সংস্কৃতিমন্ত্রক

বুদ্ধ পূর্ণিমায় ভার্চ্যুয়াল ভেসক আন্তর্জাতিক সম্মেলন উদযাপনে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

Posted On: 26 MAY 2021 8:47AM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২৬ মে, ২০২১

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আজ ভার্চ্যুয়াল ভেসক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে মূল ভাষণ দিয়েছেন। অনুষ্ঠানে মহাসঙ্ঘের পূজনীয় সদস্যরা, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল ও শ্রী কিরেন রিজিজু, আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ কনফেডারেশনের মহাসচিব, পূজনীয় চিকিৎসক ধম্মপিয়াজি উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেছেন, ভগবানের বুদ্ধের জীবনে ভেসক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। আমাদের গ্রহের উন্নতির জন্য তিনি যে আত্মত্যাগ ও মহান আদর্শ অনুসরণ করেছিলেন, আজকের দিনে সেটিই প্রতিফলিত হয়েছে। শ্রী মোদী আরো বলেন, গত বছর তিনি ভেসক দিবসের অনুষ্ঠানে কোভিড-১৯ মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মানবজাতিকে যাঁরা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, সেইসব সামনের সারিতে থাকা কর্মীদের উদ্দেশে সেই অনুষ্ঠান উৎসর্গ করেন। এক বছর পর কোভিড-১৯ মহামারীর আমাদের ছেড়ে যায়নি। ভারত সহ বহু দেশ দ্বিতীয় ঢেউয়ের মুখোমুখি। দীর্ঘ কয়েক দশকের মধ্যে মানবজাতি একটি চরম সঙ্কটের সম্মুখীন। এই মহামারী আমাদের জীবনে ট্র্যাজেডি নিয়ে এসেছে, বহু মানুষ মহামারীর কারণে সমস্যার সম্মুখীন। এই মহামারী প্রত্যেক দেশে প্রতিকূল প্রভাব বিস্তার করেছে। এর ফলে আর্থিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারী পরবর্তী সময়ে আমাদের পৃথিবী আগের মতো থাকবে না। আগামীদিনে আমরা যে কোনও ঘটনাকে প্রাক-কোভিড বা কোভিড-পরবর্তী পরিস্থিতি বলে বিবেচনা করব। গত এক বছর ধরে অনেক ঘটনা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। একইসঙ্গে অনেক পরিবর্তনও হয়েছে। মহামারী সম্পর্কে আমাদের ধারণা আরও ভালো হয়েছে। এর ফলে মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আরও ভালো কৌশল অবলম্বন করা সম্ভব। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল আমরা টিকা পেয়েছি। মানুষের জীবন বাঁচানো এবং মহামারীকে পরাস্ত করার জন্য এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে সব বিজ্ঞানী কোভিড-১৯-এর টিকা আবিষ্কারে নিরলস কাজ করেছেন, তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়ে শ্রী মোদী বলেছেন, মহামারীর প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার এক বছরের মধ্যে টিকা আবিষ্কার মানবজাতির অদম্য শক্তির প্রতিফলন।
ভগবান বুদ্ধের জীবন ছিল শান্তি, সম্প্রীতি ও সহাবস্থানের প্রতীক বলে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন । আজ বেশ কিছু শক্তি ঘৃণা, সন্ত্রাস ও হিংসাকে ছড়িয়ে দিচ্ছে। এই শক্তিগুলি কখনই মুক্ত গণতান্ত্রিক নীতিতে বিশ্বাসী নয়। আজ সময় এসেছে যাঁরা মানবতাকে বিশ্বাস করেন তাঁদের একজোট হওয়ার౼ যাতে সন্ত্রাসবাদ এবং মৌলবাদকে পরাজিত করা যায়। তিনি বলেছেন ভগবান বুদ্ধে যে পথ দেখিয়েছেন তা যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক। ভগবান বুদ্ধের শিক্ষা এবং সামাজিক ন্যায়ের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করার মধ্য দিয়ে সারা পৃথিবী একজোট হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রীর মূল ভাষণটি পড়তে চাইলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুনঃ-
https://pib.gov.in/PressReleseDetail.aspx?PRID=1721909
এই অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি ও পর্যটন দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী শ্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল সকলকে বুদ্ধ পূর্ণিমার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ২০১৫ সাল থেকে বুদ্ধ পূর্ণিমাকে একটি জাতীয় উৎসব হিসেবে পালন করার যে উদ্যোগ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী নিয়েছেন, তার জন্য শ্রী প্যাটেল ধন্যবাদ জানিয়েছেন। মন্ত্রী আরও বলেছেন, আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ কনফেডারেশন এবং সংস্কৃতি মন্ত্রক প্রতি বছর এই অনুষ্ঠানটি উদযাপন করে থাকে। ভগবান বুদ্ধের দর্শনকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াই এর মূল উদ্দেশ্য। এ বছর কোভিড মহামারীর কারণে সারা বিশ্ব যে সঙ্কটের সম্মুখীন, তাতে ভগবান বুদ্ধের শিক্ষা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। শ্রী প্যাটেল জোর দিয়ে বলেছেন, ধৈর্য্য ও শান্ত স্বভাবের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে যার মাধ্যমে যে কোনও সমস্যা উত্তরণ করা সম্ভব হয়।
ভার্চ্যুয়াল ভেসক বুদ্ধ পূর্ণিমা দিবস উদযাপনে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী শ্রী কিরেন রিজিজু বলেছেন, ভগবান বুদ্ধের জন্মদিন, বোধিপ্রাপ্তি ও মহাপরিনির্বাণ একইদিনে হওয়ায় তা বিশ্ব ইতিহাসে অভিনব।
মন্ত্রী আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ কনফেডারেশনের সদস্যদের বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে এইসব আয়োজনে সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
শ্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ সালের ধম্ম বিষয়কদের ‘ভেসাক সম্মান প্রশস্তিপত্র’ দিয়েছেন। ভেসাক সম্মান প্রশস্তিপত্র ২০১৫ সাল থেকে চালু করা হয়েছে। বৌদ্ধচর্চা, গবেষণা এবং ভগবান বুদ্ধের শিক্ষার প্রসার ঘটানোর জন্য এটি একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।
অনুষ্ঠানে ৫০ পর্বের মঙ্গোলীয় ত্রিপিটকের লুপ্ত হস্তলিপির ডিজিটাল সংস্করণের উদ্বোধন করা হয়।
এই উপলক্ষে বিশেষ প্রার্থনা ভারতের বুদ্ধ গয়া, নেপালের লুম্বিনি, শ্রীলঙ্কার ক্যান্ডি, ভুটান, কাম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মঙ্গোলিয়া, রাশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া ও তাইওয়ানের মূল বৌদ্ধ মন্দিরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভেসক বুদ্ধ পূর্ণিমাকে তিনটি আশীর্বাদ দিবস হিসেবে বিবেচনা করা হয় কারণ এই দিনেই তথাগত গৌতম বুদ্ধের জন্মগ্রহণ, বোধিস্বত্ব লাভ ও মহাপরিনির্বাণ হয়েছিল।

CG/CB/DM



(Release ID: 1722026) Visitor Counter : 226


Read this release in: English