শিল্পওবাণিজ্যমন্ত্রক
মৎস্য চাষ ক্ষেত্রে ভর্তুকি বিষয়ে আলোচনার ওপর ডব্লিউটিও-এর মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী শ্রী পীযূষ গোয়েলের জোরালো বক্তব্য
Posted On:
15 JUL 2021 1:18PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ১৫ জুলাই, ২০২১
মৎস চাষ ক্ষেত্রে ভর্তুকি বিষয়ে আলোচনার ওপর বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও)-এর মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী শ্রী পীযুষ গোয়েল জানান, এই গুরুত্বপূর্ণ মৎস্য চাষের ক্ষেত্রে ভর্তুকি বিষয়ে আলোচনায় আজ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে পেরে যথেষ্টই খুশি। এই উদ্যোগের জন্য ডব্লিউটিও-এর মহানির্দেশক ডঃ এনগোজি-কে বিশেষ ধন্যবাদ জানান তিনি।
তিনি বলেন, ভারত এ বিষয়ে যথেষ্টই আগ্রহী। কারণ অনেক দেশ অযৌক্তিকভাবে ভর্তুকি গ্রহণ করছে এবং অতিরিক্ত মাছ ধরার ফলে ভারতীয় মৎস্যজীবীদের জীবন জীবিকায় ক্ষতি হচ্ছে। এক্ষেত্রে সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখা এবং ন্যায় সঙ্গত দিশা খুঁজে বের করা প্রয়োজন।
উরুগুয়েতে বৈঠক চলাকালীন যে ভুলগুলি হয়েছিল তার পুনরাবৃত্তি কখনই হওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি। এতে নির্দিষ্ট কয়েকটি উন্নত দেশ বিশেষত কৃষি ক্ষেত্রে অসম বাণিজ্য অধিকারের সুযোগ পেয়েছিল। অন্যাদিকে, উন্নয়নশীল দেশগুলি শিল্প অথবা কৃষি ক্ষেত্রে তাদের দক্ষতা এবং সম্পদকে কাজে লাগানোর জন্য যথাযথ সহায়তা পায়নি। মৎস্য শিকার বিশ্বজুড়ে সাধারণ মানুষের কাছে এটি একটি অনন্য পেশা। সুতরাং এক্ষেত্রে একটি ন্যায় সঙ্গত পদ্ধতি থাকা উচিত বলে তিনি জানান। যে কোনো ভারসাম্যহীন বা অসম চুক্তি বর্তমানে মৎস্য শিকার ক্ষেত্রে বাধা এবং ভবিষ্যতে প্রয়োজনীয়তা পূরণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে। তাই এক্ষেত্রে স্থিতিশীলতার বিষয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি দূষণ রোধ এবং অযৌক্তিকভাবে মাছ ধরার সম্ভাবনা হ্রাসের দায়িত্ব গ্রহণ নিয়েও মত প্রকাশ করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, যে কোনো দেশের উন্নয়নের ওপর ভিত্তি করে কোনো চুক্তি লাগু করা প্রয়োজন। বর্তমানে মৎস্য চাষ ব্যবস্থাপনা অনেক ক্ষেত্রেই যে কোনো দেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতাকে প্রতিফলিত করে। তাই বর্তমান এবং ভবিষ্যতের সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রেখে কোনো চুক্তি কার্যকর করতে হবে। তিনি বলেন, চুক্তি ক্ষেত্রে ভারসাম্যহীনতা দেখা দিলে মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। বেশিরভাগ উন্নয়নশীল দেশে মৎস্য চাষ ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে কম ভর্তুকি প্রদান করা হয়ে থাকে। ভারতের মতো দেশগুলিতে যেখানে এই ক্ষেত্রের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে, তাই ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে ভর্তুকি প্রদান করা প্রয়োজন।
বর্তমান পরিস্থিতিতে মৎস্য শিকার ক্ষেত্রে উন্নত ও উন্ননশীল দেশগুলির মধ্যে বৈষম্য তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র উন্নত দেশগুলিতে ভর্তুকি প্রদান অব্যাহত রাখা সঠিক নয়। জ্বালানি ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্টভাবে ভর্তুকি প্রদান যদি একটি শৃঙ্খলার আওতায় না নিয়ে আসা হয়, তবে এই বৈষম্য আরও বাড়তে থাকবে বলেও মত প্রকাশ করেন তিনি।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, যে কোনো নতুন চুক্তি অবশ্যই বর্তমান আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাপনা এবং সমুদ্র আইনের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করতে হবে। উপকূলীয় রাজ্যে সার্বভৌমত্ব অধিকারগুলিকে এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ভারত এক্ষেত্রে একটি ন্যায় সঙ্গত কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। শুধুমাত্র দেশের দরিদ্র মৎস্যজীবীদের জীবিকা নির্বাহের জন্যই নয়, সকলের জন্য খাদ্য সুরক্ষা, মৎস্য চাষের ক্ষেত্রে বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় নীতি গ্রহণ করাও হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার ভারতীয় মৎস্যজীবীদের জীবন জীবিকার মানোন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই মৎস্য চাষ ক্ষেত্রে বর্তমান ও ভবিষ্যতে প্রয়োজনীয়তা পূরণ করা অবশ্যই প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
CG/SS/SKD
(Release ID: 1736109)
Visitor Counter : 122