জলশক্তি মন্ত্রক

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে জনস্বাস্থ্য ও আর্থিক সাশ্রয়ের ক্ষেত্রে হর ঘর জল কর্মসূচীর সুফলের উল্লেখ করা হয়েছে

Posted On: 10 JUN 2023 12:00AM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ৯ জুন, ২০২৩   

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আজ ভারতের হর ঘর জল কর্মসূচীর সুফল সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এই প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানের সূচনায় নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য বিভাগের সদস্য ডঃ ভি.কে. পল জানান, বিশুদ্ধ পানীয় জল কিভাবে মানুষের জীবন বাঁচায়, মহিলাদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করে এবং সহজ জীবনযাত্রায় সহায়ক হয় তা আমরা এই কর্মসূচী বাস্তবায়নের মাধ্যমে  দেখেছি। এই কর্মসূচীর প্রশংসা করে তিনি বলেন, আজ ভারতের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের যুগান্তকারী পরিবর্তনের নেপথ্যে প্রতি সেকেন্ডে জলের নতুন সংযোগ প্রদানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিরাপদ পানীয় জল সরবরাহের ফলে ভারতে ডায়েরিয়া জনিত অসুখের ফলে ৪ লক্ষ মৃত্যু এড়ানো সম্ভব হয়েছে। এর ফলে, ১০ হাজার ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের সমতুল অর্থ সাশ্রয় করা সম্ভব হয়েছে। জলশক্তি মন্ত্রকের পানীয় জল ও নিকাশী দপ্তরের সচিব শ্রীমতী বিনি মহাজন, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত গবেষণা দপ্তরের মহানির্দেশক ডাঃ রাজীব বল এবং ভারতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডাঃ রোডেরিকো এইচ অফরিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।   

ডাঃ বল এই অনুষ্ঠানে হর ঘর জল কর্মসূচীর সাফল্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, এই প্রতিবেদনে কেন্দ্রীয় সরকারের জল জীবন মিশনে বিনিয়োগের সুফল সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে এর নানা ইতিবাচক প্রভাব নজরে এসেছে। ২০১৯ সালের আগে ভারতের গ্রামাঞ্চলে জলসরবরাহের চিত্রটি খুব একটা আশাব্যাঞ্জক ছিল না। দেশের মোট জনসংখ্যার ৩৬ শতাংশ মানুষের বাড়িতে বিশুদ্ধ পানীয় জল পাওয়ার কোনো ব্যবস্থা ছিল না।  গ্রামাঞ্চলে বসবাসরত ৪৪ শতাংশ মানুষ এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলেন। নিরাপদ পানীয় জল না পাওয়ার ফলে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে নানারকমের সমস্যা সৃষ্টি হতো। ২০১৯-এর এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, সারা বিশ্বে ৭ কোটি ৪০ লক্ষ মানুষ অপরিচ্ছন্ন নিকাশী ব্যবস্থা এবং  দূষিত জল ব্যবহার করে প্রাণ হারিয়েছেন। ভারতের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ১৪ লক্ষ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পর্যবেক্ষণে বলা হয়, দূষিত জল এবং অপরিচ্ছন্ন নিকাশী ব্যবস্থার কারণে সুস্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা যায় না। ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, বিশুদ্ধ জল এবং পরিচ্ছন্ন নিকাশী ব্যবস্থার ফলে জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রের সার্বিক উন্নতি ঘটে।        
 
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে নলবাহিত জলের সংযোগ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ফলে মহিলারা সব থেকে উপকৃত হয়েছেন। ২০১৮ সালের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ভারতে মহিলারা, তাঁদের বাড়ির জলের চাহিদা পূরণের জন্য দৈনিক ৪৫ মিনিটেরও বেশি সময় ব্যয়  করতেন। জল সংগ্রহ করার জন্য  প্রতিদিন মোট ৬কোটি ৬৬ লক্ষ ঘণ্টা সময় ব্যয় হত। এর মধ্যে গ্রামাঞ্চলের মহিলারা ব্যয় করা সময়ের মোট পরিমাণ ৫ কোটি ৫৮ লক্ষ ঘণ্টা। শ্রীমতী মহাজন জানান, জলজীবন মিশনের দ্রুত বাস্তবায়নের ফলে দেশে পানীয় জল সরবরাহ সংযোগের চিত্র বদলাচ্ছে। ২০১৯ সালে মাত্র ১৬.৬৪ শতাংশ বাড়িতে জলের সংযোগ ছিল। সেখানে পরবর্তী ৪১ মাসে তা বৃদ্ধি পেয়ে  ৬২.৮৪ শতাংশে পৌঁছেছে।    

হর ঘর কর্মসূচী : 
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৯ সালে স্বাধীনতা দিবসে হর ঘর কর্মসূচীর ঘোষণা করেন। জলশক্তি মন্ত্রকের জলজীবন মিশনের আওতায় এই কর্মসূচিতে গ্রামাঞ্চলের প্রত্যেক বাড়িতে নলবাহিত বিশুদ্ধ জল পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।  


CG/CB/SKD



(Release ID: 1931213) Visitor Counter : 109


Read this release in: English