প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর
মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত ‘বৈশ্বিক সামুদ্রিক ভারত সম্মেলন (জিএমআইএস) ২০২৩’-এর তৃতীয় সংস্করণের উদ্ধোধন করেন প্রধানমন্ত্রী
ভারতীয় সামুদ্রিক নীল অর্থনীথির জন্য দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা ‘অমৃত কাল দিকদর্শন ২০৪৭’-এর আবরণ উন্মোচন এবং গুজরাটে গভীর সমুদ্র ‘টুনা টেকরা’ টার্মিনালের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী
Posted On:
17 OCT 2023 7:18PM by PIB Agartala
নয়াদিল্লি, ১৭ অক্টোবর, ২০২৩: প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও সম্মেলনের মাধ্যমে মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত ‘বৈশ্বিক সামুদ্রিক ভারত সম্মেলন (জিএমআইএস) ২০২৩’-এর তৃতীয় সংস্করণের উদ্ধোধন করেছেন।এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে ‘অমৃত কাল দিকদর্শন ২০৪৭’-এর আবরণ উন্মোচন করেছেন, এটি হল ভারতীয় সামুদ্রিক নীল অর্থনীতির জন্য দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা। পাশাপাশি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার ধারা অনুসরণে, প্রধানমন্ত্রী ২৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থ মূল্যের একটি প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করে জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেন। এই প্রকল্পটি ‘অমৃত কাল দিকদর্শন ২০৪৭’-এর সংগে সম্পর্ক যুক্ত এবং একই সারিতে বিন্যস্ত। এই সম্মেলন দেশের সামুদ্রিক ক্ষেত্রে বিনিয়োগক আরও আকর্ষণীয় করার ক্ষেত্রেও এক বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে।
‘বৈশ্বিক সামুদ্রিক ভারত সম্মেলন (জিএমআইএস) ২০২৩’-এর তৃতীয় সংস্করণ সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দিতে গিয়ে স্মরণ করেন,তিনি ২০২১-এ এই সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হওয়ার সময় সমগ্র বিশ্ব কীভাবে কোভিড অতিমারীর ফলে অনিশ্চয়তার আঘাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল| সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে তিনি আজ যে নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা রূপ নিচ্ছে তার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। নতুন পরিবর্তিত বিশ্ব ব্যবস্থায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী গুরুত্ব সহকারে বলেন,সমগ্র বিশ্ব আজ নতুন আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ভারতের দিকে তাকিয়ে আছে। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, বিশ্ব যখন অর্থনৈতিক সংকটের মোকাবিলা করছে, ভারতের অর্থনীতি তখন নিরবচ্ছিন্নভাবে ক্রমাগত শক্তিশালী হচ্ছে, এবং সেই দিন আর বেশি দূরে নয় যে দিন ভারত হয়ে উঠবে বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। বৈশ্বিক বাণিজ্যে সমুদ্রপথের ভূমিকার তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন এই কোভিড-উত্তর কালে একটি বিশ্বস্ত বিশ্বব্যাপী সরবরাহ সংযোগ স্থাপনের শেকল তৈরির খুবই প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতিহাসে যথেষ্ট পরিমাণে সাক্ষ্য-প্রমাণ আছে যে ভারতের সামুদ্রিক সক্ষমতা চিরকালই বিশ্বকে প্রভূত মাত্রায় উপকৃত ও লাভবান করেছে। বিগত মাত্র কয়েক বছরে সামুদ্রিক ক্ষেত্রকে শক্তিশালী করতে যে সব পদ্ধতিগত ও শৃঙ্খলাবদ্ধ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী তা এক এক করে তুলে ধরেন।ঐতিহাসিক জি ২০ সম্মেলনে সর্বসম্মতভাবে গৃহীত ও প্রস্তবিত ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ এর যৌথ বাণিজ্য করিডোরের রুপান্তর যে গভীরভাবে প্রভাব ফেলবে তার উপর তিনি আলোকপাত করেন।তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মের বৃহৎ বন্দর, আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচল বন্দর, দ্বিপপুঞ্জগুলির উন্নয়ন সাধন, অভ্যন্তরীণ জলপথ, এবং মাল্টি-মডেল হাব গঠনের কাজ সঠিকভাবে সম্পাদন করতে পারলে বাণিজ্যিক কাজের ব্যয়ও অনেক গুণ কমে যাবে এবং হ্রাস পাবে পরিবেশ দূষণের মাত্রা, সর্বোপরি এসবের ফলে কর্ম সংস্থানের বিশাল সুযোগ সৃষ্টি হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অভিযানের অংশ হয়ে উঠতে এবং ভারতের সংগে যোগ দিতে বিনিয়োগকারীদের সামনে বিশাল সুযোগের দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আরোও এক বার বলেন, ভারত আজ পরবর্তী ২৫ বছরের মধ্যে উন্নত দেশ ও জাতি রূপে নিজেকে গড়ে তোলার লক্ষ্য বাস্তবায়িত করতে কাজ করে যাচ্ছে।
সম্মেলনটি মুম্বাইয়ের এমএমআরডিএ ময়দানে ১৭ থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ ভারতীয় সামুদ্রিক নীল অর্থনীতির জন্য যে দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনাটির সূচনা করা হল তা সুদূর প্রসারী প্রভাব রয়েছে|
একই সংগে প্রধানমন্ত্রী গুজরাটের দীনদয়াল বন্দর কর্তৃপক্ষ এর সমস্ত রকম আবহাওয়ার উপযোগী গভীর সমুদ্রে ‘টুনা টেকরা’ টার্মিনালের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছেন। এটি নির্মাণ করতে ব্যয় হবে ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকারও বেশি। এই অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় বন্দর, জাহাজ পরিবহন ও জলপথ মন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল উপস্থিত ছিলেন।
‘বৈশ্বিক সামুদ্রিক ভারত সম্মেলনটি হল ভারতের বৃহত্তম সামুদ্রিক অনুষ্ঠান। এই সম্মেলনটিতে ইউরোপ, আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা, এশিয়ার (মধ্য এশিয়া, মধ্য প্রাচ্য এবং বিমস্টেক অঞ্চল থেকে) বিভিন্ন দেশ থেকে মন্ত্রীরা নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে উপস্থিত হয়েছেন| এসছেন বৈশ্বিক পর্যায়ের প্রতিনিধিত্ব করতে। উল্লেখ্য, প্রথম ভারতীয় সামুদ্রিক সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৬-য় মুম্বাইয়ে। ২০২১-এ দ্বিতীয় সামুদ্রিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ভার্চুয়ালী।
https://youtu.be/fxasdrjP_OA
SKC/SRC/KMD
(Release ID: 1968580)
Visitor Counter : 133