মন্ত্রিসভারঅর্থনৈতিকবিষয়সংক্রান্তকমিটি

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ২০১২ সালের নতুন বিনিয়োগ নীতির সংশোধিত প্রস্তাবটিতে অনুমোদন দিয়েছে যেটি রামাগুন্ডম ফার্টিলাইজার অ্যান্ড কেমিক্যাল লিমিটেডের ওপর কার্যকর হবে

Posted On: 09 JUN 2021 7:33PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লী, ৯ জুন, ২০২১

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অর্থনৈতিক বিষয়ক কমিটির বৈঠকে সার দপ্তরের একটি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। এই প্রস্তাবে ২০১২ সালের নতুন বিনিয়োগ নীতির যে সংশোধন ২০১৪ সালের ৭ অক্টোবর গৃহীত হয়েছিল সেটি কার্যকর হবে। সংশোধিত এই নীতি রামাগুন্ডম ফার্টিলাইজার অ্যান্ড কেমিক্যাল লিমিটেডের ওপর প্রযোজ্য হবে।
ন্যাশনাল ফার্টিলাইজার্স লিমিটেড (এনএফএল), ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্ডিয়া লিমিটেড এবং ফার্টিলাইজার্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড (এফসিআইএল) যৌথভাবে রামাগুন্ডম ফার্টিলাইজার অ্যান্ড কেমিক্যাল লিমিটেড গঠন করে। এই সংস্থার ২০১৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি নিগমীকরণ করা হয়। এফসিআইএল-এর রামাগুন্ডমের কারখানাটি পুনরুজ্জীবনের জন্য রামাগুন্ডম ফার্টিলাইজার অ্যান্ড কেমিক্যাল লিমিটেড (আরএফসিএল) গঠন করা হয়। এখান থেকে প্রতি বছর ১২ লক্ষ ৭০ হাজার মেট্রিক টন নিমের আস্তরণ যুক্ত ইউরিয়া উৎপাদন করা হবে। এই কারখানায় পরিবেশ বান্ধব জ্বালানী হিসেবে গ্যাসের ব্যবহার করা হয়। ৬১৬৫ কোটি ৬ লক্ষ টাকার আরএফসিএল-এর ইউরিয়া প্রকল্পে গেইল গ্যাস সরবরাহ করে। জিএসপিএল ইন্ডিয়া ট্রান্সকো লিমিটেডের মাল্লাভরম-ভূপাল-ভিলওয়ারা-বিজয়পুর গ্যাস পাইপ লাইন থেকে এই গ্যাস সরবরাহ করা হয়।
কেন্দ্র, দেশে ইউরিয়া ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতা অর্জনের জন্য এফসিআইএল/এইচএফসিএল-এর বন্ধ হয়ে যাওয়া ইউরিয়া কারখানাগুলির পুনরুজ্জীবনের উদ্যোগ নিয়েছিল౼তারই অঙ্গ হিসেবে অত্যাধুনিক আরএফসিএল-এর কারখানাটি তৈরি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর ইউরিয়া উৎপাদনে দেশকে আত্মনির্ভর করে তোলার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে রামাগুন্ডমের এই কারখানাটি সাহায্য করবে। এখান থেকে প্রতি বছর ১২ লক্ষ ৭০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া উৎপাদিত হবে। এর ফলে এই কারখানা দক্ষিণ ভারতে সবথেকে বেশি সার উৎপাদন করবে। কৃষকরা এই প্রকল্প থেকে উপকৃত হবেন। এই অঞ্চলের সড়ক, রেল ও অনুসারি শিল্পের উন্নতির পাশাপাশি আরএফসিএল প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের খাদ্য সুরক্ষাও নিশ্চিত হবে।
আরএফসিএল-এ অত্যাধুনিক হালদার টোপসে এক্সচেঞ্জ রিফরমার প্রযুক্তি ব্যবহৃত হবে। এর ফলে ইউরিয়া উৎপাদনের সময় জ্বালানীর সাশ্রয় হবে। এই কারখানাতে দৈনিক ৪ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া উৎপাদন করা যাবে। এখানে মূল পরিচালন কক্ষটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে গড়ে তোলা হয়েছে। এছাড়াও আপৎকালীন পরিস্থিতিতে উৎপাদন তৎক্ষণাৎ বন্ধ করে দেওয়া, অনলাইনের মাধ্যমে মেশিনগুলির ওপর নজরদারি চালানোর ব্যবস্থাও থাকছে। প্রশিক্ষিত দক্ষ কর্মীরা এই কারখানায় উৎপাদনের সময় পরিবেশের ওপর-ও নজরদারি চালাবেন।
এই কারখানায় উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে তেলেঙ্গানা রাজ্যের ইউরিয়ার চাহিদা যেমন মিটবে, পাশাপাশি অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক, ছত্তিশগড় ও মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যেও এই কারখানার উৎপাদিত ইউরিয়া পাঠানো হবে। ন্যাশনাল ফার্টিলাইজার্স লিমিটেড আরএফসিএল-এর উৎপাদিত ইউরিয়া বাজারজাত করার দায়িত্বে থাকবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কেন্দ্র এফসিআইএল/এইচএফসিএল-এর ৫টি বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানার পুনরুজ্জীবন ঘটিয়েছে। ৪০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগের মাধ্যমে শীর্ষ স্থানীয় রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থাগুলির সঙ্গে যৌথভাবে তেলেঙ্গানার রামাগুন্ডম, ওডিশার তালচের, উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর, ঝাড়খন্ডের সিন্ধ্রি এবং বিহারের বারৌনিতে বার্ষিক ১২ লক্ষ ৭০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া উৎপাদনের ৫টি কারখানা গড়ে তোলা হচ্ছে। কারখানাগুলি যখন উৎপাদন শুরু করবে তখন দেশে প্রতি বছর ৬৩ লক্ষ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া উৎপাদিত হবে। এর ফলে বিদেশ থেকে ইউরিয়া আনার কারণে যে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হোত তা সাশ্রয় হবে এবং দেশ প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের আত্মনির্ভর ভারতের দিকে এগিয়ে যাবে।

CG/CB/NS



(Release ID: 1725727) Visitor Counter : 181


Read this release in: English