প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মন কি বাত’, (১০২ তম পর্ব) অনুষ্ঠানের বাংলা অনুবাদ
Posted On:
18 JUN 2023 12:10PM by PIB Kolkata
নতুনদিল্লি, ১৮ই জুন, ২০২৩
আমার প্রিয় দেশবাসী, নমস্কার। 'মন কি বাতে' আবার একবার স্বাগত জানাই আপনাদের সবাইকে। এমনিতে তো 'মন কি বাত' প্রত্যেক মাসের শেষ রবিবার অনুষ্ঠিত হয়, কিন্তু, এবার এক সপ্তাহ আগেই হচ্ছে। আপনারা সবাই জানেন, আগামী সপ্তাহে আমি আমেরিকায় থাকব আর সেখানে অনেক দৌড়ঝাঁপ থাকবে আর এইজন্য আমি ভাবলাম, ওখানে যাওয়ার আগে আপনাদের সঙ্গে কথা বলে নি, আর এর থেকে ভালো কী হতে পারে? জনতা-জনার্দনের আশীর্বাদ, আপনাদের প্রেরণা, আমার শক্তিও বাড়তে থাকবে।
বন্ধুরা, অনেক মানুষ বলেন যে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে আমি এই ভালো কাজ করেছি, ওই বড় কাজ করেছি। ‘মন কি বাতের’ কত না শ্রোতা নিজেদের চিঠিতে অনেক প্রশংসা করেন। কেউ বলেন এটা করেছেন, কেউ বলেন ওটা করেছেন, এটা ভালো করেছেন, এটা বেশি ভালো করেছেন, এটা অসাধারণ করেছেন; কিন্তু, আমি যখন ভারতের সাধারণ মানুষের প্রয়াস, তাঁর পরিশ্রম, তাঁর ইচ্ছাশক্তিকে দেখি, তখন নিজেই অভিভূত হয়ে যাই। একের পর এক যত বড় লক্ষ্যই হোক, কঠিন থেকে কঠিনতর চ্যালেঞ্জ হোক, ভারতের মানুষের সামগ্রিক বল, সামগ্রিক শক্তি, প্রত্যেকটি চ্যালেঞ্জের সমাধান করে দেয়। এই দু'তিন দিন আগে আমরা দেখলাম, যে, দেশের পশ্চিম প্রান্তে কত বড় ঘূর্ণিঝড় এল। প্রবল গতির হাওয়া, প্রবল বর্ষণ। ঘূর্ণিঝড় 'বিপর্যয়' কচ্ছ অঞ্চলে কত কিছু বিধ্বস্ত করে দিল, কিন্তু কচ্ছের মানুষ যে শৌর্য আর প্রস্তুতি নিয়ে এত বিপজ্জনক ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলা করল, সেটাও ততটাই অভূতপূর্ব। দু'দিন পরে কচ্ছের মানুষ নিজেদের নববর্ষ অর্থাৎ 'আষাঢ়ী বীজ' উদযাপন করতে যাচ্ছে। এটাও দারুণ ব্যাপার যে 'আষাঢ়ী বীজ' কচ্ছে বর্ষার প্রারম্ভের প্রতীক বলে মানা হয়। আমি, এত বছর কচ্ছে আসা-যাওয়া করছি, ওখানকার মানুষের সেবা করার সৌভাগ্যও পেয়েছি, আমি আর এই কারণে কচ্ছের মানুষের উদ্যম আর প্রাণশক্তি সম্পর্কে ভালোই জানি। দু'দশক আগের বিধ্বংসী ভূমিকম্পের পরে যে কচ্ছ সম্পর্কে বলা হত যে তারা উঠে দাঁড়াতে পারবে না, আজ, সেই জেলা, দেশের দ্রুত উন্নয়নশীল জেলাগুলোর মধ্যে একটি। আমার বিশ্বাস, ঘূর্ণিঝড় 'বিপর্যয়' যে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে, সেখান থেকেও কচ্ছের মানুষ দ্রুত বেরিয়ে আসবেন।
বন্ধুরা, প্রাকৃতিক দুর্যোগের উপর আমাদের কোনো জোর খাটেনা। কিন্তু, বিগত বছরগুলিতে ভারত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় যে শক্তিবৃদ্ধি ঘটেছে, তা বর্তমানে এক উদাহরণ প্রতিষ্ঠা করেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবিলা করার একটি বড় পদ্ধতি হল - প্রকৃতির সংরক্ষণ। আজকাল, বর্ষার সময় এই ব্যাপারে আমাদের দায়িত্ত্ব আরো বেড়ে যায়। এই কারণেই আজ দেশ, 'ক্যাচ দ্য রেইন' এর মত অভিযানের মাধ্যমে সামগ্রিক প্রয়াস চালাচ্ছে। গত মাসেই 'মন কী বাত'-এ আমরা জল সংরক্ষণের