বিদ্যুৎমন্ত্রক
করোনা সংক্রমণ থেকে সমাজের বৃহত্তর অংশকে রক্ষা করতে সহায়তা করেছে এনটিপিসি
Posted On:
27 MAY 2021 5:29PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ২৭ মে, ২০২১
বিদ্যুৎ মন্ত্রকের আওতাধীন দেশের বৃহত্তম শক্তিক্ষেত্র এনটিপিসি কোভিড ১৯-এর দ্বিতীয় ঢেউয়ের মাঝে দেশে কেবল নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে নিশ্চয়তা দেয়নি, একইসঙ্গে কোভিড ১৯ মোকাবিলায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চিকিৎসা পরিকাঠামো বৃদ্ধিতে সহায়তাও করেছে।
এনটিপিসি ৬০০টিরও বেশি অক্সিজেন সহায়তাকারী শয্যা এবং ১২০০টি আইসোলেশন শয্যার ব্যবস্থা করেছে। এক সপ্তাহের মধ্যে যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সাধারণ মানুষের জীবন রক্ষার্থে তারা এগিয়ে এসেছে। এনটিপিসি-র বিভিন্ন প্রকল্পক্ষেত্রে এই ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলেছে। পাশাপাশি রাজ্য ও জেলাপ্রশাসনের সঙ্গে নিবিড় সমন্বয় বজায় রেখে কাজ করছে।এনটিপিসি প্রত্যন্ত অঞ্চলের চিকিৎসা পরিকাঠামো বৃদ্ধিতেও সাহায্য করেছে। জাতীয় রাজধানী অঞ্চল দিল্লিতে কোভিড ১৯-এর সঙ্কটময় পরিস্থিতি মোকাবিলায় এগিয়ে এসেছে তারা । সেখানে কোভিড রোগীদের সুবিধার্থে ১৪০টি আইসোলেশন শয্যা ও ২০০টি অক্সিজেন সহায়তাকারী শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে।এর পাশাপাশি কোভিড পরীক্ষার ব্যবস্থা, ২৪ ঘন্টা নার্সিং ও চিকিৎসা পরিষেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে।এরজন্য এনটিপিসি-র খরচ হয়েছে প্রায় ৩০ কোটি টাকা। এমনকি ৪০ জনেরও বেশি চিকিৎসক, ১০০ জন প্যারামেডিকেল ও চিকিৎসাক্ষেত্রে সহায়তাকারী কর্মী এবং ৭টি সর্বক্ষণের জন্য অক্সিজেন সহায়তাকারী অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
ওড়িশার সুন্দ্রাগড়ে ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট একটি হাসপাতাল গড়ে তুলেছে এনটিপিসি। এছাড়াও বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে এনটিপিসি।একাধিক সঙ্কটজনক রোগীর সাহায্যার্থে ২০টি ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ঝাড়সুগুডা'তে ৩০ শয্যা বিশিষ্ট আইসিইউ বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে । মধ্যপ্রদেশের খারগোন জেলায় ২.২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৫০টি অক্সিজেন সহায়তাকারী শয্যা, ১০টি আইসিইউ শয্যা এবং ২০টি এইচডিইউ শয্যার ব্যবস্থা করেছে এনটিপিসি । প্রত্যন্ত অঞ্চলে সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে এবং কোভিড ১৯-এর হাত থেকে জীবন রক্ষার্থে এনটিপিসি-র এই ব্যবস্থাপনা বিশেষ সহায়তা প্রদান করেছে।
বর্তমান সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে একাধিক এনটিপিসি প্রকল্প থেকে ২০০০-এরও বেশি শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহৃত অক্সিজেন সিলিন্ডার জেলা প্রশাসনের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে । এই সিলিন্ডারগুলি মূলত চিকিৎসা অক্সিজেন সিলিন্ডার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে । অক্সিজেনের অপ্রত্যাশিত চাহিদা বৃদ্ধির পরিস্থিতিতে এনটিপিসি সারা দেশে অক্সিজেন উৎপাদন পরিকাঠামো তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে । ২ ডজনেরও বেশি অক্সিজেন জেনারেশন প্ল্যান্ট তৈরি করেছে তারা । এই প্ল্যান্ট থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার ভর্তির বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে । এছাড়াও জাতীয় রাজধানী অঞ্চলে ৯টি পিএসএ প্ল্যান্ট, ২টি বটলিং প্ল্যান্ট তৈরিতেও সাহায্য করেছে এনটিপিসি ।
এনটিপিসি শুধুমাত্র কোভিডের প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করছে তাই নয়, রোগীদের চিকিৎসাক্ষেত্রে সুবিধাও প্রদান করছে । পাশাপাশি কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করে তুলতে প্রচারাভিযানও চালাচ্ছে । এছাড়াও সমস্ত এনটিপিসি স্টেশনগুলিতে পিপিই কিট, মাস্ক, স্যানিটাইজার, শুকনো খাবার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এনটিপিসি তার সমস্ত কর্মচারীদের থাকার জায়গা এবং প্ল্যান্টজুড়ে জীবাণুমুক্ত করার কাজ চালাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত কর্মী সহ ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষকে টিকাদানের ব্যবস্থা করেছে এনটিপিসি। বিভিন্ন স্থানে গণটিকা শিবিরেরও আয়োজন করা হয়েছে।কোভিড ১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এবং এই সঙ্কটময় পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে এনটিপিসি সর্বস্তরের সহায়তা প্রদান করে চলেছে।আগামী দিনেও এই সংস্থা জাতীয় সঙ্কটের মোকাবিলায় এগিয়ে আসতে বদ্ধপরিকর।
CG/SS/RAB
(Release ID: 1722182)
Visitor Counter : 229