আবাসন ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

পরিচ্ছন্নতার পথে: পাটনার সঞ্জু দেবীর স্যানিটেশন যাত্রা

এক মহিলার অদম্য সাহসে রূপান্তরিত হয় স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা এবং লিঙ্গ ভূমিকা

Driving Cleanliness: Sanju Devi’s Journey to Sanitation in Patna

How One Woman’s Courage Transforms Sanitation and Gender Roles in Her Community

Posted On: 24 SEP 2024 11:37AM by PIB Agartala

নয়াদিল্লি, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪: পাটনার মত ব্যস্ত শহরে, যেখানে প্রায় সব রাস্তা প্রায়শই বর্জ্য নিকাশির অব্যবস্থার শিকার এর সাক্ষী হয়ে থাকে, সেখানে সঞ্জু দেবী পরিবর্তনের একজন আলোকবর্তিকা হিসাবে আবির্ভূত হয়েছেন। বিহারের বাসিন্দা সঞ্জুর যাত্রা শুরু হয়েছিল তাঁর সমাজকে পরিচ্ছন্ন রাখার মত সহজ অথচ গভীর প্রত্যয় নিয়ে।

উন্মুক্ত স্থানে আবর্জনা ফেলা ও জমে থাকা র মধ্য দিয়ে নিত্যদিন  আবর্জনার বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েও তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন যে পরিবর্তন শুরু হয় মানুষের পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে। তবে সঞ্জুর গল্প কেবল স্যানিটেশন বা স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার মধ্যেই সীমিত নয়; পুরুষ প্রধান পরিবেশে সামাজিক রীতিনীতি অমান্য করা এবং লিঙ্গ ভূমিকাকে পুনরায় নতুন আকার দেওয়ার মধ্যেও তিনি নিজের স্বকীয়তাকে প্রমাণ করেছেন।

প্রাথমিকভাবে ই-রিকশা চালানো নিয়ে দ্বন্ধে ভুগতে থাকা সঞ্জুকে তার নিজের ভয় এবং তার চারপাশের মানুষের অসম্মতি দুয়েরই মুখোমুখি হতে হয়েছিল। স্টিয়ারিংয়ের পিছনে একজন মহিলার থাকার বিষয়টি তার সমাজের মধ্যে বিদেশীদের সংস্কৃতি বলেই ধারণা ছিল৷ কিন্তু তিনি সেই প্রথম পদক্ষেপটি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। পাটনা পৌর কর্পোরেশনের সহায়তায়, সঞ্জু প্রশিক্ষণ নেন। যানবাহন এবং রাস্তা উভয় ক্ষেত্রেই চলাচল করার জন্য নিজেকে প্রয়োজনীয় দক্ষ এবং মজবুত করে তুলেছিলেন। ড্রাইভিং দক্ষতা অর্জনের সাথে সাথে তিনি একই সাথে বাড়ি বাড়ি আবর্জনা সংগ্রহের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন, যা শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রচেষ্টায় উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রেখেছিল।

স্বচ্ছতা ও স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার প্রতি সঞ্জুর অঙ্গীকার কেবল তার নিজের জীবনকেই উন্নত করেনি, তার সমাজের অন্যান্য মহিলাদের মধ্যেও একটি আন্দোলনের সূত্রপাত করেছিল। তার দৃঢ় সংকল্প এবং নতুন স্বাধীনতা দেখে অনেকেই তার সাথে যোগ দিতে অনুপ্রাণিত হয়েছিল। একইসাথে, তারা লিঙ্গ সংকীর্ণতার ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে এবং সমাজে তাদের ভূমিকাকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করতে শুরু করেন। কর্পোরেশন কর্তৃক প্রদত্ত ভাল বেতন এই মহিলাদের জীবনকে আর্থিক স্থিতিশীলতা প্রদান করে, তাদের পরিবারকে সমর্থন করতে এবং সুরক্ষা ও ক্ষমতায়নের অনুভূতি অর্জন করতে সক্ষম করে যা আগে নাগালের বাইরে বলে মনে হয়েছিল।

