শিল্পওবাণিজ্যমন্ত্রক

শ্রী পীযূষ গোয়েল বলেছেন দীর্ঘস্থায়ীভাবে দূষণমুক্ত পরিবেশ এবং সুসংবদ্ধ উন্নয়নে ভারত অগ্রাধিকার দিচ্ছে

Posted On: 14 JUN 2021 1:00PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১৪ জুন, ২০২১

কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী শ্রী পীযূষ গোয়েল বলেছেন, ভারতে ব্যক্তিপিছু কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমণের পরিমাণ বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতিগুলির তুলনায় সর্বনিম্ন। কিন্তু এসত্ত্বেও ভারতে, “আমরা কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যে কাজ করে চলেছি এবং ২০৩০ সালের মধ্যে রাষ্ট্রসঙ্ঘের দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়নের উদ্দেশ্য পূরণের লক্ষ্যে আমরা আলোচ্য সময়ের মধ্যে ৪৫০ গিগাওয়াট পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদনের এক উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।” তিনি আরও বলেন, এতে সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই যে বর্তমান পরিস্থিতির ব্যাপারে আমরা সকলেই উদ্বিগ্ন। তাই, কোভিড-পরবর্তী বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় আমাদের উদ্দেশ্যগুলি পূরণে সকলকে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে। শ্রী গোয়েল আরও বলেন, জলবায়ুর প্রতি ন্যায়বিচার সুনিশ্চিত করতে হবে এবং উন্নত দেশগুলিকে দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে সহজ-সরল জীবনশৈলী অনুসরণ তথা বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে আরও বেশি সংবেদনশীল হতে হবে।
বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী বলেন, ভারত পরিচ্ছন্ন শক্তি উৎপাদনে আরও দক্ষতা অর্জন, বনসৃজন এবং জীববৈচিত্র্যের ক্ষেত্রে একাধিক সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ কারণেই ভারত বিশ্বের অল্পসংখ্যক কয়েকটি দেশের মধ্যে একটি যারা জাতীয় স্তরেও উষ্ণায়নের মাত্রা ২ ডিগ্রি হ্রাস করার ক্ষেত্রে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। “আমরা আন্তর্জাতিক সৌর জোট এবং বিপর্যয় প্রতিরোধী পরিকাঠামো গড়ে তুলতে সমস্ত দেশকে নিয়ে আন্তর্জাতিক জোট গড়ে তোলার মতো উদ্যোগকে উৎসাহিত করেছি,” বলে শ্রী গোয়েল অভিমত প্রকাশ করেন।
শ্রী গোয়েল বাণিজ্য নীতি এবং পরিবেশের সুরক্ষায় গৃহীত নীতিগুলিকে পৃথক করার ওপর গুরুত্ব দেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাণিজ্য নীতিতে সারা বিশ্বেই সার্বিক বিকাশের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি বলেন, দীর্ঘস্থায়ী ভিত্তিতে এক দূষণমুক্ত পরিবেশ এবং সার্বিক অগ্রগতির ওপর ভারত অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে। মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় রাষ্ট্রসঙ্ঘের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে নিজেদের অঙ্গীকার পূরণে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এমনকি, রাষ্ট্রসঙ্ঘের জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধী কাঠামো এবং প্যারিস চুক্তিতে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে যুক্ত বিষয়গুলি নিয়ে আরও আলাপ-আলোচনা চালাতে হবে। তবে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় গৃহীত রণকৌশলের সঙ্গে বাণিজ্যিক বোঝাপড়ার বিষয়টিকে কখনই এক করা উচিৎ নয়। দূষণমুক্ত পরিবেশ গড়ে তুলতে গৃহীত পদক্ষেপগুলির কথা উল্লেখ করে শ্রী গোয়েল জানান, গত ৭ বছরে ভারতে ১০০ শতাংশ বিদ্যুৎ সংযোগ, ১০০ শতাংশ শৌচাগারের সুবিধা, ১০০ শতাংশ আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণ এবং ১০০ শতাংশ ক্ষেত্রে দূষণমুক্ত রান্নার গ্যাস সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং গতকাল জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির বৈঠকে ২০৩০-এর মধ্যে ভারতীয় রেলকে পরিবেশ-বান্ধব পরিষেবা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে গৃহীত পদক্ষেপগুলি সম্পর্কে অবহিত করেছেন। শ্রী গোয়েল আরও বলেন, ভারত যাতায়াতের বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। এই লক্ষ্যে ভবিষ্যতে যাতায়াত ব্যবস্থায় হাইড্রোজেনের ব্যবহার বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ‘আয়ুষ্মান ভারত’ কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে শ্রী গোয়েল জানান, নিখরচায় বিশ্বের বৃহত্তম এই স্বাস্থ্য পরিচর্যা কর্মসূচিতে ভারতে প্রায় ৫০ কোটি মানুষের কাছে চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এখন দেশের প্রতিটি নাগরিকের কাছেই এই পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে উন্নয়নের উদ্দেশ্যগুলি পূরণে ভারতের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে শ্রী গোয়েল জানান, কোভিড মহামারীর সময় দেশে ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সরকারের উদ্দেশ্যই ছিল জটিল এই পরিস্থিতিতে কোনও মানুষের যাতে ক্ষুধার কারণে মৃত্যু না হয় তা নিশ্চিত করা।
শ্রী গোয়েল আশা প্রকাশ করেন, আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার (আইএমএফ)-এর মতো ক্রেডিট রেটিং প্রতিষ্ঠানগুলি উন্নয়নশীল এবং স্বল্প উন্নত দেশগুলির ক্রেডিট রেটিং ব্যবস্থায় পক্ষপাতমূলক আচরণের বিষয়টিকে বিবেচনায় রাখবে। তিনি বলেন, এখন সময় এসেছে আমাদের চিন্তাভাবনা আরও উদার এবং সহযোগিতামূলক করে তোলার।
শ্রী গোয়েল জোর দিয়ে বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলির কাছে পরিবেশ-বান্ধব প্রযুক্তি সুলভ মূল্যে আরও বেশি করে পৌঁছে দিতে হবে। এই লক্ষ্যে উন্নত দেশগুলিকে প্রযুক্তি হস্তান্তরে আরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে যাতে উন্নয়নশীল দেশগুলি পরিবেশ-বান্ধব সামগ্রীর উৎপাদনে আরও বড় ভূমিকা নিতে পারে।

CG/BD/DM



(Release ID: 1727173) Visitor Counter : 207


Read this release in: English