বিজ্ঞানওপ্রযুক্তিমন্ত্রক
জৈব শৌচালয়ের বিকল্প হিসেবে ট্রেনে স্বয়ংক্রিয় বর্জ্য নিষ্কাশন পদ্ধতি অনেক বেশি অর্থ সাশ্রয়ী
प्रविष्टि तिथि:
16 JUL 2021 6:15PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ১৬ জুলাই, ২০২১
ট্রেনের শৌচালয় থেকে সংগৃহীত বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশন করার একটি স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির উদ্ভাবন করেছেন ভারতের বিজ্ঞানীরা। বায়ো টয়লেট বা জৈব শৌচালয়ের বিকল্প হিসাবে এটি অর্থ সাশ্রয়কারী এবং সহজে ব্যবহারযোগ্য। ভারতীয় রেল এই পদ্ধতি অনায়াসে ব্যবহার করতে পারে।
বর্তমানে ট্রেনে যে ধরনের জৈব শৌচালয় ব্যবহার করা হয় তাতে বর্জ্য পদার্থকে গ্যাসে রূপান্তর করার জন্য অ্যানেরোবিক বাক্টেরিয়া ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এই ধরনের ব্যাকটেরিয়া যাত্রীদের দ্বারা শৌচালয় ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক বা কাপড়ের সামগ্রী গুলিকে পচন ধরাতে পারেনা। ফলে সেগুলি ট্যাংকের ভেতরে থেকে যায়। অপসারণ করতে অসুবিধা হয়।
নতুন এক ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে ট্রেনের জন্য জৈব শৌচালয় তৈরি করেছেন অন্ধপ্রদেশের চেব্রোলু ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ডক্টর আর ভি কৃষ্ণাইয়া। তাঁর এই প্রযুক্তির মাধ্যমে চলমান ট্রেন থেকে বজ্র পদার্থ সংগ্রহ করে তা বিভিন্ন উপকরণের মাধ্যমে পৃথকীকরণের ব্যবস্থা রয়েছে। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে সহায়তা করেছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগ। মেক ইন ইন্ডিয়া কর্মসূচিতে এই প্রযুক্তিটি তৈরি করা হয়েছে।
নতুন এই জৈব শৌচালয়ের জন্য তিনটি ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রথমে একটি সেপটিক ট্যাংককে রেললাইনের মাঝখানে রাখা হয়। যখন কোন ট্রেন ওই লাইনের উপর আসে তখন সেপটিক ট্যাঙ্কের ঢাকনা খুলে দেওয়া হয়। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে শ্রেণীর সমস্ত কামরা থেকে বর্জ্য পদার্থ গুলি সেপটিক ট্যাংকে ফেলা হয়। এবার ট্রেনটি চলে গেলে সেপটিক ট্যাংকটি সরিয়ে ফেলা হয়। এরপর সেপটিক ট্যাংক থেকে বর্জ্য পদার্থ গুলিকে পৃথকীকরণ করে অন্য দুটি ট্যাঙ্কে ভরা হয়। একটি ট্যাঙ্কে মানুষের মল গুলি রাখা হয়। অন্য ট্যাঙ্কে প্লাস্টিক সহ অন্যান্য সামগ্রী রাখা হয়।
ট্রেনের বর্তমান জৈব শৌচালয়ের সঙ্গে তুলনা করলে এটি অর্থ সাশ্রয়কারী। জৈব শৌচালয়ের ক্ষেত্রে যেখানে ইউনিট পিছু এক লক্ষ টাকা খরচ করে, সেখানে এই প্রযুক্তিতে খরচ পড়বে ১৫ হাজার টাকা।
CG/ SB
(रिलीज़ आईडी: 1736225)
आगंतुक पटल : 480
इस विज्ञप्ति को इन भाषाओं में पढ़ें:
English