স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক

কোভিড-১৯ : গুজব বনাম প্রকৃত তথ্য

স্বাস্থ্য মন্ত্রক সমস্ত কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য যক্ষার (টিবি) পরীক্ষা এবং সমস্ত চিহ্নিত যক্ষা রোগীদের কোভিড-১৯ পরীক্ষার সুপারিশ করেছে
যক্ষা রোগের বৃদ্ধিকে কোভিড-১৯-এর সঙ্গে সম্পর্কিত করার ক্ষেত্রে প্রমাণের যথেষ্ট অভাব রয়েছে

Posted On: 17 JUL 2021 7:55PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ১৭ জুলাই, ২০২১

কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে যে, অভিযোগ উঠেছে সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে যক্ষা রোগের প্রকোপ বেড়েছে। শুধু তাই নয়, প্রতিদিন প্রায় এক ডজন এরকম ধরনের রোগী পেয়ে চিকিৎসকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
তবে, বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে যে, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে করোনা আক্রান্ত সমস্ত রোগীর জন্য যক্ষার পরীক্ষা করাতে হবে। এছাড়াও সমস্ত যক্ষা রোগীদের ক্ষেত্রে করোনা সংক্রান্ত পরীক্ষা করাতে হবে।
সব কটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে ২০২০ সালের আগস্ট মাসে এ বিষয়ে নজরদারি এবং অনুসন্ধানের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছিল।
এই বিষয়টি ছাড়াও, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বহুবিধ পরামর্শ এবং পথনির্দেশ নিয়মিতভাবে দেওয়া হচ্ছে। যক্ষ্মা আক্রান্ত রোগী ছাড়াও আরও অনেক ফুসফুসের রোগ যেমন, সিভিয়ার অ্যাকিউট রেস্পিরেটরি ইনফেকশানস এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা লাইক ইলনেস-প্রভৃতি রয়েছে, যার সঙ্গে করোনা পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
করোনা সম্পর্কিত বিধিনিষেধের প্রভাবে ২০২০ সালে যক্ষা আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ শতাংশ কমে গিয়েছিল। তবে এই ধরনের রোগ যাতে না বাড়ে সেজন্য সমস্ত স্তরে প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
বর্তমানে যথেষ্ট পরিমাণে কোন রকম তথ্যপ্রমাণ নেই যে, করোনা আক্রান্ত হলে সেই রোগী যক্ষার সম্ভাবনা থাকে। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর যক্ষা রোগীর সংখ্যা বেড়েছে এমন তথ্যও নেই।
যক্ষ্মা বা টিবি এবং করোনা এই দুই রোগই সংক্রমণের কারণে হয়। সংক্রামক ব্যাধি হিসেবেই এই দুই রোগ চিহ্নিত। দু ধরনের রোগেই ফুসফুসে আক্রমণ ঘটে। কাশি, জ্বর এবং শ্বাসকষ্টের লক্ষণ থাকে। যদিও যক্ষার ক্ষেত্রে রোগ-জীবাণুর উন্মেষ পর্ব দীর্ঘ সময় ধরে হয়। রোগ ধীরে ধীরে শুরু হয়।
সবচেয়ে বড় কথা, যক্ষার যে ব্যাসিলি জীবাণু তা মানব শরীরে সুপ্ত বা নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকতে পারে। যদি কোন ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কোন কারণে কমে যায় তখন সেই জীবাণু কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়ে আক্রমন ঘটায়। তেমনি করোনা আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রেও রোগী সুস্থ হয়ে ওঠার পরও ভাইরাস আক্রমণের ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে, বা স্টেরয়েড চিকিৎসার ফলেও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে।
সার্স-কোভ-টু সংক্রমণ একজন ব্যক্তিকে আরও সংবেদনশীল করে তুলতে পারে।
আসলে যক্ষা হচ্ছে কালো ছত্রাক বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের মতো সুযোগ সন্ধানী সংক্রমণ।

CG/ SB

 



(Release ID: 1736452) Visitor Counter : 1173


Read this release in: English