সঙ্গে সম্পর্কিত স্টার্ট আপদের নিয়ে চর্চা করেছিলাম। এবারেও এমন অনেকের ব্যাপারে চিঠি লিখে আমায় জানানো হয়েছে যাঁরা জলের এক এক বিন্দু বাঁচানোর জন্য প্রাণপাত করছেন। এমনই একজন ব্যক্তি হলেন – উত্তর প্রদেশের বান্দা জেলার তুলসীরাম যাদবজী। তুলসীরাম যাদবজী লুকতরা গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান। আপনারাও জানেন যে, বান্দা আর বুন্দেলখন্ড জেলায় জল নিয়ে কতটা সমস্যা রয়েছে। এই পরিস্থিতি থেকে উদ্ধারের জন্য তুলসীরামজী গ্রামের মানুষদের সঙ্গে নিয়ে ওই এলাকায় ৪০টিরও বেশি পুকুর নির্মাণ করান। তুলসীরামজী তাঁর অভিযানের ভিত্তি তৈরি করেছিলেন - ক্ষেতের জল ক্ষেতে, গ্রামের জল গ্রামে। আজ ওঁর পরিশ্রমের ফলেই ওই গ্রামে ভূগর্ভস্থ জলস্তর আগের চেয়ে উন্নত হয়েছে। ঠিক এভাবেই উত্তর প্রদেশের হাপুর জেলায় সব লোকজন মিলে একটি বিলুপ্ত নদীকে পুনর্জীবিত করেছে। সেখানে বেশ অনেকদিন আগে নীম নামের একটি নদী ছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেটা বিলুপ্ত হয়ে যায়। কিন্তু স্থানীয় মানুষের স্মৃতিকথায় এবং লোককথায় তাকে বারবার স্মরণ করা হত। শেষ পর্যন্ত অধিবাসীরা তাদের এই প্রাকৃতিক সম্পদকে পুনর্জীবিত করার সিদ্ধান্ত নেয়। মানুষের সামগ্রিক প্রয়াসে নীম নদী আবারও জীবিত হয়ে উঠছে। নদীর উৎপত্তিস্থলকেও অমৃত সরোবরের মতো বিকশিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বন্ধুরা, এই নদী, খাল, সরোবর, এগুলি শুধুই জলের স্রোত নয়, বরং, আমাদের জীবনের রং এবং ভাবনা এদের সঙ্গেই জুড়ে থাকে। এমনই এক দৃশ্য এই কদিন আগে মহারাষ্ট্রে দেখা গেছে। এই এলাকাটি বেশিরভাগ সময় ক্ষরা কবলিত হয়ে থাকে। পাঁচ দশকের অপেক্ষার পর এখানে 'নীলওয়ান্দে জলাধার ' এ খালের কাজ সম্পন্ন হচ্ছে। কিছুদিন আগে পরীক্ষামূলকভাবে খালে জল ছাড়া হয়েছিল। এই সময়ে যে চিত্র দেখা গেছে তা সত্যিই মন ছুঁয়ে যায়। গ্রামের মানুষ এমনভাবে আনন্দ করছিলেন যেন হোলি বা দীপাবলির উৎসব।
বন্ধুরা, ব্যবস্থাপনার কথা যখন আজ হচ্ছেই, তখন আমি ছত্রপতি শিবাজী মহারাজকে স্মরণ করতে চাই। ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের বীরত্বের পাশাপাশি ওঁর প্রশাসনিক উদ্যোগ, এবং ওঁর ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির থেকেও অনেক কিছু শেখা যায়। বিশেষত, জল-ব্যবস্থাপনা, এবং নৌ-সেনাদের নিয়ে উনি যে কর্মকাণ্ড করেছিলেন তা আজও ভারতীয় ইতিহাসের গৌরব বৃদ্ধি করে।
ওঁর তৈরি জলদূর্গ, এত শতাব্দী পেরিয়েও আজও সমুদ্রের মাঝখানে সগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে। এই মাসের গোড়াতেই ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের রাজ্যাভিষেকের ৩৫০ বছর পূর্ণ হল। এই উপলক্ষ্যটি একটি বড় উৎসব রূপে পালন করা হচ্ছে। মহারাষ্ট্রের রায়গড় কেল্লায় এই উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আমার মনে আছে, কয়েক বছর আগে, ২০১৪ তে, আমার রায়গড় যাওয়ার সু্যোগ হয়েছিল, সেই পবিত্র ভূমিকে প্রণাম করার সৌভাগ্য হয়েছিল। আমাদের সকলের কর্তব্য যে আমরা শিবাজি মহারাজের লড়াইয়ের কৌশল জানি, ওঁর থেকে শিখি। এতে আমরা আমাদের দেশের ঐতিহ্য নিয়ে গর্ব বোধ করব, এবং ভবিষ্যতের জন্য কর্তব্যপালনের প্রেরণাও তৈরী হবে।
