স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক

ডাঃ হর্ষ বর্ধন কোভিড-১৯ সংক্রান্ত মন্ত্রিগোষ্ঠীর ২৯তম বৈঠকে পৌরোহিত্য করেছেন রাজ্যগুলি যেহেতু পর্যায়ক্রমে আনলকের দিকে এগোচ্ছে এই পরিস্থিতিতে সকলকে যথাযথ কোভিড বিধি মেনে চলতে মন্ত্রিগোষ্ঠীর অনুরোধ

কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ এখনও যায়নি ; বিক্ষিপ্ত কিছু জায়গার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক

Posted On: 28 JUN 2021 7:06PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লী, ২৮ জুন, ২০২১

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ হর্ষ বর্ধন আজ এখানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের মন্ত্রিগোষ্ঠীর ২৯তম বৈঠকে পৌরোহিত্য করেছেন। অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী শ্রী হরদীপ সিং পুরি, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শ্রী নিত্যানন্দ রায় এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তের প্রতিমন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভাগের সদস্য ডাঃ বিনোদ কে পাল ভার্চুয়ালি বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
কোভিড সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনায় যাঁরা নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন এবং কোভিড টিকাকরণ অভিযানের অগ্রগতিকে নিশ্চিত করেছেন, মন্ত্রীরা তাঁদের প্রশংসা করেছেন।
ডাঃ হর্ষ বর্ধন কোভিড-১৯কে প্রতিহত করতে ভারতের উদ্যোগের বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৪৬,১৪৮ জন, ।
ভারতে চিকিৎসাধীন সংক্রমিতের সংখ্যা নিম্নমুখী । এই সংখ্যা আরো কমে হয়েছে ৫,৭২,৯৯৪। সারা দেশে এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৯৩ লক্ষ ০৯ হাজার ৬০৭ জন।
গত চব্বিশ ঘন্টায় আরোগ্য লাভ করেছেন ৫৮,৫৭৮ জন। পর পর ৪৬ দিন নতুন করে সংক্রমিতের থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা বেশী। অন্যদিকে কোভিড মুক্ত হওয়ার বেড়ে হয়েছে হার ৯৬.৮%। সাপ্তাহিক সংক্রমিতের হার ৫ শতাংশের নিচে রয়েছে, বর্তমানে ২.৮১%।
পরপর ২১ দিন দৈনিক সংক্রমিতের হার ৫%র কম౼আজ এই হার ২.৯৪%। নমুনা পরীক্ষার ক্ষমতা বেড়েছে, মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪০ কোটি ৬৩ লক্ষ।“
কোভিড-১৯ টিকাকরণের প্রসঙ্গে ডাঃ হর্ষ বর্ধন জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের থেকে বেশি কোভিডের টিকা ডোজ দিয়ে ভারত এক নতুন মাইলফলক অতিক্রম করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর টিকাকরণ অভিযান শুরু করেছিল। ভারত এই অভিযান শুরু হয় ২০২১এর ১৬ জানুয়ারি। কোভিডের টিকাকরণ নিয়ে নতুন নীতি অনুযায়ী কেন্দ্র দেশের টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির থেকে মোট উৎপাদিত টিকার ৭৫ শতাংশ সংগ্রহ করবে এবং এই টিকা বিনামূল্যে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে দেবে।
দেশে এ পর্যন্ত ৩২,৩৬,৬৩,২৯৭ টি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে ১,০১,৯৮,২৫৭ জন টিকার প্রথম ডোজ এবং ৭২,০৭,৬১৭ জন টিকার দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন। প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের মধ্যে ১,৭৪,৪২,৭৬৭ জন প্রথম ডোজ এবং ৯৩,৯৯,৩১৯ জন দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন। ১৮-৪৪ বছর নাগরিকদের মধ্যে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ৮,৪৬,৫১,৬৯৬ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ১৯,০১,১৯০ জন। ৪৫-৬০ বছর বয়সী নাগরিকদের মধ্যে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ৮,৭১,১১,৪৪৫ জন। আর দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ১,৪৮,১২,৩৪৯ জন। যাঁদের বয়স ৬০এর ওপরে তাঁদের মধ্যে ৬,৭৫,২৯,৭১৩ জন প্রথম ডোজ এবং ২,৩৪,০৮,৯৪৪ জন দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন কোভিড-১৯এর এই পর্যায়ে মিউকোরমাইকোসিসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। মোট ৪০,৮৪৫টি সংক্রমণের মধ্যে ৩১,৩৪৪ জনের সংক্রমণ রাইনোসেরিব্রাল প্রকৃতির। মিউকোরমাইকোসিসের কারণে ৩১২৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। যারা মিউকোরমাইকোসিসে আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে ৮৫.৫ শতাংশ কোভিড সংক্রমিত ছিলেন। আক্রান্তদের মধ্যে ৬৪.১১ শতাংশ ডায়াবেটিস সংক্রমিত এবং ৫২.৬৯ শতাংশ স্টেরয়েডের কারণে সংক্রমিত হয়েছেন। সংক্রমিতদের মধ্যে ৩২ শতাংশ ১৮-৪৫ বছর বয়সী, ৪২ শতাংশ ৪৫-৬০ বছর বয়সী এবং ২৪ শতাংশর বয়স ৬০এর ওপরে।
মন্ত্রিগোষ্ঠী কোভিড সংক্রান্ত আচরণবিধি মেনে চলার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। ডাঃ ভি কে পাল বৈঠকে মাস্ক পরা ও নিয়মিত হাত ধোয়ার ওপর জোর দিয়েছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের গবেষণা শাখার সচিব এবং আইসিএমআর-এর মহানির্দেশক ডাঃ বলরাম ভার্গভ বলেছেন, কোভিড-১৯এর দ্বিতীয় ঢেউ এখনও দেশের ৮০টি জেলায় যথেষ্ট সক্রিয়। তাই পরিস্থিতির সম্পর্কে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। তিনি এই অবস্থায় শৈথিল্যের কোনো অবকাশ নেই বলে জানিয়েছেন। ডাঃ ভার্গভ কোভিড-১৯এর আলফা, বিটা, গামা এবং ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে টিকাগুলির কার্যকারিতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন।
বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কোভিড সংক্রান্ত পরিস্থিতির বিষয়ে এনসিডিসি-র নির্দেশক ডাঃ সুজিত কে সিং বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন। প্রতিটি রাজ্যে সংক্রমণের ধরণ বিভিন্ন জেলায় সংক্রমণের ঘনত্ব সহ কোথায় কত শতাংশ মানুষ মারা গেছেন এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন। মূলত মহারাষ্ট্র, কেরালা, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশায় সক্রিয় সংক্রমিতের সংখ্যা বেশি এবং এই রাজ্যগুলির সংক্রমণের হার জাতীয় হারের চাইতে বেশি। ১৯টি রাজ্যে কোভিডের কারণে মৃত্যুর হার ১০ শতাংশের কম। তবে কেরালা, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র এবং তামিলনাডু়তে প্রতিদিন ৩০০র বেশি মানুষ কোভিডের কারণে প্রাণ হারাচ্ছেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব শ্রীমতি নিরজা শেখর কোভিড টিকাকরণের বিষয়ে মানুষের ভীতি দূর করতে কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে জানিয়েছেন। বৈঠকে স্বাস্থ্য বিভাগের সচিব শ্রী রাজেশ ভূষণ, বিদেশ সচিব শ্রী হর্ষ বর্ধন শৃংলা সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

CG/CB /NS


(Release ID: 1730965) Visitor Counter : 281


Read this release in: English