প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর

বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রার লাভার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করলেন প্রধানমন্ত্রী

২৬ জানুয়ারির পরেও চলবে যাত্রা

"যাত্রার বিকাশ রথ বিশ্বাস রথে পরিণত হয়েছে এবং বিশ্বাস রয়েছে যে কেউ পিছনে থাকবে না"

Posted On: 18 JAN 2024 7:09PM by PIB Agartala

নয়াদিল্লি, ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, পিআইবি৷৷ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উন্নত ভারত সংকল্প যাত্রার লাভার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। এই অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার সুবিধাভোগী উন্নত ভারত সংকল্প যাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক ও স্থানীয় স্তরের প্রতিনিধিরা।

এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রার দু'মাস পূর্তির কথা উল্লেখ করে বলেন, "যাত্রার বিকাশ রথ একটি বিশ্বাস রথে পরিণত হয়েছে এবং আমরা আত্মবিশ্বাসী যে কেউ পিছনে পড়ে থাকবে না। সুবিধাভোগীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী ভিবিএসওয়াই ২৬ জানুয়ারির পর এবং এর পরেও ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রসারিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।

ভগবান বীরসা মুন্ডার আশীর্বাদে ১৫ নভেম্বর শুরু হওয়া এই যাত্রা একটি গণ আন্দোলনে পরিণত হয়েছে এবং এখনও পর্যন্ত ১৫ কোটি মানুষ এই যাত্রায় যোগ দিয়েছেন এবং প্রায় ৮০ শতাংশ পঞ্চায়েত সম্পূর্ণ করেছে। "বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রার মূল উদ্দেশ্য ছিল এমন লোকদের কাছে পৌঁছানো যাঁরা কোনও না কোনও কারণে এতদিন সরকারি প্রকল্প থেকে বঞ্চিত ছিলেন। আর মোদী এমন মানুষদের পুজো করেন, প্রশংসা করেন, যাঁদের সবাই উপেক্ষা করে।

ভিবিএসওয়াই-কে শেষ মাইল পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার সর্বোত্তম মাধ্যম হিসাবে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী জানান, যাত্রা চলাকালে ৪ কোটিরও বেশি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে, ২.৫ কোটি যক্ষ্মা পরীক্ষা করা হয়েছে এবং ৫০ লক্ষ সিকেল সেল রক্তাল্পতা পরীক্ষা করা হয়েছে। এই যাত্রা চলাকালীন এ পর্যন্ত ৫০ লক্ষ আয়ুষ্মান কার্ড, ৩৩ লক্ষ নতুন প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সুবিধাভোগী, ২৫ লক্ষ নতুন কিষাণ ক্রেডিট কার্ড, ২৫ লক্ষ বিনামূল্যে গ্যাস সংযোগ এবং ১০ লক্ষ নতুন স্বনিধির আবেদন জমা পড়েছে। শ্রী মোদী বলেন, এই পরিসংখ্যান যে কারও কাছে নিছক একটা সংখ্যা হতে পারে, কিন্তু তাঁদের কাছে প্রতিটি সংখ্যাই জীবন যারা এতদিন সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সম্পর্কিত নতুন রিপোর্টটি তুলে ধরেন৷ প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, গত ৯ বছরে সরকারের প্রচেষ্টার ফলে ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে এসেছেন। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, "গত ১০ বছরে যেভাবে আমাদের সরকার একটি স্বচ্ছ ব্যবস্থা তৈরি করেছে, সঠিক প্রচেষ্টা করেছে এবং জনগণের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করেছে, তা অসম্ভবকে সম্ভব করেছে। এই প্রকল্পে ৪ কোটিরও বেশি গরিব পরিবারকে পাকা বাড়ি দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ৭০ শতাংশ ইউনিট মহিলাদের নামে নথিভুক্ত। এরফলে কেবল দারিদ্র্য মোকাবেলা করা হয়নি, মহিলাদের ক্ষমতায়নও করা হয়েছে। ঘরগুলির আকার বাড়ানো হয়েছিল, নির্মাণে মানুষের পছন্দকে সম্মান করা হয়েছিল, নির্মাণের গতি ৩০০ দিন থেকে ১০০ দিনে উন্নত করা হয়েছিল। তিনি বলেন, এর অর্থ আমরা আগের চেয়ে তিনগুণ দ্রুত স্থায়ী বাড়ি তৈরি করছি এবং দরিদ্রদের তা দিচ্ছি। এ ধরনের প্রচেষ্টা দেশের দারিদ্র্য বিমোচনে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি৷