আমার প্রিয় দেশবাসী, আপনারা রামায়ণের সেই ছোট্ট কাঠবিড়ালির কথা নিশ্চয়ই শুনেছেন, যে রামসেতু বানাতে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছিল। আমার বলার অর্থ এই যে যখন উদ্দেশ্য স্থির থাকে, এক সৎ প্রচেষ্টা থাকে, তখন কোনো লক্ষ্যই কঠিন থাকে না। ভারতবর্ষ এই সৎ উদ্দেশ্য নিয়েই আজ এক বড় চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করছে। এই চ্যালেঞ্জটি হল টিবি রোগ, যাকে ক্ষয় রোগও বলা হয়। ভারত সংকল্প নিয়েছে যে ২০২৫-এর মধ্যে টিবি মুক্ত ভারত তৈরীর - লক্ষ্য অবশ্যই কঠিন। একটা সময় ছিল যখন টিবি হয়েছে জানলে পরিবারের লোকেরাই দূরে সরে যেত। কিন্তু বর্তমান সময়ে, টিবি রোগীকে তাঁর পরিবারের মধ্যে রেখেই, সাহায্যে করা হচ্ছে। এই রোগকে সমূলে বিনাশ করার সংকল্প নিয়েছেন "নিক্ষয়মিত্ররা"। দেশের বিভিন্ন জায়গায় অনেক সামাজিক সংস্থা নিক্ষয়মিত্রের কাজ করছে। গ্রাম-গঞ্জে, পঞ্চায়েত এলাকায়, বহু মানুষ স্বতপ্রনোদিত ভাবে এগিয়ে এসে এই যক্ষা রোগীদের দত্তক নিয়েছেন। বহু ছোট ছেলেমেয়েরা আছে, যারা টিবি রোগীদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে। সবার অংশীদার হয়ে ওঠাই এই অভিযানের সবচেয়ে বড় শক্তি। এই অংশিদারীত্ব-এর জন্য আজ দেশে প্রায় দশ লাখের বেশী টিবিরোগীকে দত্তক নেওয়া হয়েছে; আর এই পূণ্য কাজে এগিয়ে এসেছেন দেশের প্রায় ৮৫ হাজার “নিক্ষয়মিত্র”। আমার খুব আনন্দ হয়েছে জেনে যে দেশের অনেক গ্রাম প্রধান, পঞ্চায়েত প্রধান নিজেরাও এই সংকল্প নিয়েছেন যে তাদের গ্রামে টিবি নির্মূল করবেন।
নৈনিতালের একটি গ্রামের নিক্ষয় বন্ধু, শ্রী দীকর সিং মেভরিজি, টি.বি.র ৬জন রোগীকে দত্তক নিয়েছেন। একইভাবে, কিন্নর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নিক্ষয় মিত্র, শ্রী জ্ঞান সিংজিও তাঁর ব্লকে টিবি আক্রান্ত রোগীদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা প্রদানে নিয়োজিত রয়েছেন। ভারতকে টি.বি মুক্ত করার অভিযানে আমাদের শিশু ও যুব সাথীরাও পিছিয়ে নেই। হিমাচল প্রদেশের উনার ৭ বছরের মেয়ে নলিনী সিং-এর চমৎকার উদ্যোগ দেখুন। নলিনী, তার পকেট মানির টাকা দিয়ে টি.বি.রোগীদের সাহায্য করে। আপনারা জানেন যে, বাচ্চারা তাদের লক্ষ্মীর ভাঁড়গুলিকে কতটা ভালোবাসে, কিন্তু মধ্যপ্রদেশের কাটনি জেলার ১৩ বছর বয়সী মীনাক্ষী এবং পশ্চিমবঙ্গের ডায়মন্ড হারবারের ১১ বছর বয়সী ভাস্বর মুখার্জি, দু’জনই অন্য ধরণের। এই দুই শিশুই তাদের লক্ষীর ভাঁড়ের টাকা টি.বি.মুক্ত ভারতের অভিযানে নিয়োজিত করেছে। এই সমস্ত উদাহরণ আবেগে ভরা এবং খুবই অনুপ্রেরণাদায়ক। আমি এই সমস্ত শিশু, যারা বয়েস কম হলেও চিন্তাভাবনায় অনেক বেশি মহৎ, তাদের আমি অন্তর থেকে সাধুবাদ জানাই।
