স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক

ডাঃ হর্ষবর্ধন স্বাস্থ্য ও জ্বালানী কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কিত প্ল্যাটফর্মে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উচ্চস্তরীয় জোটের উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন

Posted On: 10 JUN 2021 3:38PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১০ জুন, ২০২১

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ হর্ষবর্ধন বুধবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নতুন দিল্লী থেকে স্বাস্থ্য ও জ্বালানী কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কিত প্ল্যাটফর্মে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উচ্চ স্তরীয় জোটের উদ্দেশে ভাষণ দেন। এই বৈঠকে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা ছাড়াও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান বিশ্ব ব্যাঙ্ক, ইউনাইটেড নেশন ডেভেলেপমেন্ট প্রোগ্রাম, রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশনের মতো অংশীদার সংস্থার প্রধানরা যোগ দেন। আন্তর্জাতিক পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি এজেন্সির প্রতিনিধিরাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এই জোটের উদ্দেশে ভাষণে ডাঃ হর্ষবর্ধন বলেন, “সমগ্র বিশ্ব এখনও কোভিড-১৯ এর অভাবনীয় বিপদে শঙ্কিত। সমূহ এই বিপদ বিভিন্ন দেশের সরকার ও সাধারণ মানুষকে মানবজাতির সুরক্ষায় অপ্রত্যাশিত কিছু পদক্ষেপ নিতে একপ্রকার বাধ্য করেছে। সারা বিশ্ব জুড়ে মৃত্যুহার কমানোর লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ। বর্তমান মহামারী এবং মহামারীজনিত প্রতিকূল প্রভাব মোকাবিলায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তা বর্তমান প্রেক্ষাপটে অনেক বেশি জরুরি হয়ে উঠেছে। কেবল তাই নয়, মহামারীর প্রভাব মোকাবিলায় গৃহীত আমাদের নীতিগুলিতেও বিভিন্ন ক্ষেত্রের মধ্যে পারস্পরিক যোগসূত্র বজায় রাখার বিষয়টি যথাযথভাবে প্রতিফলিত হওয়া প্রয়োজন। সাধারণ মানুষের স্বার্থে যাবতীয় পরিষেবা অব্যাহত রাখতে এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণের আবশ্যিকতা দেখা দিয়েছে। ভারত সরকার সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য পরিচর্যা এবং স্বাস্থ্যের ওপর জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য জাতীয় স্তরে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে। এই কমিটি জলবায়ু পরিবর্তন এবং মানুষের স্বাস্থ্য সম্পর্কে ভবিষ্যৎ রূপরেখা প্রণয়নের দিকে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে। জাতীয় স্তরে এই বিশেষজ্ঞ গোষ্ঠীর প্রতিবেদন গত এপ্রিল মাসেই জমা পড়েছে”।
এই প্রেক্ষিতে, ডাঃ হর্ষবর্ধন আরও জানান, “ভারত ২০১৭’তে পরিবেশ-বান্ধব ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নমনীয় স্বাস্থ্য পরিচর্যা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে মালে ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেছে। ভারতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়গুলি উপলব্ধি করে সেই অনুযায়ী স্বাস্থ্য পরিচর্যা ব্যবস্থা গড়ে তুলতেই ভারত সরকারের এই পদক্ষেপ। কেবল তাই নয়, বর্তমানে ভারত কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ কমাতে আর্থিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে এমন এক মডেল বা রূপরেখা প্রণয়ন করেছে, যা সর্বজনীন স্বাস্থ্য পরিষেবার উদ্দেশ্য পূরণে অভিনব হয়ে উঠেছে।
আমরা বিশ্বাস করি, এখন সময় এসেছে স্বাস্থ্য ও জ্বালানী ক্ষেত্রে দক্ষতা আরও বাড়াতে সম্পদের আরও সদ্ব্যবহারে রাজনৈতিক ও আর্থিক দিক থেকে দায়বদ্ধতা দেখানোর। কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে বিশ্বের সমস্ত দেশের কাছেই অসংখ্য সুযোগ-সুবিধার পরিবেশ গড়ে উঠতে চলেছে। এই লক্ষ্যে প্রচলিত জ্বালানীর পরিবর্তে বিকল্প জ্বালানীতে আরও বেশি বিনিয়োগ করে পারস্পরিক সহযোগিতা গড়ে তুলতে এক উচ্চকাঙ্খী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের প্রয়োজন রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই জোটবদ্ধ দেশগুলি এক দূষণমুক্ত ও স্বাস্থ্যকর বিশ্ব পরিবেশ গড়ে তুলতে পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রেখে সমবেত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণে আরও অগ্রসর হবে বলেই আমার বিশ্বাস”।

CG/BD/SB



(Release ID: 1725939) Visitor Counter : 213


Read this release in: English