শিল্পওবাণিজ্যমন্ত্রক
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে শ্রী পিযুষ গোয়েল, শ্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এবং শ্রী মনসুখ মান্ডভিয়া শিল্প জগতের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন
Posted On:
24 MAY 2021 3:47PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ২৪শে মে, ২০২১
রেল, শিল্প ও বাণিজ্য, উপভোক্তা বিষয়ক, খাদ্য ও গণবন্টন মন্ত্রী শ্রী পিযুষ গোয়েল, পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস এবং ইস্পাত মন্ত্রী শ্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এবং বন্দর, জাহাজ চলাচল ও জলপথ দপ্তরের মন্ত্রী শ্রী মনসুখ মান্ডভিয়া ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ফলে উদ্ভুত পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে শিল্প জগতের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আবহাওয়া দপ্তর, জাতীয় বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ, জাহাজ চলাচল, রেল এবং বিভিন্ন রাজ্য সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা বৈঠকে যোগ দেন। ঘূর্ণিঝড় তাওকতের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখার জন্য এমাসের ১৬ তারিখে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী যে বৈঠক করেছিলেন, তার পর সরকারের গৃহীত উদ্যোগের ফলে ঘূর্ণঝড় ইয়াসের বিষয়ে এই বৈঠক।
ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরের পূর্ব মধ্য অংশে উদ্ভুত নিম্নচাপ ধীরে ধীরে উত্তর – উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং ক্রমশ শক্তি সঞ্চয় করে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হচ্ছে। ২৬শে মে সকালে এই ঘূর্ণিঝড় উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে উত্তর ওডিশা এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে পৌঁছাবে। এর পর ওডিশার পারাদ্বীপ এবং পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের মধ্যবর্তী কোনো এক স্থানে ২৬শে মে সন্ধ্যাবেলা অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে এটি আছড়ে পড়বে।
জাতীয় বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘূর্ণঝড়ের ফলে যাতে প্রাণহানী ও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি ন্যূনতম হয়, তার জন্য সব রকমের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ত্রাণ ও উদ্ধার কাজে সমস্ত সংস্থাকে সতর্ক রাখা হয়েছে এবং সকলে সমন্বয় বজায় রেখে চলেছে। রাজ্য সরকারগুলির সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের বিষয়ে প্রস্তুতির জন্য বৈঠক করা হয়েছে। মৎসজীবীদের সব নৌকা ফিরে এসেছে।
জাহাজ চলাচল দপ্তরের মহানির্দেশক জানিয়েছেন, বন্দর, জাহাজ চলাচল ও জলপথ মন্ত্রকের সহায়তায় একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। প্রতিদিন চার বার এখান থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এর জন্য সাধারণ পরিচালন পদ্ধতি ও নীতি নির্দেশিকা মেনে চলা হচ্ছে।
রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামীকাল থেকে যে সব অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সব চাইতে বেশি প্রভাব পড়বে, সেখানে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। বাতাসের গতির উপর নির্ভর করে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
রেল মন্ত্রক ইতিমধ্যেই কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে জরুরী সরঞ্জাম ও ত্রাণ সামগ্রী মজুত করেছে। রাউরকেল্লা থেকে অক্সিজেন এক্সপ্রেস বিকল্প পথ ধরে যাবে।
রাজ্য সরকারগুলি ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ফলে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে নেতিবাচক প্রভাব কমাতে কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সেবিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে। ত্রাণ ও উদ্ধার কাজে তারা তাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানিয়েছে। অত্যাবশ্যক পণ্য౼ বিশেষ করে ওষুধপত্র যাতে বাধাহীনভাবে সরবরাহ করা যায়, সেবিষয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
শিল্প সংস্থার প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, যথাযথ সময়ে তাদের কাছে ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত তথ্য পাঠানোয় তারা পরিস্থিতির মোকাবিলায় যথেষ্ট আস্থা অর্জন করেছেন। এই ধরণের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের নেতিবাচক প্রভাব কমানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যে সহযোগিতা গড়ে তুলতে হবে। ঘূর্ণঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প সংস্থাগুলি বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছে।
শ্রী পিযুষ গোয়েল জানিয়েছেন, পরিস্থিতির মোকাবিলায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার এক সঙ্গে কাজ করছে। প্রাণহানী ও সম্পত্তি নষ্ট যাতে ন্যূনতম হয়, সে বিষয়ে সরকার, বিভিন্ন পরিকল্পনা করেছে। সম্প্রতি পশ্চিম তটে তাওকতে ঘূর্ণিঝড়ের ফলে উদ্ভুত পরিস্থিতির মোকাবিলা করায় ইয়াসের ফলে সম্ভাব্য পরিস্থিতিরও একই ভাবে মোকাবিলা করা যাবে। শিল্প সংস্থাগুলির প্রতিনিধিরা একাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। গতকাল প্রধানমন্ত্রী এবং আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য বৈঠক করেছেন। শ্রী গোয়েল ত্রাণ সামগ্রী যাতে সঠিকভাবে পাঠানো যায় এবং বিদ্যুৎ ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থাকে দ্রুত স্বাভাবিক করা যায়, তার জন্য সকলকে সক্রিয় হতে বলেছেন। মোবাইল এবং টর্চ পুরো চার্জ দিয়ে রাখারও তিনি পরামর্শ দেন। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে যুক্ত কর্মীদের সাহায্য করার জন্য তিনি আহ্বান জানিয়েছেন।
শ্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেছেন, পূর্ব ভারত থেকে চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত তরল অক্সিজেন সরবরাহে বিঘ্ন ঘটবে না। পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রক, তেল ও গ্য়াসের বিভিন্ন স্থাপনাগুলিতে নজরদারী চালাচ্ছে। সম্প্রতি বিভিন্ন অভিজ্ঞতা থেকে এবিষয়ে সতর্কতামূলক ব্য়বস্থা নেওয়া হয়েছে।
শ্রী মনসুখ মান্ডভিয়া বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় তাওকতের আগে শিল্প সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠকের ফলে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে সুবিধা হয়েছে। সচেতনতা গড়ে তোলা, তথ্যের আদান প্রদানের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি কম হবে এবং পরিস্থিতির মোকাবিলায় সকলে প্রস্তুত থাকবেন। এর ফলে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতিতে ত্রাণ, উদ্ধার কাজ ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় সুবিধা হবে।
CG/CB/SFS
(Release ID: 1721400)
Visitor Counter : 192