নয়াদিল্লি, ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪৷৷ ভারতের রাষ্ট্রপতি, শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মু নতুন দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনের অমৃত উদ্যানে আগামী ৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১.১৫ টায় "বিবিধতা কা অমৃত মহোৎসব: উত্তর-পূর্ব ভারতের ঐশ্বর্য উন্মোচনকারী একটি  সাংস্কৃতিক  অনুষ্ঠান" শীর্ষক চার দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন। অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ডোনার, সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রীও উপস্থিত থাকবেন। রাষ্ট্রপতি ভবন চত্বরের অমৃত উদ্যানে ২০২৪-এর উদ্যোগ উৎসবের অঙ্গ হিসাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। সংস্কৃতি মন্ত্রকের সঙ্গে অংশীদারিত্বে উত্তর-পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে এবং ডোনারের সিপিএসই, উত্তর-পূর্ব হস্তশিল্প ও হ্যান্ডলুমস ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (এনইএইচএইচডিসি) এর সহায়তায় অনুষ্ঠিত হবে৷ মহোৎসবের সময় হল সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। অনুষ্ঠানে প্রবেশ করা যাবে বিনামূল্যে।

বিবিধতা কা অমৃত মহোৎসবের প্রথম পর্বটি উত্তর-পূর্ব ভারতের সমৃদ্ধ বৈচিত্র্য তুলে ধরার জন্য নিখুঁতভাবে তৈরি করা হয়েছে, যা ঐতিহ্যবাহী শিল্প, কারুশিল্প এবং সংস্কৃতিকে একটি প্রাণবন্ত ছাতার নীচে একত্রিত করবে। সাংস্কৃতিক বৈচিত্রের এই মহোৎসবটির  লক্ষ্য হল ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্প, হস্তচালিত তাঁত, কৃষি পণ্যের বিনিময়কে উৎসাহিত করা, যা এই অঞ্চলের বৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য অনুঘটক হয়ে উঠছে। 

উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলির মধ্যে থাকছে:

১. হস্তশিল্প, হস্তচালিত তাঁত এবং কৃষি-উদ্যান উৎপাদন: মহোৎসবটিতে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রতিটি রাজ্যের জন্য  উৎসর্গীকৃত আটটি স্টলের মাধ্যমে ৩২০ জনেরও বেশি তাঁতি, কারিগর, কৃষক এবং উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ দেখা যাবে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে একটি সাংস্কৃতিক রত্নে পরিণত করার অনন্য দিকগুলি তুলে ধরার জন্য এটি একটি মঞ্চ হিসাবে কাজ করবে। মহোৎসবটির লক্ষ্য হল উত্তর-পূর্ব ভারতের শ্রেষ্ঠ সূক্ষ্ম, হস্তনির্মিত পণ্য, হস্তচালিত তাঁত ও বস্ত্র এবং সুস্থায়ী  হস্তশিল্পকে  একটি ছাদের নীচে প্রদর্শিত করা। উত্তর-পূর্ব ভারত উচ্চমানের জৈব চা, বাঁশের পণ্য, মশলা, ভেষজ ওষুধ, হাতে বোনা বস্ত্র, জৈব আনারস, মধু এবং ঐতিহ্যবাহী ধানের জাত সহ বিভিন্ন সুস্থায়ী জৈব পণ্য উৎপাদন করে। এই অঞ্চলের বেশিরভাগ কারুশিল্প বেত, বাঁশ, কাঠ, পোড়ামাটি, কাউনা, কচুরিপানা, ঘণ্টা ধাতু এবং পিতলের মতো কাঁচামাল ব্যবহার করে তৈরি হয়। এই আয়োজনটি পরিবেশ-বান্ধব অনুশীলন, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং ঐতিহ্যবাহী চাষ পদ্ধতির প্রতি এই অঞ্চলের প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরার একটি সুযোগ হয়ে উঠবে৷