আমার প্রিয় দেশবাসী, এটা আমাদের, ভারতীয়দের, স্বভাব যে আমরা সবসময় নতুন চিন্তাধারাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত থাকি। আমরা আমাদের সবকিছু ভালবাসি এবং নতুন কিছুও সাদরে গ্রহণ করি। এর একটি উদাহরণ হল জাপানের মিয়াওয়াকির কৌশল। কোনো জায়গার মাটি যদি উর্বর না হয়, তাহলে সেই জায়গাটিকে আবার সবুজ করার জন্য মিয়াওয়াকি কৌশল একটি খুব ভালো উপায়। মিয়াওয়াকি বন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং ২-৩ দশকে জীববৈচিত্র্যের কেন্দ্রে পরিণত হয়। এখন এটি ভারতের বিভিন্ন স্থানেও খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। আমাদের এখানে কেরালার একজন শিক্ষক, শ্রী রাফী রামনাথজি এই কৌশলটি দিয়ে একটি এলাকার চিত্রটাই বদলে দিয়েছেন। আসলে রামনাথজি তাঁর ছাত্রদের কাছে প্রকৃতি ও পরিবেশকে গভীরভাবে ব্যাখ্যা করতে চেয়েছিলেন। এর জন্য তিনি গোটা একটা ভেষজ বাগান তৈরী করে ফেলেছেন। তাঁর বাগান এখন একটি জীব-বৈচিত্র অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। তাঁর এই সাফল্য তাঁকে আরও অনুপ্রাণিত করেছে। এরপর রাফিজি মিয়াওয়াকি কৌশলে একটি মিনি ফরেস্ট অর্থাৎ ছোট জঙ্গল তৈরি করেন এবং এর নাম দেন ‘বিদ্যাবনম’। এত সুন্দর নাম শুধু একজন শিক্ষকই রাখতে পারেন ‘বিদ্যাবনম’। রামনাথজির এই বিদ্যাবনমে খুব অল্প জায়গায় ১১৫টি প্রজাতির ৪৫০টিরও বেশি গাছ লাগানো হয়। তাঁর ছাত্ররাও এর রক্ষণাবেক্ষণে তাঁকে সাহায্য করেন। আশেপাশের স্কুলের বাচ্চারা, সাধারণ নাগরিকরা এই সুন্দর জায়গাটি দেখতে বিপুল ভিড় জমান। মিয়াওয়াকি জঙ্গল সহজেই যে কোনো জায়গায়, এমনকি শহরেও তৈরী করা যায়। কিছুদিন আগেই আমি গুজরাটের কেভারিয়ার একতা নগরে একটি মিয়াওয়াকি জঙ্গল উদ্বোধন করেছিলাম।
২০০১ সালে কচ্ছের ভূকম্পে মৃত মানুষের স্মৃতিতেও মিয়াওয়াকি পদ্ধতিতে স্মৃতিবন বানানো হয়েছে। কচ্ছর মতো জায়গায় এর সাফল্য এটাই প্রমাণ করে যে যেকোনো কঠিন প্রাকৃতিক পরিবেশেও এই পদ্ধতি কতটা প্রভাবশালী। এভাবেই অম্বাজি এবং পাওয়াগড়-এও মিয়াওয়াকি পদ্ধতিতে গাছ লাগানো হয়েছে। আমি জানতে পেরেছি যে লক্ষ্ণৌয়ের আলীগঞ্জেও একটি মিয়াওয়াকি উদ্যান তৈরি করা হচ্ছে। বিগত চার বছরে মুম্বাই এবং তার আশেপাশের অঞ্চলে এরকম ষাটটিরও অধিক জঙ্গলের উপর কাজ করা হয়েছে। এখন তো এই পদ্ধতি সমগ্র বিশ্বে পছন্দ করা হয়ে থাকে। সিঙ্গাপুর প্যারিস, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়ার মত অনেক দেশেই এর প্রয়োগ বড় আকারে করা হচ্ছে। আমি দেশবাসীর কাছে, বিশেষ করে শহরে থাকা মানুষের কাছে অনুরোধ করব, যে তারা যেন মিয়াওয়াকি পদ্ধতি সম্বন্ধে জানার প্রচেষ্টা করেন। এর মাধ্যমে আপনারা আপনাদের পৃথিবী এবং প্রকৃতিকে সবুজ এবং স্বচ্ছ বানানোতে অমূল্য ভূমিকা পালন করতে পারেন।