সঞ্জুর এই রূপান্তরের যাত্রা কোনও বিচ্ছিন্ন সাফল্যের গল্প নয়; আসলে তা স্বচ্ছ ভারত মিশনের মূল চেতনাকে মূর্ত করে, যার লক্ষ্য উন্মুক্ত বর্জ্য ফেলা এবং অপর্যাপ্ত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিকাঠামোর মতো সমস্যাগুলি মোকাবেলা করে একটি আবর্জনা মুক্ত জাতি গঠন করা। তার তৃণমূল পর্যায়ের এই উদ্যোগ এক অনন্য দৃষ্টান্ত উপস্থিত করে যে কীভাবে ব্যক্তিগত কর্ম বৃহত্তর জাতীয় লক্ষ্যপূরণের ক্ষেত্রেও অবদান রাখতে পারে। স্বচ্ছ ভারত মিশন তার দশম বার্ষিকী উদযাপন করার সাথে সাথে, ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর, ২০২৪ পর্যন্ত চলা  স্বভাব স্বচ্ছতা ও সংস্কার স্বচ্ছতা -র  প্রচারে নতুন শক্তি খুঁজে পেয়েছে। এই প্রচারাভিযান  'স্বচ্ছতাই সেবা' ঐতিহ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং মহাত্মা গান্ধীর জন্মবার্ষিকীতে স্বচ্ছ ভারত দিবসে শেষ হবে, যা সারা দেশে কার্যকর স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার  প্রচেষ্টা চালানোর ক্ষেত্রে সমাজের যুক্ত হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে তুলে ধরে।

এই প্রচেষ্টার ফলে এখন পর্যন্ত, পুরো এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ড জুড়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ৯৩,৪৩৩টি ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি গিয়ে আবর্জনা সংগ্রহের নিয়মিত উদ্যোগ কার্যকরী হয়েছে ও সফলতা পেয়েছে। ৮৬,৯২৫টি ওয়ার্ডে বপর্য্য পৃথকীকরণ ব্যবস্থা  হয়েছে। প্রতিদিন উৎপাদিত মোট বর্জ্য ১৫৬.০৭ হাজার টনেরও বেশি পৌঁছেছে, প্রতিদিন ১২৩.৬ হাজার টন প্রক্রিয়াজাত করা হয়েছে, যা একটি পরিছন্ন পরিবেশের অগ্রগতির পক্ষে যথার্থ নমুনা । উপরন্তু, স্বচ্ছ সর্বেক্ষণ সমীক্ষা ২০২৩-এর অংশ হিসাবে, আকর্ষণীয়ভাবে ভাবে ৮৮% শহুরে অঞ্চলকে "লাল দাগ" থেকে মুক্ত করা গেছে।  বাণিজ্যিক এবং আবাসিক উভয় ক্ষেত্রেই প্রকাশ্যে থুতু ফেলার মতো  ঘটনাও লক্ষ্যণীয়ভাবে হ্রাসের  পেয়েছে৷

সঞ্জুর সাফল্যের এই কাহিনী এক শক্তিশালী অনুস্মারক, যা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে  দেয় কীভাবে একজন ব্যক্তির ছোট পদক্ষেপ একটি সমাজের মধ্যে দৃষ্টান্তমূলক পরিবর্তনের অনুঘটক হতে পারে। বাধা অতিক্রম করে এবং পুরুষদের জন্য পরম্পরাগত সংরক্ষিত ভূমিকায় পা রেখে তিনি কেবল নিজের জীবনকেই রূপান্তরিত করেননি, বরং আরও অসংখ্য মহিলাকে এই আন্দোলনে যোগ দিতে অনুপ্রাণিত করেছেন। সঞ্জু দেবী আশা এবং স্থিতিস্থাপকতার প্রতীক হিসাবে দাঁড়িয়েছেন, প্রমাণ করেছেন যে দৃঢ় সংকল্প দিয়ে সমাজে মহিলাদের ভূমিকা এবং দায়িত্বের চারপাশের আখ্যানকে নতুন আকার দেওয়া সম্ভব। স্বচ্ছ ভারত মিশন যখন এগিয়ে চলেছে, তখন সঞ্জুর মতো গল্পই সবার জন্য একটি পরিচ্ছন্ন, আরও ন্যায়সঙ্গত ভারতের আন্দোলনকে উৎসাহিত করবে।

References: • https://sbmurban.org/

https://sbmurban.org/storage/app/media/stories-of-change.pdf

***

SKC/DM/KMD



(Release ID: 2058884) Visitor Counter : 43


Read this release in: English