২. লাইভ ডেমোনেস্ট্রেশন: মাজুলি মাস্ক তৈরি, ঝুড়ি বয়ন, লোটাস সিল্ক এক্সট্রাকশন, নেটলেট ফাইবার বয়ন, কটিলুম বয়ন, শুকনো ফুল তৈরি, জনজাতিদের তৈরি গহনা, থাংকা পেইন্টিং, পিতলের ধাতু, অসমের কাঠ খোদাই ইত্যাদির মতো উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রত্নসমূহ তৈরি করতে যে উদ্ভাবন, নৈপুণ্য এবং দক্ষতা রয়েছে তা সরাসরি প্রত্যক্ষ করার জন্য জনসাধারণের জন্য লাইভ প্রদর্শনীর ২০টির বেশি স্টল থাকবে। 

৩. সাংস্কৃতিক প্রদর্শনী: মহোৎসবে ঐতিহ্যবাহী নৃত্য, মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা এবং এই অঞ্চলের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক  পরম্পরার  একটি প্রদর্শনী থাকবে। আটটি রাজ্যের ৩৫০ জনেরও বেশি শিল্পী তাদের অসাধারণ পারফরম্যান্সের মাধ্যমে মহোৎসবকে  উজ্জল করে তুলবেন। মেঘালয়ের ওয়াঙ্গালা নৃত্য, নাগাল্যান্ডের মুংবন্ত নৃত্য, মিজোরামের বাঁশ নৃত্য, আসামের বিহু নৃত্যের মতো ঐতিহ্যবাহী নৃত্য প্রদর্শিত হবে এই মহোৎসবে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বৈচিত্র্যময় প্রতিভা ও শৈল্পিক শ্রেষ্ঠত্ব প্রত্যক্ষ করার এটি একটি সুযোগ হয়ে উঠবে। উপরন্তু, উত্তর-পূর্ব থেকে একাধিক জিআই পণ্যগুলির উপর একটি দুর্দান্ত ফ্যাশন শো প্রথমবারের মত তুলে ধরা হবে যা এই অঞ্চলের অপ্রতিদ্বন্দ্বী কীর্তির প্রতিভাকে ফুটিয়ে তুলবে৷

৪. ফুড স্টল: মহোৎসবটিতে উত্তর-পূর্ব ভারতের রন্ধনসম্পর্কীয় বৈচিত্র্যময় স্বাদ এবং অনন্য ঐতিহ্যের প্রাণবন্ত  উপস্থাপনা  তুলে ধরা হবে৷ খাবারের স্টলগুলি এই সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের একটি আনন্দদায়ক উপস্থাপনা হবে। আসামের মনোরম আসাম লাকসা থেকে মণিপুরের এরোম্বা পর্যন্ত, খাবারের স্টলগুলি এই অঞ্চলের স্বতন্ত্র স্বাদ এবং দেশীয় ভেষজ এবং মশলার আকর্ষণীয় সম্ভার থাকবে সেখানে। উত্তর-পূর্ব ভারতের খাবারের স্টলগুলির বৈচিত্র্য কেবল স্বাদের কুঁড়িই স্পর্শ করবে না, দর্শকদের রন্ধনসম্পর্কীয় আনন্দের মাধ্যমে এই অঞ্চলের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক উপস্থাপনাকে তুলে ধরবে৷

৫. অন্যান্য কার্যক্রম: শিশুদের জন্য কিডস অ্যাক্টিভিটি জোন এবং যুবকদের জন্য ইয়ুথ এনগেজমেন্ট জোনের মতো আকর্ষণীয় কার্যক্রমও সেখানে থাকবে, যা দেশের তরুণ মনকে কেবল অভিনব কার্যক্রমে যুক্ত করার সুযোগই দেবে না, একই সাথে উত্তর-পূর্বের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক ঐশ্বর্যগুলি সম্পর্কেও জানার সুযোগ দেবে।

*****

SKC/DM/KMD

(Release ID: 2003766)