আমার প্রিয় দেশবাসী, আজকাল আমাদের দেশে জম্মু-কাশ্মীরের অনেক চর্চা হয়। কখনো পর্যটনের বৃদ্ধির জন্য তো কখনো জি-টোয়েন্টির বিশাল আয়োজনের জন্য। কিছু মাস আগে আমি 'মন কি বাতে' আপনাদের বলেছিলাম যে কিভাবে কাশ্মীরের 'নাদরু' দেশের বাইরেও আলোচিত। এখন জম্মু-কাশ্মীরের বারামুলা জেলার মানুষেরা এক আশ্চর্য কাজ করে দেখিয়েছেন। বারামুলাতে চাষবাস অনেকদিন থেকেই হয়ে থাকে কিন্তু এখানে দুধ-এর যোগানে ঘাটতি ছিল। বারামুলার মানুষেরা এই চ্যালেঞ্জকে সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছে। এখানে বড় সংখ্যায় মানুষ ডেয়ারীর কাজ করা শুরু করেছেন। এই কাজে সবার আগে এখানকার মহিলারা এগিয়ে আসেন - যে রকম একজন বোন হলেন ইশরাত নবী। ইসরাত একজন স্নাতক এবং তিনি মির সিস্টার্স ডেয়ারী ফার্ম শুরু করেছেন। ওঁর এই ডেয়ারি ফার্ম থেকে প্রতিদিন প্রায় দেড়শ লিটার দুধ বিক্রি হয়ে থাকে। এ রকমই সোপর এর এক বন্ধু আছেন ওয়াসিম অনায়ত। ওয়াসিমের কাছে দু’ডজনেরও বেশি পশু আছে আর উনি প্রতিদিন ২০০ লিটারেরও বেশি দুধ বিক্রি করেন। আরও একজন যুবক আবিদ হুসেনও দোহ বা ডেয়ারীর কাজ করছেন। উনিও খুব উন্নতি করছেন। এরকম মানুষদেরই পরিশ্রমের জন্য আজ বারামুলাতে প্রত্যেকদিন সাড়ে পাঁচ লক্ষ লিটার দুধ উৎপাদন হচ্ছে। সমগ্র বারামুলা একটি নতুন শ্বেত বিপ্লবের পরিচায়ক হিসেবে তৈরি হচ্ছে। বিগত আড়াই তিন বছরে এখানে ৫০০-এরও বেশি ডেয়ারী ইউনিটস বসেছে। বারামুলার এই দোহ শিল্পের বিষয়ের সাক্ষী যে আমাদের দেশের প্রত্যেকটি অংশই কতটা সম্ভাবনাময়। যেকোনো ক্ষেত্রের মানুষের সমষ্টিগত ইচ্ছাশক্তি যেকোনো লক্ষ্য প্রাপ্ত করে দেখাতে পারে।
আমার প্রিয় দেশবাসী, এই মাসে ক্রীড়া জগত থেকে ভারতের জন্য বেশ কয়েকটি বড় সুসংবাদ এসেছে। ভারতীয় মহিলা দল প্রথম বার জুনিয়ার এশিয়া কাপ জয় করে ত্রিবর্ণ রঞ্জিত পতাকার মর্যাদা বাড়িয়েছে। এই মাসেই আমাদের পুরুষদের হকি দলও জুনিয়র এশিয়া কাপ জিতেছে। এই জয়ের ফলে আমরা এই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সবথেকে বেশি বার বিজয়ী হওয়ার স্বীকৃতি লাভ করেছি। জুনিয়র শুটিং ওয়ার্ল্ড কাপেও আমাদের জুনিয়র টিম দারুণ সাফল্য অর্জন করেছে। ভারতীয় দল এই টুর্নামেন্টে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। এই টুর্নামেন্টে মোট যতগুলি স্বর্ণ পদক ছিল তার কুড়ি শতাংশ ভারত একাই পেয়েছে। এই জুন মাসেই এশিয়ান অনুর্ধ ২০ অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপও হয়েছে। তাতে ভারত পদক তালিকায় ৪৫টি দেশের মধ্যে প্রথম তিনে রয়েছে।
বন্ধুরা, আগে একটা সময় ছিল যখন আমরা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার বিষয়ে জানতাম বটে কিন্তু তাতে প্রায়শই ভারতের কোথাও কোনো নাম থাকত না। কিন্তু আজ আমি শুধু গত কয়েক সপ্তাহের সাফল্যের কথা বলছি, তাতেই লিস্ট এত বড় হচ্ছে। এটাই আমাদের যুবশক্তির প্রকৃত ক্ষমতা। এমন কত ক্রীড়া এবং প্রতিযোগিতা আছে যেখানে আজ ভারত প্রথমবার নিজের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে। যেমন লং-জাম্পে শ্রীশংকর মুরলী প্যারিস ডায়মন্ড লীগের মতো খ্যাতিসম্পন্ন প্রতিযোগিতায় দেশকে ব্রোঞ্জ এনে দিয়েছে। এটা এই প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রথম পদক। এ রকমই এক সাফল্য আমাদের অনুর্ধ ১৭ মহিলাদের রেসলিং টিম কিরগিজস্তানেও অর্জন করেছে। আমি দেশের সেই সব খেলোয়াড়, তাদের বাবা-মা এবং কোচদের সবাইকে তাদের প্রয়াসের জন্য অনেক অনেক অভিনন্দন জানাচ্ছি।
