সামাজিকন্যায়ওক্ষমতায়নমন্ত্রক

শিশু ভিক্ষুক

Posted On: 27 JUL 2021 7:16PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লী, ২৭ জুলাই, ২০২১

সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ণ মন্ত্রক সমাজের প্রান্তিক মানুষদের জীবিকা নির্বাহের সাহায্যের জন্য ‘স্মাইল’ প্রকল্পের সূচনা করেছে। সাপোর্ট ফর মার্জিনালাইজড ইন্ডিভিজুয়ালস ফর লাইভলিহুড অ্যান্ড এন্টারপ্রাইজ বা ‘স্মাইল’ প্রকল্পটির মধ্যে রয়েছে সেন্ট্রাল সেক্টর স্কিম ফর কমপ্রিহেনসিভ রিহ্যাবিলিটেশন অফ পারর্সনস এনগেজড ইন দ্য অ্যাক্ট অফ বেকিং প্রকল্প। যাঁরা ভিক্ষা করেন তাঁদের কল্যাণের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ এই প্রকল্পের মাধ্যমে নেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য পুনর্বাসন, চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, মনস্তাত্বিক পরামর্শ দান, বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ, শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন, আর্থিক সহায়তা সহ বিভিন্ন বিষয় এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত। রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসন/স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, সম্প্রদায় ভিত্তিক বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়। রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল কর্তৃপক্ষ ও পুরসভাগুলির যে শেল্টার হোম বা আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে সেখানে যাঁরা ভিক্ষাবৃত্তি করেন তাঁদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়।
সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ণ মন্ত্রক দিল্লী, ব্যাঙ্গালোর, চেন্নাই, হায়দ্রাবাদ, ইন্দোর, লক্ষ্মৌ, মুম্বাই, নাগপুর, পাটনা ও আমেদাবাদ- এই ১০টি শহরে ভিক্ষুকদের জন্য একটি সর্বাঙ্গীন পুনর্বাসন পাইলট প্রকল্প শুরু করেছে। সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির প্রশাসন, স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির সাহায্যে এই পাইলট প্রকল্পগুলি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর মাধ্যমে ভিক্ষাবৃত্তির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের উপর সমীক্ষা, বিভিন্ন বিষয় শনাক্তকরণ, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সাহায্য করা, চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, মনস্তাস্তিক পরামর্শ দান, বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ, পুনর্বাসন, শিক্ষার সুযোগ করে দেওয়া, দক্ষতা বিকাশ এবং স্থায়ী আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এছাড়াও রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসনের সঙ্গে যৌথভাবে বিদ্যালয় শিক্ষা ও স্বাক্ষরতা দপ্তর যেসব শিশুরা ভিক্ষাবৃত্তির সঙ্গে জড়িত তাদের স্কুলে পাঠাচ্ছে, যাতে তারা প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়।
মন্ত্রকের অসহায় মহিলা ও শিশুদের পুনর্বাসনের জন্য অসরকারি সংগঠনগুলিকে সহায়তা করার জন্য কোনো আর্থিক তহবিল নেই, তবে নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রক অসহায় শিশুদের প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সাহায্য করার জন্য রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মাধ্যমে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে সাহায্য করে। এইসব সংগঠনগুলি ওইসব শিশুদের বয়সোপযোগী শিক্ষার ব্যবস্থা করে, তাদের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়াও বিনোদনমূলক বিভিন্ন উদ্যোগ, স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং নানা ধরণের পরামর্শও দেওয়া হয়।
যেসমস্ত শিশু ভিক্ষাবৃত্তির সঙ্গে জড়িত তাদের পুনর্বাসনের জন্য কেন্দ্র রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে যে আর্থিক অনুদান পাঠায় তার পরিমাণ :
২০১৫-১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গকে ৫০৮ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে এ বাবদ দেওয়া হয়েছে ২৮১৫ কোটি ১০ লক্ষ টাকা। ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে ত্রিপুরা এ বাবদ ৭১০ কোটি ৬৩ লক্ষ পেয়েছিল। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে এই বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৮৭৯ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা। ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে এবং ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে আসাম শিশু ভিক্ষুকদের সহায়তার জন্য যথাক্রমে ৫৯৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা এবং ৩ হাজার ৩৬৩ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকা পেয়েছে। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে এ বাবদ ৩৬ কোটি ৩ লক্ষ টাকা পেয়েছিল। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ ৩২৯ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা।
লোকসভায় আজ এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে এই তথ্য জানান সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ণ প্রতিমন্ত্রী শ্রী এ নারায়ন স্বামী।

CG/CB/NS



(Release ID: 1739619) Visitor Counter : 159


Read this release in: English