছেন। মানুষ শুধুমাত্র ভয়ের কারণে কষ্টার্জিত লক্ষ লক্ষ টাকা হারিয়ে ফেলেন। আপনারা যদি কখনও এই ধরনের ফোনকল পান, তাহলে ভয় পাবেন না। আপনাদের জানা উচিত যে, কোনও তদন্তকারী সংস্থা কখনও ফোন কল বা ভিডিও কলে এই ধরনের জিজ্ঞাসাবাদ করে না। আমি আপনাদেরকে ডিজিটাল নিরাপত্তার তিনটি ধাপ বলি। এই তিনটি পর্যায় হচ্ছে:- “থামুন-ভাবুন-পদক্ষেপ নিন”। ফোনকল আসার পরে ‘থামুন’-আতঙ্কিত হবেন না, শান্ত থাকুন, তাড়াহুড়ো করে কোনও পদক্ষেপ নেবেন না, আপনার ব্যক্তিগত তথ্য কাউকে দেবেন না। যদি সম্ভব হয়, একটি স্ক্রিনশট নিন এবং অবশ্যই রেকর্ডিং করুন। এর পরে, দ্বিতীয় পর্যায় আসে, প্রথম পর্যায়টি ছিল 'থামুন', দ্বিতীয় পর্যায়টি হল ভাবুন বা 'চিন্তা করুন'। কোনও সরকারি সংস্থা ফোনে এই ধরনের হুমকি দেয় না, ভিডিও কলেও তদন্ত করে না, এই ধরনের অর্থও দাবি করে না। ফোন কল থেকে যদি আপনার ভয় লাগে, তাহলে ভাববেন যে, এর মধ্যে কোনো জালিয়াতির বিষয় আছে। এই প্রথম পর্যায় ও দ্বিতীয় পর্যায়ের পরে এখন আমি তৃতীয় পর্যায় বলি। প্রথম ধাপে আমি বলেছিলাম-'থামুন', দ্বিতীয় ধাপে আমি বলেছিলাম-'ভাবুন', এবং তৃতীয় ধাপে আমি বলি-'পদক্ষেপ নিন'। ন্যাশনাল সাইবার হেল্পলাইন ১৯৩০ ডায়াল করুন, সাইবারক্রাইম ডট গভ ডট ইন-এ (cybercrime.gov.in) রিপোর্ট করুন। পরিবার ও পুলিশকে জানান, প্রমাণগুলো সুরক্ষিত রাখবেন। "থামুন", "ভাবুন", এবং "পদক্ষেপ নিন"—এই তিনটি পদক্ষেপ আপনার ডিজিটাল নিরাপত্তার রক্ষক হয়ে উঠবে।

বন্ধুগণ, আমি আবারও বলব যে, ডিজিটাল এরেস্ট-এর মতো কোনও ব্যবস্থা আইনে নেই। এটা শুধু জালিয়াতি, ভুয়ো, প্রতারণা, দুষ্কৃতীদের একটি দল। আর যারা এটা করছে, তারা সমাজের শত্রু। ডিজিটাল এরেস্টের নামে যে জালিয়াতি চলছে, তার মোকাবিলায় সমস্ত তদন্তকারী সংস্থা রাজ্য সরকারগুলোর সঙ্গে মিলে কাজ করছে। এই সংস্থাগুলির মধ্যে সমন্বয় গড়ে তোলার জন্য ‘জাতীয় সাইবার সমন্বয় কেন্দ্র’ গঠন করা হয়েছে। এজেন্সিগুলির পক্ষ থেকে এই ধরনের প্রতারকদের হাজার হাজার ভিডিও কলিং আইডি ব্লক করা হয়েছে। লক্ষ লক্ষ সিম কার্ড, মোবাইল ফোন এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সংস্থাগুলি তাদের কাজ করছে, কিন্তু ডিজিটাল এরেস্টের নামে ঘটতে থাকা কেলেঙ্কারি এড়াতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে—প্রত্যেকের সচেতনতা, প্রত্যেক নাগরিকের সচেতনতা। যাঁরা এই ধরনের সাইবার জালিয়াতির শিকার, তাঁদেরও যত বেশি সম্ভব এই বিষয়ে মানুষকে জানানো উচিত। সচেতনতার প্রচারের জন্য হ্যাশট্যাগ ‘সেফ ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ (#SafeDigitalIndia)-এর ব্যবহার করতে পারেন। সাইবার কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে প্রচারে ছাত্রছাত্রীদের যুক্ত করার জন্য আমি স্কুল-কলেজগুলিকেও অনুরোধ করব। সমাজের প্রত্যেকের প্রচেষ্টাতেই আমরা এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে পারি।