বন্ধুরা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় দেশের এই সাফল্যের পেছনে জাতীয় স্তরে আমাদের ক্রীড়াবিদদের কঠোর পরিশ্রম থাকে। আজ দেশের আলাদা আলাদা রাজ্যে এক নতুন উৎসাহের সঙ্গে খেলাধুলার আয়োজন করা হচ্ছে। এতে ক্রীড়াবিদরা খেলার, জেতার এবং হার থেকে শিক্ষা নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। যেমন সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে খেলো ইন্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজিত হল। এতে তরুণ ক্রীড়াবিদদের মধ্যে প্রভূত উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। এই খেলায় আমাদের যুবকযুবতীরা ১১টি রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন। এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটি, অমৃতসরের গুরু নানক দেব ইউনিভার্সিটি আর কর্ণাটকের জৈন ইউনিভার্সিটি পদক তালিকায় প্রথম তিনটি স্থানে রয়েছে।
বন্ধুরা, এই ধরনের টুর্নামেন্টের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এটাও যে এর মাধ্যমে তরুণ ক্রীড়াবিদদের বহু অনুপ্রেরণাদায়ক ঘটনা সামনে আসে। খেলো ইন্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় রোয়িং-এ প্রতিযোগিতায় অসমের কটন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজকুমার প্রথম দিব্যাঙ্গ খেলোয়াড় হিসেবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। বরকতুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিধি পাওয়াইয়া হাঁটুতে গম্ভীর চোট থাকা সত্ত্বেও শট পুটে স্বর্ণ পদক জিততে সক্ষম হয়েছিলেন। পুণের সাবিত্রীবাই ফুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শুভম ভান্ডারের হাটুতে চোট থাকার দরুন গতবার বেঙ্গালুরুতে হতাশ হয়েছিলেন, কিন্তু এবার তিনি স্টিপলচেজে সোনা জিতেছেন। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সরস্বতী কুন্ডু নিজের কবাডি টিমের ক্যাপ্টেন। তিনি অনেক কঠিন বিপত্তি পার করে এই জায়গায় পৌঁছেছেন। দুর্দান্ত ক্রীড়া প্রদর্শনকারী এমন বহু খেলোয়াড়দের “টপস” প্রকল্পের মাধ্যমে সাহায্য পৌঁছাচ্ছে। আমাদের খেলোয়াড়রা যত খেলবেন ততই উজ্জ্বল হবেন।
আমার প্রিয় দেশবাসী, একুশে জুন প্রায় আসন্ন। এবার বিশ্বের কোনায় কোনায় মানুষ আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের জন্য উৎসাহের সঙ্গে অপেক্ষা করছেন। এবছর যোগ দিবসের মূল ভাবনা- যোগা ফর বসুধৈব কুটুম্বকম অর্থাৎ ‘এক বিশ্ব - এক পরিবার’ ভাবনায় সবার কল্যাণের জন্য যোগ। এর মাধ্যমে যোগের সেই ধারণাকে তুলে করা হচ্ছে যা সবাইকে যুক্ত করে ও সঙ্গে নিয়ে চলে। প্রতিবারের মতো এবারও দেশের কোনায় কোনায় যোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন কার্যক্রম আয়োজন করা হচ্ছে।
বন্ধুরা, এবার আমি নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সদর দপ্তরে রাষ্ট্র সঙ্ঘ আয়োজিত যোগ দিবস কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছি। সামাজিক মাধ্যমেও চোখে পড়ার মতো যোগ দিবস নিয়ে অত্যধিক উৎসাহ আমি লক্ষ্য করেছি ।
