ক্রেতা, খাদ্যএবংগণবন্টনমন্ত্রক

২০২০-২১ খরিফ বিপণন মরশুমে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের সুবিধা প্রদান

Posted On: 22 NOV 2020 5:06PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লী, ২২ নভেম্বর, ২০২০

 

চলতি ২০২০-২১ খরিফ বিপণন মরশুম থেকে সরকার বর্তমানে চালু ন্যূনতম সহায়ক মূল্য অনুযায়ী কৃষকদের কাছ থেকে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে খাদ্যশস্য সংগ্রহ অব্যাহত রেখেছে। 

২০২০-২১ খরিফ মরশুমে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, উত্তরাখন্ড, তামিলনাড়ু, চন্ডীগড়, জম্মু ও কাশ্মীর, কেরালা ও গুজরাট, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা এবং মহারাষ্ট্র থেকে সুষ্ঠুভাবে ধান সংগ্রহ করা হচ্ছে। এই রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি থেকে গত ২১ নভেম্বর পর্যন্ত ২ কোটি ৯৭ লক্ষ ৫১ হাজার মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে, যা গত বছরের খরিফ মরশুমের সময় সংগৃহিত পরিমাণের তুলনায় ১৭.৭৩ শতাংশ বেশি। কেবল পাঞ্জাব থেকেই ২ কোটি ১৭ লক্ষ ৩০ হাজার মেট্রিক টনের বেশি ধান সংগ্রহ করা হয়েছে, যা মোট সংগ্রহের প্রায় ৬৭.৮০ শতাংশ।

ইতিমধ্যেই ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে খরিফ বিপণন মরশুম থেকে খাদ্যশস্য সংগ্রহের ফলে প্রায় ২৬ কোটি ১৫ লক্ষ কৃষক লাভবান হয়েছেন। এমনকি ন্যূনতম সহায়ক মূল্য অনুযায়ী তাদের খাদ্যশস্য সংগ্রহ বাবদ ৫৬ হাজার ১৬৮ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকা মেটানো হয়েছে। 

এছাড়াও বিভিন্ন রাজ্য থেকে পাওয়া প্রস্তাবের ওপর ভিত্তি করে চলতি খরিফ বিপণন মরশুম থেকে ৪৫ লক্ষ ১০ হাজার মেট্রিক টন ডালশস্য ও তৈলবীজ সংগ্রহে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এই ডালশস্য ও তৈলবীজ তামিলনাডু, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা, গুজরাট, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশা, রাজস্থান ও অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে মূল্য সহায়তা কর্মসূচির আওতায় সংগ্রহ করা হবে। খাদ্যশস্য সংগ্রহের পাশাপাশি অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক, তামিলনাডু ও কেরালা থেকে ১ লক্ষ ২৩ হাজার মেট্রিক টন কোপরা বা নারকেল ছিবড়ে সংগ্রহের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য রাজ্য থেকেও প্রস্তাব এলে খাদ্যশস্য, তৈলবীজ ও কোপরা মূল্য সহায়তা কর্মসূচির আওতায় সংগ্রহ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। 

সরকার নোডাল এজেন্সিগুলির মাধ্যমে ২১শে নভেম্বর পর্যন্ত ৩৬২ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকার ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাবদ ৬৮ হাজার ৪৫ মেট্রিক টনের বেশি মুগ, উরাদ, চীনাবাদাম ও সয়াবিন সংগ্রহ করেছে। গত বছরের তুলনায় ডালশস্য ও তৈলবীজ সংগ্রহের পরিমাণ এবার ১.৮২ শতাংশ বেশি। একইভাবে কর্ণাটক ও তামিলনাড়ু থেকে গতকাল পর্যন্ত ৫২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকার ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাবদ ৫ হাজার ৮৯ মেট্রিক টন কোপরা সংগ্রহ করা হয়েছে। এরফলে এই দুই রাজ্যের প্রায় ৪ হাজার কৃষক লাভবান হয়েছেন। অন্যান্য রাজ্য থেকেও সংশ্লিষ্ট সরকারি এজেন্সিগুলি খরিফ মরশুমে ডাল ও তৈলবীজ সংগ্রহের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। বাজারে এলে এই ডালশস্য ও তৈলবীজ সংগ্রহ করা হবে।

ন্যূনতম সহায়ক মূল্য কর্মসূচির আওতায় পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, গুজরাট প্রভৃতি রাজ্য থেকে তুলোবীজ বা কাপাস সংগ্রহ মসৃণ গতিতে এগিয়ে চলেছে। গতকাল পর্যন্ত এই রাজ্যগুলি থেকে ৬ হাজার ৪৪০ কোটি ২৮ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ২ কোটি ১০ লক্ষের বেশি বেল সংগ্রহ করা হয়েছে, যারফলে ৪ লক্ষ ১৯ হাজারের বেশি কৃষক লাভবান হয়েছেন। 

***

 

CG/BD/NS



(Release ID: 1674965) Visitor Counter : 87