জলশক্তি মন্ত্রক

দেশে জলের সংকট

Posted On: 28 MAR 2022 4:51PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ২৮ মার্চ, ২০২২
 
দেশের যে কোন অঞ্চলে পানীয় জলের বার্ষিক প্রাপ্যতা মূলত জলবায়ু এবং ভূতাত্ত্বিক কারণের ওপর নির্ভরশীল। বেসিন বা অববাহিকা অঞ্চল অনুযায়ী জল সম্পদের মূল্যায়ন করা হয়। জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে দেশে জলের মাথাপিছু প্রাপ্যতা হ্রাস পাচ্ছে। এছাড়াও বৃষ্টিপাতের তারতম্যের জন্য জলের প্রাপ্যতা জাতীয় গড় থেকে অনেকটাই কম। এর ফলে জলের দুষ্প্রাপ্য অবস্থা হতে পারে।
 
সেন্ট্রাল গ্রাউন্ড ওয়াটার বোর্ড এবং রাজ্য সরকার গুলির তরফ থেকে যৌথভাবে সারা দেশ জুড়ে ভূগর্ভস্থ জল সম্পদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে। ২০২০ সালের মূল্যায়ন অনুযায়ী সারাদেশে ৬,৯৬৫ টি মূল্যায়ন ইউনিটের মধ্যে ( যার মধ্যে ব্লক, তালুক, মন্ডল প্রভৃতি রয়েছে ) ১৫ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১,১১৪ টি ইউনিটকে 'অতি শোষিত' হিসাবে শ্রেণীভূক্ত করা হয়েছে। যেখানে বার্ষিক ক্ষেত্রে ভূগর্ভস্থ জলের উত্তোলন সবচেয়ে বেশি হয়।
 
পানীয় জলের বিষয়টি রাজ্য ভিত্তিক হওয়ায় জল সম্পদ বৃদ্ধি, সংরক্ষণ এবং দক্ষ ব্যবস্থাপনার পদক্ষেপগুলি প্রাথমিকভাবে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের ওপরেই বর্তায়। রাজ্য সরকারকে সহায়তা করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প এবং কর্মসূচী প্রণয়ন করে, যার মাধ্যমে প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
 
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২০২১ সালের ২২ শে মার্চ বিশ্ব জল দিবসে "বৃষ্টি ধরুন, যখন এবং যেখানে তা পড়ে" এই ভাবনাকে কেন্দ্র করে জল শক্তি অভিযান শুরু করেছিলেন। এই অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল, ২২ শে মার্চ, ২০২১ থেকে ৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ পর্যন্ত, সারাদেশে যে প্রাক বর্ষা এবং বর্ষাকাল থাকা তাকে কাজে লাগানো। এই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে গুরুত্ব দেওয়া হয়- ১) বৃষ্টির জল সংগ্রহ এবং জল সংরক্ষণ।
 
২) সমস্ত জলাশয়ের গণনা এবং জিও ট্যাগিং তৈরি করা।
৩) সমস্ত জেলায় জল শক্তি কেন্দ্র স্থাপন।
৪) নিবিড় বনায়ন।
৫) সচেতনতা গড়ে তোলা।
 
কেন্দ্রীয় সরকার ১৯৮০ সালে উদ্বৃত্ত অববাহিকা অঞ্চলে থেকে ঘাটতি প্রবণ অববাহিকা অঞ্চলে জল স্থানান্তরের জন্য নদী গুলির আন্তঃসংযোগের জন্য একটি ন্যাশনাল পার্সপেক্টিভ প্ল্যান, এনপিপি তৈরি করেন। জাতীয় জল উন্নয়ন সংস্থা সারাদেশে ৩০ টি লিঙ্ককে চিহ্নিত করেছে।
 
কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলির সাথে যৌথ অংশীদারিত্বে জল জীবন মিশন বাস্তবায়ন করেছে। যেখানে ২০২৪ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি গ্রামীণ পরিবারের জন্য দৈনিক ৫৫ লিটার পানীয় জল সরবরাহ করা হবে।
 
এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার, ২০২১ সালের ১লা অক্টোবর থেকে চালু করেছে পাঁচ বছর মেয়াদি অমরুত প্রকল্প-২‌। এর মাধ্যমে শহরের বিভিন্ন পরিবারের পানীয় জল সরবরাহ করা হবে।
 
প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিঞ্চায়ী যোজনা যা ২০১৫-১৬ অর্থবছরে চালু করা হয়েছিল, এর মাধ্যমেও চাষযোগ্য জমিতে সেচের মাধ্যমে জল দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিঞ্চায়ী যোজনার অ্যাক্সিলারেটেড ইরিগেশন বেনিফিট প্রোগ্রাম- এর মাধ্যমে ৭৭,৫৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের ৯৯ টি  বড় এবং মাঝারি সেচ প্রকল্পকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার ২০২১ থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিঞ্চায়ী যোজনা- অ্যাক্সিলারেটেড ইরিগেশন বেনিফিট প্রোগ্রামের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি চাষযোগ্য জমিতে জলসেচের জন্য ২৩,৯১৮ কোটি টাকা অনুমোদন করেছে।
 
কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৯ সালের ১৪ ই নভেম্বর ন্যাশনাল ওয়াটার মিশন- এর মাধ্যমে 'সেহি ফসল' অভিযান চালু করেছে। যেখানে কৃষকরা পর্যাপ্ত জলের ব্যবহার করে ফসল ফলাতে পারবেন।
 
আবার, অটল ভূজল যোজনার বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এই প্রকল্পের জন্য ব্যয় বরাদ্দের পরিমাণ ৬ হাজার কোটি টাকা। এই প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রী ২০১৯ সালের ২৫ শে ডিসেম্বর চালু করেছিলেন। এই প্রকল্পটি হরিয়ানা, গুজরাট, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান এবং উত্তর প্রদেশ, এই সাতটি রাজ্যে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
 
এছাড়াও, ন্যাশনাল অ্যাকুইফার ম্যাপিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম সেন্ট্রাল গ্রাউন্ড ওয়াটার বোর্ড দ্বারা সারাদেশে পরিচালিত হচ্ছে।
 
আজ রাজ্যসভায় এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে জল শক্তি মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী শ্রী বিশ্বেশ্বর টুডু এই তথ্য জানিয়েছেন।
 
 
CG/ SB


(Release ID: 1810798) Visitor Counter : 1113


Read this release in: English