বন্ধুরা, আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ করবো যে আপনারাও যোগকে আপনাদের জীবনে অন্তর্ভুক্ত করুন, আপনাদের রোজনামচার অঙ্গ করে তুলুন। যদি এখনো আপনি যোগের সঙ্গে যুক্ত হয়ে না থাকেন, তাহলে আগামী একুশে জুন, এই সংকল্পের জন্য অতি উত্তম সুযোগ। যোগেতে এমনিও বেশি চাকচিক্যের প্রয়োজন হয় না। দেখবেন, যখন আপনি যোগের সঙ্গে যুক্ত হবেন, তখন আপনার জীবনেও কত বড় পরিবর্তন আসবে।
আমার প্রিয় দেশবাসী, পরশু অর্থাৎ ২০শে জুন ঐতিহাসিক রথযাত্রার দিন। সম্পূর্ণ বিশ্বে রথযাত্রার এক বিশেষ পরিচয় রয়েছে। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে খুব ধুমধামের সঙ্গে ভগবান জগন্নাথের রথযাত্রা বের হয়। ওড়িশার পুরীতে অনুষ্ঠিত রথযাত্রা নিজেই এক বিস্ময়। যখন আমি গুজরাটে ছিলাম, তখন আমেদাবাদে আয়োজিত বিশাল রথযাত্রায় অংশগ্রহণ করার সৌভাগ্য হয়েছিল। এই রথযাত্রায় যেভাবে দেশের সমস্ত স্তরের, সমস্ত বর্গের মানুষের ভিড় হয় তা সত্যিই অনুকরণযোগ্য। এই আস্থার মাধ্যমে ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত'-ও প্রতিফলিত হয়ে ওঠে। এই শুভ উৎসব উপলক্ষে আমি আপনাদের জানাই অনেক অনেক শুভকামনা। আমি প্রার্থনা করি যে ভগবান জগন্নাথ সমগ্র দেশবাসীদের সুস্বাস্থ্য ও সুখ-সমৃদ্ধির আশীর্বাদ প্রদান করুন।
বন্ধুরা ভারতীয় পরম্পরা এবং সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত উৎসবের কথা বলার সময় আমি দেশের রাজভবনে হওয়া সুন্দর আয়োজনগুলোর কথাও অবশ্যই উল্লেখ করব। এখন দেশে রাজভবনগুলোর পরিচিতি সামাজিক এবং জনকল্যাণমূলক কার্যের মাধ্যমে জানা যাচ্ছে। আজ আমাদের রাজভবন টিবি মুক্ত ভারত অভিযানের, প্রাকৃতিক উপায়ে চাষবাস সংক্রান্ত অভিযানের পরিচয়বাহক। কয়েকদিন আগে গুজরাট হোক, গোয়া হোক, তেলেঙ্গানা হোক, মহারাষ্ট্র হোক, সিকিম হোক, এই সব রাজ্যের প্রতিষ্ঠা দিবস আলাদা আলাদা রাজভবন যেভাবে উৎসাহের সঙ্গে পালিত হয়েছে, সেটি বিশেষ উদাহরণের মতো। এটা একটা ভালো উদ্যোগ যা এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত এই ভাবনাকে আরো মজবুত করে।
বন্ধুরা ভারত গণতন্ত্রের জননী, মাদার অফ ডেমোক্রেসি। আমরা গণতান্ত্রিক আদর্শকে সবার উপরে মনে করি, আমাদের সংবিধানকে সর্বোপরি মনে করি, এই জন্য আমরা ২৫শে জুন দিনটি কখনো ভুলতে পারবো না। এটি সেই দিন যেদিন আমাদের দেশে জরুরী অবস্থা আরোপ করা হয়েছিল। এটা ভারতের ইতিহাসের একটা অন্ধকার সময় ছিল। লক্ষ লক্ষ মানুষ পূর্ণ শক্তিতে জরুরী অবস্থার বিরোধিতা করেছিলন। গণতন্ত্রের সমর্থকদের ওপর সেই সময় এত অত্যাচার করা হয়েছিল, এত যন্ত্রণা দেওয়া হয়েছিল যে আজও আমার মন শিউরে ওঠে। এই অত্যাচারে পুলিশ এবং প্রশাসনের মাধ্যমে যেসব শাস্তি দেওয়া হয়েছিল তার ওপর অনেক বই লেখা হয়েছে। আমিও “সংঘর্ষ মে গুজরাট” নামের একটি বই সেই সময়ে লেখার সুযোগ পেয়েছিলাম। কয়েকদিন আগেই জরুরী অবস্থার ওপর লেখা আরেকটি বই আমি পেয়েছি যার নাম “টর্চার অফ পলিটিক্যাল প্রিজনার্স ইন ইন্ডিয়া”। জরুরী অবস্থার সময়ে ছেপে বেরোনো এই বইটিতে বর্ণনা করা হয়েছে যে কীভাবে সেই সময় সরকার গণতন্ত্রের রক্ষকদের সঙ্গে নিষ্ঠুরতম ব্যবহার করেছিল। এই বইতে অনেক ঘটনার কথা রয়েছে, বিভিন্ন ধরনের ছবি রয়েছে। আমি চাই যে আজ যখন আমরা আজাদীর অমৃত মহোৎসব পালন করছি তখন দেশের স্বাধীনতাকে বিপদে ফেলার মতো এমন অপরাধেরও আলোচনা হোক। এতে বর্তমান সময়ের যুবক-যুবতীদের গণতন্ত্রের গুরুত্ব এবং তার অর্থ বুঝতে আরো বেশি সুবিধা হবে।
