স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক

ক্রমবর্ধমান ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য গৃহিত পদক্ষেপ

Posted On: 27 JUL 2021 7:23PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লী, ২৭ জুলাই, ২০২১

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ ক্যান্সার রেজিস্ট্রি ডেটা রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২০র জাতীয় ক্যান্সার নিবন্ধীকরণ কর্মসূচির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ২০১৮ সালে দেশে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৩ লক্ষ ২৫ হাজার। ২০২০ সালে তা বেড়ে হয়েছে ১৩ লক্ষ ৯২ হাজার। ২০১৮ সালে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ১,০৩,৩০৯ জন, ৩৬,০২৯ জন, ২৪৫৪ জন এবং ৩৫১ জন। ২০২০ সালের হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১,০৮,৩৯৪ জন, ৩৭,৮৮০ জন, ২৫৭৪ জন, ৩৬৬ জন।
ক্যান্সার নানা কারণে হয়ে থাকে। বার্ধক্যজনিত কারণ, শারীরিক পরিশ্রম না করা, তামাকজাত সামগ্রী ব্যবহার করা, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার না খাওয়া এবং বায়ুদূষণ এর মধ্যে অন্যতম।
কেন্দ্র রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে এই সমস্যার নিরসনে উদ্যোগী হয়েছে। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের আওতায় ন্যাশনাল প্রোগ্রাম ফর প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল অফ ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, কার্ডিও ভাসকুলার ডিজিজেস অ্যান্ড স্ট্রোক কর্মসূচি বাস্তবায়িত করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে পরিকাঠামো ও মানব সম্পদের উন্নয়ন, জনসচেতনতা বৃদ্ধি, দ্রুত শনাক্তকরণ এবং চিকিৎসার জন্য যথাযথ প্রতিষ্ঠানে রোগীকে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা করতে কেন্দ্র ‘টার্সিয়ারি কেয়ার ফর ক্যান্সার স্কিম’ প্রকল্পটিকে শক্তিশালী করেছে। এর মাধ্যমে ১৯টি রাজ্যে স্টেট ক্যান্সার ইন্সটিটিউট গড়ে তোলা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন রাজ্যে ২০টি টার্সিয়ারি কেয়ার ক্যান্সার সেন্টারকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই কেন্দ্রগুলি গড়ে তোলার জন্য কেন্দ্র ৬০ শতাংশ অর্থ দেয়। তবে উত্তর-পূর্বাঞ্চলিয় রাজ্য এবং হিমালয় সন্নিহিত রাজ্যগুলিতে এই পরিমাণ ৯০ শতাংশ। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে অবশ্য কেন্দ্রীয় সরকারই পুরো ব্যয়ভার বহন করে।
পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান গর্ভনমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ, বহরমপুরের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল এবং উত্তর ২৪ পরগণার সাগরদত্ত মেমোরিয়াল মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালে টার্সিয়ারি কেয়ার ক্যান্সার সেন্টারকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ত্রিপুরার আগরতলায় ক্যান্সার হসপিটাল এবং আসামের গুয়াহাটির মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালে স্টেট ক্যান্সার ইন্সটিটিউট গড়ে তোলা হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যেসব এইমস গড়ে তোলা হচ্ছে এবং প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য সুরক্ষা যোজনার আওতায় যেসমস্ত প্রতিষ্ঠানের মানোন্নয়ন ঘটানো হচ্ছে সেখানে অঙ্কলোজি বিভাগকে শক্তিশালী করা হচ্ছে। হরিয়ানার ঝাজ্জরে ন্যাশনাল ক্যান্সার ইন্সটিটিউট গড়ে তোলা হয়েছে। এর দ্বিতীয় ক্যাম্পাস কলকাতার চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যান্সার ইন্সটিটিউটে তৈরি করা হচ্ছে। এর ফলে দেশে ক্যান্সার চিকিৎসার সুযোগ আরও বাড়বে।
বিভিন্ন চিকিৎসাকেন্দ্রে ক্যান্সারের নমুনা পরীক্ষা এবং চিকিৎসা করা হয়। দরিদ্র মানুষদের জন্য সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে ক্যান্সারের চিকিৎসা করা যায়। এছাড়াও অনেক প্রতিষ্ঠানে সরকার বিপুল ভর্তুকি দেয়। আয়ুষ্মান ভারত- প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনাতেও ক্যান্সার চিকিৎসার সুযোগ রয়েছে। রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে সহযোগিতায় যে জন ঔষধী প্রকল্প রয়েছে সেখানে স্বল্পমূল্যে ক্যান্সারের জেনেরিক ওষুধ পাওয়া যায়। এছাড়াও বিভিন্ন হাসপাতালে অমৃত ফার্মেসি স্টোর রয়েছে। সেখান থেকেও কম দামে ক্যান্সারের চিকিৎসার ওষুধ পাওয়া যায়। সরকারি হাসপাতালে ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য দারিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষদের রাষ্ট্রীয় আরোগ্য নিধির মাধ্যমে আর্থিক সাহায্য করা হয়।
রাজ্যসভায় আজ এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ ভারতী প্রবীন পাওয়ার।

CG/CB /NS



(Release ID: 1739623) Visitor Counter : 189


Read this release in: English