আমার প্রিয় দেশবাসী, আমাদের স্কুলের অনেক শিশুই ক্যালিগ্রাফি অর্থাৎ সৌন্দর্যপূর্ণ লেখার প্রতি খুব আগ্রহী। এর মাধ্যমে আমাদের হাতের লেখা পরিষ্কার, সুন্দর এবং আকর্ষণীয় থাকে। জম্মু ও কাশ্মীরের স্থানীয় সংস্কৃতিকে জনপ্রিয় করতে এখন এর ব্যবহার হচ্ছে। সেখানকার অনন্তনাগের ফিরদৌস বশিরজি ক্যালিগ্রাফিতে দক্ষতা অর্জন করেছেন, যার মাধ্যমে তিনি স্থানীয় সংস্কৃতির অনেক দিককে সামনে নিয়ে আসছেন। ফিরদৌসজির ক্যালিগ্রাফি স্থানীয় মানুষকে, বিশেষ করে যুবকদের আকৃষ্ট করেছে। উধমপুর-এর গৌরীনাথজি-ও একই ধরনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। এক শতাব্দীরও বেশি পুরনো সারেঙ্গির মাধ্যমে তিনি ডোগরা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বিভিন্ন রূপ সংরক্ষণের চেষ্টা করছেন। সারেঙ্গির সুরে তিনি নিজের সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত প্রাচীন গল্প এবং ঐতিহাসিক ঘটনাগুলি আকর্ষণীয় উপায়ে বর্ণনা করেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এমন অনেক অসাধারণ মানুষকে দেখতে পাবেন, যাঁরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য এগিয়ে এসেছেন। ডি. বৈকুণ্ঠম প্রায় ৫০ বছর ধরে চেরিয়াল লোকশিল্পকে জনপ্রিয় করার কাজে নিযুক্ত রয়েছেন। তেলেঙ্গানার সঙ্গে সংযুক্ত এই শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাঁর প্রচেষ্টা বিস্ময়কর। চেরিয়াল চিত্রকর্ম প্রস্তুত করার প্রক্রিয়াটি খুবই অনন্য। এটি একটি স্ক্রলের আকারে ‘কাহিনি’কে সামনে নিয়ে আসে। এতে আমাদের ইতিহাস এবং পৌরাণিক কাহিনীর একটি সম্পূর্ণ আভাস পাওয়া যায়। ছত্তিশগড়ের নারায়ণপুরের বুটলুরাম মাথরাজি “আবুজমাড়িয়া” উপজাতির লোকশিল্প সংরক্ষণে নিযুক্ত। তাঁরা গত চার দশক ধরে এই মিশনে তিনি যুক্ত রয়েছেন। 'বেটি বাঁচাও-বেটি পড়াও "এবং' স্বচ্ছ ভারত"-এর মতো প্রচারাভিযানের মাধ্যমে মানুষকে সংযুক্ত করার ক্ষেত্রেও তাঁর এই শিল্প অত্যন্ত কার্যকর হয়েছে।

বন্ধুগণ, আমরা কথা বলছিলাম কীভাবে কাশ্মীরের উপত্যকা থেকে ছত্তিশগড়ের বন-জঙ্গল পর্যন্ত আমাদের শিল্প ও সংস্কৃতি কীভাবে নতুন নতুন রঙ ছড়াচ্ছে, তা নিয়ে। কিন্তু এখানেই এগুলো শেষ নয়। আমাদের এইসব শিল্পকলার সুগন্ধ দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে পড়ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ ভারতীয় শিল্প ও সংস্কৃতিতে মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছেন। আমি যখন আপনাদেরকে উধমপুরের সারেঙ্গির প্রতিধ্বনির কথা বলছিলাম, তখন আমার মনে পড়ে গেল যে, হাজার হাজার মাইল দূরে রাশিয়ার ইয়াকুৎস্ক শহরে ভারতীয় শিল্পকলার সুরও প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। কল্পনা করুন, শীতের একটি দিন, তাপমাত্রা শূন্য থেকে মাইনাস ৬৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড, চারদিকে বরফের সাদা চাদর, আর সেখানে কোনও একটি থিয়েটারে দর্শকেরা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে দেখছেন—কালিদাসের ‘অভিজ্ঞান শকুন্তলম’। আপনি কি বিশ্বের শীতলতম শহর ইয়াকুৎস্কে ভারতীয় সাহিত্যের উষ্ণতা কল্পনা করতে পারেন? এটি কোনও কল্পনা নয়—এটি এমন একটি বাস্তবতা, যা আমাদের সকলকে গর্ব ও আনন্দে পূর্ণ করে।