আমার প্রিয় দেশবাসী, 'মন কি বাত’ রঙবেরঙের মুক্তো দিয়ে সাজানো সুন্দর একটা মালা যেটার প্রতিটা মুক্ত নিজে থেকেই অনন্য এবং অমূল্য। এই অনুষ্ঠানের প্রতিটি পর্ব খুবই প্রাণবন্ত। আমাদের একতার অনুভূতির সঙ্গে সঙ্গে সমাজের প্রতি কর্তব্যের অনুভূতি এবং সেবার অনুভূতি সঞ্চার করে। এখানে সেই বিষয়গুলো নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করা হয়, যে বিষয়গুলো সম্পর্কে, আমরা, সাধারণত কম পড়তে এবং শুনতে পাই। আমরা প্রায়ই দেখতে পাই যে ‘মন কি বাত’-এ যে কোন বিষয় নিয়ে উল্লেখ করা হলে তা থেকে কত দেশবাসী নতুন করে অনুপ্রেরণা পায়। এই কিছুদিন আগে দেশের বিখ্যাত ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্যশিল্পী আনন্দা শঙ্কর জয়ন্তের থেকে একটি চিঠি পেয়েছি। তিনি তাঁর চিঠিতে 'মন কি বাত’-এর সেই এপিসোডের বিষয়ে লিখেছেন, যেখানে আমি স্টোরি টেলিং-এর প্রসঙ্গে চর্চা করেছিলাম। সেই অনুষ্ঠানে আমি এই বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের প্রতিভাকে স্বীকৃতি দিয়েছিলাম। 'মন কি বাতে'র সেই অনুষ্ঠানটি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আনন্দা শঙ্কর জয়ন্ত “কুট্টি কাহিনী” রচনা করেছেন। এটি বাচ্চাদের জন্য বিভিন্ন ভাষায় প্রকাশিত গল্পের একটি উত্তম সংগ্রহ। এই প্রয়াস এই জন্য খুব ভালো, কারণ এইভাবে আমাদের বাচ্চাদের নিজেদের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় আরও গভীর হবে। উনি নিজের গল্পগুলির কিছু আকর্ষণীয় ভিডিও নিজের ইউ টিউব চ্যানেলে আপলোড করেছেন। আমি আনন্দা শংকর জয়ন্তের এই প্রয়াসের বিষয়ে বিশেষ করে আলোচনা করলাম কারণ, এটা দেখে আমার খুব ভালো লাগলো যে কিভাবে একজন দেশবাসীর ভালো কাজ, অন্যদেরও অনুপ্রেরণা দিচ্ছে। এর থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজের প্রতিভা দিয়ে তারাও দেশ এবং সমাজের জন্য কিছু ভালো কাজ করার চেষ্টা করবে। এটাই তো আমাদের ভারতীয়দের যৌথশক্তি, যা দেশের অগ্রগতিতে নব শক্তি আহরণ করছে।
আমার প্রিয় দেশবাসী, আজকের ‘মন কি বাত’ - এইটুকুই। পরের বার, একটি নতুন বিষয় নিয়ে আপনাদের সঙ্গে আবার দেখা হবে। এটি বর্ষার সময়, তাই নিজের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখবেন। সুষম খাবার খান এবং সুস্থ থাকুন। হ্যাঁ! যোগব্যায়াম অবশ্যই করবেন। অনেক স্কুলে গ্রীষ্মের ছুটিও শেষ হয়ে আসছে। আমি বাচ্চাদের বলব যে হোমওয়ার্ক শেষ দিনের জন্য বাকি রাখা উচিত নয়। কাজ শেষ করো আর নিশ্চিন্ত থেকো। অনেক-অনেক ধন্যবাদ।
( মূল অনুষ্ঠানটি হিন্দিতে সম্প্রচারিত হয়েছে)
CG/CB
(Release ID: 1933251)
Visitor Counter : 215