নারীওশিশুবিকাশমন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

লিঙ্গ সমতা এবং নারীর ক্ষমতায়ণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ

Posted On: 08 DEC 2021 3:39PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি,  ০৮ ডিসেম্বর, ২০২১

 

নারীর বিরুদ্ধে সকল প্রকার বৈষম্য দূরীকরণের সম্মেলন (সিইডিএডাব্লুউ)-এর স্বাক্ষরকারী দেশ হলো ভারত। ১৯৮০ সালের ৩০ জুলাই এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ১৯৯৩ সালের ৯ জুলাই এটি অনুমদিত হয়। 

সম্মেলনে বলা হয় নারী ও পুরুষের মধ্যে পূর্ণ সমতা অর্জনের জন্য সরকারকে নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য দূরীকরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ভারতের প্রেক্ষাপটে, লিঙ্গ সমতার নীতি দেশের সংবিধানের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সেখানে লিঙ্গ সমতার নিশ্চয়তা এবং দেশকে নারীর পক্ষে ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। 

কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন পরিকল্পিত পদক্ষেপের মাধ্যমে নারীদের সামাজিক, শিক্ষাগত, আর্থিক ও রাজনৈতিক উন্নতিসাধনে লিঙ্গ সমতা এবং মহিলাদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। বেটি বাঁচাও বেটি পঢ়াও, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (শহর ও গ্রামীণ), জাতীয় সামাজিক সহায়তা কর্মসূচি, প্রধানমন্ত্রী ব্যায় বন্দনা যোজনা এবং সমগ্র শিক্ষা, জাতীয় বৃত্তি প্রকল্প, বাবু জগজীবন রাম ছাত্রাবাস যোজনা, স্বচ্ছ বিদ্যালয় মিশন ইত্যাদির মতো উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে নারীর সামাজিক সুস্থতার সহায়তায় কিশোরী মেয়েদের জন্য প্রকল্প চালু করা হয়েছে। মূলত, সমাজের দুর্বল অংশের মেয়েরা যাতে বিশেষ প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে পারেন, তার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এমনকি জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০-তে লিঙ্গ সমতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। সামাজিক ও আর্থিকভাবে সুবিধাবঞ্চিত গোষ্ঠীর ওপর বিশেষ জোর দিয়ে সমস্ত শিক্ষার্থীর জন্য মানসম্মত শিক্ষার ন্যায় সংগত সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। 

মহিলা কর্মীদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য সরকার মহিলা শিল্প প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, জাতীয় বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান এবং আঞ্চলিক ভোকেশনাল প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলির মাধ্যমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দক্ষতা উন্নয়ন এবং বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মহিলাদের আর্থিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সরকার স্কিল ইন্ডিয়া মিশন চালু করেছে। এই মিশনে নারীদের অংশগ্রহণ বিশেষভাবে চোখে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ কেন্দ্রগুলি মহিলাদের জন্য প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষানবিশ উভয় ক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিকাঠামো তৈরির ওপর জোর দিয়েছে। পাশাপাশি মহিলাদের নিজস্ব উদ্যোগ প্রতিষ্ঠায় সাহায্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা এবং স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়া ও প্রধানমন্ত্রী কর্মসংস্থান কর্মসূচির মতো প্রকল্প চালু করা হয়েছে। স্বচ্ছ বিদ্যালয় মিশনের আওতায় সমস্ত বিদ্যালয়ে মেয়েদের জন্য কমপক্ষে একটি শৌচালয় তৈরি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার লক্ষ্যই হলো মহিলাদের স্বচ্ছ জ্বালানি সরবরাহ করে কাঠ সংগ্রহের কষ্ট থেকে রক্ষা করা ও স্বাস্থ্যের উন্নতিসাধন।

এছাড়াও, মহালিদের কর্মসংস্থানে উৎসাহ যোগানোর জন্য সম্প্রতি বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। মহিলাদের কর্মক্ষেত্রে মজুরি, পেশাগত নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য এবং কাজের শর্তাবলীর ক্ষেত্রে নতুন আইন তৈরি করা হয়েছে। স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়া প্রকল্পে মহিলা উদ্যোক্তাদের সাহায্য করা হয়েছে। মনরেগা প্রকল্পে পুরুষদের পাশাপাশি মহিলাদেরও কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। সরকার ভারতীয় বিমান বাহিনী, কমান্ডো, কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনী এবং সৈনিক স্কুলের ভর্তির ক্ষেত্রে মহিলাদের অংশগ্রহণের অনুমতি দিয়েছে। 

আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বেও মহিলাদের নিয়োগ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে। আপৎকালীন অবস্থায় মহিলাদের সাহায্যে দেশজুড়ে একক নম্বর - ১১২, মোবাইল অ্যাপ ভিত্তিক ব্যবস্থাপনা চালু করা হয়েছে। এমনকি মহিলাদের সম্পর্কে অশ্লীল বিষয়বস্তুর ওপর অভিযোগ জানানোর জন্য সাইবার অপরাধ দমন রিপোর্টিং পোর্টাল তৈরি করা হয়েছে। ২৪টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির আধুনিকীকরণ করা হয়েছে। পকসো আইনকে আরও শক্তিশালী করা হয়েছে। এই আইনের আওতায় ধর্ষণ ও যৌন হেনস্থা সংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি জন্য ফাস্ট ট্র্যাক স্পেশাল আদালত গঠন করা হয়েছে। দেশের সব জেলায় মানব পাচার প্রতিরোধ ইউনিট স্থাপন/ শক্তিশালীকরণ, পুলিশ থানার হেল্ফ ডেক্স, ৯৮৩টি রেল স্টেশনে ইন্টিগ্রেটেড এমার্জেন্সি রেসপন্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু করা হয়েছে। এছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকার 'মিশন শক্তি' নামে একটি কর্মসূচিও চালু করেছে। নারীর ক্ষমতায়নের পাশাপাশি নিরাপত্তা এবং সেই সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনাকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসতে এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। 

বিভিন্ন কর্মসূচি ও প্রকল্পের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রক/ দফতরের নিজস্ব বাজেট রয়েছে। পরিযায়ী মহিলা শ্রমিক, সংগঠিত ও অসংগঠিত শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি, অভিযোগ নিষ্পত্তি, সামাজিক সুরক্ষা প্রদানে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। 

রাজ্যসভায় আজ এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে একথা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শ্রীমতী স্মৃতি জুবিন ইরানি।

 

CG/SS/SKD/


(Release ID: 1779575) Visitor Counter : 8806


Read this release in: English