স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক

কার্যকরভাবে কোভিড-১৯ মোকাবিলার জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থার মানোন্নয়ন

Posted On: 27 JUL 2021 6:21PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২৭ জুলাই, ২০২১

কেন্দ্রীয় সরকার কোভিড-১৯ এর সময় বর্তমান স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর আরও মানোন্নয়নে কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে রাজ্যগুলিকে সহায়তা করেছে। বর্তমান স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর সুদৃঢ়করণে চালু কয়েকটি কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে –
কোভিড আক্রান্ত নন এমন রোগীদের সংক্রমণের ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি, সারা দেশে কোভিড বহির্ভূত জরুরি চিকিৎসা পরিষেবা অব্যাহত রাখতে ত্রিস্তরীয় কোভিড-১৯ স্বাস্থ্য পরিষেবার সুবিধা চালু করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকার ইএসআইসি, প্রতিরক্ষা, রেল, সামরিক বাহিনী, ইস্পাত মন্ত্রকের অধীন টার্সিয়ারি কেয়ার হাসপাতালগুলিতে পরিষেবার মান বাড়াতে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়েছে। এছাড়াও, ডিআরডিও-র পক্ষ থেকে অস্থায়ী-ভিত্তিতে চিকিৎসা পরিষেবা সুবিধা গড়ে তোলা হয়েছে।
কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির লাগাতার প্রয়াসের ফলে আইসিইউ শয্যা সংখ্যা বেড়েছে। গত বছর মার্চে প্রথমবার লকডাউনের সময় আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ২ হাজার ১৬৮ থেকে বেড়ে বর্তমানে প্রায় ১ লক্ষ ২২ হাজার ছাড়িয়েছে।
চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত তরল অক্সিজেনের দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ২০২০-র অগাস্টে ছিল ৫ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন। এখন তা বেড়ে গত মে মাস নাগাদ দৈনিক ৯ হাজার ৬৯০ জন হয়েছে। এমনকি, শিল্প সংস্থায় অক্সিজেনের ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির পাশাপাশি, সমস্ত অংশীদারদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত অক্সিজেন বন্টনের জন্য একটি স্বতন্ত্র ও স্বচ্ছ কাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে।
চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত অক্সিজেনের অপচয় রোধ করতে গত বছর ২৫ সেপ্টেম্বর অক্সিজেনের যুক্তিসম্মত ব্যবহারের লক্ষ্যে নীতি-নির্দেশিকা জারি করা হয়। এই নীতি-নির্দেশিকা পরবর্তী সময়ে সংশোধন করে তা গত ২৫ এপ্রিল রাজ্যগুলির কাছে পাঠানো হয়েছে।
গত বছর এপ্রিল ও মে মাসে ১ লক্ষ ২ হাজারেরও বেশি অক্সিজেন সিলিন্ডার সংগ্রহ করে তা রাজ্যগুলিতে বন্টন করা হয়েছে। এদিকে গত ২১ এপ্রিল আরও ১ লক্ষ ২৭ হাজার সিলিন্ডার সরবরাহের জন্য বরাত দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্রগুলিতে অক্সিজেন উৎপাদনের জন্য পিএসএ প্ল্যান্ট গড়ে তোলা হচ্ছে। এর ফলে, প্রত্যন্ত ও দূরবর্তী অঞ্চলের হাসপাতালগুলিতে অভ্যন্তরীণ অক্সিজেনের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে।
কোভিড-১৯ সম্পর্কিত ওষুধপত্রের যাবতীয় বিষয়ে দ্রুত ও কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ফার্মাসিউটিকাল দপ্তরের অধীনে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা হিসাবে ড্রাগ কো-অর্ডিনেশন কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সমস্ত রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ড্রাগ কন্ট্রোলারদের ওষুধপত্রের মজুত নিয়ন্ত্রণের ওপর নজরদারি আরও জোরদার করার অনুরোধ জানানো হয়েছে, যাতে রেমডেজভির মতো জরুরি ওষুধপত্রের কালো বাজারি ও অসাধু উপায়ে লেনদেন বন্ধ করা যায়।
উপরোক্ত উদ্যোগগুলি ছাড়াও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ভারত কোভিড-১৯ আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলা ও স্বাস্থ্য প্রণালী প্রণয়ন সংক্রান্ত দ্বিতীয় পর্যায়ের প্যাকেজের জন্য ২৩ হাজার ১২৩ কোটি টাকা সংস্থানের প্রস্তাব মঞ্জুর করেছে। এই টাকার মধ্যে ১৫ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করবে কেন্দ্রীয় সরকার এবং বাকি ৮ হাজার ১২৩ কোটি টাকা রাজ্যগুলিকে বন্দোবস্ত করতে হবে। এই প্যাকেজের অর্থ ২০২১-এর পয়লা জুলাই থেকে ২০২২-এর ৩১ মার্চ পর্যন্ত খরচ করা হবে।
রাজ্যসভায় আজ এক লিখিত জবাবে এই তথ্য দেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডঃ ভারতী প্রবীণ পাওয়ার।

CG/BD/SB


(Release ID: 1739580) Visitor Counter : 198


Read this release in: English