স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক

কোভিড – ১৯ এর জন্য মন্ত্রিগোষ্ঠীর ২৭তম বৈঠকের পৌরহিত্য করেছেন ডা. হর্ষ বর্ধন গত কয়েক সপ্তাহে কোভিড সংক্রমিতের সংখ্যা ৩৭ লক্ষের থেকে হ্রাস পেয়ে হয়েছে ২৭ লক্ষ “সংক্রমিত চিকিৎসাধীনের হার নিম্নমুখী হওয়া ইতিবাচক লক্ষণ”

Posted On: 24 MAY 2021 10:02PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ২৪শে মে, ২০২১

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. হর্ষ বর্ধন আজ কোভিড – ১৯ এর জন্য গঠিত উচ্চপর্যায়ের মন্ত্রিগোষ্ঠীর ২৭তম বৈঠকে পৌরহিত্য করেছেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী শ্রী হরদীপ সিং পুরী, বন্দর, জাহাজ চলাচল ও জলপথ মন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং সার ও রসায়ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী শ্রী মনসুখ মান্ডভিয়া, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে, নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য বিভাগের সদস্য ড. বিনোদ কে পাল বৈঠকে যোগ দেন।
ডা. বর্ধন অনুষ্ঠানে কোভিড – ১৯ প্রতিহত করতে ভারতের উদ্যোগের বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, পর পর ১১ দিন নতুন করে সংক্রমিত চিকিৎসাধীনের থেকে আরোগ্য লাভের সংখ্যা বেশি। গত ৮ দিন ধরে দৈনিক নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৩ লক্ষেরও কম। এটি অত্যন্ত ইতিবাচক দিক। কয়েক সপ্তাহ আগে ভারতে সংক্রমিত চিকিৎসাধীনের সংখ্যা ছিল ৩৭ লক্ষের উপরে। আজ তা কমে দাঁড়িয়েছে ২৭ লক্ষ। মন্ত্রী, কোভিডে মৃত ব্যক্তিদের প্রতি শোকজ্ঞাপন করে বলেছেন, ভারতে মৃত্যুর হার যথেষ্ট বেশি এবং এবিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
টিকাকরণ ও চিকিৎসার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ডা. বর্ধন বলেছেন, ইতিমধ্যেই ১৯ কোটি ৬০ লক্ষ টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির কাছে এখনও ৬০ লক্ষ টিকার ডোজ আছে। শীঘ্রই আরো ২১ লক্ষ ডোজ পাঠানো হবে। কেন্দ্র, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ৭০ লক্ষের বেশি রেমডেসিভিরের ভয়েল এবং ৪৫,৭৩২টি ভেন্টিলেটর পাঠিয়েছে। ২৫,৭৩৯টি নমুনার জিন বিন্যাস করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫,২৬১টি নমুনায় B.1.617 ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। রাজ্যগুলিকে তিনি অনুরোধ করেছেন, আরো ভালো বিশ্লেষণের জন্য তারা যাতে নিয়মিত নমুনা পাঠান।
মিউকোরমাইকোসিস – যেটি ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নামে পরিচিত – এর সংক্রমণের খবর বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসছে। কেন্দ্র এবং রাজ্য এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় একযোগে কাজ করছে। ১৮টি রাজ্য থেকে ৫৪২৪ জনের শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস পাওয়া গেছে। বেশির ভাগ সংক্রমণই হয়েছে গুজরাট ও মহারাষ্ট্র থেকে। এদের মধ্যে ৪৫৫৬ জন কোভিড সংক্রমিত ছিলেন। আক্রান্তদের মধ্যে ৫৫ শতাংশের ডায়াবেটিস ছিল। কেন্দ্র ৯ লক্ষ অ্যাম্ফোটেরেসিন – বি এর ভয়েল আমদানী করছে। এর সাহায্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসা করা হবে। ইতিমধ্যেই ৫০ হাজার ভয়েল পৌঁছেছে। আগামী ৭ দিনে আরো ৩ লক্ষ ভয়েল এসে পৌঁছাবে।
আধা শহর, আধা গ্রাম, শহরাঞ্চল এবং উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় কোভিড ব্যবস্থাপনার জন্য সরকার, সাধারণ পরিচালন বিধি মেনে চলছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক, রাজ্যগুলির সঙ্গে পরিস্থিতির নিয়মিত পর্যালোচনা করছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে বৈঠকে ডিআরডিও উদ্ভাবিত ২-ডিজি এবং বাড়িতে বসে নমুনা পরীক্ষার কিট যাতে সহজেই পাওয়া যায়, সে বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন। এই ধরণের কিট দেশের সর্বত্র সরবরাহের জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।
এনসিডিসি –র নির্দেশক ড. সুজিত কে সিং রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে কোভিড সংক্রমণ বাড়ার বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন পেশ করেছেন। তিনি বলেছেন, ভারতে ৭.৮৬ শতাংশ হারে সংক্রমিতের সংখ্যা বৃদ্ধি উদ্বেগের বিষয়। তিনি কত জন সংক্রমিত, কত জন মৃত এ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে পরিস্থিতির তুলনা করেন। আরএটি এবং আরটি-পিসিআর এর মাধ্যমে নমুনা পরীক্ষার বিষয়েও তিনি বৈঠকে বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন।
২৩শে মে ভারতে ৩২,৮৬,০৭,৯৩৭টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। প্রতি ১০ লক্ষ জনের মধ্যে ২,৩৮,১২১ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
ফার্মাসিউটিক্যাল দপ্তরের সচিব শ্রীমতী এস অপর্ণা জানিয়েছেন, কোভিড – ১৯ এর চিকিৎসায় যে সমস্ত ওষুধ ব্যবহার হচ্ছে, সেগুলির চাহিদা যথেষ্ট বেশি। তাই এগুলির উৎপাদন এবং বন্টন মন্ত্রকের একটি নির্দিষ্ট সেল থেকে করা হচ্ছে। রেমডেসিভির, টোসিলিজুমভ এবং অ্যাম্ফোটেরিসিন – বি র উৎপাদন, সেগুলি সংগ্রহ করা এবং বন্টন করার জন্য বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এই সমস্ত ওষুধের উৎপাদন যথেষ্ট বাড়ানো হয়েছে। ড. অপর্ণা আইইসিকে এই সমস্ত ওষুধের বিষয়ে প্রচার চালাতে পরামর্শ দিয়েছেন। যাতে এই সব ওষুধ যথাযথভাবে ব্য়বহার হয়।
শিশুদের মধ্যে যারা কোভিডে সংক্রমিত হয়েছে, তাদের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধের চাহিদা মেটাতে ডিজিএইচএস এবং আইসিএমআর –এর সঙ্গে সমন্বয় বজায় রাখা হচ্ছে। বৈঠকে বিভিন্ন মন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।

CG/CB/SFS



(Release ID: 1721415) Visitor Counter : 196


Read this release in: English