ক্রেতা, খাদ্যএবংগণবন্টনমন্ত্রক

প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার আওতায় উত্তর প্রদেশে ১৪.৭১ কোটি সুফলভোগীকে বিনামূল্যে রেকর্ড ১০৯.৩৩ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বন্টন

খাদ্যশস্য বন্টনে খরচ ৪০ হাজার ৯৩ কোটি টাকা

Posted On: 14 JUL 2021 6:10PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১৪ জুলাই, ২০২১

সমাজের সবচেয়ে দুর্বল ও অসুরক্ষিত শ্রেণীর মানুষের বোঝা কিছুটা লাঘব করতে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার আওতায় উত্তর প্রদেশের ১৪ কোটি ৭১ লক্ষেরও বেশি সুফলভোগীকে বিনামূল্যে রেকর্ড ১০৯.৩৩ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বন্টন করা হয়েছে। রেকর্ড পরিমাণ এই খাদ্যশস্য বন্টনে খরচ হয়েছে ৪০ হাজার ৯৩ কোটি টাকা।
উল্লেখ করা যেতে পারে, কেন্দ্রীয় সরকার ভারতীয় খাদ্য নিগমের মাধ্যমে খাদ্যশস্যে ভর্তুকি সহ সুফলভোগীদের বন্টন, আন্তঃরাজ্য পরিবহণ, ডিলারদের প্রাপ্ত অর্থ এবং রাজ্য সরকারগুলিকে সরবরাহ খাতে যাবতীয় খরচ বহন করছে। কর্মসূচির আওতায় জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের সুফলভোগীদেরকেও মাসিক মাথাপিছু ৫ কেজি খাদ্যশস্য, যার মধ্যে ৩ কেজি গম ও ২ কেজি চাল রয়েছে, তা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বন্টন করা হয়েছে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার চতুর্থ পর্যায়ে জুলাই থেকে আগামী নভেম্বর মাস পর্যন্ত পাঁচ মাসে উত্তর প্রদেশের জন্য ৩৬.৮০ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকার বরাদ্দকৃত খাদ্যশস্যের মধ্যে ১ লক্ষ মেট্রিক টন সংগ্রহ করেছে।
রাজ্যে গত ৩-৪ বছরে খাদ্যশস্য বন্টন থেকে সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় অভূতপূর্ব পরিবর্তন এসেছে। প্রযুক্তির প্রয়োগের ফলে সমগ্র বন্টন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা এসেছে, যার ফলে সরকারি কোষাগারে সঞ্চয় বেড়েছে।
গণবন্টন ব্যবস্থায় অটোমেশন বা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি চালু হওয়ায় সরকার ও সুফলভোগী উভয়েই লাভবান হয়েছেন। সুফলভোগীর বায়োমেট্রিক বৈধতা যাচাইয়ের ফলে অসাধু লেনদেন এবং খাদ্যশস্যের চুরি কমেছে। ৩০ লক্ষেরও বেশি নকল সুফলভোগীকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে এবং ৭ লক্ষ ভুয়ো রেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে। এমনকি, ৮০ হাজার ন্যায্য মূল্যের দোকানে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে বন্টন ব্যবস্থা চালু হওয়ায় উত্তর প্রদেশ সরকারের প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। অন্যদিকে, বায়োমেট্রিক বৈধতা যাচাই পদ্ধতি শুরু হওয়ার ফলে রাজ্যে বৈধ সুফলভোগীরা সঠিক পরিমাণে খাদ্যশস্য সংগ্রহ করতে পারছেন। বন্টন প্রক্রিয়ায় যে কোনও রকম অনিয়ম ও অসাধু পন্থা দূর করতে হেল্পলাইন চালু করার পাশাপাশি, অভিযোগ দাখিল ও মতামত জানানোর জন্য মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন চালু হয়েছে। স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা কেবল গণবন্টন ব্যবস্থার ক্ষেত্রেই কার্যকর হয়নি, সেই সঙ্গে খাদ্যশস্য সংগ্রহের ক্ষেত্রেও চালু হয়েছে। ইতিমধ্যেই উত্তর প্রদেশ সরকার সংগ্রহ ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ ও শক্তিশালী করতে একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে। এই লক্ষ্যে কৃষকদের কাছ থেকে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে সরাসরি খাদ্যশস্য সংগ্রহ করা হচ্ছে, যাতে পিএফএমএস ব্যবস্থার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি অর্থ জমা হয়ে যায়। দেশের মধ্যে উত্তর প্রদেশ প্রথম রাজ্য, যেখানে অনলাইন পদ্ধতিতে গম বন্টন ও মাশুল মেটানো ব্যবস্থা চালু হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, উত্তর প্রদেশে কৃষকদের কল্যাণে কেন্দ্রীয় সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।

CG/BD/SB



(Release ID: 1735503) Visitor Counter : 168


Read this release in: English