বন্ধুগণ, কয়েক সপ্তাহ আগে আমি লাওসেও গিয়েছিলাম। সেই সময়টা ছিল নবরাত্রির সময় এবং আমি সেখানে অসাধারণ কিছু দেখেছিলাম। স্থানীয় শিল্পীরা 'ফলক ফলম’-এর উপস্থাপনা করছিলেন—যা ‘লাওসের রামায়ণ’। তাদের চোখেও সেই একই ভক্তি, তাদের কণ্ঠে সেই একই নিষ্ঠা, যা রামায়ণের প্রতি আমাদের রয়েছে। একইভাবে, কুয়েতে শ্রী আবদুল্লাহ আল-বরুণ ‘রামায়ণ’ ও ‘মহাভারত’ আরবি ভাষায় অনুবাদ করেছেন। এই কাজটি কেবলমাত্র একটি অনুবাদ নয়, দুটি মহান সংস্কৃতির মধ্যে একটি সেতু। তাঁর প্রচেষ্টায় আরব বিশ্বে ভারতীয় সাহিত্যের একটি নতুন বোধগম্যতা গড়ে উঠছে। আরেকটি অনুপ্রেরণামূলক উদাহরণ হচ্ছে, পেরু’র এরলিন্ডা গার্সিয়া সেখানকার তরুণ-তরুণীদের ভরতনাট্যম শেখাচ্ছেন এবং মারিয়া ভালদেজ ওড়িশি নাচের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। এই শিল্পগুলি থেকে প্রভাবিত হয়ে, দক্ষিণ আমেরিকার অনেক দেশে 'ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্যের’ জনপ্রিয়তা বাড়ছে।

বন্ধুগণ, বিদেশে ভারতের এই উদাহরণগুলি দেখায় যে ভারতীয় সংস্কৃতির শক্তি কতটা বিস্ময়কর। এটি ক্রমাগত বিশ্বকে নিজের দিকে আকৃষ্ট করছে।

"যেখানে শিল্প আছে, সেখানে ভারতও আছে।

যেখানে সংস্কৃতি আছে, সেখানে ভারতও আছে।”

আজ সারা বিশ্বের মানুষ ভারতকে জানতে চায়, ভারতের মানুষকে জানতে চায়। তাই আপনাদের সকলের কাছে অনুরোধ রইল, হ্যাশট্যাগ ‘কালচারেল ব্রিজেস’ (#CultureBridges)-এর মাধ্যমে আপনাদের চারপাশের এই ধরনের সাংস্কৃতিক উদ্যোগগুলি শেয়ার করুন। 'মন কি বাত’-এ আমরা এই ধরনের উদাহরণ নিয়ে পরে আরও আলোচনা করব।

আমার প্রিয় দেশবাসী, দেশের একটা বড় অংশে শীতের মরশুম শুরু হয়ে গিয়েছে, কিন্তু ফিটনেসের জন্য যে আবেগ, ফিট ইন্ডিয়ার চেতনা— কোনো মরশুমেই তার পরিবর্তন হয়না। ‘ফিট’ থাকার অভ্যাস যার আছে, তিনি শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষার মতো বিষয়কে দেখেন না। আমি আনন্দিত যে, ভারতের মানুষ এখন ফিটনেস সম্পর্কে খুব সচেতন হয়ে উঠছেন। আপনারা নিশ্চয়ই দেখছেন যে, আপনার চারপাশের পার্কগুলিতে মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। পার্কের ভেতর হাঁটতে থাকা বয়স্ক মানুষ, যুবক-যুবতী, অথবা যোগব্যায়াম করতে থাকা পরিবারগুলোকে দেখে আমার খুব ভালো লাগে। আমার মনে আছে, আমি যখন যোগ দিবসে শ্রীনগরে ছিলাম, বৃষ্টি সত্ত্বেও, অনেক মানুষ যোগের জন্য জড়ো হয়েছিলেন। কিছুদিন আগে শ্রীনগরে অনুষ্ঠিত ম্যারাথনেও আমি ফিট থাকার একই উৎসাহ দেখেছি। ফিট ইন্ডিয়ার এই চেতনা এখন একটি গণআন্দোলনে পরিণত হচ্ছে।

