স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক

কোভিড রোগীদের তামাক সেবনে প্রভাব মূল্যায়নে সমীক্ষা

Posted On: 27 JUL 2021 6:19PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২৭ জুলাই, ২০২১

এখনও পর্যন্ত পাওয়া বৈজ্ঞানিক প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তামাক ব্যবহার ও কোভিড-১৯ সম্পর্কে গত বছর ১১ মে জারি করা বিবৃতি অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক গত বছরের ২৮ জুলাই কোভিড-১৯ মহামারী এবং ভারতে তামাক ব্যবহার সম্পর্কিত পরামর্শ জারি করে। মন্ত্রকের এই পরামর্শ এই লিঙ্কে ক্লিক করলে দেখা যেতে পারে - https://www.mohfw.gov.in/pdf/COVID19PandemicandTobaccoUseinIndia.pdf .
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পাওয়া তথ্য ও ভারতীয় বিজ্ঞান-ভিত্তিক গবেষণার প্রমাণ্য সাক্ষ্য অনুযায়ী, অকাল মৃত্যুর অন্যতম একটি বড় কারণ তামাক সেবন। শুধু তাই নয়, ক্যান্সার, হৃদরোগ, স্ট্রোক, ফুসফুসে জটিলতার মতো অসংক্রামক রোগ-ব্যাধির ক্ষেত্রেও তামাক সেবনের বড় ঝুঁকি রয়েছে। সমীক্ষায় প্রকাশিত হয়েছে, ভারতে যক্ষ্মা আক্রান্ত ব্যক্তিদের ৪০ শতাংশই ধূমপান করে থাকেন।
তামাক সেবন নিয়ন্ত্রণে সরকার একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। এই লক্ষ্যে সিগারেট ও অন্যান্য তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ তথা তামাকজাত পণ্যের ব্যবসা-বাণিজ্য, লেনদেন, উৎপাদন, সরবরাহ ও বন্টনের ক্ষেত্রে আইন কার্যকর করা হয়েছে। স্বল্প বয়সীদের মধ্যে তামাকজাত যে কোনও ধরনের পণ্য বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রকাশ্যস্থানে দূমপান বন্ধের জন্য আইনি সংস্থান করা হয়েছে। এমনকি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০০ ইয়ার্ড ব্যাসার্ধের মধ্যে তামাকজাত পণ্য বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
তামাক ব্যবহারের কুপ্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলার জন্য ২০০৭-০৮ সালে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সূচনা হয়। তামাক ব্যবহার বর্জনে সাধারণ মানুষকে সহায়তার জন্য জাতীয় স্তরে একটি সহায়তা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। চলচ্চিত্র ও টিভির অনুষ্ঠানে তামাক সেবনের দৃশ্য প্রদর্শন থেকে বাদ দেওয়ার জন্য আইন কার্যকর করা হয়েছে। তামাকজাত পণ্যের প্যাকেটে ৮৫ শতাংশ অংশ জুড়ে স্বাস্থ্য সতর্কীকরণ বার্তা প্রদর্শিত করার নির্দেশ জারি হয়েছে। তামাক সেবন থেকে মুক্তি পেতে হেল্পলাইন নম্বর – 1800112356 চালু হয়েছে। তামাক মুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য নীতি-নির্দেশিকা জারি করে তা রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির কাছে পাঠানো হয়েছে। ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা এফএসএসএআই ২০১১’তে এক নির্দেশিকা জারি করে সুস্পষ্টভাবে জানায় যে, খাদ্য সামগ্রীতে তামাক ও নিকোটিনকে উপাদান হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না।
রাজ্যসভায় আজ এক লিখিত জবাবে এই তথ্য দেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডঃ ভারতী প্রবীণ পাওয়ার।

CG/BD/SB



(Release ID: 1739578) Visitor Counter : 173


Read this release in: English