রাষ্ট্রপতির সচিবালয়
রাষ্ট্রপতি শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মু আদি মহোৎসব ২০২৪-এর উদ্বোধন করেন
Posted On:
10 FEB 2024 4:13PM by PIB Agartala
নয়াদিল্লি, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪: রাষ্ট্রপতি শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মু শনিবার নয়াদিল্লির মেজর ধ্যানচাঁদ জাতীয় স্টেডিয়ামে আদি মহোৎসব ২০২৪-র উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি বলেন, আমাদের দেশ বৈচিত্রে ভরপুর। কিন্তু এই ‘বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য’-র চেতনা সব সময়ই বিদ্যমান রয়েছে। এই অনুভুতির প্রমান মেলে আমাদের একে অপরের ভাষা, কৃষ্টি, খাদ্যাভ্যাস, ঐতিহ্যের প্রতি আগ্রহ। আমাদের ঐক্যের মূলে নিহিত রয়েছে একে অপরের প্রতি এই শ্রদ্ধাবোধ। এই আদি মহোৎসবে বিভিন্ন রাজ্যের আদিবাসী সংস্কৃতি, ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি এই উৎসব দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, আদি মহোৎসবে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা আদিবাসী ভাইবোনদের জীবনধারা, কৃষ্টি সংস্কৃতি, সঙ্গীত শিল্প ও খাদ্যাভাস্যের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার এটি একটি ভালো সুযোগ। শ্রীমতি মুর্মু আশা প্রকাশ করে বলেন, এই উৎসবের মাধ্যমে মানুষ আদিবাসী সমাজের জীবন যাপনের বিভিন্ন দিক সম্বন্ধে জানা ও বোঝার সুযোগ পাবেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, আধুনিকতা যত বাড়ছে, আমাদের মাতৃভূমি এই পৃথিবী ও প্রকৃতির ক্ষতিও বাড়ছে। আমাদের এই ধারনায় দেওয়া হয়েছিল যে, উন্নয়নে গতি চাই। তাই উন্নয়নের দৌড়ে অভাবনীয় গতি এসেছে। অথচ এই বিশ্বাস সত্য নয়। আসলে তার উল্টো। সারা বিশ্বে যত আদিবাসী সমাজ রয়েছে তারা শত শত বছর ধরে প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হয়ে বসবাস করছে। আমাদের আদিবাসী ভাইবোনেরা আশেপাশের প্রকৃতির গাছপালা, জীবযন্তুর রক্ষায় হাত লাগিয়েছে, যত্ন নিয়েছে। তিনি বলেন আমরা তাদের এই জীবনশৈলী থেকে অনুপ্রেরনা নিতে পারি। আজ যখন সমগ্র বিশ্ব বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে তখন এই আদিবাসী সম্প্রদায়ের এই জীবনধারা আরো অনুকরনীয় হয়ে উঠেছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রযুক্তি-আধুনিক যুগের একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান-আমাদের জীবনকে সহজ করেছে। আমাদের আদিবাসী জনগোষ্ঠী আধুনিক উন্নয়নের সুফল থেকে বঞ্চিত থাকবে এটা উচিৎ নয়। তাদের অবদান দেশের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে এবং ভবিষ্যতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সমাজের সকল মানুষের বিশেষ করে বঞ্চিত অবহেলিত শ্রেণীর স্থায়ী ও সুস্থায়ী উন্নয়ন ও সর্বাত্মক উন্নয়নে প্রযুক্তির ব্যবহার আমাদের সকলের প্রচেষ্টা হওয়া উচিত।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ভারতের ঐতিহ্যগত জ্ঞানের ভান্ডার অমূল্য ও ঐতিহ্যশালী। কয়েক দশক ধরে এই জ্ঞান ঐতিহ্যগতভাবে এক প্রজন্ম থেকে পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে প্রবাহিত হয়ে আসছে। কিন্তু এখন অনেক এমন অনেক ঐতিহ্য দক্ষতা হারিয়ে যাচ্ছে। অনেক উদ্ভিদ ও প্রাণী যেমন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে, তেমনি ঐতিহ্যগত জ্ঞানও আমাদের সম্মিলিত স্মৃতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। এই অমূল্য সম্পদ সঞ্চয় করা এবং আজকের প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিকভাবে ব্যবহার করার দিকে আমাদর সচেষ্ট হয় উচিত। এই প্রচেষ্টায় প্রযুক্তিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
রাষ্ট্রপতি তফসিলি জনজাতিদের জন্য ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ড (ভিসিএফ-এসটি) চালু করার প্রশংসা করেন। রাষ্ট্রপতি আস্থা প্রকাশ করেন যে, এই ভিসিএফ-এসটি উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে শিল্পোদ্যোগ এবং স্টার্ট-আপ সংস্কৃতিকে উৎসাহিত করবে। তিনি আদিবাসী সম্প্রদায়ের যুবকদের এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে এবং নতুন শিল্পোদ্যোগে এগিয়ে আসতে এবং একটি স্বনির্ভর ভারত গড়তে অবদান রাখার জন্য আহ্বান জানান। আদি মহোৎসব ভারতের সমৃদ্ধশালী ও ঐতিহ্যমন্ডিত উপজাতীয় বৈচিত্র্য প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে আয়োজিত হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে উপজাতি কল্যাণ সমবায় (ট্রাইফেড) এই উৎসবের আয়োজন করেছে। এ বছর এই উৎসব চলবে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত।
SKC/TD/KMD
(Release ID: 2005042)
Visitor Counter : 85