বন্ধুগণ, আমার এটা দেখেও ভালো লাগে যে, আমাদের বিদ্যালয়গুলি এখন শিশুদের ফিটনেসের দিকে আরও বেশি মনোযোগ দিচ্ছে। “ফিট ইন্ডিয়া স্কুল আওয়ার”ও একটি অনন্য উদ্যোগ। বিদ্যালয়গুলি তাদের ফার্স্ট পিরিয়ডকে বিভিন্ন ফিটনেস ক্রিয়াকলাপের জন্য ব্যবহার করছে। কত কত স্কুলে একদিন বাচ্চাদের যোগব্যায়াম করানো হয়, একদিন অ্যারোবিক সেশন হয়, আবার একদিন স্পোর্টস স্কিল নিয়ে কাজ  হয়, অথবা একদিন খো-খো এবং কাবাডির মতো ঐতিহ্যবাহী খেলাগুলি খেলানো হয়। আর এর প্রভাবও খুব অসাধারণ। স্কুলে উপস্থিতি ভাল হচ্ছে, শিশুদের মনোযোগ বাড়ছে এবং শিশুরা মজাও করছে।

বন্ধুগণ, সুস্থতার এই শক্তি আমি সর্বত্র দেখতে পাচ্ছি। 'মন কি বাত’-এর অনেক শ্রোতাও আমাকে তাঁদের অভিজ্ঞতা পাঠিয়েছেন। কিছু লোক খুব আকর্ষণীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। যেমন একটি উদাহরণ হল, ফ্যামিলি ফিটনেস আওয়ার, অর্থাৎ একটি পরিবার প্রতি সপ্তাহান্তে ফ্যামিলি ফিটনেস অ্যাক্টিভিটির জন্য এক ঘণ্টা সময় দিচ্ছে। আরেকটি উদাহরণ হল ইন্ডিজেনাস গেমস রিভাইভাল, অর্থাৎ, কিছু পরিবার তাদের বাচ্চাদের ঐতিহ্যবাহী খেলা শেখাচ্ছে, সেই খেলাগুলো খেলাচ্ছে। আপনারাও আপনাদের ফিটনেস রুটিনের অভিজ্ঞতা হ্যাশট্যাগ ফিট ইন্ডিয়া (#fitIndia) নামে সোশ্যাল মিডিয়াতেও শেয়ার করুন। আমি দেশের মানুষকে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও জানাতে চাই। এবার সর্দার প্যাটেলের জন্মবার্ষিকীতে ৩১ অক্টোবর দীপাবলির উৎসবও। আমরা প্রতি বছর ৩১ অক্টোবর ‘রাষ্ট্রীয় একতা দিবস’-এ ‘একতার জন্য দৌড়" বা ‘রান ফর ইউনিটি’র আয়োজন করি। দীপাবলির কারণে, এবার 'একতার জন্য দৌড়’-এর আয়োজন হবে ২৯ অক্টোবর অর্থাৎ মঙ্গলবার। আমার অনুরোধ হচ্ছে, এতে যত বেশি সংখ্যায় সম্ভব অংশগ্রহণ করুন—দেশের একতার মন্ত্রের সঙ্গে সঙ্গে ফিটনেসের মন্ত্র সর্বত্র ছড়িয়ে দিন।

আমার প্রিয় দেশবাসী, ‘মন কি বাত’-এ এবার এতটুকুই। আপনারা আপনাদের মতামত অবশ্যই পাঠাতে থাকবেন। এখন উৎসবের সময়। 'মন কি বাত’-এর শ্রোতাদের ধনতেরস, দীপাবলি, ছট পূজা, গুরু নানক জয়ন্তী এবং সমস্ত পরবের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা। আপনারা সবাই উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে পরবগুলো উদযাপন করুন। আর এতে ভোকাল ফর লোকাল-এর মন্ত্রটি মনে রাখবেন| চেষ্টা করবেন যাতে, উৎসবের সময় আপনাদের স্থানীয় দোকানদারদের কাছ থেকে কেনা জিনিসগুলি অবশ্যই আপনাদের বাড়িতে আসে। আরও একবার আপনাদের সকলকে আসন্ন উৎসব ও পরবগুলোর জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা। ধন্যবাদ.... 

***

SKC/KMD




(Release ID: 2068617) Visitor Counter : 12


Read this release in: English