রূপান্তরকামীদের জন্য সরকারের নীতিগুলির দৃষ্টান্তের মধ্য দিয়ে গরিব মানুষদের অগ্রাধিকার দেওয়ার দৃষ্টিভঙ্গির একটি দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আমাদের সরকারই প্রথমবারের মতো হিজড়া সম্প্রদায়ের অসুবিধার বিষয়ে চিন্তা করেছে এবং তাদের জীবনকে সহজ করার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সালে আমাদের সরকার রূপান্তরকামীদের অধিকার রক্ষায় আইন প্রণয়ন করেছে। এটি কেবল হিজড়াদের সমাজে একটি সম্মানজনক স্থান অর্জনে সহায়তা করেনি, তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যেরও অবসান ঘটিয়েছে। সরকার হাজার হাজার মানুষকে ট্রান্সজেন্ডার পরিচয়পত্রও দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, "ভারত দ্রুত বদলাচ্ছে। আজ সর্বত্র মানুষের বিশ্বাস, সরকারের প্রতি তাঁদের বিশ্বাস, নতুন ভারত নির্মাণের সংকল্প দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া আদিবাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে তাঁর সাম্প্রতিক আলোচনার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী মোদী সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া অঞ্চলেও আদিবাসী মহিলাদের উদ্যোগের কথা স্মরণ করেন এবং জনগণকে তাঁদের অধিকার আদায়ে শিক্ষিত করে তুলতে তাঁদের দৃঢ় সংকল্পের প্রশংসা করেন। স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির অভিযানকে শক্তিশালী করে তুলতে বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জামানতবিহীন ঋণের ঊর্ধ্বসীমা ১০ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ লক্ষ টাকা করার কথা উল্লেখ করেন। যার ফলে ১০ কোটি নতুন মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছেন। তারা নতুন ব্যবসায়ের জন্য ৮ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি সহায়তা পেয়েছে। ৩ কোটি মহিলাকে মহিলা কৃষক হিসাবে ক্ষমতায়ন এবং ২ কোটি লাখপতি দিদি ও নমো ড্রোন দিদি প্রকল্প তৈরির পরিকল্পনার কথাও তিনি উল্লেখ করেন। এক হাজারেরও বেশি নমো ড্রোন দিদির প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ হওয়ায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।

গ্রামীণ অর্থনীতির আধুনিকীকরণ এবং কৃষকদের ক্ষমতায়নে সরকারের অগ্রাধিকারের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ক্ষুদ্র কৃষকদের শক্তিশালী করে তুলতে বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন। তিনি ১০,০০০ এফপিওর কথা উল্লেখ করেন, যার মধ্যে ৮,০০০ ইতিমধ্যেই চালু রয়েছে এবং ৫০ কোটি ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজের টিকাকরণের ফলে দুধ উৎপাদন ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে উল্লেখ করেন৷

ভারতের তরুণ প্রজন্মের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী মোদী উল্লেখ করেছেন যে যাত্রা কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল, ক্রীড়াবিদদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল। তরুণ ও যুবকরা মাই ভারত পোর্টালে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করায় প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী ২০৪৭ সালের মধ্যে এক উন্নত ভারত গড়ে তোলার জাতীয় সংকল্পের কথা পুনরায় উল্লেখ করে তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।

*****

SKC/SP/KMD



(Release ID: 1997660) Visitor Counter : 55


Read this release in: English