পরিবেশওঅরণ্যমন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

জেডএসআই-এর বিজ্ঞানীরা পশ্চিম ও মধ্য অরুণাচল প্রদেশ থেকে নতুন প্রজাতির ছোট লেজওয়ালা বাঁদর খুঁজে পেলেন

प्रविष्टि तिथि: 27 MAY 2022 9:45PM by PIB Kolkata

কলকাতা, ২৮ মে, ২০২২


জুলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (জেডএসআই)-র বিজ্ঞানীরা একটি নতুন প্রজাতির ছোট লেজওয়ালা বাঁদরের খোঁজ পেয়েছেন পশ্চিম ও মধ্য অরুণাচল প্রদেশে থেকে। একথা জানিয়েছেন জেডএসআই-এর অধিকর্তা ডঃ ধৃতি ব্যানার্জি। তিনি বলেছেন, বিজ্ঞানীরা এই প্রজাতির বাঁদরের বেশ কয়েকটি নমুনা সংগ্রহ করেছেন এবং সেগুলির বিস্তারিত জাতগত বিশ্লেষণ করেছেন। তাতে দেখা গেছে, এই বাঁদরগুলি ওই অঞ্চলের অন্য প্রজাতির বাঁদরের থেকে জিনগত ভাবে পৃথক। ডঃ ব্যানার্জি জানিয়েছেন, বিজ্ঞানীরা এটির নাম দিয়েছেন ‘সেলা ম্যাকাক’ (ম্যাকাকা সেলাই)। কারণ, এই প্রজাতিটি ভৌগোলিকভাবে সেলা পাস নামে গিরিপথ দ্বারা বিভক্ত তাওয়াং জেলার অরুণাচল ম্যাকাকের থেকে কিছুটা ভিন্ন।

জেডএসআই-এর বিজ্ঞানী ডঃ মুকেশ ঠাকুরের অভিমত, সেলা গিরিপথ প্রায় ২০ লক্ষ বছর ধরে এই দুটি প্রজাতির বাঁদরের স্থানান্তরের কারণ হিসেবে কাজ করে আসছে। সেলা প্রজাতির এই বাঁদর জিনগতভাবে অরুণাচল প্রদেশের অপর প্রজাতির বাঁদরের কিছুটা কাছাকাছি হলেও দুটি প্রজাতির বাঁদরের মধ্যে গঠনগত বৈশিষ্ট্যে নির্দিষ্ট কিছু তথাৎ রয়েছে। তবে, দুটি প্রজাতির বাঁদরের দৈহিক বৈশিষ্ট্য অনেকটাই এক। দুটি প্রাণীর-ই দৈহিক গঠন বেশ শক্তপোক্ত এবং পিঠে বড় বড় লোম রয়েছে। অরুণাচল ম্যাকাকের মুখের রঙ কালো এবং গায়ের লোমের রঙ গাঢ় বাদামি। অপরদিকে, সেলা ম্যাকাকের মুখের রঙ ফ্যাকাসে এবং গায়ের লোমের রঙ খয়েরি। দুটি প্রজাতির বাঁদরের ক্ষেত্রেই আচরণগত হাবভাব একরই রকম। অবশ্য, এদের মধ্যেই আবার কিছু কিছু বাঁদর মানুষের উপস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে আবার অন্যগুলি মানুষকে এড়িয়ে চলতেই ভালোবাসে। গ্রামবাসীদের সূত্রে জানা গেছে, অরুণাচল প্রদেশের পশ্চিম কামেং জেলায় শস্যহানির প্রধান কারণ কিন্তু এই সেলা ম্যাকাক।

এই সমীক্ষাটি প্রকাশিত হয়েছে ‘মলিকিউলার ফাইলোজেনেটিক্স অ্যান্ড ইভোলিউশন ’  নামক সাময়িক পত্রে।
 
SSS/AP/NR/NS


(रिलीज़ आईडी: 1829846) आगंतुक पटल : 100
इस विज्ञप्ति को इन भाषाओं में पढ़ें: English