ক্রেতা, খাদ্যএবংগণবন্টনমন্ত্রক

অত্যাবশ্যক খাদ্য সামগ্রীর মূল্য স্থিতিশীল রাখার জন্য সরকার বিভিন্ন সময়ে নানা ব্যবস্থা নিয়েছে : উপভোক্তা বিষয়ক খাদ্য ও গণবন্টন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি

Posted On: 20 JUL 2021 8:08PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লী, ২০ জুলাই, ২০২১

কেন্দ্রীয় উপভোক্তা বিষয়ক খাদ্য ও গণবন্টন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি আজ লোকসভায় এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে জানান, বিগত এক বছর ধরে ভোজ্য তেলের আন্তর্জাতিক মূল্য ৫১ থেকে ৮০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। লকডাউনের আগে ২০২০র ফেব্রুয়ারি মাসের ২২টি প্রয়োজনীয় পণ্যের মাসিক গড়পরতা খুচরো মূল্যের সঙ্গে লকডাউনের পর ২০২০র সেপ্টেম্বরে দামের তুলনা করে দেখা গেছে আলু এবং টমেটোর মতো সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে আবার কিছু কিছু পণ্য সামগ্রী দাম সামান্য কমেছে।
দানাশস্যগুলির মধ্যে চালের দাম ৩.৫৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে গমের দাম কমেছে ৩.১৯ শতাংশ। ডালের মধ্যে মুসুর ডাল এবং অড়হর ডালের দাম সব থেকে বেশি বেড়েছে। মুসুর ডালের দাম বেড়েছে ১৫.০৭ শতাংশ অন্যদিকে অড়হর ডালের দাম বেড়েছে ৯.২২ শতাংশ। ভোজ্য তেলের মধ্যে সূর্যমুখীর বীজ থেকে উৎপাদিত তেলের দাম বেড়েছে ৯.৪৫ শতাংশ। অন্যদিকে বাদাম তেলের দাম বেড়েছে ৯.৮৯ শতাংশ।
নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী গুলির মূল্যবৃদ্ধির বিস্তারিত তথ্য জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুনঃ-
https://www.pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1737199
প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে শস্যের উৎপাদন ব্যহত হয়। এছাড়াও পরিবহণের খরচ বৃদ্ধি এবং সরবরাহ শৃঙ্খলে কোনো সমস্যা দেখা দিলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কোনো খাদ্য সামগ্রীর চাহিদা এবং সরবরাহের মধ্যে যে ঘাটতি তৈরি হয়, তার প্রভাব খাদ্যশস্যের দামের ওপর পরে। সরকার অত্যাবশ্যক খাদ্য সামগ্রীর দাম স্থিতিশীল রাখার জন্য বিভিন্ন সময়ে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। এর জন্য বাণিজ্য এবং আর্থিক নীতির পরিবর্তন ঘটানো হয়ে থাকে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য আমদানি এবং রপ্তানী শুল্কের পরিবর্তন, রপ্তানীর জন্য ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ, রপ্তানীর ওপর বিধিনিষেধ আরোপ। এভাবে মূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের জন্য এবং দেশের অভ্যন্তরে খাদ্যশস্যের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়।
ভোজ্য তেলের উৎপাদন বাড়াতে সরকার ২৯ জুন একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী অপরিশোধিত পাম তেলের ওপর শুল্ক ৫ শতাংশ কমানো হয়েছে। এই ব্যবস্থা ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। ৩০ জুন আর একটি বিজ্ঞপ্তিতে পরিশোধিত পাম তেলকে নিয়ন্ত্রিত পণ্য সামগ্রীর থেকে মুক্ত পণ্য সামগ্রীর তালিকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। এর জন্য আমদানি নীতিতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করা হয়েছে। এই ব্যবস্থা ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষ থেকে কৃষি, সহযোগিতা ও কৃষক কল্যাণ দপ্তর জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা মিশন (তৈলবীজ ও পাম তেল) প্রকল্পের সূচনা করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতায় এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হল দেশে তৈলবীজের উৎপাদন বাড়ানো, যার মাধ্যমে ভোজ্য তেলের উৎপাদন বৃ্দ্ধি পাবে। এই প্রকল্পে এনএফএসএম- তৈলবীজ, এনএফএসএম পাম তেল এবং এনএফএসএম গাছে উৎপাদিত তৈলবীজকে আলাদা করা হয়েছে। পুরো প্রকল্পটি রাজ্যগুলির কৃষি ও উদ্যান পালন দপ্তরের মাধ্যমে রূপায়িত হচ্ছে।
খাদ্য সামগ্রী মজুত রাখার পরিমাণের ওপর মূল্যবৃদ্ধিতে যে প্রভাব পরে সেটি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য স্বচ্ছ নীতি অনুসরণ করে ২০২০ সালে অত্যাবশ্যক পণ্য (সংশোধন) আইন তৈরি করা হয়েছিল। রপ্তানীকারকদের ক্ষেত্রে রপ্তানীর চাহিদা অথবা খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের ক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে খাদ্যশস্য মজুত রাখার ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা ছিল। খাদ্যশস্য মজুত, প্রক্রিয়াকরণের মতো কৃষি পরবর্তী বিভিন্ন ব্যবস্থাপনাতে বিনিয়োগে উৎসাহ দেওয়ার জন্য এই আইন তৈরি করা হয়। এর ফলে কৃষকের আয় বৃদ্ধি পাবে। যেকোন অস্বাভাবিক পরিস্থিতি যেমন যুদ্ধ, প্রাকৃতিক বিপর্যয়, অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির মতো ক্ষেত্রে এই সংশোধনীতে সরকারের খাদ্যশস্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করার সংস্থান ছিল। তবে ১২ই জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের এক আদেশে ২০২০ অত্যাবশ্যক পণ্য (সংশোধন) আইনটি প্রয়োগের ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে। রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি থেকে ভোজ্যতেল মজুত রাখার বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

CG/CB /NS



(Release ID: 1737343) Visitor Counter : 191


Read this release in: English