শিল্পওবাণিজ্যমন্ত্রক

প্রধান প্রধান ক্ষেত্রগুলির অগ্রগতির হার

Posted On: 03 FEB 2021 5:17PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ০৩ই ফেব্রুয়ারী, ২০২১

২০২০র মার্চ ও এপ্রিল মাসে অবনমনের পর মে মাস থেকে ৮টি মূল শিল্পের উৎপাদনের বিষয়ে সার্বিক অগ্রগতি হচ্ছে। কোভিড – ১৯ মহামারির ফলে এই ৮টি মূল শিল্পের উৎপাদন ব্যহত হয়েছিল। সেই সময় পণ্য ও পরিষেবা এবং সরবরাহে চাহিদার ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এই ৮টি শিল্প হল – কয়লা, অপরিশোধিত তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, পেট্রোলিয়াম শোধনাগার, সার, ইস্পাত, সিমেন্ট ও বিদ্যুৎ।

বেসরকারী ক্ষেত্রে চাহিদার ঘাটতি থাকায় এই সব শিল্পের উৎপাদন হ্রাস করা হয়। এর ফলে মূলধন ব্যয়ে প্রভাবিত হয়। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট শিল্প – বাণিজ্য ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। কোভিড – ১৯ মহামারির কারণে সংক্রমণ আটকাতে দেশজুড়ে লকডাউন জারি হওয়ায়, সরবরাহে ঘাটতি দেখা দেয়। এর ফলেও এই শিল্পগুলির বিকাশ বাধাপ্রাপ্ত হয়।

পরিকাঠামো, বর্হিবাণিজ্য, রাজস্ব ও শিল্পের বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে, শিল্পক্ষেত্রের বিকাশ নির্ধারিত হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ব্রিটেন এবং জাপানের মতো গুরুত্বপূর্ণ কিছু অর্থনীতি কোভিডের কারণে দারুণভাবে প্রভাবিত হয়েছে। দেশজুড়ে লকডাউনের ফলে ভারতেও একই পরিস্থিতি দেখা দেয়। তবে, লকডাউন সিথিল হবার পর, পরিস্থিতির উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

মূল ক্ষেত্রগুলিতে বিকাশ নিশ্চিত করতে এবং দেশীয় শিল্পের উৎসাহ জোগাতে সরকার, কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে।

সরকারী সংস্থার বিভিন্ন পণ্য সংগ্রহ, জাতীয় পরিকাঠামো সংক্রান্ত পরিকল্পনা এবং উৎসাহ ভিত্তিক উৎপাদনে দেশীয় পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সরকার, আত্মনির্ভর ভারত প্যাকেজে মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ১৫ শতাংশ অর্থাৎ ২৯ লক্ষ ৮৭ হাজার কোটি টাকার সংস্কারের কথা ঘোষণা করেছে। কৃষিক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ প্রত্যাহার, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগের সংজ্ঞার পরিবর্তন, কয়লা ও খনি শিল্পের বাণিজ্যিকীকরণ, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগের পরিমাণ পরিবর্তন, শিল্পের জন্য বরাদ্দকৃত জমির উন্নয়ন, ল্যান্ড ব্যাঙ্ক, শিল্প সংক্রান্ত তথ্য ব্যবস্থা, সামাজিক পরিকাঠামোর জন্য বিশেষ তহবিল, বিদ্যুৎ শুল্কের নতুন নীতি এবং আত্মনির্ভর ভারতের জন্য নানা ধরণের সংস্কার হাতে নেওয়া হয়েছে।

কর দেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন নিয়মের সরলীকরণ, কর দেবার শেষ তারিখে ছাড়, যারা পণ্য পরিষেবা কর নির্দিষ্ট সময়ে জমা দিতে পারে নি, সেই সব প্রতিষ্ঠানের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা কার্যকর না করা, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ সংস্থাগুলির বকেয়া অর্থ দ্রুত পরিশোধ করা এবং ঋণ খেলাপ সংক্রান্ত নিয়ম শিথিল করায় শিল্প সংস্থাগুলির সুবিধে হয়েছে।

দেশে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন মন্ত্রক ও দপ্তরের বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন সচিব গোষ্ঠী ও প্রকল্প উন্নয়ন শাখা তৈরি করা হয়েছে।

অত্যাবশ্যক নয়, এধরণের সামগ্রী আমদানির ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল – সীমা শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি, পণ্যের মানের ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম চালু করা ইত্যাদি। এক জেলা, এক পণ্য প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলায় নির্দিষ্ট পণ্যের সম্ভাবনার দিকটিও এই ব্যবস্থায় উঠে আসে।

লোকসভায় আজ এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী শ্রী সোম পরকাশ এই তথ্য জানিয়েছেন।

***

 

 

CG/CB/SFS



(Release ID: 1694969) Visitor Counter : 164


Read this release in: English , Tamil